প্রিয় চাকরির প্রার্থী ভাই ও বোনেরা , Eduexplain আজ আপনাদের জন্য আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এখানে আপনারা আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান এর গুরুত্বপূর্ণ একটি শিট(sheet)। যা আপনাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিকে আরো জোরদার করবে।
যা আপনারা পিডিএফ হ্যান্ডনোট আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন । তাহলে চলুন , শুরু করি।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান
১. রিমোট সেন্সিং বা দূর অনুধাবন বলতে বিশেষভাবে বুঝায়-
উ: উপগ্রহের সাহায্যে দূর থেকে ভূমণ্ডলের অবলোকন (১২ তম বিসিএস)
ইলেক্ট্রনিক্স
১. কোনটি অর্ধপরিবাহী (Semi-conductor) নয়?
উ: লোহা (৩১তম বিসিএস)
২. রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয়-
উ: গামা রশ্মি (১৬, ২২, ২৪.৫ ৩০তম বিসিএস)
৩. ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলেটরে কালচে অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে উঠে তা কিসের ভিত্তিতে তৈরি?
উ: সিলিকন (১৫ ও ২৬ তম বিসিএস)
৪. অধিকাংশ ফটোকপি মেশিন কাজ করে- উ: পোলারয়েড ফটোগ্রাফি পদ্ধতিতে (১২তম বিসিএস)
৫. দূরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে হলে হাইভোল্টেজ ব্যবহার করার কারণ-
উ: এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয় (১০তম বিসিএস)
ইলেকট্রনিক্সের যাত্রা শুরু হয় এডিসন ক্রিয়া আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। বৃটিশ পদার্থবিজ্ঞানী ফ্লেমিং এডিসন ক্রিয়াকে কাজে লাগি প্রথম ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন। এই টিউব রেকটিফায়ার বা একমুখিকারক হিসেবে কাজ করে। এতে দুটি ইলেকট্রোড ঠিক বলে এর নাম ডায়োড। আমেরিকায় দ্যা ফরেস্ট ট্রায়োড নামে একটি ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন, এতে তিনটি ইলেকট্রোড ছিল।
এনালগ ও ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স
যে সব ঘটনার মান নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তিত হয় তাদেরকে বলা হয় এনালগ। যেমন: শব্দ, আলো, তাপমাত্রা, চাপ ইতাদি
ডিজিটাল সংকেত বলতে সেই যোগাযোগ সংকেতকে বুঝায় যা কিছু নির্দিষ্ট মান গ্রহণ করতে পারে। এরা হিন্নায়িত মান পরিবর্তিত হতে পারে, এদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে চেনা যায়। এই সংকেত ব্যবস্থায় ‘অন’ অবস্থায় মান 1 এবং ‘অফ অবস্থায় মান ০)।
অর্ধপরিবাহী ও সমন্বিত বর্তনী
বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহক শীতল অবস্থায় অন্তরকের মত কাজ করে এবং স্বাভাবিক কক্ষ তাপমাত্রায় খুব সামান্য পরিবাহী। কিছু নির্দিী পদার্থ যোগ করে এর পরিবাহিতা বাড়ানো যায়।
ক। সিলিকনের সাথে বোরন যোগ করলে p- টাইপ অর্ধপরিবাহক তৈরি হয়।
খ। সিলিকনের সাথে ফসফরাস যোগ করলে – টাইপ অর্ধপরিবাহক তৈরি হয়।
n- টাইপ অর্ধপরিবাহীর সাথে p- টাইপ অর্ধপরিবাহী জোড়া লাগিয়ে p-n জাংশন ডায়োড তৈরি করা হয়। ডায়োড তড়িৎপ্রবাহনের একমুখী করে অর্থাৎ এসিকে ডিসিতে পরিণত করে।
প্রিয় চাকরির প্রার্থী ভাই ও বোনেরা , Eduexplain আজ আপনাদের জন্য আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এখানে আপনারা আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান এর গুরুত্বপূর্ণ একটি শিট(sheet)। যা আপনাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিকে আরো জোরদার করবে।
যা আপনারা পিডিএফ হ্যান্ডনোট আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন । তাহলে চলুন , শুরু করি।
ট্রানজিস্টর
দুটি n- টাইপ অর্ধপরিবাহীর মাঝে একটি p- টাইপ অর্ধপরিবাহী জোড়া লাগিয়ে ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়। এর মাঝের স্তরকে বলা হয় ভূমি এবং বাকি দুই স্তরকে সংগ্রাহক এবং নিঃসারক বলা হয়।
মাইক্রফোম ও স্পীকার
মাইক্রোফোন: কোন বড় সভা বা অনষ্ঠানে বক্তা যে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তাকে বলা হয় মাইক্রোফোন বা মাইক। মাইক্রোফোন শব্দ শক্তিকে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তর করে।
স্পীকার: যে যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করা হয় সেটি হল স্পীকার, স্পীকারে থাকে-
ক। বেলনাকৃতির একটি স্থায়ী চুম্বক যা একটি শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে।
খ। একটি ছোট তারকুণ্ডলী যা চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে মুক্তভাবে অগ্র-পশ্চাৎ দুলতে পারে।
গ। তারকুণ্ডলী সাথে শঙ্কু আকৃতির কাগজ লাগানো থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ
বিংশ শতক এবং একবিংশ শতকের প্রারন্তে মানুষের কার্যক্রমকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে যোগাযোগ। উনবিংশ শতকে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের বিকাশ উন্নয়নে মানুষের যোগাযোগ ক্ষমতা আরও একধাপ এগিয়ে গেছে। বিংশ শতকে যোগাযোগের বিপ্লব এনেছে রেডিও, টেলিভিশন, সেলফোন, ফ্যাক্স মেশিন। এসব ব্যবস্থার পর সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট।
রেডিও
রেডিও আবিষ্কারে যে সব বিজ্ঞানী অবদান রেখেছেন তারা হলেন ইতালির মার্কনি ও বাংলাদেশের বিক্রমপুরের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। বেতার সম্প্রচার স্টেশনে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে গৃহীত অডিও সংকেত তড়িৎ সংকেতে রূপান্তর করা হয়। এ সংকেতের নাম অডিও সংকেত। একে উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের (বাহক তরঙ্গ) সাথে মিশ্রিত করা হয়। মিশ্রিত তরঙ্গ রূপারোপিত তরঙ্গ বা মড্যুলেটেড তরঙ্গ নামে পরিচিত। এই তরঙ্গই বেতার তরঙ্গ নামে পরিচিত। বেতার তরঙ্গ দুই ধরনের ভূমি তরঙ্গ, আকাশ তরঙ্গ। আকাশ তরঙ্গ আয়নমণ্ডলে বাধা পেয়ে গ্রাহক যন্ত্রে পৌঁছায়। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই।
টেলিভিশন
লজি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে টেলিভিশনে চিত্র প্রেরণ করেন এবং সেদিন টিভি শিল্পী ছিল পুতুল। টেলিভিশনের ছবি দেখার সাথে সাথে শব্দও শোনা যায়। টিভির পর্দার প্রতিপ্রভ ফসফরে ইলেকট্রন গান থেকে যখন ইলেকট্রন বীম এসে পড়ে তখন এতে আলোক ঝলকের সৃষ্টি হয় এবং টিভির পর্দায় ফুটে উঠে ক্যামেরা থেকে পাঠানো ছবি। টেলিভিশনের পর্দার উপর প্রতি সেকেন্ড ২৫টি স্থির চিত্র তৈরি করে যা আমাদের চোখ চলমান ছবি হিসেবে দেখে।
টেলিভিশনে যে চিত্র প্রেরণ করা হবে তার সাথে সংশ্লিষ্ট শব্দকেও মাইক্রোফোনের সাহায্যে তড়িত সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এ তড়িৎ তরঙ্গকে বাহকতরঙ্গ নামক এক প্রকার উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গের সাথে মিশ্রিত করা হয় এবং প্রেরক যন্ত্রের সাহায্যে প্রেরণ করা হয়।
টেলিভিশন সেটের গ্রাহকযন্ত্রে যায়। টেলিভিশন সেটের শব্দ গ্রহণকারী গ্রাহকযন্ত্র ও তড়িত সংকেত গ্রহণ করে বিবর্ধিত করে। পরে একে লাউডস্পীকারে প্রেরণ করে। লাউডস্পীকার এ তড়িৎ সংকেতকে মূল শব্দে রূপান্তরিত করে। এ শব্দ আমরা শুনতে পাই।
টেলিফোন
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৫ সালে প্রথম টেলিফোন আবিষ্কার করেন। টেলিফোনের হ্যান্ডসেটের মাউথ পিসটি হলো মাইক্রোফোন, এটি হলো প্রেরক এবং ইয়ারপিসটি হলো স্পীকার, এটি হলো গ্রাহক। আমরা যখন কথা বলি মাউথপিসের মাইক্রোফোনটি কন্ঠস্বরের শব্দতরঙ্গকে তড়িৎসংকেতে রূপান্তরিত করে। এ সংকেত টেলিফোনের তার দিয়ে অপর টেলিফোনের ইয়ারপিসে যায়। ইয়ারপিসের স্পীকার তড়িৎসংকেতকে শব্দের রূপান্তরিত করে, ফলে গ্রাহক বা শ্রোতা শব্দ শুনতে পান এবং কথার জবাব দেন।
ফ্যাক্স
ফ্যাক্সিমিলের (Facsimile) সংক্ষিপ্ত নাম ফ্যাক্স। বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার বেইন ফ্যাক্স আবিষ্কার করেন। ১৮৪২ সালে ফ্যাক্স মেশিন আবিষ্কৃত হলেও রেডিও ফ্যাক্সের যাত্রা শুরু হয় ১৯৩০ সালে। ফ্যাক্স এক ধরনের তড়িৎআলোকীয় মেশিন। মূল ডকুমেন্টকে স্ক্যানিং করে বাইনারি সংকেতে রূপান্তর করে মোডেম কৌশল ব্যবহার করে টেলিফোনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। গ্রাহক ফ্যাক্স মেশিন প্রেরিত ইলেকট্রনিক সংকেত গ্রহণ করে মোডেমের সাহায্যে ডিমডুলেট করে মূল ডকুমেন্টে পরিণত করে।
উপরে দেয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের Website www.eduexplain.com ও You Tube Channel Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে
কম্পিউটার
কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণক বা হিসাবকারী। কিন্তু কম্পিউটার শুধু একটি হিসাবকারী যন্ত্রই নয়। কম্পিউটার হচ্ছে একটি উন্নত ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা যা তথ্য সংগ্রহ করে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুযায়ী তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফলাফল উপস্থাপন করে।
ইন্টারনেট
ইন্টারনেট হল ‘নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা সকল নেটওয়ার্কের জননী। এটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক যা সংযুক্ত করেছে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪.০০.০০০-এর বেশি ছোট নেটওয়ার্ককে। ইন্টারনেট অনেকগুলো নেটওয়ার্কের সমষ্টি এবং সকলে মিলে একটি একর নেটওয়ার্কের মত কাজ করে।
ইলেকট্রনিক মেইলকে সংক্ষেপে বলা হয় ই-মেইল। ই-মেইল হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করে দূরবর্তী স্থানে থাকা ব্যক্তিদের সাথে দক্ষ যোগাযোগের উপায়।
শক্তির উৎস এবং এর প্রয়োগ
কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যই হচ্ছে শক্তি। কাজ করা মানে শক্তিকে এক অবস্থা হতে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করা। কোনো বস্তু সর্বমোট যে পরিমাণ কাজ করতে পারে তাই হচ্ছে শক্তি। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি পরিমাপ করা হয়।
