Wednesday, March 12, 2025

এস এস সি-২০২৫ পরীক্ষার্থীর শেষ সময়ের বেষ্ট স্পেশাল মডেল টেস্ট বাংলা ১ম

এস এস সি-২০২৫ পরীক্ষার্থীর শেষ সময়ের বেষ্ট স্পেশাল মডেল টেস্ট বাংলা ১ম পূর্ণ মডেল

এস এস সি ২০২৫ সালের জন্য স্পেশাল মডেল টেস্ট বাংলা ১ম প্রশ্ন ও উত্তর

আর কিছুদিন পরেই এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষা। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে  এসএসসি টেস্ট পেপার  ও সাজেশন  শেষ করতে হবে। তোমাদের প্রস্তুতিকে সহজ করতে আজকে সকল বোর্ড  প্রশ্ন উত্তর তোমাদের কাছে শেয়ার করবো।

নিম্নোক্ত প্রশ্ন ও উত্তরগুলো বিভিন্ন বছরের বোর্ড প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হয়েছে যাতে সহজেই যেখানে থাকো রিভিশন দিতে পারো  । এভাবে, তোমরা যদি   মন দিয়ে পড় তাহলে পরীক্ষায় থাকছে সর্বাধিক কমনের সম্ভাবনা আছে। সকল বিষয় দেয়া থাকবে ।তোমাদের সুবিধা মত সংগ্রহ করতে পারো। সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।

READ ALSO

২০২৩ ও ২০২৪ সালের সকল বোর্ড প্রশ্ন ও উত্তর দেখতে এখানে ক্লিক করুন 

এইএসসি-২০২৫ পরীক্ষা প্রস্ততির পূর্ণাঙ্গ মডেল টেস্ট

বিষয়ঃ বাংলা প্রথম প্রত্র (সৃজনশীল অংশ)

সময়ঃ ২ ঘন্টা ৩০                                                                                                             পুর্ণমানঃ ৭০

ক-বিভাগঃ গদ্য (গল্প)

১. কন্যার  বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোন রকমের চাপা দিবার সময়টায়ও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চৎ উপরে আছে, সেই জন্যি তাড়া।’’

ক. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?

খ.অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি।- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের কন্যার বাপের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্র ‘অপরিচিতা’ গল্পের খন্ডাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মাত্র কথাটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

২.যাকে অপদার্থ, অকর্মণ্য বলে উপহাস করা হচ্ছে, তাকে যদি কেউ সাহস দেয়, এগিয়ে যাবার পরামর্শ এবং সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তবে সেই মানুষটির মানসিক ও আত্নিক বিবর্তন ঘটবে। এতে অলস পরিশ্রমী হতে পারে, অপ্রতিভ সপ্রতিভ হবে, ভীরু সাহসী হবে, মূর্খ বিদ্বান হবে, দুর্বল বলবান হতে পারে। এর অন্যতম কারণ, সেই মানুষটির অন্তনিহিত সত্যের বিকাশ।

ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কোন প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

খ. কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সামসজ্ঞস্যপূর্ণ?

ঘ.‘আত্নাকে চিনলেই আত্ননির্ভরতা আসে’’- উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিচার কর।

৩.বিধবা আলেয়ার ঘাড়ে যখন ছোট্ট মিতুর লালন-পালনের ভার এসে পড়ে তখন তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন। মর্মান্তিক সড়ক দুঘ্টনায় ভাই ও ভাবির মৃত্যর পর ভাইঝি মিতুর দায়িত্ব না নিয়ে তার উপায় ছিল না। আর এখন মিতুকে ছাড়া তার এক মুহূর্তও চলে না। মিতুকে ভালো রাখার জন্যতিনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন।

ক.কোন বাজারে তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া?

খ. কত দায়িত্ব তাদের, কত কাজ, কত ভাবনা- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়টি উঠে এসেছে? আলোচনা কর।

ঘ.‘উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাব ফুটে ওঠেনি- তোমার মতামতসহ আলোচনা কর।

৪.কলিমদ্দি দফাদারের বোর্ড অফিস শীতলক্ষ্যার তীরের বাজারে। নদীর এপারে ওপারে বেশকিছু বড় বড় কলকারখানা। এগুলো শাসনের সুবিধার্থে একদল খান সেনা বাজার সংলগ্ন হাই স্কুলটিকে ছাউনি করে নিয়েছে। কোনো কোনো রাত্রে গুলিবিনিময় হয়। কোথা হতে কোন পথে কেমন করে মুক্তিফৌজ আসে, আত্রুমন করে এবং প্রতি আত্রুমন করলে কোথায় হাওয়া হয়ে যায়, খান সেনারা তার রসস্য ভেদ করতে পারে না।

ক. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’  কথাটি কে বলেছিল?

খ. রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন” ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটির শেষাংশের বক্তব্য ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপটিতে ‘রেইকোট’ গল্পের আংশিক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।’’- তোমার মতামতসহ আলোচনা কর।

খ-বিভাগঃ পদ্য (কবিতা)

৫.মহাকাল ধরে যাহা জরাজীর্ণ, দীর্ণ পুরাতন কালজয়ী সেই সত্য, যাহা নিত্য ক্ষয়হীন দীপ্ত চিরন্তন। কীর্তি, যার সুমহান, সত্য-পূত যার মহাপ্রাণ মৃত্যু যারে শ্রদ্ধাভরে এনে দেয় প্রচুর সম্মান।

ক. ‘সোনার তরী কবিতাটির অধিকাংশ পক্তি কত মাত্রার পূর্ণপূর্বে বিন্যস্ত?   ‘সোনার তরী’ কবিতাটির অধিকাংশ পক্তি কত মাত্রার পূর্ণপূর্বে বিন্যস্ত?

খ. ‘একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা’- বলতে কবি বুঝিয়েছেন? ‘একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা’- বলতে কবি বুঝিয়েছেন?

গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপক কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ‘সোনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপক কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ.‘সোনার তরী’ কবিতায় চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবন দর্শন ব্যক্তি করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে- মন্তব্যটি বিশ্লেষন কর।

৬. স্রোতের বিপরীতে চলা মানুষ বহমান। জীবনে কখনো কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেননি। বরং কেউ তার ক্ষতি করলে তিনি প্রতিদান হিসেবে উপকার করার চেষ্টা করেন। তার ধারনাঘৃর্ণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়।

ক. কবি কার জন্য কাঁদেন?

খ. কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান  কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকও ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্যসূত্র চিহ্নিত কর।

ঘ. ‘ঘৃর্ণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়’- ‘প্রতিদান’ কবিতার আলোকে তোমার মতামত দাও।

৭. বাংলার ক্লাসে জাভেদ রহমান বললেন- তোমার এখন যে বয়সে আছে সেই বয়সটি তারুণ্যের, বিদ্রোহের আর সৃজনশীলতার। এই বয়সের তরুণরাই দেশকে শোষণমুক্ত ও স্বাধীন করার জন্য রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে।

ক. আঠারো বছর বয়স পথে-প্রান্তরে কী ছোটায়?

খ. ‘পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।

ঘ. ‘তরুণরাই পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতেঃ-উদ্দীপক ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষন কর।

গ-বিভাগঃ উপন্যাস

৮. রহমতগজ্ঞের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধ পরিচালিত সব কটি যুদ্ধভিয়ানে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। পাকসেনাদের কুপকাত করে নিজের এলাকা সুরক্ষিত রেখেছে। আব্বাস আলীর জ্ঞাতি ভাই জাফর আলী একজন দেশদ্রোহী, একজন বিশবাসঘাতক। রুস্তম আলী অনেক বুঝিয়েও তাকে সুপথে আনতে পারেনি। জাফর আলী সুকৌশলে আব্বাস আলীকে ধরিয়ে দেয় পাকসেনাদের হাতে।

ক. মিরজাফরের গুপ্তচর কে?

খ.  কত বড় শক্তি, তবু কত তুচ্ছ”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ.উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ.আপনজনের দ্বারা ভয়বহ বিপর্যয়ের শিকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও আব্বাস আলী  মন্তব্যটির যথার্থতা নিরুপন কর।

৯.  ‘ওরা গুলি ছোড়ে এ দেশের প্রাণে, দেশের দাবিকে রোখে।

ওদের ঘৃণা পদাঘাত, এ বাংলার বুকে।

ওরা এ দেশের নয়

দেশের ভাগ্য ওরা করে বিত্রুয়’।

ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে কয়টি অঙ্ক আছে?

