Tuesday, April 1, 2025

এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী উত্তরসহ মডেল টেস্ট

এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী উত্তরসহ মডেল টেস্ট

বিষয়: বাংলা প্রথম পত্র (সৃজনশীল অংশ)

সময়: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট                                                                                                        পূর্ণমান: ৭০

ক-অংশ: গদ্য

১. প্রমিতা ভালো গান করে সকল পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তাকে নিয়ে তার পরিবারের অনেক গর্ব। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। গান গাওয়া বন্ধ হয়ে যায় প্রমিতার। একসময় যারা তার বন্ধু ছিল তারা একে একে কেটে পড়ে। আজ তার পাশে কেউ নেই। সেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, সবার থেকে চোখের আড়াল হয়ে একাকিত্বকে সঙ্গী করে দিন কাটে তার।

READ ALSO

ক. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত কেন?

খ. সুভাকে সুভার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে সুভার মানসিকতার কোন দিক প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. প্রমিতা ও সুভার প্রতি পরিজনদের আচরণ কীরূপ হলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত? যৌক্তিক মতামত দাও।

২. উপল ও নিধি ভাইবোন। নিধি বড়, উপল ছোট। তাদের দুজনের বয়সের পার্থক্য পাঁচ। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় তারা খেলছিল। তাদের মা উঠানে বসে তরকারি কাটছিলেন। তিনি ঘরে ঢুকতেই উপল ও নিধি ছুটে গেল টকটকে লাল জামরুল কুড়াতে। মা দেখে তাদের শাসন করছিলেন। মা রান্নাঘরে যেতেই তারা বাইরে বেরিয়ে গেল। মা রান্না করে, কাপড়া কেচে গোসল করতে গেলেন। দ্বিপ্রহর হলেও নিধি ও উপল ফিরে আসেনি।

ক. ‘পিজরাপোলের আসামি’ কী?

খ. ‘তখনি কি রাজি হতে আছে’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের উপল ও নিধির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যোগসূত্র ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মা সর্বজয়া চরিত্রকে পুরোপুরি ধারণ করেনি’- মূল্যায়ন কর।

৩. জরিনা ৭০ বছরের বৃদ্ধা। অসুস্থতার কারণে সবাই তাকে সংসারের বোঝা মনে করে। অথচ ১৯ বছর বয়সে বিবাহ হওয়ার পর থেকে সংসারের বেড়াজালে সে বাঁধা ছিল। অবজ্ঞার কথা ভেবে সংসার ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করতে পারে না।

ক. নিমের কচি পাতাগুলো অনেকে খায় কেন?

খ. কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৪. কক্সবাজারের রকিব ও নেপালের নবিন দুজনই চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। রকিব ঈদের ছুটিতে নবিনকে তাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায়। দুজনে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দির, শহিদ মিনার প্রভৃতি, স্থানে ঘুরে বেড়ায়। রকিবের পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে। তাদের আদর- আপ্যায়ন ও আতিথেয়তায় নবিন এতই মুগ্ধ হয় যে, বিদায়বেলায় সে অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়।

ক. ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত?

খ. কার গোয়াল, কে দেয় ধুয়ো’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে রকিবের আচরণে ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের আবদুর রহমানের চরিত্রের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “প্রবাস বন্ধু” গল্পের লেখক ও উদ্দীপকের নবিন এক নয় – তুমি কি এ মন্তব্যের সাথে একমত? যুক্তিসহকারে লেখ।

খ-অংশ: কবিতা

৫. সাহিদ ও জাহিদ দুই বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সাহিদ বাংলা ভাষাকে খুব ভালোবাসে। অন্যদিকে জাহিদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পছন্দ নয়। সে ইংরেজি জানা নিয়ে গর্ব করে। সাহিদ ক্ষুব্ধ হয়ে জাহিদকে বলে, “আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার।”

ক. ‘জুয়ায়’ শব্দের অর্থ কী?

খ. ‘মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি

দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের জাহিদের মতো মানুষদের প্রতি কবি আবদুল হাকিম কী মনোভাব পোষণ করেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের সাহিদ ও ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত”- বিশ্লেষণ কর।

৬. নানামুখী প্রতিকূলতার জন্য পাঁচবার বিএ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি কাশেম। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের তিরস্কারে কাশেম কিছুটা বিচলিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কাশেম তার গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো দৃঢ় মনোবলসহকারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে কৃতকার্য হয়।

ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. আয়ু যেন শৈবালের নীর।- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৭. বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই

এমন সময় মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?

বেড়ার ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে

লেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই।

ক. কে নক্ষত্রের তলে স্বপ্ন দেখবে?

খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেছে কি? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।

৮. বিদেশি সেনার কামানে বুলেটে বিদ্ধ নারী শিশু আর যুবক জোয়ান-বৃদ্ধ শত্রু সেনারা হত্যার অভিযানে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।

ক. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মিঠুর ভাইয়ের নাম কী?

খ. ‘এমন খুশি আমার জীবনে আর আসেনি’- বুধার এ উক্তির কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে প্রথম দুই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বিষয়বস্তুর খণ্ডিত অংশমাত্র- মন্তব্যটির সপক্ষে তোমার যুক্তি দাও।

৯. ‘ক’ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাম শুনলে গ্রামের মানুষ ভয়ে কাঁপে। তার ইচ্ছামতো এলাকার সবকিছু পরিচালিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। গ্রামের হাস-মুরগি, ছাগল, সবজি, ফলমূল প্রভৃতি জোরপূর্বক নিয়ে যায় সৈন্যদের জন্য। কেউ অবাধ্য হলে ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর পাক হানাদারদের জানিয়ে দেয়। গ্রামের মেয়েদের ধরে নিয়ে যায় হানাদারদের ক্যাম্পে।

ক. বুধা প্রায়ই কী সাজত?

খ. “এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করেছে ভিন্ন রকমের মানুষ”- এ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের চেয়ারম্যান চরিত্রে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কোন চরিত্রকে খুঁজে পাও? বর্ণনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের খন্ডচিত্র মাত্র।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

ঘ-অংশ: নাটক

১০. মাতৃহারা ঝিনু চাচার বাড়িতে বড় হয়। চাচি ঝিনুকে বোঝা মনে করে। ভাবে কোনো রকম পাত্রস্থ করতে পারলেই হয়। অবশেষে চাচি সতীনের সংসারে এক বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দেয় ঝিনুকে। জীবন সচেতন ঝিনু এ বিয়ে মেনে না নিয়ে একদিন বাড়ি ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়।

ক. বহিপীরের বয়স কত বছর?

খ. হকিকুল্লাহ পুলিশ ডাকতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে নাটকের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘বহিপীর’ নাটকের সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১১. আলমগীর তালুকদারের পরিবার জৌলুস হারিয়ে এখন শ্রীহীন প্রায়। যতটুকু আছে তাও ঘটের তলানিতে। আলমগীর সাহেব এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কিন্তু আলমাস মননে আধুনিক। ওসবে তার মাথাব্যথা নেই। বাবাকে বলে, “আমি এ যুগের ছেলে, শিক্ষাই আমার সম্পদ। আমায় নিয়ে ভেবো না, বাবা। জীবন পাল্টানোর পরশমণি আমার হাতের মুঠোয়।”

ক. “বদান্যতার জোরে জান যায় মানুষের”- উক্তিটি কার?

খ. “আপনারা কোরবানির গোস্ত খেতে পারেন, কিন্তু গরু জবাই চেয়ে দেখতে পারেন না।”- তাহেরা একথা বলেছিল কেন?