কৃতকাজ = ব্যয়িত শক্তি কাজের একক ও শক্তির একক অভিন্ন। শক্তি একটি অদিক (দিকবিহীন) রাশি।
শক্তির রূপ
শক্তির বিভিন্ন রূপ আছে। মোটামুটিভাবে শক্তির নয়টি রূপ দিয়ে প্রাকৃতিক সব ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। শক্তির রূপগুলি হল:
ক. যান্ত্রিক শক্তি ,খ. আলোক শক্তি ,গ. শব্দ শক্তি ,ঘ. তাপ শক্তি ঙ. চৌম্বক শক্তি ,চ. বিদ্যুৎ শক্তি
ছ. নিউক্লিয় শক্তি জ. রাসায়নিক শক্তি ,ঝ. সৌর শক্তি
যান্ত্রিক শক্তি
কোন বস্তুর অবস্থান বা গতির কারণে তার মাঝে যে শক্তি নিহিত থাকে তাকে যান্ত্রিক শক্তি বলে। যান্ত্রিক শক্তির দুটি ভাগ।
গতিশক্তি
গতিশীল বস্তুর মধ্যে শক্তি থাকে। কোনো গতিশীল বস্তু তার গতির জন্য কাজ করার যে সামর্থ্য লাভ করে তাকে গতিশক্তি বলে।
বিভব শক্তি
স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোনো বস্তুকে অন্য অবস্থানে বা স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন করে অন্য কোনো অবস্থায় আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বলে।
সূর্য সকল শক্তির উৎস। এছাড়া পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয় শক্তি ও পৃথিবীর অভ্যন্তরে অবস্থিত গলিত পদার্থ থেকে। প্রাপ্ত শক্তিও শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত।
রাসায়নিক/জ্বালানি শক্তি
কাঠ ও গাছের পাতা পুড়িয়ে তাপশক্তি, বায়ু প্রবাহ এবং জলস্রোত থেকে যান্ত্রিক শক্তি উৎপাদন ছিল সভ্যতার প্রাথমিক স্তর। শিলদ বিপ্লব এবং বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার মানুষের এবং পশুর পেশি শক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেয়। ইঞ্জিন চালানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় এই শক্তি উৎপন্ন হয় জ্বালানি থেকে। শক্তির অতি পরিচিত উৎস হলো কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। ভূ অভ্যন্তরে কয়লা, তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় যা সরাসরি বা সামান্য পরিশোধিত করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
অনবায়নযোগ্য শক্তি: পৃথিবীর বর্তমান ভৌত অবস্থায় যে সকল শক্তির উৎস নতুন করে সৃষ্টি হওয়ার নয় তাকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলে। যেমন: প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদি।
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোনটি?
উঃ পরমাণু শক্তি (৩০ ও ৩৪তম বিসিএস)
২। কোনটি নবায়ন যোগ্য শক্তির উৎস?
উঃ সূর্যরশি (৩৩তম বিসিএস)
৩। সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হয়-
উঃ পরমাণুর ফিউশন পদ্ধতিতে (২২তম বিসিএস)
৪। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের একটি উদাহরণ –
উঃ সূর্য (১০তম বিসিএস)
যত দিন পৃথিবী সূর্যের আলো থেকে শক্তি পেতে থাকবে ততদিন সূর্যের আলোর উপর নির্ভরশীল শক্তি উৎস থেকে শক্তি পাওয়া সম্ভব। এই সকল শক্তির উৎসকে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস বলে। সৌরশক্তি, পানি প্রবাহ থেকে প্রাপ্ত শক্তি, জোয়ার-ভাটা শক্তি, ভূ- তাপীয় শক্তি বায়োমাস, বায়শক্তি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। অনবায়নযোগ্য শক্তি ফুরিয়ে আসছে তাই ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়বে।
ক। সূর্য থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে সৌরশক্তি বলে। পৃথিবীতে যত শক্তি আছে তা সূর্য কিরণ ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন: প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, তেল ইত্যাদি আসলে বহু দিনের সঞ্চিত সৌরশক্তি।
খ। বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি যেমন: পকেট ক্যালকুলেটর, পকেট রেডিও, ইলেকট্রনিক ঘড়ি ইত্যাদি সৌরশক্তির সাহায্যে চালানো হয়।
গ। আমাদের দেশে গ্রামে, ঘরবাড়িতে সৌরশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
উপরে দেয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের Website www.eduexplain.com ও You Tube Channel Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে
জলবিদ্যুৎ
পানি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। পানির স্রোত এবং জোয়ার-ভাটাকে ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করা যায়। পানির স্রোতে গতিশক্তি এবং বিভব শক্তি থাকে। পানির প্রবাহ বা স্রোতকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ বা তড়িৎ উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলে। পানির স্রোতের সাহায্যে একটি টার্বাইন ঘুরানো হয়। এই টার্বাইনের ঘূর্ণন থেকে যান্ত্রিক শক্তি এবং চৌম্বকশক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়। প্রবাহিত পানির স্রোত থেকে যান্ত্রিক শক্তি সরবরাহ করে চৌম্বকশক্তির সমন্বয়ে তড়িৎ উৎপাদন করা হয় বলে এ ধরনের তড়িতের নাম জলবিদ্যুৎ।
(ফ্রান্সে জোয়ার-ভাটা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন প্রকল্প সফলভাবে কাজ করছে)
নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যান্য উৎসসমূহ
ক. বায়ু শক্তি
খ. ভূ-তাপীয় শক্তি
গ. বায়োমাস শক্তি
বায়োমাস শক্তি
সৌরশক্তির একটি ছোট ভগ্নাংশ যা গাছপালা দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে বায়োমাস রূপে গাছপালার বিভিন্ন অংশে মজুদ থাকে। বায়োমাস বলতে সেই সব জৈব পদার্থকে বুঝায় যাদেরকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। বায়োমাসকে শক্তির একটি বহুমুখী উৎস হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
গাছ-গাছালি, জ্বালানি কাঠ, কাঠের বর্জ্য, শস্য, ধানের তুষ ও কুঁড়া, লতাপাতা, পশুপাখির মল, পৌরবর্জ্য ইত্যাদি। বায়োমাস প্রধানত কার্বন এবং হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত একটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। একটি আবদ্ধ পাত্রে গোবর ও পানির মিশ্রণ ১:২ অনুপাতে মিশিয়ে পচানো হলে বায়োগ্যাস উৎপন্ন হয়।
পারমাণবিক শক্তির উৎস
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১. বাংলাদেশেরে পরমাণু শক্তি কমিশন গঠিত হয় কোন সালে?
উ: ১৯৭৩ (২৭তম বিসিএস)
২. ফিউশন প্রক্রিয়ায়-
উঃ একাধিক পরমাণু যুক্ত হয়ে নতুন পরমাণু গঠন (১২তম বিসিএস)
নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় প্রাপ্ত শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিউক্তি তরি হয় সেই বিক্রিয়াকে বলা হয় নিউক্লিয় ফিশন। এতে ইউরেনিয়ামের সাথে নির্দিষ্ট শক্তির নিউট্রনের বিক্রিয়া ঘটানো হয়।
ক। নিউক্লিয় চুল্লীতে এই বিক্রিয়া ঘটানো হয়। ২ নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় পদার্থের একটি ক্ষুদ্র অংশ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। রূপান্তরিত শক্তি, E=mc²’l m শক্তিতে রূপান্তরিত ভর এবং c আলোর বেগ।
খ। একটি নির্দিষ্ট শক্তির নিউট্রন যদি ইউরেনিয়ামকে আঘাত করে তাহলে প্রায় 200 Mev শক্তি নির্গত হয়। ফিশন বিক্রিয়া একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া হওয়ায় এমন কোটি কোটি বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
গ। নিউক্লিয় বিক্রিয়ার এক টন ইউরেনিয়াম থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তা দশ লক্ষ টন কয়লা পুড়িয়ে পাওয়া শক্তির সমান।
ঘ। নিউক্লিয় বর্জ্য অতিমাত্রায় তেজস্ক্রিয় এবং এই বর্জ্যকে নিরাপদে পরিণত করতে হলে হাজার হাজার বছর সংরক্ষণ করতে হবে। নিউক্লিয় চুল্লী এমন পদার্থ দিয়ে তৈরি করতে হবে যাতে এটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপ সহ্য করতে পারে।
ঙ। সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল এবং জাপানের ফুকুশিমা থেকে নিউক্লিয় দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। গ্রিন হাউজ ইফেক্ট তুলনামূলক ভাবে কম হয়।
খনিজ উৎস
কয়লা
কয়লা একটি জৈব পদার্থ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গাছের পাতা এবং কাণ্ড মাটির নিচে চাপা পড়ে রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কয়লায় পরিণত হয়। কয়লা থেকে জ্বালানি ছাড়াও বহু প্রয়োজনীয় পদার্থ তৈরি হয়। যেমন: কোল গ্যাস, আলকাতরা, বেঞ্জিন, অ্যামোনিয়া, টলুয়িন প্রভৃতি। রান্না করতে এবং বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালাতে কয়লার প্রয়োজন হয়। আধুনিক কালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান কয়লা।
খনিজ তেল
পেট্রোলিয়াম থেকে নিষ্কাশিত তেল পেট্রোল, পাকা রাস্তার উপর দেয়া পিচ, কেরোসিন এবং চাষাবাদের জন্য, পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে প্রচুর ব্যবহৃত হয়। পেট্রোলিয়াম থেকে টেরিলিন, পলিয়েস্টার, ক্যাশমিলন ইত্যাদি কৃত্রিম বস্ত্র পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়ামের প্রধান ব্যবহার হল তড়িৎ এবং যান্ত্রিক শক্তি উৎপাদনে। পেট্রোলিয়াম তৈরি হয়েছে পেট্রো (অর্থ পাথর) এবং অলিয়াম (অর্থ তেল) নামক দুটি ল্যাটিন শব্দ হতে। টারশিয়ারি যুগে অর্থাৎ আজ থেকে পাঁচ ছয় কোটি বছর আগে সামুদ্রিক শিলার স্তরে স্তরে গাছপালাও সামুদ্রিক প্রাণী চাপা পড়ে বিভিন্ন রাসায়নিক রূপান্তরের মাধ্যমে তেলে পরিণত হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাস
গ্যাসের মাধ্যমে তাপ শক্তি তৈরি করে, যা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায় ভূগর্ভ থেকে। সুগভীর কূপ খনন করে ভূগর্ভ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ এবং চাগে প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি হয়। পেট্রোলিয়াম কূপ থেকেও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। এই সকল শক্তিকে জীবাশ্ম শক্তিও বলা হয়।
শক্তির রূপান্তর
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। তড়িৎশক্তি শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে?
