Saturday, February 22, 2025

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গঠনকাঠামো নির্ধারণকারী সর্বোচ্চ আইন । ১৯৭২ সালে গঠিত কার্যত আওয়ামী লীগে র “এক দলীয়” [১] ও ‘বিতর্কিত’ [২][৩][৪] সংবিধান সভা এই গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করে এবং তা একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ইতিহাস

# গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেন প্রত্যাবর্তনের পর শুরুতেই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য সংবিধান রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান (১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন) শাসনতান্ত্রিক আদেশ/সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন।

# ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী “বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশ” জারি করেন। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারিতে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যগণ গণপরিষদের সদস্য বলে পরিগণিত হয়। জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত ৪৬৯ এর ৪০৩ জন নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। কারণ ৪৬৯ জনের মধ্যে ১২ জন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন, দালালির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন ৫ জন। দুর্নীতির জন্য আওয়ামী থেকে বহিষ্কৃত হন ৪৬ জন, ২ জন পাকিস্তার সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছিল এবং ১ জন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকুরী নেন। ৪০৩ জনের ভিতরে ৪০০ জন ছিলেন আওয়ামী লীগের, ১ জন ন্যাপের আর ২ জন ছিলেন নির্দলীয়।

# গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে ১০ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে। গণপরিষদের প্রথম স্পিকার ছিলেন শাহ আব্দুল হামিদ এবং প্রথম ডেপুটি স্পিকার ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ।

# সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গণপরিষদের ৩৪ জন সদস্য নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান কমিটি গঠিত হয়। সংবিধান কমিটির বিভিন্ন দিক:

– একমাত্র মহিলা সদস্য বেগম রাজিয়া বানু। -সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

– সংবিধান কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এজন্য ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের সংবিধানের জনক বা রূপকার বা স্থপতি বলা হয়।

সংবিধান রচনা কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করেন।

# বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১২ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে। সংবিধানের খসড়া উত্থাপন করেন ড. কামাল হোসেন।

# ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া গণপরিষদে গৃহীত হয়। এজন্য ৪ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ পালিত হয়।

# গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ই ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/BCS/Bank job/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

হস্তলিখিত সংবিধান সম্পর্কিত গুরত্বপূর্ণ তথ্য

১। মূল সংবিধানটি রচিত হয়- ইংরেজিতে এবং বাংলায় অনুবাদ করা হয়।

২। সংবিধানটি কোন কোন ভাষায় বিদ্যমান-বাংলা ও ইংরেজি।

৩। ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে-বাংলারূপ অনুসরণীয় হবে।

৪। সংবিধান রচনার পর ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কমিটি গঠন করা হয়- ড. আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মাযহারুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করে।

৫। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম হস্তলিখিত কপিটি ছিল- ৯৩ পাতার।

৬। হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন-শিল্পী আব্দুর রউফ।

৭। সংবিধানটির অঙ্গসজ্জা করেন-শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।

৮। সংবিধানটির অলংকরণের দায়িত্বে ছিলেন- শিল্পী হাশেম খান।

৯। গণপরিষদের সদস্যরা মূল সংবিধানের বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে স্বাক্ষর করেন- ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭২।

১০। গণপরিষদের কতজন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন? -৩০৯ জন।

১১। বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী (১২ জানুয়ারি, ৭২-২৪ ডিসেম্বর, ৭৩) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১২।  হস্তলিখিত মূল সংবিধানের কপিটি সংরক্ষিত আছে-বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে।

১৩। সংবিধান ছাপাতে ব্যয় হয়েছিল- ১৪ হাজার টাকা।

# গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন প্রণেতা ‘আই গাথরি’।

# ১৯৪৮ সালে তৈরী ক্র্যাবট ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপানো হয়।

উপরে দেয়া তথ্যগুলো একসাথে পেতে পিডিএফ বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে  ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের You Tube Channel Subscribe  করতে পারো এই লিংক থেকে 

READ ALSO

                       প্রস্তাবনা

বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা (Preamble of Bangladesh constitution)

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

                            প্রস্তাবনা

# আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া (জাতীয় মুক্তির জন ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে। স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;

(আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে;)

# আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;

# আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজনা বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ণ রাখা এবং এর রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য;

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

# এতদ্বারা আমাদের এই গণপরিষদে, অদ্য তের শত উনআাশি বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আঠার তারিখ, মোতাবেক উনিশ শত বাহাত্তর খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের চার তারিখে, আমরা এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করিয়া সমবেতভাবে গ্রহণ করিলাম।

             সংবিধানের ভাগঃ ১১ টি

বাংলাদেশের সংবিধানের A to Z/প্রিলি/ভাইভা/লিখিত সবার জন্য প্রযোজ্য/গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কি?