গ. উদ্দীপকের আলমগীর তালুকদারের পরিবারের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “বোধ ও বিশ্বাসে আলমাস ও হাশেম যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ”- যথার্থতা বিচার কর।

উত্তরমালা:-

ক-অংশ: গদ্য

১. প্রমিতা ভালো গান করে সকল পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তাকে নিয়ে তার পরিবারের অনেক গর্ব। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। গান গাওয়া বন্ধ হয়ে যায় প্রমিতার। একসময় যারা তার বন্ধু ছিল তারা একে একে কেটে পড়ে। আজ তার পাশে কেউ নেই। সেও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, সবার থেকে চোখের আড়াল হয়ে একাকিত্বকে সঙ্গী করে দিন কাটে তার।

ক. প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত কেন?

খ. সুভাকে সুভার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে সুভার মানসিকতার কোন দিক প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. প্রমিতা ও সুভার প্রতি পরিজনদের আচরণ কীরূপ হলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত? যৌক্তিক মতামত দাও।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. ছিপ ফেলে মাছ ধরার সময় বাক্যহীন সঙ্গীই সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বলে প্রতাপ সুভার মর্যাদা বুঝত।

খ. কথা বলতে পারত না বলে সুভাকে তার মা বিধাতার অভিশাপ মনে করেন।

‘সুভা’ গল্পের সুভা জন্ম থেকেই বোবা। তার অনুভব ও অনুভূতি থাকলেও মা তাকে মেনে নিতে পারেনি। সে সুভাকে তার গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। কারণ মায়েরা কন্যা-সন্তানকে নিজেদের অংশ মনে করে। ফলে মেয়ের কোনো সমস্যা বা ত্রুটিকে মায়েরা তাদের নিজেদের ত্রুটি বলে ধরে নেয়। সুভার মায়ের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সুভা কথা বলতে পারত না বলে সুভার মা তাকে বিধাতার অভিশাপ বলে মনে করত। সে নিজের ত্রুটির কথা স্মরণ করে সুভাকে দেখলে বিরক্তি বোধ করত।

গ. উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সুভার নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করে সবার কাছ থেকে আড়াল করার মানসিকতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার কারণে মানুষ পরিবা সমাজের নানা অবহেলার শিকার হয়। তাদের নলে দূরত্ব তৈরির ফলে তারাও নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। অথচ তাদের প্রতি সহনশীল ও স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত।

উদ্দীপকে প্রমিতার হঠাৎ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলা এবং সেই কারণে পরিবার ও সমাজের লোকজনের অবহেলার শিকার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে প্রমিতা দুর্ঘটনা পড়াার আগে ভালো গান করে সুনাম অর্জন করলেও বাকশক্তি হারানোর পর ধীরে ধীরে পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কেউ তাকে আর আগের মতো ভালোবাসে না। সবার অবহেলার কারণে সেও নিজেকে গুটিয়ে নেয়। এই দিক দিয়ে ‘সুভা’ গল্পের সুভার সঙ্গে প্রমিতার মিল রয়েছে। সুভা বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী। জন্ম থেকেই সে কথা বলতে পারত না বলে তার মা তাকে গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। তার বয়সী ছেলে-মেয়েরা তার সঙ্গে মিশতে চাইত না। প্রতিবেশীরা তার সামনেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা কথা বলে। এসব কারণে সে নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখত। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের প্রমিতার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সুভার নিজেকে বিধাতার অভিশাপ মনে করে নিজেকে আড়াল করার মানসিকতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

ঘ. আমার মতে, প্রমিতা ও সুভার প্রতি পরিজনদের আচরণ সহনশীল ও স্বাভাবিক হলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত।

আমাদের সমাজ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ করে না এবং সহানুভূতি দেখায় না। আমরা পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষকে নানাভাবে অবহেলা করি। এতে তারা আরও বেশি কষ্ট পায়। আমাদের উচিত তাদের প্রতি সহনশীল ও স্বাভাবিক আচরণ করা।

‘সুভা’ গল্পে সুভা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক কিশোরী। সে কথা বলতে না পারলেও সবকিছু বুঝতে পারে। তার অনুভূতি সে প্রকাশ করে চোখের ভাষায় ও কাজের মাধ্যমে। অথচ সে পরিজনদের কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ পায় না। তার মা তাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক মনে করে দূরে সরিয়ে রাখে, সহ্য করতে পারে না। তার বয়সী ছেলে-মেয়েরাও তার সঙ্গে মেশে না। প্রতাপও ছিপ ফেলে মাছ ধরার সময় একজন মৌন সঙ্গী ছাড়া সে তাকে আর কিছুই ভাবে না। উদ্দীপকের প্রমিতাও অনুরূপ অবহেলার শিকার। সে দুর্ঘটনায় পড়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলায় ধীরে ধীরে পরিবারের সবাই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। বন্ধুরাও তাকে ছেড়ে চলে যায়।

‘সুভা’ গল্পের সুভা ও উদ্দীপকের প্রমিতা তাদের পরিজনদের দ্বারা অবহেলার শিকার হয়েছে। এটা তাদের জন্য আরও কষ্টের বিষয় পরিবার-পরিজনদের সহায়তা ও সহানুভূতি পেলে তারা সমাজের অন্য সব স্বাভাবিক মানুষের মতো বাঁচার স্বপ্ন দেখত। আশাহত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিত না। কারণ বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা যদি তাদের কাছের মানুষদের দ্বারা অবহেলার শিকার না হয়ে তাদের যথাযথ সহানুভূতি লাভ করে, তখন তাদের নিজেদের জীবনকে এতটা দুঃসহ মনে করত না। ফলে তাদের জীবনের পরিণতি ভিন্ন হতে পারত।

২. উপল ও নিধি ভাইবোন। নিধি বড়, উপল ছোট। তাদের দুজনের বয়সের পার্থক্য পাঁচ। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় তারা খেলছিল। তাদের মা উঠানে বসে তরকারি কাটছিলেন। তিনি ঘরে ঢুকতেই উপল ও নিধি ছুটে গেল টকটকে লাল জামরুল কুড়াতে। মা দেখে তাদের শাসন করছিলেন। মা রান্নাঘরে যেতেই তারা বাইরে বেরিয়ে গেল। মা রান্না করে, কাপড়া কেচে গোসল করতে গেলেন। দ্বিপ্রহর হলেও নিধি ও উপল ফিরে আসেনি।

ক. ‘পিজরাপোলের আসামি’ কী?

খ. ‘তখনি কি রাজি হতে আছে’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের উপল ও নিধির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যোগসূত্র ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মা সর্বজয়া চরিত্রকে পুরোপুরি ধারণ করেনি’- মূল্যায়ন কর।

এস এস সি/৯ম/১০ম পদার্থ বিজ্ঞান, ১ম অধ্যায়ঃ ভৌত রাশি ও পরিমাপ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর।

২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. ‘পিজরাপোলের আসামি’ হলো কাঠের ঘোড়া।

খ. ‘তখুনি কি রাজি হতে আছে’- কথাটির মধ্য দিয়ে অভাবী হরিহরের আত্মমর্যাদার দিকটি ফুটে উঠেছে।

“আম-আঁটির ভেঁপু” গল্পে গ্রামীণ জীবনে নিম্ন আয়ের এক পরিবারের দুঃখ, দুর্দশা ও টানাপড়েন সমকালীন ভাষায় প্রাণিত হয়ে উঠেছে। হরিহর রায়বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে মাসে আট টাক পায়। তাতে তাদের চারজনের সংসার চলে না। ছেলে-মেয়েকে তারা প্রয়োজন মতো খাবার ও পোশাক-আশাক কোনোটাই দিতে পারে না। সে দশঘরায় তাগাদার জন্য গেলে সেখানে একজন মাতব্বর গোছের লোক তাকে তাদের ব্রাহ্মণ হিসেবে মন্ত্র দিতে এবং সেখানে বাস করার প্রস্তাব করে। কিন্তু হরিহর সাথে সাথেই তার প্রস্তাবে রাজি হয় না। কারণ সে নিজের এত হীন অবস্থা ও দীনতা প্রকাশ করতে চায়নি।

গ. উদ্দীপকের উপল ও নিধির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যোগসূত্র হলো চিরায়ত শৈশব এবং ভাইবোনের চিরন্তন ভালোবাসা।