খ. ‘আসামির সেই অধিকার থাকে নাকি?’’ উক্তি কার এবং কোন প্রসঙ্গে করেছে?

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণের ভাবার্থ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা  কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের ভাবার্থ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক।ু বিশ্লেষন কর।

 

ঘ-বিভাগঃ নাটক

১০. শাহাবাজপুর গ্রামের সালামত শেখপাড়ায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। মসজিদের ইমামতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে তার সমান অংশগ্রহন। অসুস্থ কেউ তার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য দ্বারস্থ হলে তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন হতে পরামর্শ দেন।

ক. ‘লালসালু’ কোন ধরনের উপন্যাস?

খ. ‘মজিদের শক্তি ওপর থেকে আসে, আসে ঐ সালু কাপড়ে আবৃত মাজার ত্থেকে’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সালামত শেখ এবং মজিদের মধ্যে বিরোধ কোথায়? আলোচনা কর।

ঘ. অসুস্থ কেউ তার কাছে ঝাড়ফুকের জন্য দ্বারস্থ হলে তিনি ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।’’ ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

১১. পারভেজ সাহেব বিদেশে গিয়ে অঢেল টাকা উপার্জন করেছেন। এলাকার রাস্তা, সেতু, মসজিদ, মন্দির তৈরিতে তার অকাতার ফান রয়েছে। নিঃসন্তান পারভেজের পিতৃ-হূদয়ের আচ্ছাদন পুরণে অনেকেই তাকে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দেন। সত্রী লাভলীও তাকে এ প্রস্তাব দেন। পারভেজ তার এক বোনের নবজাতককে নিজ সন্তান হিসেবে প্রতিপালন করে সত্রী লাভলী মাতৃ-হূদয়ের অতৃপ্ত বাসনা পুরণ করেন।

ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কে?

খ. সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুন দিল”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে।

গ. উদ্দীপকের পারভেজ ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের মানসিক পার্থক্য আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত ইতিবাচক জীবন চেতনা ‘লালসালু’ উপন্যাসে অনুপস্থিত।’’- মন্তব্যটি বিচার কর।

উত্তরমালা

ক বিভাগ  গদ্য

১. কন্যার  বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোন রকমের চাপা দিবার সময়টায়ও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চৎ উপরে আছে, সেই জন্যি তাড়া।’’

ক. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?

খ.  অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি।- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ.  উদ্দীপকের কন্যার বাপের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাচিত্র ‘অপরিচিতা’ গল্পের খন্ডাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মাত্র কথাটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স ছিল তেইশ বছর।

খ. ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’- কথাটি মূলত অনুপমেকে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। ‘অপরিচিতা’ গল্পে লেখক অন্নপূর্ণার সন্তানের সঙ্গে গল্পের অনুপমের তুলনা করেছেন। দেবী দুর্গার দুই পুত্র গণেশ ও কার্তিকেয়। কার্তিকেয় ছোট বিধায় সে সব সময় মাতৃস্নেহে লালিত এবং মায়ের কোলেই  যেন তার একমাত্র আশ্রয়। অনুপম শিক্ষিত হলেও ব্যক্তিত্বরহিত  পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায়। তার নিজস্বতা কিছুই নেই। তাকে দেখলে মনে হয় সে যেন মায়ের কোলসংলগ্ন অবুঝ শিশু। এই কারণে লেখক ব্যঙ্গার্থে অনুপমকে কার্তিকেয়ার সঙ্গে তুলনা করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

গ. উদ্দীপকের কন্যার বাপের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য রয়েছে।

আমাদের সমাজে বিরাজমান কিছু কুসংস্কারের কারণে মেয়েদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়া এবং যৌতুকের চিন্তায়  মেয়ের বাবা-মাও উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে এসব সংস্কার। উদ্দীপকে কন্যার বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলেও তার বাবার তেমন আগ্রহ ছিল না। মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তার মধ্যে কোনো তাড়াহুড়ো পরিলক্ষিত হয়নি। ‘অপরিচিতা’ ফল্পে মামা ছিল অনুপমের অভিভাবক। কিন্তু অনুপমের বিয়ের বয়স হয়ে যাওয়ার পরও তার মামার এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। হরিশের কথায় অনুপমের বিয়ের বিষয়ে অগ্রসর হলেও মামার মধ্যে তেমন একটা তাড়াহুড়ো ছিল না। এ কারণে অনেক বড় ঘর থেকে সস্বন্ধ আসার পরও মামা অনুপমের বিয়ের ব্যাপারে সময় নিয়েছে। আলোচিত এ দিকটির কারণেই উদ্দীপকের কন্যার বাপের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য দেখা যায়।

ঘ.উদ্দীপকের ঘটনাচিত্র ‘অপরিচিতা’ গল্পের খন্ডাংশের প্রতিনিধিত্ব করে মাত্র- কথাটি যথার্থ।

দীর্ঘকাল থেকে আমাদের সমাজে যৌতুকপ্রথা বিদ্যমান। এ যৌতুকপ্রথা কারণে সবচেয়ে বেশি হেয় হচ্ছে আমাদের সমাজের নারীরা। তবে বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতির ফলে যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। বিয়ে নিয়ে সমাজে মেয়েদের অবস্তা উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। বিয়ের বিষয়ে মেয়েদের বয়সের ব্যাপারটিও এখানে স্থান পেয়েছে। কন্যার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পণের টাকার গুরুত্বও বেড়েছে। বরপক্ষের যৌতুকের বিষয়ে লোভী দৃষ্টিভঙ্গিও উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। ‘অপরিচিতা’ গল্পের আমাদের সমসজে বিবাহযোগ্য মেয়েদের অবস্থা এবং অমানবিক যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথা বলা হয়েছে। কল্যাণীর পনেরো বছর বয়স বরপক্ষের কাছে অনেক  বেশি মনে হয়েছে। অনুপমের মামার যৌতুকের প্রতি লোভের দিকটিও ফুটে উঠেছে। কল্যাণীর বাবা বরপক্ষের দাবি পূরণ করতে রাজি হন।  কিন্তু বরপক্ষ যখন সেকরা নিয়ে এসে কন্যার গহনা যাচাই করতে চায় তখন কল্যাণীর বাবা সেখানে মেয়ের বিয়ে দিতে অসম্মতি জানান। শম্ভুনাথ বাবুর এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে মেয়ে কল্যাণীও সাড়া দেয় এবং দেশপ্রেমে উদদ্ধ হয়ে সারা জীবন মেয়েদের শিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার ব্রত গ্রহন করে।

‘অপরিচিতা’ গল্প এবং উদ্দীপক উভয় স্থানেই যৌতুকপ্রথা এবং কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার বিষয়টি  প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু ‘অপরিচিতা’ গল্পে ওই বিষয় ছাড়াও অমানবিক যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে কন্যার পিতার অবস্থান, বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর কল্যাণীর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত, মেয়েদের শিক্ষাদানের ব্রত গ্রহন ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিফলিত রয়েছে, যেগুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের একটি খন্ডাংশের প্রতিনিধিত্ব করে কথাটি যথার্থ।

২.  যাকে অপদার্থ, অকর্মণ্য বলে উপহাস করা হচ্ছে, তাকে যদি কেউ সাহস দেয়, এগিয়ে যাবার পরামর্শ এবং সহযোগিতার হাত বাড়ায়, তবে সেই মানুষটির মানসিক ও আত্নিক বিবর্তন ঘটবে। এতে অলস পরিশ্রমী হতে পারে, অপ্রতিভ সপ্রতিভ হবে, ভীরু সাহসী হবে, মূর্খ বিদ্বান হবে, দুর্বল বলবান হতে পারে। এর অন্যতম কারণ, সেই মানুষটির অন্তনিহিত সত্যের বিকাশ।

ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কোন প্রবন্ধগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

খ.  কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সঙ্গে কীভাবে সামসজ্ঞস্যপূর্ণ?