                     প্রথম ভাগ

        প্রজাতন্ত্র (THE REPUBLIC)

2025 সালের সকল বই একসাথে

১। প্রজাতন্ত্র

২। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা

২ক. রাষ্ট্রধর্ম

৩। রাষ্ট্রভাষা

8। জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক

৪ক.জাতির পিতার প্রতিকৃতি

৫ রাজধানী

৬। নাগরিকত্ব

৭। সংবিধানের প্রাধান্য

৭ক. এক সংবিধান বাতিল, স্থগিত করা অপরাধ

৭খ. সংবিধানের মৌলিক বিধানগুলো সংশোধন অযোগ্য

2025 সালের সকল বই একসাথে

                   মূলকথা

# বাংলাদেশের নাম “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” বা “People’s Republic of Bangladesh”

                   জাতীয় সংগীত

১। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলার প্রথম ১০ লাইন। মোট ২৫ লাইন। প্রথম চার লাইন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো  হয়।

২। গানটির ইংরেজি অনুবাদক সৈয়দ আলী আহসান।

৩। সংবিধানের ৪(১) নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সঙ্গীতের কথা উল্লেখ রয়েছে।

৪। গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৩রা মার্চ, ১৯৭১ সালে।

৫। জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা লাভ করে ১৯৭২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর।

৬। গানটির সুর করা হয় গগন হরকরার বাউল গানের সুর অনুসারে।

# সংবিধানের ৪(২) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় পতাকা হবে সবুজ ক্ষেত্রের উপর লাল বর্ণের বৃত্ত। পতাকার মাপ ১০:৬। মানচিত্র খচিত পতাকার ডিজাইনার ছিলেন শিব নারায়ণ দাস। জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন ছিলেন কামরুল হাসান।

মার্চ ২রা জাতীয় পতাকা দিবস। কারণ, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ নিক্ষোর শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আ.স.ম আব্দুর রব। বাংলাদেশের পতাকার সাথে মিল আছে জাপান ও পলাউ এর পতাকার।

2025 সালের সকল বই একসাথে

               জাতীয় প্রতীক

১। প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক উভয় পার্শ্বে ধানের শীষ বেষ্টিত ভাসমান শাপলা।

২। শীর্ষে একটি পাটগুচ্ছে পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা।

৩। উভয় পাশে দু’টি করে মোট চারটি তারকা। ৪। জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার হলেন কামরুল হাসান।

# ৪(ক) নং অনুচ্ছেদে জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

৬(ক) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙ্গালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশি বলে পরিচিত হবেন।

৭ (খ) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য।

2025 সালের সকল বই একসাথে

                     দ্বিতীয় ভাগ

           রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (FUNDAMENTAL PRINCIPLES OF STATE POLICY)

                     অনুচ্ছেদঃ

৮। মূলনীতি সমূহ

৯। জাতীয়তাবাদ

১০। সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি

১১।  গণতন্ত্র ও মানবাধিকার

১২। ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা

১৩। মালিকানার নীতি

১৪। কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি

১৫। মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা

১৬। গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি-বিপ্লব

১৭। অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা

১৮। জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা

১৮.ক পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

১৯। সুযোগের সমতা

২০।অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম

২১। নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য

২২। নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগ আলাদা

২৩। জাতীয় সংস্কৃতি

২৩ক. উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠি ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি

২৪। জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন প্রভৃতি

২৫। আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন

                       মূলকথা

# রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি মোট ৪ টিঃ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

# ১৫ নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা সম্পর্কে। মৌলিক চাহিদা মোট ৫. টি। খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা।