শিশুরা হেসেখেলে বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। শৈশব মানুষের শ্রেষ্ঠ সময়। তাই শৈশবের দিনগুলো হয় মধুর। শৈশবে শিশুরা মেতে থাকে অনন্দ ও দুরন্তপনায়।

উদ্দীপকে উপল ও নিধি দুই ভাইবোনের শৈশবের আনন্দঘন দিনগুলোর কথা বলা হয়েছে। মায়ের নিষেধ না শুনে তারা শৈশবের দুরন্তপনায়মেতে উঠেছে। মায়ের শাসন ভুলে তারা জামরুল কুড়াতে বের হয়ে যায়। তাদের এই চঞ্চলতা ও দুরন্তপনা ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের অপু ও দুর্গার শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই দুই ভাইবোনের মধ্যে মধুর খুনসুটি চলে। দুরন্ত স্বভাবের দুর্গার সঙ্গী তার ছোট ভাই অপু। দুর্গা তাকে আদর করে আবার শাসন করে। অপু তার খেলনা নিয়ে খেলে। দুর্গা সারা গ্রাম ঘুরে বেড়ায়, যা সবার চিরায়ত শৈশবকেই মনে করিয়ে দেয়। এভাবে উদ্দীপকের উপল ও নিধির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যোগসূত্র হলো চিরায়ত শৈশব এবং ভাইবোনের চিরন্তন ভালোবাসা।

ঘ. ‘উদ্দীপকের মা সর্বজয়া চরিত্রকে পুরোপুরি ধারণ করেনি’- মন্তব্যটি যথার্থ।

মাতৃহৃদয় স্নেহ-মমতার অপর নাম। মায়েরা সবসময় দারিদ্র্য, অভাব-অনটনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেও সন্তানদের আগলে রাখেন। কোনো আঁচড়ও তারা সন্তানদের ওপর লাগতে দেন না।

‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে সর্বজয়া দারিদ্র্য সত্ত্বেও সন্তানস্নেহে শাশ্বত এক জননী। স্বামীর স্বল্প আয়, সংসারে সচ্ছলতা নেই। সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হয়, তা সত্ত্বেও তিনি শাসনে-ভালোবাসায় পরম মমতা দিয়ে আগলে রেখেছেন অপু আর দুর্গাকে। তিনি ধার করে, বাঁধা দিয়ে সংসার চালান। স্বামীকে সম্মান করেন। সন্তানদের দুষ্টুমিতে রাগ করলেও তাদের প্রতি তার অটুট ভালোবাসা। অন্যদিকে উদ্দীপকের মায়ের শুধু কর্মনিষ্ঠার দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ও সন্তানদের শাসন করেছেন। তবে তার মধ্যে সর্বজয়ার মতো ততটার জীবনঘনিষ্ঠতা প্রকাশ পায়নি।

‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়া ও উদ্দীকের মা উভয়েই সন্তানদের ভালোবেসেছেন, শাসন করেছেন। তবে সর্বজয়ার মতো দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার দিকটি উদ্দীপকের মা চরিত্রে প্রকাশ পায়নি, যা সর্বজয়া চরিত্রকে করে আরও বলিষ্ঠ। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৩. জরিনা ৭০ বছরের বৃদ্ধা। অসুস্থতার কারণে সবাই তাকে সংসারের বোঝা মনে করে। অথচ ১৯ বছর বয়সে বিবাহ হওয়ার পর থেকে সংসারের বেড়াজালে সে বাঁধা ছিল। অবজ্ঞার কথা ভেবে সংসার ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করতে পারে না।

ক. নিমের কচি পাতাগুলো অনেকে খায় কেন?

খ. কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৩ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. নিমের কচি পাতাগুলো অনেকে খায় কারণ তা যকৃতের পক্ষে ভারি উপকারী।

খ. ঔষধি গুণের কারণে কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

নিমগাছ ঔষধি গাছ। নিমপাতা চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ। খোস- পাঁচড়া, দাদ, হাজা, চুলকানিতে নিমপাতা ও নিমগাছের ছাল অত্যন্ত উপকারী। নিমের কচিপাতা যকৃতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিমের কচি ডাল চিবালে দাঁত ভালো থাকে। আর এসব ঔষধি গুণের কারণে কবিরাজরা নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘নিমগাছ’ গল্পের সাদৃশ্য হলো সংসারে গৃহবধূর অবদান ও অবস্থানের বর্ণনায়।

এই পৃথিবী নারী-পুরুষের সম্মিলিত শ্রমে ও অবদানে টিকে রয়েছে। অথচ আমাদের সমাজ নারীর এই অবদান স্বীকার করে না। তাদের অবহেলা করে দূরে সরিয়ে রাখে।

উদ্দীপকে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জরিনার সংসারে নিঃস্বার্থ অবদানের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে সংসারের বেড়াজালে বন্দি হয়ে আছে। শত অবজ্ঞা ও অবহেলায়ও স্বামী-সন্তানদের সে ত্যাগ করতে পারেনি। অথচ অসুস্থতার কারণে আজ সবাই তাকে সংসারের বোঝা মনে করে। ‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের বিভিন্ন উপকারী দিক বর্ণনার মধ্য দিয়ে একজন গৃহবধূর নিঃস্বার্থ অবদানের দিকটি তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে পরিবারের কঠিন দায়িত্ব পালন করার পরও গৃহলক্ষ্মী বউটির প্রতি সবার অবহেলা ও অবজ্ঞার বিষয়টিও গল্পে উঠে এসেছে। উদ্দীপকের সঙ্গে নিমগাছ গল্পের সাদৃশ্য হলো সংসারে গৃহবধূর অবদান ও অবস্থানের বর্ণনায়।

ঘ. না, উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে না।

সমাজে নানা রকম মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যে এমন মানুষও আছেন যারা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে পরের হিতের জন্য কাজ করেন। আবার অন্যের জন্য অনেক কিছু করার পরও তারা অবহেলিত থাকেন। তারা সমাজে উপেক্ষিত হন। আমাদের সংসারের গৃহবধূরা এমনই উপেক্ষিত মানুষ।

‘নিমগাছ’ গল্পে লেখক নিমগাছের প্রতীকে গৃহকর্ম-নিপুণা এক লক্ষ্মীবউয়ের জীবন-যন্ত্রণাকে নির্দেশ করেছেন। সংসারে সবার অবহেলায় গৃহবধূর জীবনের সব সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। সেই সংসারে তার গণ্ডিবদ্ধ জীবন উপেক্ষিত, অথচ তাকে ছাড়া সংসারের অন্যরা অচল। একদিন এক কবি সেই নিমগাছের সৌন্দর্য আবিষ্কার করে, সংসারের সঙ্গে তার শেকড় এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে, কবির ডাকে সাড়া দেওয়ার উপায় নেই। অনুরূপভাবে উদ্দীপকের গৃহবধূও ১৯ বছর বয়স থেকে সংসারের প্রয়োজনে নিয়োজিত ছিল। তার বিনিময়ে শেষ বয়সে সে চরম অবহেলার শিকার। শেষ জীবনে এসে অসুস্থতার জন্য সে সবার কাছে বোঝা হয়ে গেছে।

‘নিমগাছ’ গল্পে এক গৃহবধূর সংসারে অবদানের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে অবহেলিত হওয়ার দিকটি। ‘নিমগাছ’ গল্পে একজন কবি নিমগাছের সাধারণ উপকারী দিকের বাইরে গিয়ে তার সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছেন। উদ্দীপকের জরিনার ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। সে আজীবন সংসারে সবার দ্বারা উপেক্ষিত হয়েছে। সংসারের মায়ায় সে সংসার ছেড়ে যেতেও পারেনি। অথচ আজ তাকে সবাই বোঝা মনে করে। এখানে তার সৌন্দর্য ও তা প্রকাশের কোনো বিষয় ফুটে ওঠেনি। এসব দিক বিচারে বলা যায়, মিল থাকলেও উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের সমগ্র ভাব ধারণ করে না।

৪. কক্সবাজারের রকিব ও নেপালের নবিন দুজনই চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। রকিব ঈদের ছুটিতে নবিনকে তাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায়। দুজনে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দির, শহিদ মিনার প্রভৃতি, স্থানে ঘুরে বেড়ায়। রকিবের পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে। তাদের আদর- আপ্যায়ন ও আতিথেয়তায় নবিন এতই মুগ্ধ হয় যে, বিদায়বেলায় সে অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়।

ক. ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত?