উ: লাউড স্পিকার (২০তম বিসিএস)
২। বৈদ্যুতিক মটর এমন একটি যন্ত্রকৌশল, যা-
উ: তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে (১০তম বিসিএস)
শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়। ৪২ শক্তির রূপান্তর: বিভিন্ন প্রকার শক্তির সকলেই পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ কোনো একটা থেকে অন্যটাতে পরিবর্তন সম্ভব। এ পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে। আসলে প্রায় প্রত্যেক প্রাকৃতিক ঘটনাকেই শক্তির রূপান্তর হিসেবে ধরা যেতে পারে। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
যান্ত্রিক শক্তির রূপান্তর
হাতে হাত ঘষলে তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কলমের খালি মুখে ফু দিলে যান্ত্রিক শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। পাহাড় পর্বত থেকে পানি যখন সমতলে নেমে আসে তখন বিভব শক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টার্বাইন ঘুরানো হয়, ফলে যান্ত্রিক শক্তি থেকে তড়িৎ শক্তি পাওয়া যায়।
তাপ শক্তির রূপান্তর
বাষ্পীয় ইঞ্জিনে তাপের সাহায্যে বাষ্প উৎপন্ন করে রেলগাড়ি ইত্যাদি চালানো হয়। এখানে তাপ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাল্বের ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের ফলে তাপ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় দুটি ভিন্ন ধাতুর সংযোগস্থলে তাপ প্রয়োগ করলে তাপ শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
আলোক শক্তির রূপান্তর
হারিকেনের চিমনিতে হাত দিলে গরম অনুভূত হয়। এখানে আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। ফটো-ভোলটাইক কোষের উপর আলোর ক্রিয়ায় আলোক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফটোগ্রাফিক কাগজের উপর আলোর ক্রিয়ার ফলে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
রাসায়নিক শক্তির রূপান্তর
রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যের শক্তি আমাদের দেহে মুক্ত হয় এবং অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার সময় আমরা অন্য কাজ করতে পারি। তড়িৎ কোষ এবং ব্যাটারিতে রাসায়নিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ইঞ্জিনে যখন জ্বালানি যেমন: কাঠ, কয়লা, তেল, গ্যাস পুড়ানো হয় তখন রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
তড়িৎ শক্তির রূপান্তর
বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি, হিটার ইত্যাদিতে তড়িৎ শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরি হয়। বৈদ্যুতিক বাল্বে তড়িৎ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। টেলিফোন ও রেডিওর গ্রাহক যন্ত্রে তড়িৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। সঞ্চয়ক কোষে তড়িৎ শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাড়িতচুম্বকে তড়িৎ শক্তি চৌম্বক শক্তিতে রূপান্তনি হয়।
নিউক্লীয় শক্তির রূপান্তর
নিউক্লীয় সাবমেরিনে নিউক্লীয় শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়।
আলোক যন্ত্রপাতি
দূরবীক্ষণ যন্ত্র
দূরবীক্ষণ যন্ত্র তথা দুরবিন (টেলিস্কোপ) এমন একটি যন্ত্র যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দূরবর্তী বস্তু থেকে নির্গত বিকিরণ সংগ্রহ, পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করা হয় লেন্স এবং দর্পণের সাহায্যে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্র বলতে এমন কৌশল বুঝায় যার সাহায্যে সীমিত দিক থেকে আগত কড়িকৌম্বক বিকিরণ বা কণা-বিকিরণ হিসেবে আগত বিকিরণ সংগ্রহ করা যায়। প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন হ্যান্স লিপারশে, ১৬০৮ সালে। ১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি দুরবিন তৈরি করেন। ১৬১১ সালে ইয়োহানেস কেপলার একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ করেন যা অনেকটা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মত ছিল। ১৭৩৩ সালে জেমস গ্রেগরি একটি অ্যাক্রোমেটিক ডাবলেট অবজেক্টিভ তৈরি করেন যার মাধ্যমে প্রতিসরণ দুরবিনের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন জেমস গ্রেগরি। আইজাক নিউটন-ও একটি প্রতিফলন দুরবিন তৈরি করেছিলেন।
অণুবীক্ষণ যন্ত্র
অনুবীক্ষণযন্ত্র (Microscope) অণুজীব বিজ্ঞান পরীক্ষাগারের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে যে সকল বস্তু খালি চোখে দেখা যায় না তাদের দেখা যায়। এর সাহায্যে কোনো বস্তুকে প্রায় ১০০ থেকে ৪০০০০০০ গুণ বড় করে দেখা যায়। যে বিষয়ে অণুবীক্ষণযন্ত্রের গঠন ও কার্যপ্রণালী আলোচনা করা হয় তাকে মাইক্রোস্কোপি (Microscopy) বলে।
অণুবীক্ষণ যন্ত্র দুই প্রকার
১. সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র
২. যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র
সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্রে একটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় ও যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দুইটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টি পাল্লা 25cm থেকে অসীম পর্যন্ত। যদি কোন চোখ এই পাল্লার মাঝে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে সেই চোখ ত্রুটিপূর্ণ ধরা। হয়। চোখে প্রধানত দুই ধরনের ত্রুটি দেখা যায়।
হ্রস্ব দৃষ্টি
এই ত্রুটিগ্রন্থ চোখ দূরের জিনিস দেখতে পারে না কিন্তু কাছের জিনিস ঠিকই দেখতে পারে। অপসারী লেন্স ব্যবহার করে লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা কমিয়ে এই ত্রুটি দূর করা যায়।
দীর্ঘ দৃষ্টি
এই ত্রুটিগ্রন্থ চোখ কাছের জিনিস দেখতে পারে না কিন্তু দূরের জিনিস ঠিকই দেখতে পারে। উত্তল লেন্স ব্যবহার করে অভিসারী ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
চালসে ত্রুটি
এটির জন্য ব্যবহার করা হয় দ্বি ফোকাস লেন্স।
নকুলান্ধতা
এর জন্য ব্যবহার করা হয় টরিক লেন্স
মৌলিক কণা
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১. নিচের কোনটি পরামাণুর নিউক্লিয়াসে থাকে না?
উ: electron (২৭ তম বিসিএস)
২. মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে বলা হয়- পরমাণু (১১তম বিসিএস)
কণা পদার্থবিজ্ঞানে মৌলিক কণা বা প্রাথমিক কণা হল সে সব কণা, যাদের ক্ষুদ্রতর কোন ভিত্তি বা গাঠনিক একক নেই অর্থাৎ এরা অন্য কোনো ক্ষুদ্রতর কণার সন্নিবেশে গঠিত হয়নি। যদি কোন মৌলিক কণার প্রকৃতপক্ষেই কোন ক্ষুদ্রতর একক না থাকে তবে তাকে মহাবিশ্বের গাঠনিক একক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা থেকে অন্য সব কণা তৈরি হয়েছে। আদর্শ মডেল অনুযায়ী কোয়ার্ক, লেপটন এবং গেজ বোসনকে মৌলিক কণিকা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মৌলিক কণা তত্ত্বের একটি ভিত্তিসূচক ধারণা হল ২০ শতাব্দীর সূচনাভাগের ‘কোয়ান্টাম’ ধারণা, যা তড়িৎচৌম্বক বিকিরণ সংক্রান্ত অধ্যয়নে নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। গাণিতিক প্রয়োজনে মৌলিক কণাদিগকে বিন্দু কণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদিও কিছু কণাতত্ত্ব যেমন: স্ট্রিং তত্ত্বে এর ভৌত মাত্রার ধারণা দেয়া হয়েছে।
ক। সব মৌল কণায় হয় বোসন নয়তো ফার্মিওন (যা তাদের ঘূর্ণনের ওপর নির্ভর করে)।
খ। ঘূর্ণন পরিসংখ্যান তত্ত্ব লব্ধি কোয়ান্টাম পরিসংখ্যান চিহ্নিত করে, যা ফার্মিওন ও বোসনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
ফার্মিয়ন
ফার্মিয়ন হলো অর্ধপূর্ণ স্পিনবিশিষ্ট এক ধরনের মৌলিক কণিকা। এই কণিকা পলির বর্জন নীতি মেনে চলে। প্রখ্যাত ইতালীয় তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির নামানুসারে এই কণিকার নামকরণ করা হয়েছে। এক শক্তিস্তরে দুটির বেশি ফার্মিয়ন একসঙ্গে থাকতে পারেনা, যা বোসনদের পক্ষে সম্ভব।
অধ্যাপক জাহিদ হাসান ও তার আন্তর্জাতিক সহযোগীদের দল স্ফটিক ধরনের একটি ধাতব পদার্থ arsenide আপাতদৃষ্টিতে কণা হিসেবে Weyl fermions অস্তিত্ব অনুমান করেন।
কোয়ার্ক হলো একপ্রকার মৌলিক কণিকা। এরা হ্যাড্রনদের গঠন উপাদান। মুরে জেল-ম্যান এদের নাম দেন কোয়ার্ক।
কোয়ার্ক এর ছয়টি ফ্লেভার আছে: আপ, ডাউন, চার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ ও বটম। এই প্রতিটি ফ্লেভারের আছে তিনটি করে বর্ণ: লাল, সবুজ ও নীল।
কোয়ার্কের তড়িতাধান ভগ্নাংশ (প্রোটন বা ইলেকট্রনের তুলনায়) পরিমাণ হয়ে থাকে।
বোসন হলো পূর্ণসংখ্যক স্পিনবিশিষ্ট একটি মৌলিক কণিকা। এই কণিকা বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে। প্রখ্যাত বাঙালি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন বোসের (বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের বোস) নামানুসারে পল ডিরাক এই কণিকার নাম প্রদান করেছেন। বোসনদের বেশিরভাগই হল যৌগিক কণা।
ফোটন কণা
পদার্থবিজ্ঞানে ফোটন একটি মৌলিক কণা। তড়িৎচুম্বক ক্রিয়ায় আলো এবং অন্যান্য সকল তড়িৎচৌম্বক বিকিরণের মৌলিক একক। তড়িৎচৌম্বক বলের শক্তি সরবরাহকারী মূল কণিকাও ফোটন। এই বলের প্রভাব আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে সহজেই পর্যবেক্ষণ করা যায় কারণ ফোটনের কোন স্থিতি ভর নেই যার ফলে ফোটন দীর্ঘ দূরত্বেও পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বা মিথস্ক্রিয়া করতে সক্ষম। অন্য সকল মৌলিক কণিকার মত কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় ফোটন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। ফোটন তরঙ্গ এবং কণা উভয় ধর্মই প্রদর্শন করে।
আদর্শ মডেল
কণা পদার্থবিজ্ঞানের আদর্শ মডেল ধরনের ফ্লেভারের প্রাথমিক ফার্মিওন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিপদার্থ, পাশাপাশি বোসন শুনা যারা বলের মধ্যস্ততাকারী এবং হিগস বোসন কণা নিয়ে গঠিত। তবে আদর্শ মডেলের তত্ত্বকে কোন মৌলিক তত্ত্ব হিসাবে না দেে কেবল একটি ধারণা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা জ যায়নি।
ধাতব পদার্থ এবং তাদের যৌগসমূহ
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১. স্টেইনলেস স্টীলের অন্যতম উপাদান-
উ: ক্রোমিয়াম (৩৩তম বিসিএস)
২. লোহকে গ্যালভানাইজিং করতে ব্যবহৃত হয়-
উ: দস্তা (৩৩তম বিসিএস)
৩. সংকর ধাতু পিতলের উপাদান-
উ: তামা ও দস্তা (৩৩তম বিসিএস)
৪. কোনটি সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল? উ: জিপসাম (৩৩তম বিসিএস)
৫. কোনটি মৌলিক পদার্থ?