# ১৮ (২) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

# ১৮ (ক) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করবে রাষ্ট্র। # ২১ নং অনুচ্ছেদে নাগরিক এবং সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে।

#২২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের বিষয়টি। ১ লা নভেম্বর, ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয়।

#২৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি সম্পর্কে।

#জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি হবে। Friendship to all, malice to none”, এ ঐতিহাসিক বাক্যের আলোকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করা হয়

         তৃতীয় ভাগ

Eduexplain আপনাদের সেবায় সদা প্রস্তুত। Eduexplain নিয়ে যেকোনো মতামত/পরামর্শ/ থাকলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। ইনশা-আল্লাহ আমরা আমাদের সাধ্যমত শিক্ষা/চাকরির জন্য যা যা দরকার তা এখানে অন্তভুক্ত করা হবে।

মৌলিক অধিকার (FANDAMENTAL RIGHTS)

                    অনুচ্ছেদঃ

২৬। মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আইন বাতিল

২৭। আইনের দৃষ্টিতে সমতা

২৮। ধর্ম প্রভৃতি কারণে বৈষম্য

২৯। সরকারি নিয়োগলাভে সমান সুযোগ

৩০। বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধ

৩১। আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার

৩২। জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ

৩৩। গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ

৩৪। জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ

৩৫। বিচার ও দত্ত সম্পর্কে রক্ষণ

৩৬। চলাফেরার স্বাধীনতা

৩৭। সমাবেশের স্বাধীনতা মূলকথা

৩৮। সংগঠনের স্বাধীনতা

৩৯। চিন্তা ও বিবেকের এবং বাক স্বাধীনতা ৪০। পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা

৪১। ধর্মীয় স্বাধীনতা

৪২। সম্পত্তির অধিকার

৪৩। গৃহ ও যোগাযোগের সংরক্ষণ

88। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ

৪৫। শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন

৪৬। দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা

৪৭। কয়েকটি আইনের হেফাজত

৪৭ক. সংবিধানের কিছু বিধানের অপ্রযোজ্যতা

উপরে দেয়া তথ্যগুলো একসাথে পেতে পিডিএফ বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে  ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের You Tube Channel Subscribe  করতে পারো এই লিংক থেকে 

                         মূলকথা

# ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাত করবেন।

# ২৯ (৩) নং আনুচ্ছেদে সরকারি চাকুরীতে কোটা পদ্ধতি সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

# ৩০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বিদেশী খেতাব, সম্মান, পুরস্কার বা ভূষণ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতির পূর্ব অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

# ৩৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কারণ না জানিয়ে আটক রাখা যাবে না। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে হাজির করতে হবে।

# এই ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা বলবৎ করার জন্য সংবিধানের ১০২ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে মামলা করা হয়। একে রীট বলা হয়।

# ৪৭ (৩) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার।

Eduexplain আপনাদের সেবায় সদা প্রস্তুত। Eduexplain নিয়ে যেকোনো মতামত/পরামর্শ/ থাকলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। ইনশা-আল্লাহ আমরা আমাদের সাধ্যমত শিক্ষা/চাকরির জন্য যা যা দরকার তা এখানে অন্তভুক্ত করা হবে।

                            চতুর্থ ভাগ

নির্বাহী বিভাগ (EXECUTIVE THE)

(প্রথম পরিচ্ছেদঃ রাষ্ট্রপতি)

অনুচ্ছেদঃ

৪৮। রাষ্ট্রপতি

৪৯ ক্ষমা-প্রদর্শনের অধিকার

৫০। রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ

৫১। রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি

৫২। রাষ্ট্রপতির অভিশংসন

৫৩। অসামর্থ্যের করণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ  ৫৪। অনুপস্থিতি ও অন্যান্য সময়ে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পীকার

2025 সালের সকল বই একসাথে

      মূলকথা: (৪৮ থেকে ৫৪ নং অনুচ্ছেদ)

# ৪৮ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হন। ৪৮ (২) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির স্থান সবার উপরে। ৫৬ (৩) ও ৯৫ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া অন্যান্য সব কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ গ্রহণ করেন।