ঘ. ‘আত্নাকে চিনলেই আত্ননির্ভরতা আসে’’- উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিচার কর।

 

২. নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধকটি ‘বৃদ্ধ সকাল’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

খ. কাজী নজরুল ইসলাম ‘আমার সত্য’ বলতে পরাবলম্বন ও দাসত্ব পরিহার করে নিজের আমিত্ব শক্তির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। মানুষ তাদের আলস্য, কর্ম্বিমুখতা ও পরাবলম্বনের কারণে পিছিয়ে পড়েছে। তাদের গোলামি দাসত্বের ভাব। কিন্তু তারা যদি আপন সত্যকে জানে তাহলে তারা তাদের হারানো গৌরব ও মর্যাদা ফিরে পাবে। তাই নিজের সত্তাকে জাগিয়ে তুলতে দাসত্ব ও গোলামি দূর করতে নিজের শক্তি ও নিজের সত্যর ওপর অটুট বিশ্বাস রাখতে হবে। আর পরাধীনতা, দাসবৃত্তি থেকে মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় হচ্ছে অন্তনিহিত সত্যকে অনুধাবন। ‘আমার সত্য’ বলতে লেখক এই অনুধাবন শক্তিকেই বুঝিয়েছেন।

গ. উদ্দীপকের ভাবনা আত্নশক্তিতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার দিক দিয়ে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ণ।

জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন আত্নবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হওয়া। অন্যের নির্দেশ মতো চললে স্বকীয়তা হারিয়ে যায়। নিজের সত্য শক্তিকে সঠিকভাবে জানা গেলে পৃথিবীর অন্যান্য বিষয়ও জানা যায় ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক আত্নার শক্তি ও আমিত্বশক্তিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। পরাবলম্বন আমাদের নিস্ক্রিয় করে ফেলে। পরাবলম্বনই মানুষের সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব। অন্তরে যাদের গোলামির ভাব বাইরের গোলামি থেকে তাদের মুক্তি নেই। আত্ননির্ভরশীল ব্যক্তি নিজের আত্নার শক্তিতে বিশ্বাসী। অন্যের শক্তিতে তার বিশ্বাস নেই। এই আত্ননির্ভরশীলতা না থাকলে মানুষ নিজের উন্নতির জন্য অন্যে ওপর নির্ভর করে। কিন্তু যেদিন মানুষের মনে আত্ননির্ভরশীলতা আসবে, যেদিন মানুষ আত্নশক্তিতে উদ্বুদ্ধ হবে সেদিন মানুষ স্বাধীন হবে। উদ্দীপকে আত্নিক বিবর্তন ও মানসিক  বিকাশের মাধ্যমে আত্নশক্তিতে বলিয়ান হবার কথা বলা হয়েছে। অপদার্থ, অকর্মণ্য ব্যক্তিও অনুপ্রেরণা পেলে সপ্রতিভ হয়ে ওঠে। ‘আমার পথ’ প্রবদ্ধেও নজরুল ইসলাম ‘আমি সত্তার জাগরণের প্রত্যাশা করেছেন। নিজের চেনা, নিজের সত্যকে উপলব্ধি করার মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতা, মুক্তির পথে অগ্রসর হতে পারে। এ দিক থেকেই উদ্দীপকের ভাবনা ও আলোচ্য প্রবদ্ধের ভাবনা সামজ্ঞস্যমপূর্ণ।

ঘ.আত্নাকে চিনলেই আত্ননির্ভরতা আসে”- উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবদ্ধের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ।

মানুষের জীবনে আছে অফুরন্ত আশা, আছে নিরাশার বেদনা যা তাকে যন্ত্রণায় দগ্ধ করে। পরনির্ভরতার কারণে এক অপার শূন্যতা মানুষের জীবনকে করে তুলে অর্থহীন। তবে জীবনের যে জাগ্রত অস্তিত্ব আছে, তার উপর ভিত্তি করে মানুষ নতুন আশায় উদ্দীপ্ত হয়।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, পরনির্ভতা কাটিয়ে কাউকে যদি তার আপন সত্য উদ্ভাসিত করা হয় তবে তার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। অলস হয়ে উঠবে পরিশ্রমী, ভীরু হয়ে উঠবে সাহসী, দুর্বল হয়ে উঠবে বলবান। কারণ তখন সে নিজেকে চিনবে। নিজের শক্তিতে তার অন্তনিহিত সত্যর বিকাশ ঘটবে। তখন সেই উত্তাপে পুড়বে তার পরনির্ভতা ও জড়তা। ‘আমার পথ’ প্রবদ্ধেও লেখক আপন সত্যকে চেনার  অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন  নিজেকে চেনা ও নিজে সত্যকে জানার মধ্যে দিয়ে প্রাবন্ধিক আত্নবিশ্বাসী ও আত্নপ্রত্যয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কারণ তিনি জানেন আত্নাকে চিললেই আত্ননির্ভরতা আসবে। ‘আমার পথ’ প্রবদ্ধে লেখক আপন সত্যকে চেনার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন পরনির্ভরতা কোনো মানুষেরই কাম্য নয়। কারণ আত্নশক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তি সত্যর শক্তিতে ভাস্বর। আর এমন ইঙ্গিত উদ্দীপকে ও প্রকাশ পেয়েছে। এসব বিচারে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

৩. বিধবা আলেয়ার ঘাড়ে যখন ছোট্ট মিতুর লালন-পালনের ভার এসে পড়ে তখন তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন। মর্মান্তিক সড়ক দুঘ্টনায় ভাই ও ভাবির মৃত্যর পর ভাইঝি মিতুর দায়িত্ব না নিয়ে তার উপায় ছিল না। আর এখন মিতুকে ছাড়া তার এক মুহূর্তও চলে না। মিতুকে ভালো রাখার জন্যতিনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন।

ক.কোন বাজারে তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া?

খ.কত দায়িত্ব তাদের, কত কাজ, কত ভাবনা- ব্যাখ্যা কর।

গ.উদ্দীপকের ‘মাসি-পিসি’ গল্পের কোন বিষয়টি উঠে এসেছে? আলোচনা কর।

ঘ. ‘উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাব ফুটে ওঠেনি- তোমার মতামতসহ আলোচনা কর।

৩. নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. শহরের বাজারে তরিতরকারি ফলমূলের দাম চড়া।

খ. প্রশ্নোক্ত উক্তিটি আহাদিকে নিয়ে মাসি-পিসির দায়িত্ব ও চিন্তা-চেতনার বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। প্রথমে মাসি-পিসির মধ্যে মিল ছিল না। শাকসব্জি বিক্রি করে বাঁচার জন্য লড়াইয়ে নামলে তাদের সব বিরোধ শেষ হয়। দুজন হয়ে যায় এক মন, এক প্রান। সেই মিল আরও বেশি হয় আহ্লাদির ভার তাদের কাঁধে পড়ায়। তখন শুধু নিজেদের বেঁচে থাকার বিষয় থাকে না। তাদের আহ্লাদিকে নিয়ে অনেক কাজ, অনেক ভাবনা। কারণ তাকে খাইয়ে পরিয়ে রাখতে হবে, শ্বশুরবাড়ি থেকে রক্ষা করতে হবে ও খারাপ মানুষদের নজর বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর এসব নিয়েই মাসি-পিসির অনেক চিন্তা-ভাবনা ও দায়িত্ব।

প্রথমে মাসি-পিসির মধ্যে মিল ছিল না। শাকসবজি বিক্রি করে বাঁচার জন্য লড়াইয়ে নামলে তাদের সব বিরোধ শেষ হয়। দুজন হয়ে যায় এক মন, এক প্রাণ। সেই মিল আরও বেশি হয় আহ্লাদির ভার তাদের কাঁধে পড়ায়। তখন শুধু নিজেদের বেঁচে

থাকার বিষয় থাকে না। তাদের আহ্লাদিকে নিয়ে অনেক কাজ, অনেক ভাবনা। কারণ তাকে খাইয়ে পরিয়ে রাখতে হবে, শ্বশুরবাড়ি থেকে রক্ষা করতে হবে ও খারাপ মানুষদের নজর থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আর এসব নিয়েই মাসি-পিসির অনেক চিন্তা-ভাবনা ও দায়িত্ব।