উ: লোহা (৩২তম বিসিএস)
৬. পিতলের উপাদান হল-
উ: তামা ও দস্তা (৩০ তম বিসিএস)
৭. সংকর ধাতু পিতলের উপাদান?
উ: তামা ও দস্তা (৩০তম বিসিএস)
৮. অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
উ: ফিটকিরি (২৯তম বিসিএস)
৯. কোন ধাতু পানি অপেক্ষা হালকা?
উ: সোডিয়াম (২৮ ও ২৯তম বিসিএস)
১০. পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসাবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
উ: সোডিয়াম (২৯তম বিসিএস)
১১. অ্যালোমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
উ: ফিটকিরি (২৮তম বিসিএস)
১২. কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় না? উ:ক্যালসিয়াম কার্বনেট (২৬তম বিসিএস)
১৩. কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হল-
উ: জিপসাম (২৪ তম বিসিএস)
১৪. অ্যাসবেস্টস কি?
উ: অগ্নি নিরোধক খনিজ পদার্থ (২৪ তম বিসিএস)
১৫. কোনটি বেশি স্থিতিস্থাপক?
উ: ইস্পাত (১৮ ও ২৩তম বিসিএস)
১৬. প্রকৃতিতে সবচেয়ে শক্ত পদার্থ কোনটি? উ: হীরা (২৩তম বিসিএস)
১৭. তামার সাথে নিচের কোনটি মেশালে পিতল হয়?
উ: দস্তা (জিঙ্ক) (২০তম বিসিএস)
১৮. কোন বস্তুটির স্থিতিস্থাপকতা বেশি?
উ: লৌহ (১৩তম বিসিএস)
১৯. কোন মৌলিক ধাতু সাধারন তাপমাত্রায় তরল থাকে?
উ: ব্রোমিন (১১তম বিসিএস)
২০. ইস্পাত সাধারণ লোহা থেকে ভিন্ন কারণ এতে-
উ: সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে (১০তম বিসিএস)
২১. সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হলো-
উ: তামা ও দস্তা (১০তম বিসিএস)
রসায়নে ধাতু বলতে সে সব মৌলিক পদার্থ বোঝায় যেগুলো খুব দ্রুত আয়ন সৃষ্টি করে এবং যেগুলোতে ধাতব বন্ধন রয়েছে।
ধাতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো-
ক। ঘাতসহনীয়তা (ধাতুকে পিটিয়ে যে কোন আকার দেয়া যায়)
খ। নমনীয়তা (ধাতুকে পিটিয়ে সরু তারে পরিণত করা যায়)
গ। উজ্জ্বলতা (ধাতুর বিশেষ দ্যুতি আছে। এরা আলোক বিচ্ছুরণ করে)
(ধাতু সবচেয়ে হালকা লিথিয়াম সবচেয়ে ভারী প্লাটিনাম সবচেয়ে ঘন ওসমিয়াম সাধারণ তাপমাত্রায় তরল পারদ)
ঘ। পরিবাহিতা (ধাতুসমূহ তাপ ও বিদ্যুৎ দু-পরিবাহী)
ঙ। ধাতৰ শব্দ (আঘাতে ধাতু টুন টুন শব্দ করে)
চ। গলনাংক ও স্ফুটনাংক (ধাতু উচ্চ গলনাংক ও স্ফুটনাংক বিশিষ্ট)
ছ। ঘনত্ব (ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় বেশি)
কঠিন অবস্থায় ধাতুর পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে যে আকর্ষণ বা বন্ধনের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে, তাকে ধাতব বন্ধন বলে।
ঘরের ছাদ হিসেবে জিঙ্কের প্রলেপযুক্ত ইস্পাতের তৈরি শীট ব্যবহৃত হয়।
ভূ-ত্বকে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু তাপ পরিবাহক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সীসা কাগজের উপর ঘষলে কালো দাগ পড়ে।
যে লোহায় কার্বনের পরিমাণ.০৮ থেকে ১.৫ এর মধ্যে তাকে ইস্পাত বলে। স্থায়ী চুম্বক তৈরিতে ইস্পাত ব্যবহৃত হয়।
কার্বনের পরিমাণের উপর ইস্পাতের গুণাগুণ নির্ভর করে।
ইস্পাতের সঙ্গে ক্রোমিয়াম ও নিকেল মিশিয়ে যে বিশেষ ইস্পাত তৈরি হয়, তাকে স্টেইনলেস স্টীল বলে। এ দুই বা ততোধিক ধাতুর মিশ্রণে যে কঠিন পদার্থ তৈরি হয় তাকে সংকর ধাতু বলে।
তামা ও দস্তার মিশ্রণে পিতল তৈরি হয়। -তামা, দস্তা ও নিকেলের সংকর ধাতু জার্মান সিলভার।
অ্যালুমিনিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম এবং মাঙ্গানিজ এর মিশ্রণে তৈরি সংকর ধাতু ডুরালুমিন। এটি উড়োজাহাজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তামা, দস্তা এবং টিনের মিশ্রণে তৈরি সংকর ধাতু গান মেটাল, পূর্বে কামান তৈরির কাজে ব্যবহৃত হত বলে এজন্য এটিকে গান মেটাল বলে।
খনিজের সাথে যে সব অপদ্রব্য থাকে, সেগুলিকে খনিজ মল বা গ্যাং বলে।
পারদের সাথে অন্য যে কোন ধাতুর মিশ্রণে উৎপন্ন সংকর ধাতুকে পারদ সংকর বা অ্যামালগাম বলে।
মাটির রঙ লালচে হলে বুঝতে হবে তাতে আয়রনের পরিমাণ বেশি।
ম্যাগনেটাইট, জিরকন, মোহনাজইট প্রভুতির সমন্বয়ে তৈরি সোনার ন্যায় মুল্যবান খনিজকে কালোসোনা বলে।
সাপের বিষে জিঙ্ক থাকে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু প্লাটিনাম। -দস্তা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। -আয়নার পশ্চাতে পারদ ব্যবহৃত হয়। • -সর্বাধিক বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতু কপার বা তামা।
এন্টিমনিকে আঘাত করলে শব্দ হয় না। • -পারমাণবিক চুল্লিতে সোডিয়াম ধাতু সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়,
ঘরের চালে ব্যবহৃত জি. আই শিটে দস্তার প্রলেপ দেওয়া থাকায় তাতে মরিচা ধরে না। -প্রাকৃতিক পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হলো হীরক।
-হীরক সাধারত স্বচ্ছ ও বর্ণহীন। হীরকের মধ্যদিয়ে আলো বিভিন্নভাবে বেঁকে যায় বলে তাকে চকচকে দেখায়। হীরক বিশেষভাবে কেটে বহুতল বিশিষ্ট করা হয়। এতে হীরকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।
লোহা বা ইস্পাতের তৈরি সামগ্রীর উপর নিকেল, ক্রোমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম সোনা, প্লাটিনাম ইত্যাদি ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে।
মরিচা প্রতিরোধ বা সামগ্রীক উজ্জ্বলতা, চাকচিক্য, সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বাড়াতে ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়
গ্রাফাইট একমাত্র অধাতু যা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
লোহা বা ইস্পাতের তৈরি জিনিস কে মরিচারোধী করার জন্য লোহা বা ইস্পাতের উপর জিপ্তের প্রলেপ দেওয়া হয়। একে গ্যালভানাইজিং বসে।
সোডিয়াম বাই- কার্বনেট, অ্যালুমিনিয়াম সালফেট এবং পটাশিয়াম হাইড্রোজেন টারটারেটর মিশ্রণকে বেকিং পাউডার বলে। -গ্রাফাইটের সাথে বিভিন্ন অনুপাতে কাঁদা মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের পেন্সিলের সীস তৈরি করা হয়। পেন্সিলের সীস যত মোটা ও নরম ভাতে গ্রাফাইটের পরিমাণ তত বেশি।
গন্ধক বা সালফার খুবই সক্রিয় অধাতু। এটি ভাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। জীবাণুনাশক ঔষধ তৈরিতে, দিয়াশলাই, নানা প্রকার রং এবং সার প্রভৃতিতে সালফার বা গন্ধক ব্যবহৃত হয়।
রাবারের সাথে গন্ধক মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে রাবার শক্ত, নমনীয় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। একে ভলকানাইজেশন বলে।
রকেট এবং জেট বিমানে জ্বালানি হিসেবে তরল অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়।
পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। মাছ এবং অন্যান্য জলচর প্রাণীরা ফুলকার সাহায্যে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শ্বাসকার্য চালায়।
অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন হলো বায়ুর প্রধান দুটি উপাদান।
হাইড্রোজেন গ্যাস অত্যন্ত দাহ্য। বেলুনে ব্যবহার করলে হাইড্রোজেন গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য বর্তমানে বেলুনে হাইড্রোজেনের পরিবর্তে হিলিয়াম ব্যবহার করা হচ্ছে।
অত্যধিক চাপ এবং অতি নিম্ন তাপমাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ঘনীভূত করলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড তরল না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। দেখতে বরফের মত বলে কঠিন কার্বন ড্রাই অক্সাইডকে ড্রাই আইস বা শুল্ক বরফ বলে।
কার্বন মনো অক্সাইড (CO) ও হাইড্রোজেন গ্যাসের মিশ্রণকে ওয়াটার গ্যাস বলে। • -নাইট্রাস অক্সাইডকে (N₂O) ল্যাফিং গ্যাস বলে।
পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়। এটি হজমে সহায়তা করে। কোন দ্রবণের P” বলতে বুঝায় কোন দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনত্বের ঋণাত্মক লগারিদমকে। কোন দ্রবেনের p” এর মান ৭ হলে Θ তা নিরপেক্ষ P” এর মান ৭-এর বেশি হলে তা ক্ষারীয় এবং ৭ এর কম হলে তা অম্লীয়। • -সর্বপ্রথম অক্সিজেন আবিষ্কার করেন প্রিস্টলি।
কোন ধাতুর আণবিক ওজন ১৮ এর কম হলে ঐ ধাতুটি পানিতে ভাসবে।