# ৪৮ (৪) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি হবার যোগ্যতাঃ

ক। বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে।

খ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।

গ। কখনো অভিসংশিত হওয়া যাবে না।

# ৫০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য। সেটা পরপর দুবার বা বিরতি দিয়ে দুবার হতে পারে। ৫১ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি জবাবদিহিতা থেকে দায়মুক্ত এবং কোন ফৌজদারী আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা যাবে না।

# রাষ্ট্রপতির অভিসংশনঃ ৫২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংবিধান লঙ্ঘন এবং গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগে সংসদের দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অভিসংশন করা যায়। এছাড়াও ৫৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতিকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যায়।

# ৫৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে স্পীকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

Eduexplain আপনাদের সেবায় সদা প্রস্তুত। Eduexplain নিয়ে যেকোনো মতামত/পরামর্শ/ থাকলে আমরা তা সাদরে গ্রহণ করব। ইনশা-আল্লাহ আমরা আমাদের সাধ্যমত শিক্ষা/চাকরির জন্য যা যা দরকার তা এখানে অন্তভুক্ত করা হবে।

               দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

2025 সালের সকল বই একসাথে

প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা (THE PRIMEMINISTER AND THE CABINET)

                     অনুচ্ছেদঃ

৫৫. মন্ত্রিসভা

৫৬. মন্ত্রিগণ

৫৭. প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ

৫৮. অন্যান্য মন্ত্রীর

      মূলকথা: (৫৫ থেকে ৫৮ নং অনুচ্ছেদ)

# ৫৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর দ্বারা নির্ধারিত মন্ত্রীদের নিয়ে একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।

# ৫৬ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদেরকে নিয়োগ প্রদান করবেন। নয় দশমাংশ সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে এবং এক দশমাংশ টেকনোক্রাট সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন।

# ৫৭ নং এবং ৫৮ নং অনুচ্ছেদে যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

2025 সালের সকল বই একসাথে

            তৃতীয় পরিচ্ছেদ-বিলুপ্ত

স্থানীয় শাসন (LOCAL GOVERNMENT)

         অনুচ্ছেদঃ

৫৯। স্থানীয় শাসন

৫০। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা

2025 সালের সকল বই একসাথে

                    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (THE DEFENCE SERVICES)

                অনুচ্ছেদঃ

৬১। সর্বাধিনায়কতা

৬২। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি

৬৩। যুদ্ধ

মূলকথা: (৬১ থেকে ৬৩ নং অনুচ্ছেদ)

ক। ৬৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে যুদ্ধ ঘোষণা করে জাতীয় সাংসদ।

            পঞ্চম পরিচ্ছেদ

অ্যাটর্নি জেনারেল (THE ATTORNEY GENERAL)

2025 সালের সকল বই একসাথে

                       অনুচ্ছেদঃ

৬৪. অ্যাটর্নি জেনারেল

    মূলকথা: (৬৪ নং অনুচ্ছেদ)

ক। নিয়োগঃ ৬৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। খ। সংজ্ঞাঃ রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলে।

গ। যোগ্যতাঃ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য হতে হবে।

ঘ। ক্ষমতা: বাংলাদেশের সকল আদালতে তাঁর বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকবে। মেয়াদ ও পারিশ্রমিক। রাষ্ট্রপতির দেওয়া সময় সীমা পর্যন্ত তাঁর পদে বহাল থাকবেন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারক পারিশ্রমিক লাভ করবেন।

ঙ। বাংলাদেশে সাধারণত বাংলাদেশে ১ জন অ্যাটর্নি জেনারেল, ২ জন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ৩৭ জন ডেপুটি জেনারেল, ৭৬ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আছেন।

2025 সালের সকল বই একসাথে

                     পঞ্চম ভাগ

                   আইন বিভাগ

 

              (প্রথম পরিচ্ছেদঃ সংসদ)

                          অনুচ্ছেদঃ

৬৫। সংসদ প্রতিষ্ঠা

৬৬। সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা

৬৭। সাংসদের আসন শূন্য হওয়া

৬৮। সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক

৬৯। শপথের আগে আসন গ্রহণ বা ভোট দিলে অর্থদন্ড

৭০। রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া

৭১।  দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা

৭২. সংসদের অধিবেশন

৭৩। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী

৭৩ক. সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার ৭৪। স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার

৭৫। কার্যপ্রাণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি

৭৬। সংসদে স্থায়ী কমিটিসমূহ

৭৭। ন্যায়পাল

৭৮। সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ-অধিকার ও দায়মুক্তি

৭৯। সংসদ-সচিবালয়

মূলকথা: (৬৫ থেকে ৭৯ নং অনুচ্ছেদ)

# ৬৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশের একটি জাতীয় সংসদ থাকবে। বাংলাদেশের সংসদের নাম “জাতীয় সংসদ”। এর কাজ আইন প্রণয়ন করা। নির্বাচিত আসন ৩০০ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন ৫০ টি।

জাতীয় সংসদ সম্পর্কীয় প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ

2025 সালের সকল বই একসাথে

ক। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কান।

খ। জাতীয় সংসদ ভবনের উচ্চতা নয় তলা (১৫৫ ফুট ৮ ইঞ্চি বা ৪৬.৫০ মিটার)

গ। জাতীয় সংসদ ভবনের এরিয়া ২০৮ একর মতান্তরে ২১৫ একর।

ঘ। পরিবর্তিত নকশা সম্পন্ন করেন হেনরি উইলকট।

ঙ। উদ্বোধন করেনঃ প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার (১৯৮২)

চ। সর্বাধিক সংসদীয় আসন ঢাকায় (২০টি) ছ। সবচেয়ে কম আসন রাঙ্গামাটি (১টি), বান্দরবান (১টি) এবং খাগড়াছড়ি (১টি)

জ। জাতীয় সংসদের ১ নং আসন পঞ্চগড় (তেতুলিয়া)

ঝ। জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসন বান্দরবান।

৬৬ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা নিম্নরূপ:

ক। সাংসদ হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

খ। ২৫ বছর বয়স হতে হবে।

গ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত ও থাকবার যোগ্য হতে হবে।

2025 সালের সকল বই একসাথে

৬৬ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্যতা নিম্নরূপ:

ক। আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা।

খ। দেউলিয়া ঘোষণা হওয়ার পর দায় থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত।

গ। বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন ও বিদেশী রাষ্ট্রের আনুগত্য স্বীকার।

ঘ। ফৌজদারী আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তি লাভের পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত।

ঙ। ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে কোন অপরাধ দণ্ডিত হলে।

চ। প্রজাতন্ত্রের কোন লাভজনক পদে কর্মরত/নিযুক্ত থাকলে।

৬৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদের আসন শূন্য হওয়ার কারণ:

ক। সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণে ব্যর্থ হলে।

খ। সংসদের অনুমতি ছাড়া একাদিক্রমে ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে।

গ। সংসদ ভেঙ্গে গেলে।

# শপথ গ্রহণের পূর্বে ভোট প্রদান বা আসন গ্রহণ করলে অর্থদণ্ডের পরিমাণ ১০০০ টাকা।

#ফ্লোরক্রসিং: রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোট প্রদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া। (৭০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে)

#রাষ্ট্রপতি ৭২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ আহবান, স্থগিত এবং ভঙ্গ করতে পারেন এবং ৭৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ আহবান, স্থগিত ও ভঙ্গ করতে পারেন।

#৭৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নিয়োগ করেন।

2025 সালের সকল বই একসাথে

# কাস্টিং ভোট: সংসদে স্পীকারের ভোটকে কাস্টিং ভোট বলে। (৭৫ নং অনুচ্ছেদ)

# কোরাম-৬০ (ষাট) জনে কোরাম হয়। সংসদের বৈঠক চলাকালে কমপক্ষে ঘাট জন সংসদ সদস্য উপস্থিত না হলে স্পীকার বৈঠক স্থগিত বা মূলতরী করবেন।

# ৭৬ নং অনুচ্ছেদে সংসদের স্থায়ী কমিটি সমূহের কথা বলা হয়েছে। সংসদ সদস্যদেরকে নিয়ে নিম্নলিখিত তিন ধরনের কমিটি গঠন করা হয়