গ.উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের অনাথ ও অসহায় মেয়েকে আশ্রয় দান এবং আগলে রাখার লড়াইয়ের দিকটি ফুটে উঠেছে।

দায়িত্বশীলতা মানুষের মহৎ গুণাবলির মধ্যে অন্যতম। দায়িত্ববান মানুষ অন্যের সুখের জন্য নিজের জীবনের সুখ বিসর্জন দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে। এসব মানুষের জন্যই পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে ওঠে।

উদ্দীপকে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আলেয়ার ভাই ও ভাবি মৃত্যুবরণ করে। ভাইঝি মিতুর লালন-পালনের দায়িত্ব এসে পড়ে বিধবা আলেয়ার ওপর। মিতুকে সে এতটাই ভালোবাসে যে এখন মিতুকে ছাড়া তার এক মুহূর্তও চলে না। মিতুকে ভালো রাখার জন্য তিনি অবতীর্ণ হন জীবনযুদ্ধে। জীবিকা নির্বাহের জন্যে বেছে নেন অনলাইনের কাপড়ের ব্যবসায়। এ দিকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পেও প্রকাশিত হয়েছে। স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার অনাথ আহ্লাদি আশ্রয় পায় বিধবা মাসি-পিসির কাছে। মাসি-পিসি আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য ও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হন।

উদ্দীপক ও আলোচ্য গল্প উভয় স্থানে যথাক্রমে মিতু ও আহাদি নামের অনাথ দুটি মেয়েকে আশ্রয় দান এবং তাদের আগলে রাখার লড়াই- সংগ্রাম ফুটে উঠেছে।

ঘ. “উদ্দীপকে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের সমগ্র ভাব ফুটে ওঠেনি”- মন্তব্যটি যথার্থ।

বহুকাল থেকেই আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলার শিকার। তারা তাদের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতেই কঠোর পরিশ্রম করে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে তারা আজীবন সংগ্রাম করে।

উদ্দীপকে বিধবা আলেয়ার জীবনসংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। ভাই ও ভাবির মৃত্যুর পর ভাইঝি মিতুকে নিয়ে শুরু হয় তার জীবনযুদ্ধ। মিতুকে ভালো রাখতে তিনি শুরু করেন কাপড়ের ব্যবসায়। এ জীবনসংগ্রামের দিকটি ‘মাসি-পিসি’ গল্পেও প্রতিফলিত হয়েছে। অনাথ আহ্লাদিকে ঘিরেই তাদের সব জীবনযুদ্ধ আবর্তিত হয়। অসহায় আহ্লাদিকে নিষ্ঠুর সমাজের হাত থেকে রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর। অসহায় অনাথ ভাইঝিকে আশ্রয় দেওয়া ও তার জন্য জীবনসংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের আলেয়া ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মাসি ও পিসির সমান্তরাল। তবে আলেয়া সম্পূর্ণ মাসি-পিসির প্রতিচ্ছবি নয়। কারণ আহ্লাদিকে নিরাপত্তা দিতে সমাজের প্রভাবশালী দুষ্ট লোকদের বিরুদ্ধে মাসি-পিসির যে লড়াই তা আলেয়াকে করতে হয়নি। উদ্দীপকে আলোচ্য গল্পের জীবনসংগ্রামের দিকটি প্রতিফলিত হলেও পুরুষশাসিত সমাজে নারীর অসহায়ত্ব ও অবমাননার চিত্র অনুপস্থিত। তাই আমরা বলতে পারি, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

৪. কলিমদ্দি দফাদারের বোর্ড অফিস শীতলক্ষ্যার তীরের বাজারে। নদীর এপারে ওপারে বেশকিছু বড় বড় কলকারখানা। এগুলো শাসনের সুবিধার্থে একদল খান সেনা বাজার সংলগ্ন হাই স্কুলটিকে ছাউনি করে নিয়েছে। কোনো কোনো রাত্রে গুলিবিনিময় হয়। কোথা হতে কোন পথে কেমন করে মুক্তিফৌজ আসে, আক্রমণ করে এবং প্রতিআক্রমণ করলে কোথায় হাওয়া হয়ে যায়, খান সেনারা তার রহস্য ভেদ করতে পারে না।

ক.’বর্ষাকালেই তো জুৎ’ – কথাটি কে বলেছিল?

খ.“রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন” ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটির শেষাংশের বক্তব্য ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন বিষয়টি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ.“উদ্দীপকটিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের আংশিক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।” – তোমার মতামতসহ আলোচনা কর।

৪ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’ কথাটি বলেছিল ছদ্মবেশী কুলি।

খ.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রচণ্ড শীত রুশ বাহিনীর পক্ষে যেমন অনুকূল হয়েছিল তেমনই বর্ষা মৌসুমও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুকূল ছিল- এ বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার বাহিনী প্রচণ্ড শীতের কারণে রুশ বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রবল বর্ষায় তেমনই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। উক্তিটির মাধ্যমে সেই বিষয়টির কথাই বলা হয়েছে। কুলির ছদ্মবেশে কলেজে আলমারি দিতে এসে এক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বলেছিলেন ‘বর্ষাকালেই তো জুৎ’। নুরুল হুদার মনে হয়, এ কথার মধ্য দিয়ে ছেলেটি যেন আলোচ্য কথাটিই বলতে চেয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছেলেরা বর্ষার সঙ্গে পরিচিত থাকলেও পাকিস্তানি বাহিনীর তা ছিল না। ফলে তারা মুক্তিবাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হয় বর্ষার কারণে।

গ.উদ্দীপকের শেষাংশের বক্তব্য রেইনকোট’ গল্পের মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণের বিষয়টি নির্দেশ করে।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য অনেক বীরসন্তান জীবন দিয়েছেন। তাঁদের সেই ত্যাগের কথা বাঙালি ভুলতে পারবে না। তাদের ঋণ আমরা কোনো দিনই শোধ করতে পারব না।

উদ্দীপকে নদী পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর হঠাৎ আক্রমণের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে তারা হুটহাট আক্রমণ করে। কেমন করে তারা এ কাজ করে পাকিস্তানি সেনারা তা বুঝতে পারে না। ‘রেইনকোর্ট’ পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পার হয়ে আসা এবং পাকিস্তানি ক্যাম্পে অতর্কিত হামলার বর্ণনা রয়েছে। তারা পাকিস্তানিদের ক্যাম্প পর্যবক্ষেণ করে এবং সুযোগ বুঝে শত্রুর নিরাপত্তা ভেদ করে ছদ্মবেশে হামলা করে তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ পল্পের মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।

ঘ.উদ্দীপকটিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের আংশিক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে, হাজারো বোন হারিয়েছে তাদের ভাই। সন্তানহারা মা, ভাইহারা বোন আজও পথ চেয়ে আছে, যদি ফিরে পায় হারানো সেই মুখগুলো।

উদ্দীপকে মিলিটারি ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে পাকিস্তানিদের চমকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারে না কীভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আক্রমণ করে চলে যায়। ‘রেইনকোট’ গল্পে পাকিস্তানি মিলিটারির বর্বর অত্যাচার, নির্যাতনের দিকটি ফুটে উঠেছে। সাধারণ মানুষের আতঙ্ক এবং তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করার বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথাও বর্ণিত হয়েছে গল্পে। পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রোশ ছিল বেশি শিক্ষক ও তরুণদের প্রতি, সেই বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকে শুধু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। আর ‘রেইনকোট’ গল্পে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি মিলিটারিদের নির্যাতন এবং গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ, ঢাকা শহরের যুদ্ধের পরিস্থিতি ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েছে। এই দিক বিচারে তাই বলা যায়, উদ্দীপকটিতে ‘রেইনকোট’ গল্পের আংশিক বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

 

খ বিভাগ- কবিতা

৫. মহাকাল ধরে যাহা জরাজীর্ণ, দীর্ণ, পুরাতন

কালজয়ী সেই সত্য, যাহা নিত্য ক্ষয়হীন দীপ্ত চিরন্তন। কীর্তি, যার সুমহান, সত্য-পূত যার মহাপ্রাণ

মৃত্যু যারে শ্রদ্ধাভরে এনে দেয় প্রচুর সম্মান।

ক. ‘সোনার তরী’ কবিতাটির অধিকাংশ পক্তি কত মাত্রার পূর্ণপূর্বে বিন্যস্ত?