বিক্রিয়ার গতি মন্থর করার জন্য পারমাণবিক চুল্লীতে গ্রাফাইট বা ভারী পানি ব্যবহৃত হয়। পীট কয়লার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি ভিজা ও নরম। •
কাঁচ তৈরির প্রধান উপাদান হলো বালি।
পঁচা ডিমের মত কটু গন্ধযুক্ত গ্যাস হলো হাইড্রোজেন সালফাইড।
আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ হয়। -আমরা যে চক দিয়ে লিখি তা হলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₂)।
জারণ বিজারণ
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। জারণ বিক্রিয়ায় ঘটে-
উ: ইলেকট্রন বর্জন (২৯, ৩১তম বিসিএস)
জারণ
যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা যৌগে তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণু বা মূলক সংযুক্ত হয় বা তাদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা কোনো তড়িৎ ধনাত্মক পরমাণু বা মূলকের অপসারণ হয় বা তাদের অনুপাত হ্রাস পায়, সেই বিক্রিয়াকে জারণ বলে।
ইলেক্ট্রনীয় ধারণা
যে বিক্রিয়ায় নেক সন্ত্রাজেন পরমাণু মূলত আয়ন। ইলেকট্রন প্রদান করে, ফলে সংশ্লিষ্ট রা ধনাত্মক হার্ড বৃদ্ধি পায়, জহতে জারণ বলে।
বিজারণ= ইলেক্ট্রন গ্রহণ, জারক= ইলেক্ট্রন গ্রহণ
বিজারণ
যে বিক্রিয়ায় কোন মৌল বা যৌগে তড়িৎ ধনাত্মক পরমাণু না মূলক সংযুক্ত হয় বা তাদের অনুপাত বৃদ্ধি পায় অথবা কোন তড়িৎ ঋনাত্মক পরমান বা মূলকের অপসারণ হয় রা তাদের অনুপাত হ্রাস পায়, সেই বিক্রিককে বিজারণ বলে।
মনে রাখুন:
বিজারণ জারক অন্যকে জারিত করে এবং নিজে বিজারিত হয়।
জারণ বিক্রিয়ায় বিজারক অন্যকে বিজারিত করে এবং নিজে জারিত হয়।
তড়িৎ কোষ
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। সাধারণ ড্রাইসেলে ইলেকট্রোড হিসেবে থাকে- উ: কার্বন দণ্ড ও দস্তার কৌটা (১০তম বিসিএস)
২। সৌরকোষের বিদ্যুৎ রাতেরও ব্যবহার করা সম্ভব যদি এর সঙ্গে থাকে- উ: স্টোরেজ ব্যাটারি (১১তম বিসিএস)
৩। সাধরণ স্টোরেজ ব্যাটারিতে সীসার ইলেকট্রোডের সঙ্গে যে তরলটি ব্যবহৃত হয় তা হলো- উ: সালফিউরিক এসিড (১২ তম বিসিএস)
#গ্যালভানি (Luigi Galvani) ও ভোলটা (Alessandro volta) প্রথম রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। গ্যালভানি ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে ও ভোলটা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে আলাদাভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারেন যে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটা জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব। মূলত তাদের আবিষ্কারের ফলেই আজ আমরা ব্যাটারি পেয়েছি। তাহলে, গ্যালভানিক কোষ যা ভোলটায়িক কোষ বলেও পরিচিত হলো এক ধরনের তড়িৎ রাসায়নিক কোষ যার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করা যায়। অপরদিকে বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করে তড়িৎ রাসায়নিক কোষের মাধ্যমে বাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত করা যায়। একে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলা হয়। যে কোষে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলে। তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বিভিন্ন ক্ষুদ্রাংশ, যেমন: তড়িৎদ্বার, লবণ- সেতু ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণ নিয়ে গঠিত।
পরিবাহী
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে, তাদেরকে বিদ্যুৎ পরিবাহী বলে। আর যাদের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বলে। ধাতু, কার্বন, গ্রাফাইট, গলিত লবণ ও এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণ প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবাহী হিসেবে কাজ করে। বিদ্যুৎ পরিবহনের কৌশলের উপর ভিত্তি করে পরিবাহীকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা: (১) ইলেকট্রনিক ও (২) তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী। যে সকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাকে ইলেকট্রনিক পরিবাহী বলে। যেমন: সকল ধাতু ও গ্রাফাইট। বিদ্যুৎপ্রবাহ যদি পরিবাহীর আয়ন দ্বারা সাধিত হয়, ঐসব পরিবাহীকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। যেমন: গলিত লবণ, এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণ।
তড়িৎদ্বার
তড়িৎদ্বার হলো ধাতব বা অধাতব বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ। এদেরকে ইলেকট্রনিক পরিবাহী বলা হয়। তড়িৎদ্বার তড়িৎ রাসায়নিক কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও দ্রবণের (আয়নিক পরিবাহী) মধ্যে বিদ্যুৎপ্রবাহের যোগসূত্র রক্ষা করে। তড়িৎ রাসায়নিক কোষ গঠনে দুটি তড়িৎদ্বার প্রয়োজন। একটিকে অ্যানোড তড়িৎদ্বার এবং অপরটিকে ক্যাথোড তড়িৎদ্বার বলে।
ধাতু/ধাতব আয়ন তড়িৎদ্বার
কোনো একটি ধাতু যদি উক্ত ধাতুর লবণের দ্রবণে ডুবানো থাকে, তাহলে তাকে ধাতু/ধাতু আয়ন তড়িৎদ্বার বলে যেমন: কপার ধাতুর দণ্ড বা ধাতব পাত কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণে ডুবানো থাকে, তাহলে তাকে কপার/কপার (II) আয়ন তড়িৎদ্বার বলে।
তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া
তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া জারণ বা বিজারণ বিক্রিয়া। অর্থাৎ কোনো একটি তড়িৎদ্বার বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের আদান অথবা প্রদান ঘটে। তড়িৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য দুইটি তড়িৎদ্বার থাকে ক্যাথোড ও অ্যানোড। তড়িৎ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে তড়িৎত্ত্বার তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থকে ইলেকট্রন প্রদান করে, তাকে ক্যাথোড বলে। আবার যে তড়িৎদ্বার তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে অ্যানোড বলে। তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারে। অন্যথায় তড়িৎদ্বারে বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া সম্পাদন করা যায়।
গ্যালভানিক কোষ
যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে, অর্থাৎ বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য বাহির থেকে শক্তির দরকার হয় না এবং রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হয়, তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।
ড্রাই সেল
ড্রাই সেল একধরনের গ্যালভানিক কোষ। প্রচলিতভাবে ড্রাই সেলকে আমরা ব্যাটারী বলে থাকি। ড্রাই সেলের মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়। সর্বাধিক পরিচিত ড্রাই সেল হলো লেকলেন্স সেল। আমরা ড্রাইসেল সাধারণত টর্চ জ্বালাতে, রেডিও বাজাতে, টিভির রিমোট চালাতে, বাচ্চাদের খেলনা চালাতে প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করি। গ্যালভানিক কোষের ন্যায় ড্রাই সেলও আনোড ও ক্যাথোড দ্বারা গঠিত। তফাৎ হলো ড্রাই সেল গঠনে কোন তরল তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রব্য থাকে না।
তড়িৎ বিশ্লেষণের প্রয়োগ
তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে ইলেক্ট্রোপ্লেটিং বলে। আধুনিক রসায়নে তড়িৎ বিশ্লেষণ কৌশলের মাধ্যমে নতুন পদার্থ উৎপাদন, আকরিক থেকে ধাতুর নিষ্কাশন, বিদ্যুৎশক্তির উৎপাদন (ফুয়েল সেল), রাসায়নিক পদার্থের বিশ্লেষণ, পদার্থের পরিশোধন ও বিশুদ্ধিকরণ, পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের ব্যবস্থাপনাকরণ ইত্যাদি করা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের মাধ্যমে বিভিন্ন পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করা যায় যেমন: পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ নির্ণয়। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষে বর্জ্যকে পরিশোধন করে পরিবেশ রক্ষা করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তড়িৎ বিশ্লেষ্য কৌশল নির্ভর সেন্সর ব্যবহার করা হয়।
সোডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎ বিশ্লেষণ