ক। সরকারি হিসাব কমিটি

খ। বিশেষ অধিকার কমিটি

গ। সংসদের কার্য-প্রণালী বিধিতে নির্দিষ্ট অন্যান্য স্থায়ী কমিটি।

2025 সালের সকল বই একসাথে

# ন্যায়পাল (৭৭ নং অনুচ্ছেদ)। বাংলাদেশ সংবিধানে ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন ন্যায়পাল নিয়ে করা হয়নি। বাংলদেশ সংসদে ন্যায়পাল আইন পাশ হয় ১৯৮০ সালে।

ক। ন্যায়পাল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনজ্ঞ ব্যক্তি/কর্তৃপক্ষ।

খ। সংসদ ন্যায়পাল পদ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ন্যায়পাল কোন মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মচারী বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের কাজের তদন্ত করতে পারবে।

গ। সুইডিশ শব্দ “Ombudsman” অর্থ ন্যায়পাল।

ঘ। বিশ্বে প্রথম ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠিত হয় সুইডেনে, ১৮০৯ সালে

ঙ। ভারতে ন্যায়পালের নাম লোকপাল।

চ। ইতালিতে ন্যায়পালের নাম “ডিফেন্স সিভিকো”।

ছ। পাকিস্তানে ন্যায়পালের নাম “ওয়াকফি মোহতাসিব”।

জ। শ্রীলঙ্কা এবং ব্রিটেনে এর নাম “পার্লামেন্টারী কমিশনার”।

ঝ। জাতিসংঘের প্রথম ন্যয়পাল প্যাট্রেসিয়া ডুরাই (১৯৮০)

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

আইন প্রণয়ন ও অর্থ সংক্রান্ত পদ্ধতি (LEGISLATIVE AND FINANCIAL PROCEDURES)

                           অনুচ্ছেদঃ

৮০। আইন প্রণয়ন-পদ্ধতি

৮১। অর্থবিল

৮২। আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ

৮৩। সংসদের আইন ব্যাতীত করারোপে বাধা ৮৪। সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রে সরকারি হিসাব

৮৫। সরকারি অর্থের নিয়ন্ত্রণ

৮৬। প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাবে প্রদেয় অর্থ ৮৭। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি

৮৮। সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায়

৮৯। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি ৯০। নির্দিষ্টকরণ আইন

৯১। সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী

৯২। হিসাব, ঋণ ইত্যাদির উপর ভোট

     মূলকথা: (৮০ থেকে ৮৬ নং অনুচ্ছেদ)

#৮১ নং অনুচ্ছেদে অর্থবিল সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। সরকারের অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত আছে এ ধরণের যে কোন বিলতে অর্থবিল বলা হয়। অর্থবিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন হয়।

#৮৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বাজেট ঘোষণা করা হয়। সরকারের এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশকে বাজেট বলে। বাজেট সম্পর্কিত আরও কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য-

ক. পৃথিবীর প্রথম বাজেটঃ ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়।

খ. স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেনঃ তাজউদ্দিন আহমদ (৩০ জুন, ১৯৭২) গ. উপমহাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেনঃ লর্ড ক্যানিং।

ঘ. বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী বাজেট ঘোষণাকারীঃ এম সাইফুর রহমান (১২ টি)

ঙ. বাংলাদেশের বাজেটের ধরন: ঘাটতি বাজেট।

চ. ৯১ নং অনুচ্ছেদ সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।

                তৃতীয় পরিচ্ছেদ

                      অনুচ্ছেদঃ

১৩. অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা

                  মূলকথা

# রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে সংসদ এবং সংসদ অধিবেশনে না থাকলে রাষ্ট্রপতি যে আদেশ জারি করেন তা অধ্যাদেশ হিসেবে পরিচিত।

# সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাদেশটি পাস করলে আইনে পরিণত হবে। অন্যথায় এর কার্যকারিতা নষ্ট হবে।

                         ষষ্ঠ ভাগ

      বিচার বিভাগ (THE JUDICIARY)

   প্রথম পরিচ্ছেদঃ সুপ্রীম কোর্ট (THE SUPREME COURT)