খ. ‘একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা’- বলতে কবি বুঝিয়েছেন?

গ. ‘সোনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপক কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবন দর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে’- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৫ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক.’সোনার তরী’ কবিতাটির অধিকাংশ পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার পূর্ণপর্বে বিন্যস্ত।

খ. আলোচ্য পক্তির মধ্য দিয়ে কবি পৃথিবীতে মানুষের চিরন্তন একাকিত্বের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন।

আলোচ্য পঙ্ক্তিটিতে ‘ছোটো খেত’ বলতে মানুষের কর্মজগৎকে বোঝানো হয়েছে। বস্তুত মানুষকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কাজ করে যেতে হয়; কাজ থেকে মানুষের নিষ্কৃতি নেই। আর এই কর্মক্ষেত্রে কর্মী ব্যক্তিমানুষ নিজেই। এ ক্ষেত্রে তার কোনো ভাগীদারও নেই। প্রশ্নোক্ত পঙ্ক্তিটিতে ব্যক্তিমানুষের নিঃসঙ্গতার এ বিষয়টিই মূর্ত হয়ে উঠেছে।

গ.মহাকাল মানুষের মহৎ কীর্তিকে ধারণ করে বলেই মানুষ মৃত্যুর পরও পৃথিবীর মানুষের কাছে সম্মান লাভ করে। ‘সোনার তরী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকটি এ দিক দিয়েই সাদৃশ্যপূর্ণ।

মানুষ মরণশীল। মৃত্যু স্রষ্টার অমোঘ বিধান এবং প্রাণের স্বাভাবিক ধর্ম। কিন্তু মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষ বিস্মৃত হতে চায় না। কীর্তি দ্বারা মানুষ অমর হতে চায়। কারণ শুধু বয়সে বেঁচে থাকা জীবনের উদ্দেশ্য নয়।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে কোনো ব্যক্তি ইহকালে জরাজীর্ণ, পুরনো থাকলেও কর্ম যদি তার সুমহান হয় তাহলে মৃত্যুর পরও সবাই তাকে সম্মান করবে। তখন মহান কীর্তি তার মান-সম্মান আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। ‘সোনার তরী তরী’ কবিতার কবিও মানুষের মহৎ কীর্তির কথা বলেছেন। মানুষের মূল্যবান কীর্তিকে পৃথিবীর মানুষ আঁকড়ে ধরে। ফলে কর্মের মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারে। উদ্দীপকে কীর্তি ও কীর্তিমানের স্বরূপ বর্ণনার মাধ্যমে ‘সোনার তরী তরী’ কবিতার এ ভাবটি সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ঘ. ‘সোনার তরী’ কবিতায় চরিত্রের অন্তরালে কবি যে গভীর জীবনদর্শন ব্যক্ত করেছেন, উদ্দীপকে তার অনেকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

মানুষ মরণশীল, কিন্তু তার মহৎ কর্ম অমর। মানুষ তার কল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়ে জগতে বেঁচে থাকে। জগতের মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্ম যদি না থাকে তাহলে মানুষ অমরত্বের দাবি করতে পারে না।

উদ্দীপকে মানুষের কীর্তিটাকে বড় করে দেখা হয়েছে। যে কীর্তি দ্বারা মানুষ মৃত্যুর পরেও সম্মানের অধিকারী থেকে যায়। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই দর্শনটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতায় উদ্দীপকের দর্শনটির আংশিক প্রতিফলিত হয়েছে। কারণ কবি মনে করেন, মহাকাল মানুষের মহান কীর্তিকেই ধরে রাখে, মানুষকে নয়।

‘সোনার তরী তরী’ কবিতার ভাববস্তু জগৎ-সংসার ও মানবজীবনের নশ্বরতা ও অনিশ্চয়তা। তবু মানুষের জন্য সান্ত্বনা এই যে, মানুষ না বাঁচলেও টিকে থাকে তার মহৎ সৃষ্টিকর্ম। একদিন মানুষকে সব ফেলে নিরুদ্দেশের পথে চলে যেতে হয়। ‘সোনার তরী তরী’ কবিতার মূল দর্শন এটি। অন্যদিকে উদ্দীপকে ‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ এই জীবনদর্শনটি প্রতিফলিত হয়েছে, যা ‘সোনার তরী তরী’ কবিতার জীবনদর্শনকে আংশিক প্রতীকায়িত করে। এই বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৬. স্রোতের বিপরীতে চলা মানুষ রহমান। জীবনে কখনো কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেননি। বরং কেউ তার ক্ষতি করলে তিনি প্রতিদান হিসেবে উপকার করার চেষ্টা করেন। তার ধারণা- ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়।

ক. কবি কার জন্য কাঁদেন?

খ.কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান’- কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্যসূত্র চিহ্নিত কর।

ঘ. ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়’- ‘প্রতিদান’ কবিতার আলোকে তোমার মতামত দাও।

৬ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. যে কবিকে পর করেছে কবি তার জন্য কাঁদেন।

খ. আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে কবির উদার হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যায়।

কবি প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছেন, সারা জীবন যারা কবিকে দুঃখ-যন্ত্রণা দিয়েছে তিনি সেসব ভুলে তাদের ভালোবাসা দান করেন। কবি মনে করেন, এর মাধ্যমে পৃথিবী সুন্দর হবে। কষ্ট পেয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়ে প্রতিদানে ভালোবাসা দেওয়াই উত্তম। কবি এ কাজটিই করেছেন। তাই তিনি বলেছেন যে, কাঁটা পেয়ে সারাটি জীবন তাদের ফুল দান করেন।

গ. ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা সম্ভব- এই দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘৃণার মনোভাব নিয়ে কখনো মানুষের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। কেবল ভালোবাসা দ্বারাই মানুষকে জয় করা যায়। তাই সবার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করাই উত্তম পন্থা।

উদ্দীপকের রহমান বিপরীত স্রোতে চলা মানুষ। তিনি কখনো কোনো মানুষের ক্ষতি করেননি। কেউ তার ক্ষতি করলে প্রতিদানে তিনি উপকার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি মনে করেন, ঘৃণা দ্বারা কিছুই লাভ করা সম্ভব নয়। সবকিছু জয় করার জন্য প্রয়োজন ভালোবাসা। ‘প্রতিদান’ কবিতায় কবি সমাজ-সংসারে বিদ্যমান বিভেদ-হিংসা, হানাহানির পরিবর্তে এক প্রীতিময় পরিবেশ প্রত্যাশা করেছেন। এ জন্য কবি অনিষ্টকারীকে শুধু ক্ষমাই করেননি, প্রতিদানে তিনি উপকার করেছেন। কবি চেয়েছেন সবাইকে ভালোবাসতে। তাই বলা যায় যে, ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা সম্ভব- এই দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ.’ঘৃণা নয়, ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা যায়’- ‘প্রতিদান’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ।

আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা অন্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। কিন্তু মানুষের আসল পরিচয় লুকিয়ে থাকে তার মহৎ গুণাবলির মধ্যে। যারা মহৎ গুণাবলি ধারণ করেন তারা অন্যের ব্যবহারে ব্যথা পেয়েও ক্ষমা করে দেন।

উদ্দীপকে স্রোতের বিপরীতে চলা রহমানের মহানুভবতা ক্ষমাশীলতার কথা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি কখনো কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেননি। কেউ ক্ষতি করলে তিনি প্রতিদানে উপকার করেন। তিনি মনে করেন ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু জয় করা সম্ভব। ‘প্রতিদান’ কবিতায়ও কবি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে আঘাত পেলেও তাদের ক্ষমা করে দেন। কবি তাদের জন্য ব্যাকুল হন যারা তার ঘর ভাঙে, তার ঘুম কেড়ে নেয়, তাকে আঘাত করে।

উদ্দীপক ও ‘প্রতিদান’ কবিতা উভয় জায়গায় প্রকাশ পেয়েছে হিংসার বিপরীতে ক্ষমাশীলতা ও উদারতার কথা। তাছাড়া উভয় জায়গায় অনিষ্টকারীকে ক্ষমা করে দিয়ে প্রতিদানে তাদের উপকার করার কথা প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর সব মানুষ এ বিষয়টি মনে রাখলে আর কোনো সংঘাত সৃষ্টি হতো না। তাই আমরা বলতে পারি যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৭.বাংলার ক্লাসে জাভেদ রহমান বললেন- তোমরা এখন যে বয়সে আছ সেই বয়সটি তারুণ্যের, বিদ্রোহের আর সৃজনশীলতার। এই বয়সের তরুণরাই দেশকে শোষণমুক্ত ও স্বাধীন করার জন্য রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে।

ক. আঠারো বছর বয়স পথে-প্রান্তরে কী ছোটায়?