সোডিয়াম ক্লোরাইডের সম্পৃক্ত জলীয় দ্রবণকে ব্রাইন বলে। সোডিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবণকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করে জোরিষ পাড় উৎপাদন করা হয়।
তড়িৎ বিশ্লেষণে উৎপাদিত পদার্থের বাণিজ্যিক ব্যবহার
তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আকরিক থেকে বিভিন্ন ধাতু যেমন: সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, দস্তা, লোহা, সীলা ইত্যাদি নিষ্কাশন করা হয়। আধুনিক বিশ্বে এসব ধাতুর ব্যবহার অপরিসীম। লোহার বাণিজ্যিক ব্যবহার সবখানেই বিস্তৃত। তামা দিয়ে তৈি বৈদ্যুতিক তার বহুল ব্যবহৃত হয়। স্বল্প বিদ্যুৎরোধী হওয়ার জন্য তামার তার বাণিজ্যিক ভাবে বেশ সমাদৃত। আলমিনিয়াম ওজনে হালকা হওয়ায় বিমান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া রান্নাবান্নার জন্য ব্যবহৃত হাঁড়ি-পাতিল আ্যলুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি।
বাণিজ্যিকভাবে ইলেক্ট্রোপ্লেটিং এর মাধ্যমে লোহার উপর অন্য ধাতুর বিশেষ করে দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম এর মরিচারোধী প্রলেপ দেওয়া হয়। এতে লোহার স্থায়িত বৃদ্ধি পায়। ইলেক্ট্রোপ্লেটিং এর মাধ্যমে কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দিলে তা অত্যন্ত মসৃন হয়।
অজৈব যৌগ
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। ইউরিয়া সারের কাঁচামাল-
উ: মিথেন গ্যাস (১১তম বিসিএস)
অজৈব যৌগের অণুতে কার্বন থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। অজৈব যৌগ সব রকম মৌল দিয়ে পঠিত হতে পারে। যেমন: NH, CO ইত্যাদি।
ক। অজৈব যৌগগুলি সাধারণত তড়িৎযোজী বন্ধনের দ্বারা আবদ্ধ। যেমন: সোডিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালশিয়াম অক্সাইড, ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি।
খ। অজৈব যৌগগুলি তড়িৎযোজী হতে পারে আবার সমযোজীও হতে পারে। আয়নিক বন্ধনের দরুন অজৈব যৌগের বিক্রিয়া দ্রুত হয়।
গ। অজৈব যৌগের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক জৈব যৌগের তুলনায় অনেক বেশি। এগুলি সাধারণত অনুদ্বায়ী।
ঘ। অজৈব যৌগগুলি সাধারণত জল এবং সমধর্মী দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় এবং এরা জৈব দ্রাবকে অদ্রাব্য। অজৈব যৌগগুলি সাধারণত দাহ্য নয়।
ঙ। অজৈব যৌগের ক্ষেত্রে পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া খুবই কম।
চ। আয়নিক বন্ধনযুক্ত যৌগগুলি তড়িৎ-বিশ্লেষ্য যৌগ।
ছ। অজৈব যৌগের অণুর গঠন অপেক্ষাকৃত সরল এবং আণবিক গুরুত্ব জৈব যৌগের তুলনায় কম।
জ। অজৈব যৌগে অণু-সংযোজন বিক্রিয়া সাধারণত দেখা যায় না।
জৈব যৌগ
জৈব যৌগ হল এক ধরনের যৌগিক পদার্থ যাতে কার্বন থাকে। ঐতিহাসিক কারণে কিছু যৌগ যেমন: কার্বনেট, কার্বনের সাধারণ। অক্সাইড, সায়ানাইড এবং কার্বনের রূপভেদকে অজৈব যৌগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৮২৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা। ছিল যে, জৈব যৌগ শুধু প্রাণশক্তির প্রভাবে জীব ও প্রাণীদেহে সৃষ্টি হয়, একে পরীক্ষাগারে সংশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। ফ্রেডরিখ ভোলার ১৮২৮ সালে অজৈব অ্যামোনিয়াম সায়ানেট হতে পরীক্ষাগারে ইউরিয়া সংশ্লেষণ করেন, যা একটি জৈব যৌগ। এর ফলে শতাব্দীকাল ধরে প্রচলিত ধারণার অবসান ঘটে। জীব ও প্রাণীদেহ মূলত জৈব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত। কার্বনের যৌগসমূহ তথা জৈব যৌগের প্রস্তুতি, ধর্ম,গঠন, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি আলোচনা করা হয় জৈব রাসায়নে।
প্রাণশক্তি মতবাদ
জৈব কথাটির উৎপত্তি হয় প্রথম শতাব্দীতে। বিভিন্ন কারণে পশ্চিম বিশ্বের বিজ্ঞানীরা প্রাণশক্তি মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। এই মতবাদ অনুযায়ী কিছু মৌল কেবলমাত্র ভূ-পৃষ্ঠ, পানি, বায়ু ও আগুন থেকে জীব-শক্তির মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। একে বলা হত প্রাণশক্তি যা শুধু শ্রণী বা উদ্ভিদে বিদ্যমান। এসব মৌলই হল জৈব যৌগ। এরা অজৈব যৌগ হতে ভিন্ন প্রকৃতির। আধুনিক পরমাণুবাদের উদ্ভব হওযার পরও বেশ কিছুকাল এই প্রাণশক্তি মতবাদ প্রচলিত ছিল।
কার্যকরী মূলক
কার্বক্সিলিক এসিডসমূহ কার্বক্সিলিক মূলক (-COOH) ধারণ করে। যেমন: এ্যাসিটিক এসিড একটি কার্বক্সিলিক এসিড জৈব যৌগের শ্রেণীবিভাগের ক্ষেত্রে এবং বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ে কার্যকরী মূলকের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন সমগোত্রীয় শ্রেণীর ধর্ম নিয়ন্ত্রণকারী মূলকই কার্যকরী মূলক নামে পরিচিত। জৈব যৌগসমূহের রাসায়নিক এবং ভৌত ধর্মের উপর কার্যকরী মূলকের প্রভাব বিদ্যমান। জৈব যৌগসমূহকে কার্যকরী মূলকের ভিত্তিতেই শ্রেণিবিভাগ করা হয়। যেমন: অ্যালকোহল একটি সমগোত্রীয় শ্রেণি যার কার্যকরী মূলক হল -OH। অ্যালকোহলসমূহ পানিতে সামান্য পরিমাণে দ্রবণীয়, এরা এস্টার এবং হ্যালাইড গঠন করে থাকে। অধিকাংশ কার্যকরী মূলকে কার্বন ও হাইড্রোজেন থাকে না।
অ্যালিফেটিক যৌগ
যে সব জৈব যৌগের অণুতে কার্বন পরমাণুসমূহের মুক্ত শিকল বিদ্যমান তাদের অ্যালিফেটিক যৌগ বলা হয়। যেমন: CH,, CH,-CH, CH,-CH OH. অ্যালিফেটিক যৌগসমূহকে তাদের সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে তিনটি সমগোত্রীয় শ্রেণীতে বিভিক্ত করা হয়। যথা:
অ্যালকেন : একক বন্ধন বিশিষ্ট যৌগ পক্ষান্তরে দ্বিবন্ধন বা ত্রিবন্ধনবিহীন।
অ্যালকিন: যে গুলোতে এক বা একাধিক দ্বিবন্ধন উপস্থিত থাকে
অ্যালকাইন: যে গুলোতে এক বা একাধিক ত্রিবন্ধন থাকে।
অবশিষ্ট যৌগসমূহকে তাদের কার্যকরী মূলক অনুসারে শ্রেণিবিভাগ করা হয়। এগুলো সরল শিকল, শাখায়িত শিকল বা চাক্রিক হতে পারে। শিকলের ডিগ্রী যৌগের ধর্মকে প্রভাবিত করে।
যেমন: পেট্রোলিয়াম রসায়নে অক্টেন নাম্বার বা কিটোন নাম্বার যৌগের ধর্মকে প্রভাবিত করে।
অ্যারোমেটিক যৌগ
যে সব জৈব যৌগের অণুতে এক বা একাধিক বেনজিন চক্র বা বলয় বিদ্যমান তাদের অ্যারোমেটিক যৌগ বলে
ক। বেনজিন একটি সরল এবং সবচেয়ে পরিচিত অ্যারোমেটিক যৌগ।
খ। অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনে অনুবন্ধী দ্বিবন্ধন উপস্থিত থাকে।
গ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হল বেনজিন, জার্মান রসায়নবিদ ফ্রেডরিখ অগাস্ট কেকুল কর্তৃক আবিষ্কৃত বেনজিনের ষড়ভুজীয় কাঠামোতে ইলেক্ট্রনের ডিলোকালিজেশন বা অনুরণন বিদ্যমান।
ঘ। প্রচলিত চাক্রিক যৌগসমূহে 41 + 2 সংখ্যক ডিলোকালাইজড পাই ইলেক্ট্রন উপস্থিত থাকার কারণে অ্যারোমেটিসিটির উদ্ভব হয়। আবার 4n সংখ্যক অনুবন্ধী পাই ইলেক্ট্রন উপস্থিত থাকার কারণে যৌগের অ্যারোমেটিসিটির হ্রাস ঘটে।
পলিমার
কার্বনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, কার্বন পরমাণু আরেকটি কার্বন পরমাণুর সাথে কার্বন-কার্বন বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিশালাকার চেইন বা শিকল গঠন করে। এভাবে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় পলিমারাইজেশন আর এ ধরনের শিকল কাঠামোকে বলে পলিমার। মূল পরমাণু, যেটি একটির সাথে আরেকটি যুক্ত হয়ে এ ধরনের যৌগ গঠন করে তাকে বলে মনোমার। পলিমার প্রধানত দুই প্রকার: একটি হল কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমার, এগুলোকে বলে শিল্প-পলিমার বা সংশ্লেষিত পলিমার; আরেক ধরনের পলিমার হচ্ছে প্রাকৃতিক পলিমার।
ক। প্রথম কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমার হল ব্যাকেলাইট।
খ। সবচেয়ে পরিচিত সংশ্লেষিত জৈব পলিমারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পলিইথিলিন (পলিথিন), পলিপ্রপাইলিন, নাইলন, টেফলন (সময় পলিস্টাইরিন, পলিয়েস্টার, পলিমিথাইলমিথাক্রাইলেট এবং পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC), সিনথেটিক এবং প্রাকৃতিক রাবার উভয়েই পলিমার।
ঙ। পলিমারাইজেশনের গর্তের পরিবর্তনের মাধ্যমে পলিমারসমূহের রাসায়নিক সংযুক্তির পরিবর্তন ঘটে। এক্ষে
তড়িৎ চৌম্বক
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। রাডারে যে তড়িৎ চৌম্ব তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় তার নাম কী?