খ. কার গোয়াল, কে দেয় ধুয়ো’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে রকিবের আচরণে ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের আবদুর রহমানের চরিত্রের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “প্রবাস বন্ধু” গল্পের লেখক ও উদ্দীপকের নবিন এক নয় – তুমি কি এ মন্তব্যের সাথে একমত? যুক্তিসহকারে লেখ।

এস এস সি/৯ম/১০ম পদার্থ বিজ্ঞান, ২য় অধ্যায়ঃ গতি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর।

৪ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পটি লেখকের ‘দেশে বিদেশে’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত।

খ. লেখককে খাবার খাওয়ানো নিয়ে আবদুর রহমানের আন্তরিকতার বাড়াবাড়ি দেখে লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।

বাইরে থেকে লেখক বাড়ি ফিরে আসার পর আবদুর রহমান তাকে খাবার পরিবেশন করে। আবদুর রহমান এক এক করে আফগানস্তানের বিচিত্র ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করতে থাকে।

লেখক ক্ষুধার্ত ছিলেন, রান্নাও ভালো ছিল, তাই লেখক প্রয়োজনের তুলনায় বেশিই খাবার খান। খাবার শেষে আবদুর রহমান আঙ্গুর পরিবেশন করে। টক আঙ্গুর গোটা আটেক খেয়ে লেখক আবদু রহমানকে বলেন যে তিনি আর কিছুই খাবেন না। এরপরও আবদু রহমান চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে লেখকের দিকে এগিয়ে গেলে লেখক- ‘কার গোয়াল, কে দেয় ধুয়ো’ কথাটি বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের রকিবের আচরণে ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের আব্দুর রহমানের চরিত্রের অতিথিপরায়ণতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

মানুষের সাথে মানুষের আন্তরিকতার সম্পর্কই সমাজকে টিকিয়ে রেখেছে। মানুষের মাঝে যদি এই আন্তরিকতার সম্পর্ক কখনে একেবারে বিলীন হয়ে যায় তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আন্তরিক ব্যবহারই মানুষকে মহৎ করে।

উদ্দীপকে রকিব তার বন্ধু নবিনকে ঈদের ছুটিতে তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। রকিবের বাড়ি কক্সবাজারে হওয়ায় সেখানকার সমুদ্রসৈকত, পাহাড়, ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখায়। এছাড়াও রকিবের পরিবারের সদস্যরা নবিনকে যে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করে এবং আতিথেয়তা প্রদর্শ করে তাতে নবিন মুগ্ধ। মূলত উদ্দীপকে নবিনের প্রতি রকিবের আতিথেয়তা ও আদর-আপ্যায়নের দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পে লেখকের জন্য নিয়োজিত আবদুর রহমানও লেখকের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক ও অতিথিবৎসল ছিল। তার অসাধারণ রান্না, কর্মক্ষমতা ও আফগানিস্তান দর্শনেও লেখকের প্রতি তার গভীর আন্তরিকতা ফুটে উঠেছে। আবদুর রহমান লেখককে যত্ন ও আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি করেনি। এভাবে উদ্দীপকের রকিবের আচরণে ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের আবদুর রহমানের চরিত্রের অতিথিপরায়ণতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. “প্রবাস বন্ধু পরের লেখক ও উদ্দীপকের নবিন এক নয়”- মন্তব্যটি যথার্থ।

ভ্রমণ মানুষকে বাস্তবজ্ঞানে পরিপূর্ণ করে। মানুষ ভ্রমণ থেকে এমন কিছু জ্ঞান অর্জন করে যা বই পড়ে অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দের। ভ্রমণ শুধু মানুষকে জ্ঞানই দেয় না, মানুষকে মানসিকভাবেও সুস্থ রাখে।

উদ্দীপকের নবিন তার বন্ধু রকিবের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায়। সেখানে ঘুরতে গিয়ে রকিবদের অপরিসীম ভালোবাসা ও আন্তরিকতা লাভ করে। তাদের আতিথেয়তায় নবিন মুগ্ধ হয়। এমনকি ফেরার সময় তার চোখ সজল হয়ে ওঠে। ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পে লেখক আফগানিস্তানে থাকার সময়কার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। সেখানে তার দেখাশুনা করার জন্য আবদুর রহমান আন্তরিকতার সঙ্গে লেখকের যত্ন নিয়েছেন। লেখকের প্রতি তার বিনয় ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না। এমনকি তার আতিথেয়তা পেতে পেতে লেখক ক্লান্ত ও ভীত হলেও আবদুর রহমান তার দায়িত্ব পালনে ছিল দৃঢ়। লেখক আবদুর রহমানের আপ্যায়নের বিষয়টি উপভোগ করেছেন এবং অত্যন্ত হাস্যরসের মধ্য দিয়ে তা বর্ণনা করেছেন।

উদ্দীপকে রকিবের পরিবারের সদস্যদের আতিথেয়তায় নবিনের অশ্রুসিক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। ‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের লেখকের মাঝে এমন কিছু দেখা যায়নি। তিনি অত্যন্ত আগ্রহ ও হাস্যরসের মধ্য দিয়ে পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের সাথে গল্পের অতিথি আপ্যায়নের মিল থাকলেও উদ্দীপকের নবিন ও গল্পের লেখকের অভিজ্ঞতা এক নয়, আলাদা।

খ-অংশ: কবিতা

৫. সাহিদ ও জাহিদ দুই বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। সাহিদ বাংলা ভাষাকে খুব ভালোবাসে। অন্যদিকে জাহিদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি পছন্দ নয়। সে ইংরেজি জানা নিয়ে গর্ব করে। সাহিদ ক্ষুব্ধ হয়ে জাহিদকে বলে, “আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার।”

ক. ‘জুয়ায়’ শব্দের অর্থ কী?

খ. ‘মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি

দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের জাহিদের মতো মানুষদের প্রতি কবি আবদুল হাকিম কী মনোভাব পোষণ করেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের সাহিদ ও ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত”- বিশ্লেষণ কর।

৫ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. জুয়ায় শব্দের অর্থ জোগায়।

খ. ‘মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি/দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি’ বলতে কবি বংশানুক্রমে বহুকাল ধরে এদেশে বাংলা ভাষার প্রচলন এবং এই ভাষার কল্যাণের দিকটিকে বুঝিয়েছেন।

‘বাবাণী’ কবিতায় কবি বাংলা ভাষার প্রতি সুগভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চা, সাহিত্য রচনা এবং নীতি। আদর্শ প্রচার অত্যন্ত সহজ ও স্বাভাবিক বলে কবি মনে করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, বংশানুক্রমে বহুকাল ধরে এদেশের মানুষ বাংলা ভাষা ব্যবহার করে আসছে। মাতৃভাষায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে, আনন্দে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। মাতৃভাষা ভাব প্রকাশের সর্বোত্তম বাহন। এ কারণে প্রত্যেক জাতির কাছেই তার মাতৃভাষা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। এই দিকটি তুলে ধরতেই কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের জাহিদের মতো মানুষের প্রতি কবি আবদুল হাকিম ক্ষুব্ধ মনোভাব পোষণ করেন।

মাতৃভাষা মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। মানুষের চিন্তা-চেতনা, সাধনা মাতৃভাষাতেই সহজভাবে সম্পন্ন হয়। কারণ মাতৃভাষা মানুষের সহজাত ভাষা।