                    অনুচ্ছেদঃ

৯৪। সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা

৯৫। বিচারক-নিয়োগ

৯৬। বিচারকদের পদের মেয়াদ

৯৭। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি-নিয়োগ

৯৮। সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ

৯৯। বিচারকদের অক্ষমতা

১০০। সুপ্রীম কোর্টের আসন

১০১। হাইকোর্টের এখতিয়ার

১০২। কিছু আদেশ ও নির্দেশ দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের ক্ষমতা

১০৩। আপিল বিভাগের ক্ষমতা

১০৪। আপিল বিভাগের পরোয়ানা জারি ও নির্বাহ

১০৫। আপিল বিভাগ দ্বারা রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা

১০৬। সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক ক্ষমতা  ১০৭। সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা  ১০৮। কোর্ট অব রেকর্ডরূপে সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা

১০৯। আদালতের ওপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ   ১১০। নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টের মামলা স্থানান্তর

১১১। সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকারিতা

১১২। সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা

১১৩। সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীবৃন্দ মূলকথা

(৯৪ থেকে ১১৩ নং অনুচ্ছেদ)

৯৪ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুপ্রীম কোর্ট সম্পর্কে কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ তথ্য:

ক. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্ট। এটি আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত।

খ. প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকদের নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট গঠিত।

গ. প্রধান বিচারপতি এবং আপীল বিভাগে নিযুক্ত অন্যান্য বিচারকগণ আপীল বিভাগে আসন গ্রহণ করবেন। অন্যান্য বিচারকগণ শুধু হাইকোর্ট বিভাগে আসন গ্রহণ করবেন। ঘ. বর্তমানে আপীল বিভাগে বিচারক সংখ্যা ০৯ জন।

৯৫ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন এবং প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে অন্যান্য বিচারক নিয়োগ করেন। বিচারক পদে নিয়োগলাভের যোগ্যতাসমূহঃ

ক. বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

খ. সুপ্রীম কোর্টে ন্যূনতম ১০ বছর এডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গ. সুপ্রীম কোর্টে বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

ঘ. বিচারক পদে সর্বোচ্চ ৬৭ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। ৯৬ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে।

ঙ. ৯৬(২) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের সমর্থনের মাধ্যমে বিচারপতিকে কোন অসদাচরণ বা

অসামর্থ্যের জন্য তার পদ থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে।

চ. সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) আইন, ২০১৪ (২০১৪ সালের ১৩ নং আইন) দ্বারা সংশোধিত।

              দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

নিম্ন আদালত (SUBORDINATE COURTS)

১১৪। অধস্তন বা নিম্ন আদালত প্রতিষ্ঠা

১১৫। নিম্ন আদালতে নিয়োগ

১১৬। নিম্ন আদালতে নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা

১১৬ক. বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের স্বাধীনতা

                 তৃতীয় পরিচ্ছেদ

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (ADMINISTRATIVE TRIBUNALS)

                      অনুচ্ছেদঃ

১১৭। প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল

             প্রাসঙ্গিক কথা

অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৮০ বলে বাংলাদেশে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত ব্যক্তির চাকুরি (চাকুরী সম্পর্কিত যে কোন বিরোধ) সম্পর্কিত বিষয়ে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়। প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি তার কর্তৃপক্ষের গৃহীত যেকোন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পায়ে। তবে প্রতিরক্ষা বিভাগের চাকুরীতে কর্মরত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ সংজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে একটি প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও বিধান রাখা হয়েছে। আপীলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য হবেন ৩ জন। চেয়ারম্যান হবেন এমন এক ব্যাক্তি যিনি সুপ্রীম কোর্টের বিচারক বা বিচারক হওয়ার যোগ্য অথবা প্রজাতন্ত্রে কর্মরত একজন কর্মকর্তা যায় পদমর্যাদা সরকারের সচিবের নিচে নয়। অপর দুজন সদস্যের মধ্যে একজন হবেদ এমন ব্যক্তি যিনি প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত এবং যার পদমর্যাদা যুগ্মসচিবের নিচে নয়। অপর সদস্য হবেন একজন জেলা জজ।

বিভিন্ন পদে নির্বাচনে ন্যূনতম বয়স

ক। রাষ্ট্রপতির ন্যূনতম বয়স -৩৫ বছর

খ।  প্রধানমন্ত্রীর ন্যূনতম বয়স- ২৫ বছর

গ। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী ন্যূনতম বয়স- ২৫ বছর

ঘ। স্পীকারের ন্যূনতম বয়স বয়স ২৫ বছর

                     সপ্তম ভাগ

               নির্বাচন (ELECTION)