উ: মাইক্রোওয়েভ (২০ তম বিসিএস)
বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে তাতে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়। ওয়েরস্টেড তড়িতের চৌম্বকক্রিয়া আবিষ্কার করেন। কেজ পরিবাহীতে বিদ্যমান তড়িৎ প্রবাহের চারিদিকে চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়।
সলিনয়েড
পেঁচানো বা কুণ্ডলী পাকানো তাঁর দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করা হলে অধিকাংশ বলরেখা কয়েলের কেন্দ্রে ঘনীভূত হবে। চৌম্বকক্ষেত্রটি দেখতে অনেকটা দণ্ড চুম্বকের ক্ষেত্রের মতো হবে। এরকম কুণ্ডলীকে বলা হয় সলিনয়েড। এর ভিতর যদি কোন লোহার দণ্ড ঢুকাই তবে লোহার দণ্ডটি চুম্বকে পরিণত হবে। তড়িৎ প্রবাহের ফলে চুম্বকে পরিণত হওয়া এই লোহার দণ্ডকে তাড়িতচুম্বক বলে।
তাড়িতচুম্বক
সলিনয়েডের ভিতরে কোন লোহার দণ্ড ঢুকিয়ে সলিনয়েডের চেয়ে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করা যায়। একে তাড়িতচুম্বক বলে। এই চুম্বকের প্রাবল্য নিম্নোক্তভাবে বাড়ানো যায়-
ক। তড়িৎ প্রবাহ বাড়িয়ে
খ। সলিনয়েডের পেঁচের সংখ্যা বাড়িয়ে
গ। ইংরেজি U অক্ষরের মত বাকিয়ে চুম্বক মেরু দুটিকে আরও কাছাকাছি এনে।
বৈদ্যুতিক ঘণ্টা, দরজার তাড়িত চৌম্বক তালায়, টেলিফোনের ইয়ারপিসে তাড়িতচুম্বক ব্যবহার করা হয়।
তাড়িতচৌম্বক আবেশ
একটি পরিবর্তনশীল চৌম্বকক্ষেত্র তড়িচ্চালক শক্তি সৃষ্টি করতে পারে যা একটি আবদ্ধ বর্তনী দিয়ে একটি আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহ চালাতে পারে। পরিবর্তনশীল ক্রৌদকক্ষেত্রের দ্বারা কোন বর্তনীতে তড়িচ্চালক শক্তি বা তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টির এই ঘটনাকে তাড়িতচৌম্বক আবেশ বলে। তাড়িতচৌম্বক আবেশ নিয়ে মাইকেল ফ্যারাডে, জোসেফ হেনরি এইচ.এফ ইলেঞ্জ কাজ করেন। মাইকেল ফ্যারাডে তাঁর কাজের ফলাফল সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন।
UPS= Uninterruptible Power Supply
IPS= Instant Power Supply
তড়িৎ প্রবাহী তারের উপর চুম্বকের প্রভাব
তড়িৎবাহী তার নিজস্ব একটি চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি করে। চুম্বকের বিপরীত মেরুদ্বয়ের মধ্যে সৃষ্ট চৌম্বক এবং তড়িৎবাহী তারের চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে তারটি উপরের দিকে লাফিয়ে ওঠে। তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তন করলে তারটি নিচের দিকে নামে। আমরা জানি, চৌম্বক বলরেখাগুলো পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। এ বিকর্ষণ নিচের দিকে বৃদ্ধি পায় এবং বলরেখার উৎস তড়িৎবাহী তারকে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। তারে তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখ বিপরীত করা হলে তারটি নিচের দিকে বল লাভ করবে।
তড়িৎ মোটরে নিম্ন বর্ণিত অংশ থাকে
ক. চুম্বক
খ. কয়েল
গ. আর্মেচার
ঘ. কম্যুটেটর
ব্যবহার: বৈদ্যুতিক পাখা, পাম্প, রোলিং মিল ইত্যাদি
জেনারেটর
যে তড়িৎযন্ত্রে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে জেনারেটর বলে। তাড়িত চৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে এই যন্ত্র কাজ করে। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম জেনারেটর উদ্ভাবন করেন। জেনারেটর দুই প্রকার হতে পারে-
ক. এসি জেনারেটর
খ. ডিসি জেনারেটর
এ.সি. ডায়নামোর গঠন
এ.সি. জেনারেটর এর প্রধান অংশগুলো হচ্ছে-
ক। চুম্বক
খ। আর্মেচার
গ। স্লিপ রিং
ঘ। ব্রাশ ট্রান্সফরমার
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। বিদ্যুতের উচ্চতর ভোল্ট থেকে নিম্নতর ভোল্ট পাওয়া যায়-
উ: স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে (৩১তম বিসিএস)
২। যে যন্ত্রের সাহায্যে পরবর্তী উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে এবং নিম্ন বিভকে উচ্চ বিভবে রূপান্তির করা হয় তার নাম কী?
উ: ট্রান্সফরমার (২৮তম বিসিএস)
ট্রান্সফর্মার একটি গতিহীন নিশ্চল বৈদ্যুতিক যন্ত্র (কোনো গতিশীল যন্ত্রাংশ নাই) যা বিদ্যুৎ শক্তিকে একটি বৈদ্যুতিক বর্তনী থেকে অপর একটি বৈদ্যুতিক বর্তনীতে একই কম্পাংকে স্থানান্তর করে। এ.সি. (Alternating Current) ব্যবস্থায় কম ভোল্টেজকে বেশি ভোল্টেজে বা বেশি ভোল্টেজকে কম ভোল্টেজে রূপান্তর করার জন্য ট্রান্সফর্মার ব্যবহৃত হয়। কম থেকে বেশি ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে ‘স্টেপ- আপ ট্রান্সফর্মার’ বা ‘উচ্চধাপী ট্রান্সফর্মার’ এবং বেশি থেকে কম ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে ‘স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার’ বা “নিম্নধাপী ট্রান্সফর্মার” বলা হয়।
গঠন
ট্রান্সফর্মারে মূলত দুটি অংশ থাকে-
ক। প্রাইমারি কয়েল বা মুখ্য কুণ্ডলী: এই কয়েলে এ.সি. বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
খ। সেকেন্ডারি কয়েল বা গৌণ কুণ্ডলী: এই কয়েলে বিদ্যুৎ শক্তি স্থানান্তর হয়।
একটি কাচা লোহার আয়তাকার মজ্জা বা কোর-এর দুই বিপরীত বাহুতে কার পেঁচিয়ে ট্রান্সফরমার তৈরি করা যায়। কোরের যে বাহুতে পরিবর্ত এবার বা বিভব (এসি) প্রয়োগ করা হয় তাকে মুণ্য কুণ্ডলী বলে। আর যে কুণ্ডলীতে পরিবর্তী বিভর আবিষ্ট হয় তাকে গৌণ কুণ্ডলী বলে। স্টেপ-আপ (উচ্চধাণী। ট্রান্সফর্মারে প্রাইমারি কয়েলের চেয়ে সেকেন্ডারি কয়েলের পাক সংখ্যা বেশি থাকে। আর স্টেপ-ডাউন (নিম্নধাপী) ট্রান্সফর্মারে প্রাইমারি কয়েলের চেয়ে সেকেন্ডারি কয়েলের পাক সংখ্যা কম থাকে।
ব্যবহার: আরোহী বা স্টেপ আপ ট্রান্সফর্মারঃ উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে পরিণত করে। দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণে ব্যবহৃত হয়। অবরোহী বা সোঁদ ডাউন ট্রান্সফর্মারঃ নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিতবে পরিণত করে। তাই এটি রেডিও, টেলিভিশন, টেপরেকর্ডার, কম্পিউটার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
এক্স রে
রঞ্জন রশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্যা বিশিষ্ট এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এর অপর নাম এক্স-রে (X-ray)। ১৮৯৫ সালে উইলহেম রনজেন এই। রশ্মি আবিষ্কার করেন। ভরঙ্গদৈর্ঘ্য যত ছোট হয় পদার্থ ভেদ করার ক্ষমতা ভত বেশি হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেক্স রঞ্জনরশ্মি। এক্সরে আর সাধারণ আলোর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল এদের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে। সাধারণ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 7x10m থেকে 4x10m এর। কাছাকাছি। এক্সরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10m থেকে 10m এর কাছাকাছি। সাধারণ আলো দৃশ্যমান এবং বিভিন্ন রঙে বিভক্ত হয়। কিন্তু এক্সরে দৃশ্যমান নয়। এক্সরে উচ্চ ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন। এক্সরে আয়ন সৃষ্টিকারী বিকিরণ গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে, কিন্তু সাধারণ আলো তা করে না।
প্রকারভেদ
কোমল এক্সরে (Soft X-ray): এক্সরে যন্ত্রে কম বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করে যে এক্সরে পাওয়া যায় অর্থাৎ যে এক্সরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশী, ফলে ভেদন ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তাকে কোমল এক্সরে (Soft X-ray) বলে। কঠিন এক্সরে (Hard X-ray): এক্সরে যন্ত্রে বেশী বিভব পার্থক্য প্রয়োগ করে যে এক্সরে পাওয়া যায় অর্থাৎ যে এক্সরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম, ফলে ভেদন ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত বেশী, তাকে কঠিন এক্সরে (Hard X-ray) বলে। এক্সরের একক হল রন্টজেন। এক রন্টজেন বলতে সেই পরিমাণ বিকিরন বুঝায় যা স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় এক মিলিমিটার বায়ুতে এক স্থির বৈদ্যুতিক আধানের সমান আধান উৎপন্ন করতে পারে।
এক্স-রে রশ্মির ধর্ম
ক। এ রশ্মি সরলরেখায় গমন করে।
খ। এটি অত্যধিক ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন।
গ। এক্সরে তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ, তড়িৎক্ষেত্র বা চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা এটি বিচ্যুত হয় না।
ঘ। এটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট, কম্পাঙ্ক খুব উচ্চ।
ঙ। সাধারণ আলোর ন্যায় এক্সরের প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন ও সমাবর্তন হয়ে থাকে।
চ। ফটোগ্রাফিক প্লেটের উপর এর প্রতিক্রিয়া আছে।
ছ। এ রশ্মির আলোক তড়িৎ ক্রিয়া আছে।
জ। জিঙ্ক সালফাইড, বেরিয়াম প্লাটিনোসায়ানাইড প্রভৃতি পদার্থে এ রশ্যি প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে।
ঝ। এটা আয়ন সৃষ্টিকারী বিকিরণ।
ঞ। এটি আধান নিরপেক্ষ।
ট। এক্সরে অদৃশ্য। সাধারণ আলোক রেটিনায় পড়লে দৃষ্টির অনুভূতি জন্মায় কিন্তু এদের ক্ষেত্রে এমন হয় না।
ঠ। এক্সরে রশ্মি তীব্রতা ব্যস্তানুপাতিক সূত্র মেনে চলে।
ড। এটি জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
ঢ়। এটি প্রতিপ্রভা সৃষ্টি করে।
ণ। এটি আলোর বেগে অর্থাৎ প্রায় 3×108 ms” বেগে গমন করে।
এক্সরে রশ্মির ব্যবহার
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহার:
ক। স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে দাগ বা ফাটল, ভেঙ্গে যাওয়া হাড়, শরীরের ভিতরের কোন বস্তুর বা ফুসফুসের কোন ক্ষত, দাঁতের ক্যারিস ইত্যাদির অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
খ। সিটি স্ক্যান হল কম্পিউটারের সাহায্যে রঞ্জন রশ্মি দ্বারা গৃহিত চিত্র সমন্বয় করে ত্রিমাত্রিক বা প্রস্থচ্ছেদ চিত্র ধানাবার ব্যবস্থা। গ। ক্যান্সারের চিকিৎসায় রঞ্জন রশ্মি বিকিরণ ব্যবহৃত হয়।
ঘ। পরিপাক (Digestive) নালী দিয়ে খাদ্যবস্তুর গমন পথ অনুসরণ, আলসার নির্ণয় ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়।
শিল্পে ব্যবহার:
ক। ধাতব ঢালাইয়ের দোষ ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং, ধাতব পাতের গর্ত ইত্যাদি নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
খ। কেলাস গঠন পরীক্ষায় এক্সরে ব্যবহৃত হয় এবং মণিকারেরা এর সাহায্যে আসল ও নকল গহনা চিহ্নিত করতে পারেন।
গ। টফি লজেন্স, সিগারেট ইত্যাদির মান বজায় আছে কিনা বা টফি ও লজেন্সে ক্ষতিকর কোন কিছু মিশ্রিত হয়েছে কিনা তা জানার জন্য ব্যবহৃত হয়।
গোয়েন্দা বিভাগে ব্যবহার:
কাঠের বাক্স বা চামড়ার থলিতে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখলে তা খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয়। কাস্টম কর্মকর্তারা চোরাচালানের দ্রব্যাদি খুঁজে বের করতে ব্যবহার করেন।
তেজস্ক্রিয়তা
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
উ: লৌহ। (২০তম বিসিএস)
২। পারমাণবিক বোমার আবিস্কারক কে?