উদ্দীপকের জাহিদের আচরণে মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা ও অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে। কারণ সে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে পছন্দ করে না। এদেশে জন্মগ্রহণ করেও সে এদেশের ভাষাকে সম্মান করে না। সে ইংরেজি জানাকে গৌরবের বিষয় মনে করে। জাহিদের এই আচরণের বিষয়টি ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় প্রতিফলিত বাংলা ভাষাবিদ্বেষী মনোভাবসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তারা দেশি ভাষাকে মূল্য ও মর্যাদা না দিয়ে বিদেশি ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। কবি আবদুল হাকিম এ ধরনের স্বদেশি ভাষাবিদ্বেষী এবং বিদেশি ভাষা প্রেমিকদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশি ভাষার প্রতি যাদের অনুরাগ নেই, দেশি ভাষার বিদ্যা যাদের মন জোগায় না, যারা মাতৃভাষাকে অবহেলা করে, তারা যেন এদেশ ত্যাগ করে বিদেশে চলে যায়।

ঘ. “উদ্দীপকের সাহিদ ও ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার কবির বক্তব্য একই চেতনা থেকে উৎসারিত” – মন্তব্যটি যথার্থ।

মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি প্রত্যেক মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধার। মানুষ তার প্রয়োজনে মাতৃভাষা ছাড়াও একাধিক ভাষা শিখে। তাই বলে মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। কারণ স্বদেশের ভাষা, সংস্কৃতিকে অবহেলা করে বিদেশি ভাষা-সংস্কৃতি দ্বারা কেউ বড় হতে পারে না।

উদ্দীপকের সাহিদ বাংলা ভাষা অনুরাগী। সে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসে। যারা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করে তাদের প্রতি সে ক্ষুদ্ধ। সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে আমরা বাঙালি, বাংলা ভাষা আমাদের অহংকার। সাহিদের এ বক্তব্য এবং ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় প্রতিফলিত কবির বক্তব্য এক। কবিও বাংলা ভাষাবিদ্বেষীদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা বাংলা ভাষাকে ঘৃণা করে, তারা যেন এদেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে চলে যায়। কারণ বাংলা ভাষা বাঙালিদের কাছে অনেক মর্যাদার ও অহংকারের। বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষার প্রতি কবির বিশেষ আগ্রহ নেই। তিনি এ ভাষাতেই তার আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেন। আর বহুকাল ধরে বংশপরম্পরায় করে আসছেন। উদ্দীপকের সাহিদের মধ্যেও এ ধরনের ভাষাপ্রীতি লক্ষ করা যায়।

বঙ্গবাণী কবিতায় কবি তার মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এদেশে জন্মগ্রহণ করে, যারা এদেশের ভাষাকে অবজ্ঞা করে তাদের প্রতি তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কবির মতো উদ্দীপকের সাহিদও বাংলা ভাষাবিদ্বেষীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৬. নানামুখী প্রতিকূলতার জন্য পাঁচবার বিএ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও কৃতকার্য হতে পারেনি কাশেম। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের তিরস্কারে কাশেম কিছুটা বিচলিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কাশেম তার গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো দৃঢ় মনোবলসহকারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফলভাবে কৃতকার্য হয়।

ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. আয়ু যেন শৈবালের নীর।- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

এস এস সি/৯ম/১০ম পদার্থ বিজ্ঞান, ৩য় অধ্যায়ঃবল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর।

৬ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. ‘দারা’ শব্দের অর্থ স্ত্রী।

খ. শেওলার উপর পানির ফোঁটা যেমন ক্ষণস্থায়ী তেমনি ক্ষণস্থায়ী মানুষের জীবন।

অল্প আয়ু নিয়ে মানুষ এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার অস্তিত্ব নিঃশেষ হয়। সমস্ত হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এভাবেই চিরবিদায় ঘটে একটি সত্তার। তাই কবি মানবজীবনকে শৈবালের উপরের জলবিন্দুর সাথে তুলনা করেছেন। শৈবালের উপর পানির ফোঁটাও মানর আয়ুর মতো ক্ষণকাল স্থায়ী হয়। আলোচ্য অংশে এ বিষয়টিই প্রকাশিত হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় উল্লিখিত সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করার দিকটি উন্মোচিত হয়েছে।

অনুকূল আর প্রতিকূল এই দুই ধরনের পরিবেশে মানুষের বাস। তাই এ দুইই ঘুরে-ফিরে আসে মানবজীবনে। অনেক সময় প্রতিকূলতাকে মানুষ ভয় করে পিছিয়ে পড়ে জীবনযুদ্ধের ময়দান থেকে। কিন্তু যারা এই প্রতিকূলতাকে মেনে নিয়ে প্রতিনিয়ত এর সাথে যুদ্ধ করে, শেষ পর্যন্ত তারাই বিজয়ী হয়।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি বলেছেন জীবনটা এক যুদ্ধক্ষেত্র। সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে এখানে টিকে থাকতে হয়। নামা ঘাত-প্রতিঘাত দেখে যারা ভীত হয়, পিছিয়ে যায় তারা কখনই সাফল্য অর্জন করতে পারে না। উদ্দীপকের কাশেমের জীবনেও ‘জীবন- সঙ্গীত’ কবিতার এই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। পাঁচবার বিএ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও সে একেবারে ভেঙে পড়েনি। ষষ্ঠ বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে কৃতকার্য হয়েছে।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও চেষ্টা জীবনে সফলতা বয়ে আনে। তাই জীবন অর্থহীন নয়, বরং এই তিনের মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে সামনে থাকে মহামানবদের কীর্তিকর্ম। তাঁরা নিজ নিজ কর্ম দ্বারা পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি এ বিষয়গুলোকে তুলে ধরেছেন। আমাদের জীবন নিছক স্বপ্ন নয়, বরং অনেক মূল্যবান। জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং এর প্রতিটি পদে আছে প্রতিকূলতা। তাই মানুষকে এ পৃথিবীতে সাহসী যোদ্ধার মতো সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। মহাজ্ঞানী ও মহান ব্যক্তিদের পথ অনুসরণের মাধ্যমে প্রত্যেককে বরণীয় হতে হবে। অন্যদিকে, উদ্দীপকে বলা হয়েছে সাহসী যোদ্ধা মতো সংগ্রাম করে সফলতা অর্জনের কথা। কাশেম বারবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও মুষডে় পড়েনি। গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে সে আবারও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং কৃতকার্য হয়।

উদ্দীপকের কাশেমের চেষ্টায় সাহসী যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার বিষয়টি লক্ষণীয়, যা ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন। তবে কবিতার বিষয়বস্তু আরও ব্যাপক। এসব দিক বিচারে তাই বলা হয়েছে উদ্দীপকটি কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি।

৭. বাঁশ বাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই

এমন সময় মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?

বেড়ার ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে

লেবুর গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই।

ক. কে নক্ষত্রের তলে স্বপ্ন দেখবে?