খ. ‘পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা’- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।

ঘ.“তরুণরাই পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতে:- উদ্দীপক ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

৭ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘আঠারো বছর বয়স পথে-প্রান্তরে বহু তুফান ছোটায়।

খ. আঠারো বছর বয়সে দুঃসাহসিকতা ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকে বলে পদাঘাতে পাথর ভাঙতে চায়।

কবি ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় অত্যন্ত স্পষ্টতার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন যে, এ বয়সে মানুষের মনে ভয়, পরাজয়, কাপুরুষতা ও গুটিয়ে থাকার প্রবণতা প্রভৃতি থাকে না। ফলে এ বয়সে মনের মতো করে সকল হতাশা, নিরাশা, দুরাশা ও গ্লানি মুছে একটি সুন্দর ও সার্থক জীবন গঠন করা যায়। তাছাড়া সব বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতা মুহূর্তেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করা যায় এ বয়সের সাহসী মনের প্রভাবে।

গ. তরুণদের তারুণ্যধর্ম, সাহস ও আত্মত্যাগের দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।

তরুণরা দুর্বার, দুঃসাহসী ও অমিত শক্তির অধিকারী। তাদের পথ চলায় নেই কোনো বাধা, ভয়। সব বিধি-নিষেধ, বাধা-বিপত্তির উর্ধ্বে তাদের অবস্থান। তারা দৃঢ়তায়, সাহসিকতায় ও প্রাণের আবেগে স্বমহিমায় ভাস্বর।

উদ্দীপকের বাংলা শিক্ষক জাভেদ রহমান আত্মত্যাগের মহান মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে তরুণদের রক্ত শপথ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বয়সটি তারুণ্যের, বিদ্রোহের আর সৃজনশীলতার। তাই এ বয়সের তরুণরাই দেশকে শোষণমুক্ত ও স্বাধীন করার জন্য রাজপথে রক্ত ঝরায়। আঠারো বছর বয়স’ কবিতায়ও কবি তরুণদের জয়গান গেয়েছেন। কবির মতে আঠারো বছর বয়স দুঃসাহসের। এ বয়সে তরুণরা পিছিয়ে থাকে না। এরা দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য দৃঢ় শপথ নিয়ে এগিয়ে যায়। বিপদ মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। তাই আমরা বলতে পারি যে, তরুণদের তারুণ্যধর্ম, সাহস ও আত্মত্যাগের দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. ‘তরুণরাই পারে অসম্ভবকে সম্ভব করতে’- মন্তব্যটি যথার্থ।

মানবজীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সময় হলো তারুণ্যনির্ভর যৌবন কাল। এ সময়ে মানুষ পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে। অধিকার সচেতন হয়ে ওঠায় তারা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন হতে চায়।

উদ্দীপকে আঠারো বছর বয়সের তরুণদের কথা বলা হয়েছে। জাভেদ রহমান বলেন, এই আঠারো বছর বয়সটি তারুণ্য, বিদ্রোহ আর সৃজনশীলতার। এ বয়সটায় আত্মত্যাগে তরুণকে উদ্বুদ্ধ করে। তাই তারা দেশকে শোষণমুক্ত ও স্বাধীন করার জন্য রাজপথে নামে। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায়ও কবি তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। কবি অসীম সাহসী তরুণদের সমস্ত দুর্যোগ, দুর্বিপাক মোকাবিলা করে কল্যাণসাধনের প্রাণশক্তির কথা বলেন। তারা অদম্য দুঃসাহসে সব বাধা-বিপত্তি পার হয়ে সামনে এগিয়ে যায়। তারা অধিকারের জন্য এবং দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রামের পথ বেছে নেয়। এ বয়সে সংগ্রামীরাই অকাতরে রক্ত দিয়ে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করে। তাই কবি চেয়েছেন এ দেশের বুকে যেন সব সময় আঠারো বিরাজ করে।

উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায় উভয় জায়গায় তারুণ্যের জয়গান এবং তারুণ্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কথা প্রকাশ পেয়েছে। উভয় জায়গায়ই তরুণদের উদ্যম, নির্ভীকতা ও দুঃসাহসের বন্দনা ফুটে উঠেছে। কারণ দুর্দিনে ও দুর্যোগে তারাই সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

গ বিভাগ – নাটক

৮. রহমতগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সব কটি যুদ্ধাভিযানে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। পাকসেনাদের কুপোকাত করে নিজের এলাকা সুরক্ষিত রেখেছে। আব্বাস আলীর জ্ঞাতি ভাই জাফর আলী একজন দেশদ্রোহী, একজন বিশ্বাসঘাতক। রুস্তম আলী অনেক বুঝিয়েও তাকে সুপথে আনতে পারেননি। জাফর আলী সুকৌশলে আব্বাস আলীকে ধরিয়ে দেয় পাকসেনাদের হাতে।’

ক. মিরজাফরের গুপ্তচর কে?

খ. ‘‘কত বড় শক্তি, তবু কত তুচ্ছ।”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. আপনজনের দ্বারা ভয়বহ বিপর্যয়ের শিকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও আব্বাস আলী- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৮ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. মিরজাফরের গুপ্তচর উমর বেগ।

খ. “কত বড় শক্তি, তবু কত তুচ্ছ।”- উক্তিটি নবাব সিরাজউদ্দৌলা করেছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে ইংরেজ সেনাদের সামনে নিজেদের অবস্থান বিবেচনা করে।

পলাশির যুদ্ধে ইংরেজদের পক্ষে মোট সেনা ছিল প্রায় তিন হাজার। তারা অস্ত্র চালনায় সুশিক্ষিত ছিল। সেই তুলনায় নবাবের পক্ষে সেনা সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের বেশি। ছোট-বড় মিলিয়ে ইংরেজদের কামান ছিল গোটা দশেক আর নবাবের পঞ্চাশটারও বেশি। এত বড় শক্তি নিয়েও ইংরেজদের বিরুদ্ধে পলাশির যুদ্ধে নবাবের মনে আশঙ্কা ও সন্দেহ ছিল। কারণ তাঁর মনে হয়েছে মিরজাফর, রায়দুর্লভ, ইয়ার লুৎফ বা নিজেদের সেনাবাহিনী নিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। না। তাই মিরমর্দানের সঙ্গে যুদ্ধের নকশা নিয়ে পর্যালোচনার সময় তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।

গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের অমাত্যবর্ণের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

লোভ মানুষকে অমানুষে পরিণত করে। ক্ষমতা ও অর্থসম্পদের লোভে মানুষ মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেয় এবং নানা রকম অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। স্বার্থপর মানুষের কাছে আপন-পরে কোনো ভেদাভেদ থাকে না।

উদ্দীপকে জাফর আলী একজন দেশদ্রোহী ও বিশ্বাসঘাতক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার জ্ঞাতি ভাই আব্বাস আলী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে নিজের এলাকাকে সুরক্ষিত রাখেন। কিন্তু জাফর আলী জ্ঞাতি ভাই হয়েও তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। দেশদ্রোহী জাফর আলী আব্বাস আলীকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেয়। ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে নবাব সিরাজের বিশ্বাস ও মানবিকতার সুযোগ নিয়ে তার আত্মীয় ও অমাত্যরা ষড়যন্ত্র করে। অধিকাংশ অমাত্য অর্থ ও ক্ষমতার লোভে দেশ ও নবাবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তারা ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দিয়ে নবাবকে পরাজিত ও নির্মমভাবে হত্যা করে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের অমাত্যবর্গের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