উ: ওপেনহেইমার (১৩তম বিসিএস)
কোন মৌল থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বা কণা নির্গমনের ঘটনাকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক বেকরেল। হেনরী বেকরেল প্রথম দেখতে পান ইউরেনিয়াম ধাতুর নিউক্লিয় ভাঙ্গন থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশেষ ভেদনশক্তিসম্পন্ন বিকিরণ অবিরত নির্গত হয় এবং মৌলটি সম্পূর্ণ নতুন মৌলে রূপান্তরিত হয়। এটি একটি নিউক্লিয় ঘটনা এবং বাহ্যিক কোন প্রভাব যেমন তাপ, চাপ বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্র এই রশ্মির নির্গমন বন্ধ করতে বা হ্রাস বৃদ্ধি করতে পারে না।
পরবর্তীকালে মাদাম কুরি এবং পীয়ারে কুরি রেডিয়াম, পোলেনিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি ভারী মৌলের ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করেন।
আলফা, বিটা ও গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য
আলফা কণাঃ এই কণা ঋণাত্মক আধানযুক্ত। আলফা কণার ভেদনক্ষমতা কম। এই কনা চৌম্বক এবং তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। তীব্র আয়নায়ন সৃষ্টি করতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতিকর এবং বিপদজনক। এর ভর হাইড্রোজেন পরমাণুর চারগুন এবং আধান 3.2 x 10″CI এই কনা জিংক সালফাইড পর্দায় প্রতিপ্রভা তৈরি করে। এর বেগ আলোর বেগের শতকরা ১০ ভাগ।
নোট: তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণার জন্য তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক হেনরি বেকরেল এবং মারি ক্যুরি ও তাঁর স্বামী পিয়েরে ক্যুরি যৌথভাবে ১৯০৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। যে সকল আইসোটোপ থেকে রশ্মি নির্গত হয়, তাদেরকে তেজস্ক্রিয় মৌল বলে। যেমন: ইউরেনিয়াম (৯২), নেপচুনিয়াম (৯৩), প্লুটোনিয়াম (৯৪) ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
বিটা কণাঃ এই কণা ঋণাত্মক আধানযুক্ত। ভেদনক্ষমতা আলফা কণা থেকে বেশি এটি 3cm পুরু অ্যালুমিনিয়াম লাত ভেদ করে যেতে পারে না। এই কণা প্রতিগ্রতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ভর ইলেকট্রনের সমান, 9.11x 10(-31)kg এর বেগ আলোর বেগের শভবকরা ৫০ বাদ থেকে শতকরা ৯৮ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে
গামা রশ্মিঃ এটি আধান নিরপেক্ষ, স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ। এটি চৌম্বক এবং তড়িৎক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না। দুর্বল আয়নায়ন ক্ষমতা সম্পন্ন কিন্তু ভেদনক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে বেশি। দ্রুতি আলোর সমান।
তেজস্ক্রিয় মৌলের অর্ধায়ু
যে সময়ে কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থের মোট পরমাণুর ঠিক অর্ধেক পরিমাণ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের অর্ধায়ু বলে।
তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার
কৃষিক্ষেত্র : উন্নত মানের বীজ তৈরি, গাছের জন্য বিশেষ ধরণের সার উৎপাদনে
চিকিৎসা বিজ্ঞান : দূরারোগ্য ক্যান্সার নিরাময়ে, কিডনির ব্লকেড, থাইরয়েড সমস্যা নির্ণয়ে
শিল্প কারখানা: যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে, কাগজের পুরুত্ব নির্ণয়ে ধাতব ঝালাই যাচাইয়ে
তেজস্ক্রিয়তার সাবধানতা
উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মানবদেহের জন্য নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। এই বিকিরণ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘ দিন মাত্রারিক্ত তেজস্ক্রিয় বিকিরনের সংস্পর্শে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং মানসিক বিকারগ্রস্থ হতে পারে।
বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। রেফ্রিজারেটরে কমপ্রেসরের কাজ কি?
উ: ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা (২৮তম বিসিএস)
২। কোন ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে?
উ: পেট্রাল ইঞ্জিনে (২৭তম বিসিএস)
৩। প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয়, কারণ-
উ: উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায় (২৭তম বিসিএস)
৪। বস্তুর ওজন সবচেয়ে কোথায় বেশি?
উ: মেরু অঞ্চলে (২৬তম বিসিএস)
৫। প্রেসার কুকারে পানির স্ফুটনাংক-
উ: বেশি হয় (২৫তম বিসিএস)
৬। কত তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?
উ: ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (২১ ও ২৫তম বিসিএস)
৭। CNG-এর অর্থ-
উ: কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস (২৫ তম বিসিএস)
৮। পাহাড়ের উপর রান্না করতে বেশি সময় লাগে কেন?
উ: বায়ুর চাপ কম থাকার কারণে (২৪তম বিসিএস)
৯। রাসায়নিক অগ্নিনির্বাপক কাজ করে অগ্নিতে-
উ: অক্সিজেন সরবরাহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে (২৪তম বিসিএস)
১০। ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কারণ গাছ হতে-
উ: অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় (২৪তম বিসিএস)
১১। কোন বস্তুর ওজন কোথায় সবচেয়ে বেশি?
উ: মেরু অঞ্চলে (২৩তম বিসিএস)
১২। উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
উ: ট্যাকোমিটার (২২ ও ২৩তম বিসিএস)
১৩। গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া এই দেশের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ছে। এর ফলে-
উ: সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে (২২ তম বিসিএস)
১৪। আমাদের দেশে বনায়নের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-
উ: গাছপালা অক্সিজেন ত্যাগ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে ও জীব জগতকে বাঁচায় (২২ তম বিসিএস)
১৫। ভূমিকম্প নির্ণয়ক যন্ত্র-
উঃ সিসমোগ্রাফ (২২তম বিসিএস)
১৬। মধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ সর্বোচ্চ কোথায়? উ: ভূপৃষ্ঠে (২১তম বিসিএস)
১৭। সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় কোন যন্ত্র দিয়ে?
উ: ফ্যাদোমিটার (২০ তম বিসিএস)
১৮. বায়ুমন্ডলের চাপের ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি লিফট পাম্পের সাহায্যে সর্বোচ্চ যে গভীরতা থেকে উঠানে যায়-
উ: ১০ মিটার (১৭তম বিসিএস)
১৯। পানির ছোট ফোটা পানির যে গুণের জন্য গোলাকৃতি হয়-
উ: পৃষ্ঠটান (১৭তম বিসিএস)
২০। নদীর একপাশ থেকে গুণ টেনে নৌকাকে মাঝ নদীতে রেখেই সামনের দিকে নেয়া সম্ভব হয় কিভাবে?
উ: যথাযথভাবে হাল ঘুরিয়ে (১৫তম বিসিএস) ২১। বজ্রপাতের সময় আপনি নিজের গাড়ি করে যাচ্ছেন। নিজেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনি কোন উপায়টি গ্রহন করবেন?
উ: বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পরবেন (১৪তম বিসিএস)
২২। উচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে, কারণ উচ্চ পর্বত চূড়ায়-
উ: বায়ুর চাপ কম (১৩ তম বিসিএস)
২৩। কোনো স্থানে মধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়লে সেখানে একটি সরল দোলকের দোলনকাল কতগুণ বাড়বে বা কমবে?
উ: ৩ গুণ কমবে (১৩তম বিসিএস)
২৪। সমটান সম্পন্ন একটি টানা তারের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে কম্পনাঙ্কের কতটা পরিবর্তন ঘটবে?
উ: অর্ধেক হবে (১৩তম বিসিএস)
২৫। প্রেসার কুকারে রান্না তাড়তাড়ি হয় কারণ-
উ: উচ্চচাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায় (১০তম বিসিএস)
২৬। কাজ করার সমার্থ্যকে বলে-
উ: শক্তি (১১তম বিসিএস)
২৭। কোনো বস্তুকে পানিতে সম্পূর্ণভাবে ডুবালে পানিতে যেখানে এটা রাখ্য যায় সেখানেই এটা থকে কারণ-
উ: বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্ব সমান (১২তম বিসিএস)
২৮। পালতোলা নৌকা সম্পূর্ণ অন্য দিকের বাতাসেও এর সম্মুখ গতিতে ব্যবহার করতে পারে। কারণ-
উ: সম্মুখ অভিমুখে বলের উপাংশটিতে কার্যকর রাখা হয় (১২ তম বিসিএস)
২৯। ফুলানো বেলুনের মাথা ছেড়ে দিলে বাতাস বেরিয়ে যাবার সঙ্গে বেলুনটি ছুটে যায়। কোন ইঞ্জিনের নীতির সঙ্গে এর মিল আছে?
উ: রকেট ইঞ্জিন (১২ তম বিসিএস)