খ. ‘পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেছে কি? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।

৭ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. নদী নক্ষত্রের তলে স্বপ্ন দেখবে।

খ. পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল’ বলতে অবিনশ্বর প্রকৃতির চির প্রবহমানতাকে বোঝানো হয়েছে।

‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের এবং মানুষের স্বপ্নের অমরত্বের দিকটি তুলে ধরেছেন। বিচিত্রভাবে বিবর্তনের মধ্যেও রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি টিকে থাকে। আগতিক নিয়মে নশ্বর মানবজীবন স্রোত চলে অবিনশ্বর প্রকৃতির বিপরীতে। মানুষের সাধারণ মৃত্যু রহিত করতে পারে না পৃথিবীর বহমানতা। এই বহমানতা এবং মানুষের স্বপ্ন দেখার গল্প চিরকাল বেঁচে থাকে। এখানে সেই প্রসঙ্গেই এ কথা বলা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মানুষের নশ্বরতা ও প্রকৃতির অবিনশ্বরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। মৃত্যু অনিবার্য এবং চিরন্তন। কিন্তু প্রকৃতি চির প্রবহমান, প্রকৃতি চিরদিন একই রকম থাকে।

উদ্দীপকে একদিকে প্রকৃতির চির চঞ্চলতা ও অন্যদিকে কাজল দিদির না থাকার কথা প্রকাশ পেয়েছে। বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাদ উঠেছে, ঝোপে-ঝাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকছে, লেবুগাছে ফুল ফুটে তার সৌরভও চারদিকে ছড়িয়ে পড়াছে- শুধু কাজলা দিদি নেই। উদ্দীপকে প্রকৃতির এই অবিনশ্বর রূপ ও মানুষের নশ্বরতা ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে। কবি জানেন, মানুষ একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, কিন্তু প্রকৃতিতে থাকে চিরকালের ব্যস্ততা। মাঠে থাকে চঞ্চলতা, চালতাফুলে ঝরে পড়ে শীতের শিশির, লক্ষ্মীপেচার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় মঙ্গল বার্তা। মানুষের মৃত্যুতে এসব রোধ হয় না। এগুলো যেমন আছে তেমনই থাকবে। শুধু কবি থাকবেন না। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে “সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার মানুষের নশ্বরতা ও প্রকৃতির অবিনশ্বরতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. হ্যাঁ, উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে।

মানুষ মরণশীল- এটি একটি চিরন্তন সত্য। মানুষের জীবন এবং মানবসভ্যতা একদিন ধ্বংস হয়। কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিকতা বজায় থাকে সব সময়। প্রকৃতি তার আপন মহিমায় চিরবহমান।

উদ্দীপকে এক শিশুর তার দিদিকে কাছে না পাওয়ার আকুতি প্রকাশ পেয়েছে। কবিতাংশটিতে আমরা দেখি বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে। বেড়ার ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকছে। লেবু ফুলের সৌরভ চারদিকে ছড়াচ্ছে। শুধু ছোট শিশুটির কাছে তার স্নেহময়ী দিদি নেই। দিদি নেই বলে তার ঘুম আসে না, সে জেগে থাকে। শিশুটির এই কথা থেকে বোঝা যায় পূর্বে প্রকৃতিতে যা যা থাকত তা ঠিকই আছে, শুধু তার দিদি আর বেঁচে নেই। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি বলেছেন একদিন তিনি থাকবেন না। তিনি যখন থাকবেন না তখনও প্রকৃতি তার অফুরন্ত ঐশ্বর্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ ও কল্পনাকে তৃপ্ত করে যাবে। নদী, মাঠ, চালতা ফুলে শিশিরের ঝরে পড়াা সবই থাকবে। মানুষ ও মানুষের সভ্যতা নশ্বর কিন্তু প্রকৃতি চির বহমান।

আলোচ্য কবিতায় কবি মানুষের নশ্বরতা ও প্রকৃতির গতিশীলতা তুলে ধরেছেন, যা উদ্দীপকের মূলভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। উভয় জায়গায় প্রকৃতির চিরন্তন রূপ ও মানুষের নশ্বরতা প্রকাশ পেয়েছে। মূলভাব এখানে এক ও অভিন্ন। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকটি ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করতে সক্ষম।

গ-অংশ: উপন্যাস

৮. বিদেশি সেনার কামানে বুলেটে বিদ্ধ নারী শিশু আর যুবক জোয়ান-বৃদ্ধ শত্রু সেনারা হত্যার অভিযানে

মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।

ক. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মিঠুর ভাইয়ের নাম কী?

খ. ‘এমন খুশি আমার জীবনে আর আসেনি’- বুধার এ উক্তির কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে প্রথম দুই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বিষয়বস্তুর খণ্ডিত অংশমাত্র- মন্তব্যটির সপক্ষে তোমার যুক্তি দাও।

৮ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. উপন্যাসের মিঠুর ভাইয়ের নাম মধু।

খ. ‘এমন খুশি আমার জীবনে আর আসেনি’- বুধার এ উক্তির কারণ উদ্দেশ্য সফলে তার উচ্ছ্বাস ও উৎফুল্লতা।

বুধা বাবা-মা, ভাই-বোন হারানো আত্মভোলা এক কিশোর। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার এবং রাজাকারদের বিশ্বাসঘাতকতা তাকে করে তোলে। সে আলি, মিঠুদের পরিকল্পনা মতো রাজাকার কমান্ডারের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আলি, মিঠুরা বুধাকে বাহবা দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়। বুধা তখন হাসতে থাকে। তার সেই হাসির কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানায় যে, সে খুশিতে হাসে। বুধার মতে এমন খুশি তার জীবনে আর আসেনি।

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের পাকিস্তানি মিলিটারির বুধার গ্রামের বাজার আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের দিকটি ফুটে উঠেছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ কাউকেই রেহাই দেয়নি। তারা সারা দেশ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।

উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন এবং বাঙালির অসীম সাহসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে। সেখানে বিদেশি সেনাদের কামানে-বুলেটে ছিন্নভিন্ন বাংলার নারী-শিশু, যুবক-বৃদ্ধ যা ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের একটি দিক। উপন্যাসেও পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে। সেনারা বুধার গ্রামে এসে নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ঘর-বাড়ি বাজার। তাই আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে আলোচ্য উপন্যাসের পাকিস্তানিদের আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞের দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বিষয়বস্তুর খণ্ডিত অংশমাত্র- মন্তব্যটি যথার্থ।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অন্যায়ভাবে বাঙালিদের ওপর হামলা চালায়। তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা শুরু করে। তাদের সেই অন্যায়ের প্রতিবাদে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে শত্রুকে পরাজিত করে বাঙালি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে।

উদ্দীপকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ এবং তাদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের প্রতিরোধের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শত্রুসেনার হত্যার অভিযানে মুক্তিবাহিনীর অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের দিকও উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিষয়টি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও বর্ণিত হয়েছে। এই বিষয়টি ছাড়াও উপন্যাসে আরও কিছু বিষয় রয়েছে। উদ্দীপকের বিষয়টি উপন্যাসে বর্ণিত অনেক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি।

‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা নামের এক কিশোরের স্বদেশপ্রেম প্রতিফলিত হয়েছে। এই উপন্যাসে বুধার বাবা-মা, ভাই-বোন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তখন থেকেই সে একা একা বেড়ে ওঠে। তার ছন্নছাড়া জীবন, সাহসী হয়ে ওঠা, রাজাকারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, বাংলার গ্রামে-গঞ্জে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালানো, মুক্তিবাহিনীর গ্রামে প্রবেশ, বুধাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইত্যাদি বিষয় উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে। এই বিষয়গুলো উদ্দীপকে সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপিত হয়নি। এই দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যৌক্তিক।

৯.  ‘ক’ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাম শুনলে গ্রামের মানুষ ভয়ে কাঁপে। তার ইচ্ছামতো এলাকার সবকিছু পরিচালিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়। গ্রামের হাস-মুরগি, ছাগল, সবজি, ফলমূল প্রভৃতি জোরপূর্বক নিয়ে যায় সৈন্যদের জন্য। কেউ অবাধ্য হলে ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর পাক হানাদারদের জানিয়ে দেয়। গ্রামের মেয়েদের ধরে নিয়ে যায় হানাদারদের ক্যাম্পে।

ক. বুধা প্রায়ই কী সাজত?