ঘ. আপনজনের দ্বারা ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও আব্বাস আলী- মন্তব্যটি যথার্থ।

যুগে যুগে বাংলার মানুষ পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য লড়াই- সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু দেশপ্রেমিক মহান নেতারা কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বিপর্যস্ত হন। এই বিশ্বাসঘাতকেরা জাতির কাছে সব সময় ঘৃণার পাত্র।

উদ্দীপকের আব্বাস আলী নিজের জ্ঞাতি ভাইয়ের দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। বিশ্বাসঘাতক ভাই জাফর আলী নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মেলায়। নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলীকে সুকৌশলে ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকেও নবাব সিরাজউদ্দৌলা অমাত্যবর্গ ও আত্মীয়দের ষড়যন্ত্রের শিকার হন। বিশেষ করে সেনাপতি মিরজাফর তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলান। তারা নবাবকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য গোপনে ষড়যন্ত্র করেন। নবাবকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তিনি যুদ্ধ করেননি। তাদের বিশ্বাসঘাতকতাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নবাব পরাজিত হন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়।

আপন মানুষদের বিশ্বাসঘাতকতায় উদ্দীপকের আব্বাস আলী এবং আলোচ্য নাটকের নবাব সিরাজের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। তারা উভয়ই শত্রুর হাতে বন্দি হন এবং নির্মম পরিণতির শিকার হন। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৯. “ওরা গুলি ছোড়ে এ দেশের প্রাণে, দেশের দাবিকে রোখে।

ওদের ঘৃণা পদাঘাত, এ বাংলার বুকে।

ওরা এ দেশের নয়

দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়।”

ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে কয়টি অঙ্ক আছে?

খ. ‘আসামির সেই অধিকার থাকে নাকি?” উক্তি কার এবং কোন প্রসঙ্গে করেছে?

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণের ভাবার্থ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের ভাবার্থ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক।- বিশ্লেষণ কর।

৯ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে চারটি অঙ্ক আছে।

খ. মৃত্যুদণ্ডপত্রে জাফর আলি খানের স্বাক্ষর আছে কিনা তা সিরাজউদ্দৌলা দেখতে চাইলে মিরন আলোচ্য উক্তিটি করে।

১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হলে মিরকাশেমের সেনাদের হাতে সিরাজউদ্দৌলা বন্দি হন। তাঁকে জাফরগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়। তখন লর্ড ক্লাইভের প্ররোচনায় মিরন সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কারাগারে মোহাম্মদি বেগকে নিয়ে মিরন উপস্থিত হয়। মিরন নবাবকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে বললে নবাব তখন জাফর আলি খানের স্বাক্ষর করা দণ্ডাদেশপত্র দেখতে চান। নবাবের কথার উত্তরে মিরন বলে, ‘আসামির সেই অধিকার থাকে নাকি?’

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণের ভাবার্থ ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে প্রতিফলিত ইংরেজদের অত্যাচার ও শোষণের দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের দিকে ঔপনিবেশিক শাসকরা সবেচেয়ে বেশি সচেষ্ট থেকেছে। সাম্রাজ্য বিস্তারের দিকে তাদের অনেক বেশি আগ্রহ ছিল। দুর্বলকে শোষণ করাই তাদের টিকে থাকার ও অস্তিত্ব রক্ষার একমাত্র অবলম্বন।

‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে অন্যান্য ঘটনার পাশাপাশি ইংরেজদের অত্যাচার ও শোষণের দিকটি উঠে এসেছে। ইংরেজরা বাণিজ্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ দেশে আসে। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে এ দেশের মানুষদের বঞ্চিত করে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার শুরু করে। অত্যাচার ও শোষণের এই চিত্র উদ্দীপকের ভাবার্থেও প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে বাংলার মানুষের দাবি রুখে দিতে তারা বেছে নেয় ঘৃণ্যতম অত্যাচারের পথ। আলোচিত এ দিকটির সঙ্গে উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণের ভাবার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের ভাবার্থ- ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক।- উক্তিটি যথার্থ।

ধন-সম্পদের প্রাচুরে‌্য ইংরেজরা এ দেশে বাণিজ্য করতে আসে। তারপর সাম্রাজ্য বিস্তারের স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও অস্ত্রবলে এ দেশের মানুষকে শোষণ করতে চায়। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তারা পূর্বেও অনেক জাতিকে শোষণ করেছে।

উদ্দীপকের শেষ দুই চরণের ভাবার্থে ভিনদেশিদের শোষণের চিত্র ফুটে উঠেছে। তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশের সাধারণ মানুষ তথা দেশের ভাগ্য নিয়ে প্রতারণা করেছে। দেশের ভাগ্য বিক্রি করে তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়েছে। ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকেও ভিনদেশিদের শোষণের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ইংরেজরা বাণিজ্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ দেশে এলেও ধন- সম্পদের প্রাচুরে‌্য তারা সাম্রাজ্য বিস্তারের স্বপ্ন দেখে। কখনো শক্তি প্রয়োগ করে, কখনো দুর্নীতি বা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের মানুষের ভাগ্যকে সংকটের মধ্যে ফেলে তারা নিজেদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে।

‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকে ভিনদেশি ইংরেজদের ঘৃণ্য সাম্রাজ্যবাদী চেহারা প্রতিফলিত হয়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ওরা দেশের ভাগ্যকে বিক্রয় করেছে। এই তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি উদ্দীপকের দুই চরণের ভাবার্থেও প্রতিফলিত হয়েছে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

 

১০. শাহবাজপুর গ্রামের সালামত শেখপাড়ার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। মসজিদের ইমামতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে তার সমান অংশগ্রহণ। অসুস্থ কেউ তার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য দ্বারস্থ হলে তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।

ক. ‘লালসালু’ কোন ধরনের উপন্যাস?

খ. “মজিদের শক্তি ওপর থেকে আসে, আসে ঐ সালু কাপড়ে আবৃত মাজার থেকে”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সালামত শেখ এবং মজিদের মধ্যে বিরোধ কোথায়? আলোচনা কর।

ঘ. “অসুস্থ কেউ তার কাছে ঝাড়ফুকের জন্য দ্বারস্থ হলে তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।”- ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

১০ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘লালসালু’ সামাজিক সমস্যামূলক উপন্যাস।

খ. মজিদের সব ক্ষমতার উৎস যে ঐ মাজার এখানে সেটিই বোঝানো হয়েছে।

মজিদ মহব্বতনগরে পুরনো জীর্ণ কবরকে জনৈক মোদাচ্ছের পীরের কবর বলে চালিয়ে দিয়েছে, যা গ্রামের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ বিশ্বাস করেছে। সালু আবৃত মাজারটি মজিদের সব অপশাসন ও ক্ষমতার উৎস। গ্রামের ধনী ব্যক্তি খালেক ব্যাপারী গ্রামের মানুষকে শাসন করলে তাদের মনে একটু প্রতিহিংসা জাগে, অথচ মজিদের বেলায় তা জাগে না- কারণ মজিদের ক্ষমতার উৎস হলো মাজার, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় অনুভূতি। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

গ. ধর্ম ও মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে স্বার্থসিদ্ধি না করার দিকটি উদ্দীপকের সালামত এবং মজিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করেছে।

ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের অজ্ঞতা, অশিক্ষা, কুসংস্কারাচ্ছন্নতা প্রভৃতির সুযোগ নিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে। তারা ধর্মকে পুঁজি করে নিজেদের প্রয়োজন মেটায় এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে। এভাবে কুসংস্কার ও নানা রকম অন্ধবিশ্বাসে আচ্ছন্ন সমাজে তারা নিজেদের প্রভাব বজায় রাখে।