খ. “এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করেছে ভিন্ন রকমের মানুষ”- এ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের চেয়ারম্যান চরিত্রে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত কোন চরিত্রকে খুঁজে পাও? বর্ণনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের খন্ডচিত্র মাত্র।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৯ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. বুধা প্রায়ই কাকতাড়ুয়া সাজত।

খ. “এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করেছে ভিন্ন রকমের মানুষ” ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে এ কথাটি বলেছে বুধা পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা প্রসঙ্গে।

‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে গ্রামে কলেরার আক্রমণে বুধার মা-বাবা, ভাই-বোনদের মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সেই সময় যে মৃত্যু বুধা দেখেছিল তা ছিল একটি বিশেষ রোগের কারণে। আর যুদ্ধের সময় সে যে মৃত্যু দেখছে তা ভিন্ন রকম মানুষের নির্মমতায় শুরু হয়েছে। বুধার চিরচেনা পথ ধরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে জিপে করে পাকিস্তানি সেনারা তার গ্রামে প্রবেশ করে, বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং অনেক মানুষকে হত্যা করতে থাকে। তাদের এই নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা প্রসঙ্গে বুধা প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।

গ. উদ্দীপকের চেয়ারম্যান চরিত্রে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আহাদ মুন্সির চরিত্রকে খুঁজে পাওয়া যায়।

লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এদেশের মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে। এদেশের মানুষ বীরবিক্রমে তাদের প্রতিরোধ করে। কিন্তু মানুষ নামের কিছু অমানুষ দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুদের সহায়তা করে।

উদ্দীপকের ‘ক’ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একজন রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে পাকিস্তানি সেনাদের নিজে বাড়িতে আশ্রয় দেয়। গ্রাম থেকে হাঁস, মুরগি, ছাগল, ফলমূল জোর করে নিয়ে এসে তাদের খাওয়ায়। গ্রামের মেয়েদের হানাদার ক্যাম্পে পাঠায়। তার এই ঘৃণ্য কর্মকান্ডের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে ‘কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের আহাদ মুন্সির। দেশে যুদ্ধ শুরু হলে সে শান্তি কমিটি গঠন করে পাকিস্তানি সেনাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে। গ্রামের মানুষদের হত্যা ও নির্যাতনে সহযোগিতা করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চেয়ারম্যান চরিত্রে উপন্যাসের আহাদ মুন্সির চরিত্রকে খুঁজে পাওয়া যায়।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের খন্ডচিত্র মাত্র”- মন্তব্যটি যথার্থ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় অধ্যায়। বাঙালি জাতি এ যুদ্ধের মাধম্যেই পায় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এদেশের মুক্তিকামী জনগণ তাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হয়।

উদ্দীপকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি খণ্ডচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে দেখা যায়, ‘ক’ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাকিস্তানি সেনাদের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে সহায়তা করে। গ্রামের মেয়েদের ধরে নিয়ে ক্যাম্পে পাঠায়। এ চিত্রটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও দেখা যায় রাজাকার আহাদ মুন্সি, কুদ্দুস, মতিউরের কর্মকাণ্ডে। তবে এটিই উপন্যাসের সমগ্র চিত্র নয়।

‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। ঔপন্যাসিক এখানে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র অঙ্কন করার পাশাপাশি বুধা নামের এক এতিম কিশোরের সাহসী হয়ে ওঠা, তার দেশাত্মবোধ, হানাদার সেনাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা, দেশের মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ইত্যাদি দিক তুলে ধরেছেন। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ইত্যাদি চিত্র এখানে উঠে এসেছে, যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি। তাই বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।

ঘ-অংশ: নাটক

১০. মাতৃহারা ঝিনু চাচার বাড়িতে বড় হয়। চাচি ঝিনুকে বোঝা মনে করে। ভাবে কোনো রকম পাত্রস্থ করতে পারলেই হয়। অবশেষে চাচি সতীনের সংসারে এক বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দেয় ঝিনুকে। জীবন সচেতন ঝিনু এ বিয়ে মেনে না নিয়ে একদিন বাড়ি ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়।

ক. বহিপীরের বয়স কত বছর?

খ. হকিকুল্লাহ পুলিশ ডাকতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে নাটকের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘বহিপীর’ নাটকের সমগ্র ভাব ফুটে উঠেছে কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১০ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. বহিপীরের বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি।

খ. হকিকুল্লাহ্ পুলিশ ডাকতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। কারণ তিনি মনে করেন বহিপীর রাগের মাথায় তাহেরাকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশ ডাকতে বলেছেন।

‘বহিপীর’ নাটকে হকিকুল্লাহ্ বহিপীরের ধামাধরা ব্যক্তিত্বহীন এক চরিত্র। তিনি সবসময় পীরের হুকুম তামিল করেন। তবে বহিপীর তাকে পুলিশ ডাকতে বললেও তিনি পুলিশ না ডেকে ফিরে আসেন। হকিকুল্লাহ্ মনে করেন বহিপীর রাগের মাথায় পুলিশ ডাকতে বলেছেন, পরে মাথা ঠান্ডা হলে আফসোস করবেন, কারণ এটা তার সুনাম নষ্ট করবে। এই চিন্তা করে তিনি পুলিশ ডাকতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন।

গ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাকে জোর করে রিয়ে দেওয়ার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

সমাজে অসহায়রা নিকট আত্মীয়দের কারণে আরও অসহায় হয়ে পড়ে। তারা পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেসব সমস্যা মোকাবিলা করেই যে টিকে থাকতে পারে, সেই সফলকাম হয়। সমস্যার সমাধান করতে পারলেই জীবন সুন্দর হয়।

উদ্দীপকে মাতৃহারা ঝিনুকে জোর করে এক বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে সতিনের সংসারে বিয়ে দেওয়া হয়। কারণ ঝিনুর চাচি ঝিনুকে তার সংসারের বোঝা মনে করে। তাই তার চাচি কোনো রকমে পাত্রস্থ করে সংসার থেকে তাকে বিদায় করতে চায়। একজন অসহায় মেয়ের জীবনের সুখ-শান্তির কথা সে বিবেচনা করে না। ঝিনু তা মানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। উদ্দীপকের এই বিষয়টি ‘বহিপীর’ নাটকের বহিপীরের সঙ্গে বিয়ে মেনে না নিয়ে তাহেরার বাড়ি ছেড়ে পালানোর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ তার ধর্মান্ধ পিতামাতাও তাকে জোর করে এক বৃদ্ধ পীরের সাথে বিয়ে দেয়। তাই বলা যায় যে, ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ. না, উদ্দীপকটিতে ‘বহিপীর’ নাটকের সমগ্র ভাব ফুটে ওঠেনি।

বাঙালি মুসলমান সমাজে পীর-আউলিয়ারা এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের প্রতি আস্থাশীলতাই এর মূল কারণ। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বার্থসিদ্ধির চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। মানুষের ধর্মানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিল করে।

উদ্দীপকে মাতৃহারা মেয়ে ঝিনুর ওপর তার চাচির নিষ্ঠুর আচরণের দিকটি বর্ণিত হয়েছে। এখানে অসহায় মাতৃহারা ঝিনুকে এক বৃদ্ধের সঙ্গে সতিনের ঘরে বিয়ে দেয় তার চাচি। আত্মসচেতন ঝিনু এ অন্যায় সহ্য করতে না পেরে একদিন অজানার পথে পাড়ি জমায়। এ বিষয়টি ‘বহিপীর’ নাটকেও প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এটিই নাটকের সম্পূর্ণ ভাব নয়। এই বিষয়টি ছাড়াও এই নাটকে বহিপীরের স্বার্থপরতা, অশিক্ষিত পিতা-মাতার ধর্মান্ধতা, নতুন দিনের প্রতীক এক বালিকার বিদ্রোহ, সূর্যাস্ত আইনে জমিদারি নিলাম হওয়া, হাশেম আলির মানবিকবোধ ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েছে।‘বহিপীর’ নাটকে বাঙালি মুসলিম সমাজে জেঁকে বসা পীরপ্রথা, পীরের স্বার্থপরতা, নতুন দিনের প্রতীক এক বালিকার বিদ্রোহ, হাশেম আলির মানবিকতা ও হাতেম আলির কষ্টময় জীবন প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে কেবল ঝিনুর অসহায়ত্ব, ঝিনুর চাচির নিষ্ঠুরতা ও ঝিনুর আত্মসচেতনতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে, যা আলোচ্য নাটকের সমগ্র ভাব প্রকাশ করে না। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

১১. আলমগীর তালুকদারের পরিবার জৌলুস হারিয়ে এখন শ্রীহীন প্রায়। যতটুকু আছে তাও ঘটের তলানিতে। আলমগীর সাহেব এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। কিন্তু আলমাস মননে আধুনিক। ওসবে তার মাথাব্যথা নেই। বাবাকে বলে, “আমি এ যুগের ছেলে, শিক্ষাই আমার সম্পদ। আমায় নিয়ে ভেবো না, বাবা। জীবন পাল্টানোর পরশমণি আমার হাতের মুঠোয়।”

ক. “বদান্যতার জোরে জান যায় মানুষের”- উক্তিটি কার?