উদ্দীপকের শাহবাজপুর গ্রামের সালামত শেখ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি মসজিদের ইমামতি করেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেন। তাকে বিশ্বাস করে অনেকে ঝাড়ফুঁকের জন্য তার কাছে আসেন। কিন্তু সালামত শেখ কোনো কুসংস্কারে বিশ্বাসী নন। তাই তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষদের ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন। মসজিদের ইমাম হওয়ার পরও তিনি ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেননি। অন্যদিকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ সালামত শেখের সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের মানুষ। সে ধর্মকে পুঁজি করে জীবনের সব চাহিদা পূরণ করে। তথাকথিত মোদাচ্ছের পীরের মাজারকে আশ্রয় করে মজিদ ঘরবাড়ি, জমিজমা ও প্রতিপত্তির মালিক হয়। সে গ্রামের সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও ধর্মকে পুঁজি করে নিজের আখের গোছায়। একই কাজ উদ্দীপকের সালামত শেখের করার সুযোগ থাকলেও তিনি করেননি। তাই বলা যায়, ধর্ম ও মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে স্বার্থ সদ্ধি না করার দিকটি উদ্দীপকের সালামত শেখ এবং মজিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করেছে।

ঘ. “অসুস্থ কেউ তার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য দ্বারস্থ হলে তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেন।”- ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে উক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ।

আমাদের দেশের কিছু মানুষ অন্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজের ১ কার্য সিদ্ধি করে। তাতে কারও ক্ষতি হলো কি না সেই চিন্তা তারা করে না। মূলত তারা ধর্মকে ব্যবহার করে সহজে মানুষ ঠকায়। কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু।

উদ্দীপকে সালামত শেখ একটি মসজিদের ইমাম। তিনি ইমামতি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নেন। গ্রামের সহজ-সরল সাধারণ মানুষ তাকে বিশ্বাস করে। তাই কেউ অসুস্থ হলে তার কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য আসে। কিন্তু তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ গ্রামবাসীর কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নেয়। মজিদ পানিপড়া দিয়ে গ্রামবাসীর চিকিৎসা করে। পেটে বেড়ি পড়ার কথা বলে মাজারের চারপাশে ঘোরায়।

আলোচ্য উপন্যাসের মজিদ ধর্ম ও সাধারণ মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা করে। কিন্তু উদ্দীপকের সালামত শেখ সুযোগ থাকার পরও ধর্ম ও সাধারণ মানুষের অন্ধবিশ্বাসকে কাজে লাগাননি। বরং তিনি মানুষকে ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি তাদের ডাক্তার ও হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেছেন, যেন তারা রোগমুক্ত হতে পারে। অথচ মজিদ সত্য লুকিয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করতে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা করে। ফলে গ্রামের মানুষ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

 

১১. পারভেজ সাহেব বিদেশে গিয়ে অঢেল টাকা উপার্জন করেছেন। এলাকার রাস্তা, সেতু, মসজিদ, মন্দির তৈরিতে তার অকাতর দান রয়েছে। নিঃসন্তান পারভেজের পিতৃ-হৃদয়ের আচ্ছাদন পুরণে অনেকেই তাকে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দেন। স্ত্রী লাভলীও তাকে এ প্রস্তাব দেন। পারভেজ তার এক বোনের নবজাতককে নিজ সন্তান হিসেবে প্রতিপালন করে স্ত্রী লাভলীর মাতৃ-হৃদয়ের অতৃপ্ত বাসনা পূরণ করেন।

ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট কে?

খ. “সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুন দিল”- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের পারভেজ ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের মানসিক পার্থক্য আলোচনা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে প্রতিফলিত ইতিবাচক জীবন চেতনা ‘লালসালু’ উপন্যাসে অনুপস্থিত। “- মন্তব্যটি বিচার কর।

১১ নম্বর সৃজননশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মতলুব খাঁ।

খ .“সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুন দিল” বলতে আমেনা বিবির ওপর মজিদের প্রতিশোধ গ্রহণের ইচ্ছা পণ্ড করে দেওয়াকে বোঝানো হয়েছে।

আমেনা বিবির পীরের পানিপড়া খাওয়ার শখ হলে মজিদের মনে একটি নিষ্ঠুর রাগ দেখা দেয়। আমেনার ওপর একটি নিষ্ঠুর শাস্তি মজিদ স্থির করে রাখে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে অসময়ে আমেনা মূর্ছা গেলে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ মজিদের হাতছাড়া হয়। মজিদের ক্ষমতাকে আমেনা বিবি এতদিন উপেক্ষা করেছে আবার সেই দিনও মূর্ছা যাওয়ার সুযোগে তার ক্ষমতাকে একপ্রকার অবজ্ঞা করে গেল। মজিদকে নিষ্ঠুর আঘাতের সুযোগ দিয়েও আঘাত করতে দিল না। একেই ঔপন্যাসিক ‘সমস্ত আস্ফালনের মুখে চুল দিল’ বলে বুঝিয়েছেন।

গ. উদ্দীপকের পারভেজের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং নিঃসন্তান হওয়ার দিক থেকে সাদৃশ্য থাকলেও মানসিকতার দিক থেকে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো তার সন্তান। সন্তানের জন্য নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত থাকেন বাবা- মা। অন্যদিকে যাদের সন্তান নেই, তাদের জীবন হয়ে যায় মরুভূমি।

উদ্দীপকের পারভেজ সাহেব অনেক টাকা-পয়সার মালিক। কিন্তু তার কোনো সন্তান নেই। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনেকে এমনকি তার স্ত্রী পরামর্শ দিলেও তিনি রাজি হননি। বরং স্ত্রীর শূন্য কোল ভরিয়ে দিতে তার এক বোনের নবজাতক সন্তানকে তুলে দিয়েছেন স্ত্রীর কোলে। ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ অনেক টাকা-পয়সার মালিক। সে নিঃসন্তান হওয়ায় পুনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করে। উদ্দীপকে পারভেজ সাহেব নিজের এবং স্ত্রীর নিঃসঙ্গতা এড়িয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু উপন্যাসের মজিদের মাঝে এমন উদ্যোগ দেখা যায় না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের পারভেজের সঙ্গে উপন্যাসের মজিদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও নিঃসন্তান হওয়ার দিক থেকে সাদৃশ্য থাকলেও মানসিকতার দিক থেকে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ.উদ্দীপকে প্রতিফলিত ইতিবাচক জীবনচেতনা ‘লালসালু’ উপন্যাসে অনুপস্থিত। ” মন্তব্যটি যথার্থ।

সমাজ চলে সব মানুষের সার্বিক প্রচেষ্টায়। কিন্তু সমাজের সবাইকে বঞ্চিত করে বিশেষ এক বা দুজন যখন নীতিনির্ধারকের ভূমিকা পালন করে আর বাকিদের মতামতকে গুরুত্ব দেয় না, তখন সামাজিক ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই সমাজে উন্নতির স্পর্শ লাগে না।

উদ্দীপকে পারভেজ সাহেব নিঃসন্তান হলেও তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। বরং সন্তানের অভাব পূরণে তার এক বোনের সন্তানকে প্রতিপালন করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এমন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে উদার মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। অপরদিকে ‘লালসালু’ উপন্যাসে খালেক ব্যাপারী সম্পদশালী হলেও তার সন্তান না থাকায় প্রথম স্ত্রীকে রেখে পুনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করে সে। অন্যদিকে মজিদকেও দেখা যায় রহিমার সন্তান না হওয়ায় জমিলাকে বিয়ে করে। উপন্যাসের মজিদ কিংবা খালেক ব্যাপারী কারও মাঝেই উদার মানসিকতা দেখা যায় না। বরং সন্তান না হওয়ায় তারা দুজনই পুনরায় বিয়ে করে।

উদ্দীপকে এলাকার উন্নয়ন ও অন্যের সন্তানকে প্রতিপালনের দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে একধরনের ইতিবাচকতা ও উদারতা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ‘লালসালু’ উপন্যাসে সন্তান না হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে দেখা যায়। এছাড়া স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্যায় করতেও তারা পিছপা হয়নি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে প্রতিফলিত ইতিবাচক জীবনচেতনা ‘লালসালু’ উপন্যাসে অনুপস্থিত।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

Related Posts

তৃতীয় শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

চতুর্থ শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

পঞ্চম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও বৃত্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

ষষ্ঠ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

সপ্তম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

অষ্টম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও জেএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

নবম-দশম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

এস এস সি-২০২৫ পরীক্ষার্থীর শেষ সময়ের বেষ্ট স্পেশাল মডেল টেস্ট বাংলা ১ম

Classification of verb

Classification of verb বিস্তারিত দেখুন এখানে  SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন

Read More »

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.