খ. “আপনারা কোরবানির গোস্ত খেতে পারেন, কিন্তু গরু জবাই চেয়ে দেখতে পারেন না।”- তাহেরা একথা বলেছিল কেন?

গ. উদ্দীপকের আলমগীর তালুকদারের পরিবারের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “বোধ ও বিশ্বাসে আলমাস ও হাশেম যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ”- যথার্থতা বিচার কর।

১১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:-

ক. “বদান্যতার জোরে জান যায় মানুষের”- উক্তিটি হাশেমের।

খ. “আপনারা কোরবানির গোস্ত খেতে পারেন, কিন্তু গরু জবাই দেখতে পারেন না।”- এ উক্তিটি তাহেরা করেছিল জমিদারগিন্নিকে কটাক্ষ করে।

আমরা অনেক সময় সহজেই অনেক নৃশংস কাজ করে ফেলি। সেটি সম্পর্কে আমাদের বিন্দুমাত্র আফসোস থাকে না। আবার সামান্য কোনো বিষয় নিয়ে অনেক আফসোসের শেষ থাকে না। তাহেরা জমিদার পরিবারকে কটাক্ষ করে আলোচ্য উক্তিটি করে। জমিদারগিন্নি তাহেরার অনেক নিষেধ সত্ত্বেও তার পরিচয় পীরের কাছে ফাঁস করে দেন। তাহেরা বারবার তার পরিচয় পীরকে না জানাতে অনুরোধ করে। কারণ পীরের কাছে যাওয়া মৃত্যুরই নামান্তর। তাই তাহেরা যখন পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যায় তখন খোদেজা ও হাশেম আলি তাকে বাঁচালে তাহেরা আলোচ্য উক্তিটি করে। তারা তাকে পীরের হাতে তুলে দিতে পারেন কিন্তু পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে দেন না। মূলত জমিদারগিন্নির ওপর ক্ষোভ থেকেই তাহেরা উক্তিটি করে।

গ. উদ্দীপকের আলমগীর তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে ‘বহিপীর’  নাটকের হাতেম আলির পরিবারের সাদৃশ্য রয়েছে।

মানুষের সংসারে নিত্য ভাঙা-গড়ার খেলা চলে। জীবন চলার পথে সব মানুষের দিন সবার একইভাবে কাটে না। কখনো উত্থান আবার কখনোবা পতনের সম্মুখীন হতে হয়। এভাবেই বয়ে চলে জীবনের সময়।

উদ্দীপকের আলমগীর তালুকদারের পরিবার জৌলুস হারিয়ে শ্রীহীন প্রায়। আলমগীর সাহেব এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, কিন্তু তার শিক্ষিত ছেলে আলমাস বিশ্বাস করে শিক্ষাই তার জীবনের মূল্যবান সম্পদ। আর এ শিক্ষাই তার জীবন পরিবর্তনের পরশমণি হয়ে কাজ করবে। ‘বহিপীর’ উপন্যাসের হাতেম আলির পরিবারেরও ঠিক একই অবস্থা। জমিদারি হারানোর আশঙ্কায় ভীত হাতেম আলি উপায়হীন হয়ে বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করতে শহরে আসেন। কিন্তু সেই টাকা না পেয়ে হাতেম আলি হতাশ হলেও তার ছেলে হাশেম হতাশ নয়। হাশেম শিক্ষিত ছেলে, কিছু একটা করে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। এখানেই আর্থিক ও মানসিকভাবে দুটি পরিবারের অবস্থাগত সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

ঘ. “বোধ ও বিশ্বাসে আলমাস ও হাশেম যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ”- মন্তব্যটি যথার্থ।

সাহসী ব্যক্তিকে কখনো পেছনে পড়ে থাকতে হয় না। সামনে এগিয়ে যেতে জীবন তাকে কখনো নিরাশ করে না। অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং সাধনার মাধ্যমে সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

উদ্দীপকের আলমগীর তালুকদারের ছেলে আলমাস মননে আধুনিক। পরিবারের জৌলুস হারানোতে তার মাথাব্যথা নেই। সে শিক্ষাকে সম্পদ হিসেবে মনে করে এবং এটাকে কাজে লাগিয়ে জীবন পাল্টাতে চায়। ‘বহিপীর’ নাটকের হাশেমও একই মানসিকতার অধিকারী। সেও নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে চায়। পিতার জমিদারি দেখাশুনা করা তার উদ্দেশ্য নয়। সে ছাপাখানা দিয়ে ব্যবসা করতে চায়। এছাড়াও সে মনে করে স্বপ্ন অনুযায়ী সে একটা কিছু করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

‘বহিপীর’ নাটকে হাশেম একজন শিক্ষিত ও প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী যুবক। সে কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না। পারিবারিক ঐতিহ্য বা অহংকার নিয়ে সে পড়ে থাকতে চায় না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে সে ছাপাখানা দিতে ব্যর্থ হলেও কিছু একটা করে খেতে পারার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাহেরার মতো মেয়েকে সাহায্য করতে চায়। উদ্দীপকের আলমাসও একই চেতনার অধিকারী। সেও শিক্ষাকে সম্পদ মনে করে। নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে চায়। সুতরাং বলা যায়, মন্তব্যটি যথার্থ।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, Eduexplain বহুনির্বাচনি নিয়ে  Live MCQ আয়োজন করতে যাচ্ছে। আপনাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিকে আরো জোরদার করবে  MCQ  টেস্ট  । এখন থেকে নিয়মিত Live MCQ আয়োজন করা হবে।ইনশাআল্লাহ।

নির্ভুল ও সকল শিট Word file / pdf  পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে  ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের Website www.eduexplain.com  ও You Tube Channel Subscribe  করতে পারো এই লিংক থেকে 

Related Posts

তৃতীয় শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

চতুর্থ শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

পঞ্চম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও বৃত্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

ষষ্ঠ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

সপ্তম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

অষ্টম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও জেএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

নবম-দশম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী উত্তরসহ মডেল টেস্ট

এইচ এস সি বাংলা ১ম তৈলচিত্রের ভূত গল্পের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন : বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর

READ ALSO এইচ এস সি বাংলা ১ম তৈলচিত্রের ভূত গল্পের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন : বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Read More »

এইচএসসি-২০২৪, পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলা প্রথম পত্র, অধ্যায়: আমার পথ (কাজী নজরুল ইসলাম)অধ্যায়ভিত্তিক জ্ঞানমূলক প্রশ্নের সাজেশন

এইচএসসি-২০২৪, পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলা প্রথম পত্র, অধ্যায়: আমার পথ (কাজী নজরুল ইসলাম)অধ্যায়ভিত্তিক জ্ঞানমূলক প্রশ্নের

Read More »

এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (৩য় অধ্যায়)প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট-১ (বহুনির্বাচনী অংশ)

এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (৩য় অধ্যায়)প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট-১ (বহুনির্বাচনী অংশ) বিষয়: তথ্য

Read More »

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.