                    অনুচ্ছেদঃ

১১৮। নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা

১১৯। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব

১২০। নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীবৃন্দ

১২১। প্রতি এলাকার একটি মাত্র ভোটার তালিকা

১২২। ভোটার তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা  ১২৩। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়

১২৪। নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের আইন তৈরির ক্ষমতা

১২৫। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা ১২৬। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তা

                      অষ্টম ভাগ

        মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক

                         অনুচ্ছেদঃ

১২৭. মহা হিসাব নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা ১২৮. মহা হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব

১২৯. মহা হিসাব নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ ১৩০. অস্থায়ী মহা হিসাব নিরীক্ষক

১৩১. প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষার আকার ও পদ্ধতি

১৩২. সংসদে মহা হিসাব নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন

                     নবম ভাগ

বাংলাদেশের কর্মবিভাগ (THE SERVICES OF BANGLADESH)

                প্রথম পরিচ্ছেদ

          কর্মবিভাগ (SERVICES)

                    অনুচ্ছেদঃ

১৩৩। নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী

১৩৪। কর্মের মেয়াদ

১৩৫। অসামরিক সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত ইত্যাদি

১৩৬।কর্মবিভাগ পুনর্গঠন দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

            দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

           সরকারি কর্ম কমিশন

                      অনুচ্ছেদঃ

১৩৭। কমিশন-প্রতিষ্ঠা

১৩৮। সদস্য-নিয়োগ

১৩৯। পদের মেয়াদ

১৪০। কমিশনের দায়িত্ব

১৪১। বার্ষিক রিপোর্ট

              ‌‌নবম ক ভাগ

জরুরী বিধানাবলী (EMERGENCY PROVISIONS)

               অনুচ্ছেদঃ

১৪১ক. জরুরী-অবস্থা ঘোষণা

১৪১খ. জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ স্থগিত

১৪১গ. জরুরী অবস্থায় মৌলিক অধিকারগুলো

              দশম ভাগ

সংবিধান সংশোধন (AMENDMENT OF THE CONSTITUTIONS)

                     অনুচ্ছেদঃ

১৪২। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা

              একাদশ ভাগ

অন্যান্য (MISCELLANEOUS)

                      অনুচ্ছেদঃ

১৪৩। প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি

১৪৪। সম্পত্তি, ব্যবসা ইত্যাদি নির্বাহী কর্তৃত্ব ১৪৫। চুক্তি ও দলিল

১৪৫ক. আন্তর্জাতিক চুক্তি

১৪৬। বাংলাদেশের নামে মামলা

১৪৭। কতিপয় কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিক ইত্যাদি

১৪৮। পদের শপথ

১৪৯। প্রচলিত আইনের হেফাজত

১৫০। ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধান

১৫১। রহিতকরণ

১৫২। ব্যাখ্যা

১৫৩। প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ

    কে কাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন?

#রাষ্ট্রপতি শপথ বাক্য পাঠ করাবেন-

ক.প্রধানমন্ত্রী

খ.মন্ত্রীগণ

গ.প্রতিমন্ত্রী

ঘ.উপমন্ত্রীগণ

ঙ.স্পিকার

চ.ডেপুটি স্পিকার

ছ.প্রধান বিচারপতি

#প্রধানমন্ত্রী শপথ বাক্য পাঠ করাবেন-

ক.সিটি কর্পোরেশনের মেয়র

খ.জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

#স্পীকার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন-

ক.রাষ্ট্রপতি

খ.সকল সংসদ সদস্য

#প্রধান বিচারপতি শপথ বাক্য পাঠ করাবেন-

ক.মহা হিসাব- নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক

খ.প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগন

গ.সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ

ঘ.কর্মকমিশনের সদস্যগ

  সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান

১. অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ( চতুর্থ ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৬৪

২. জাতীয় সংসদ  (পঞ্চম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৬৫(১)

৩. সুপ্রীম কোর্ট (ষষ্ঠ ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৯৪(১)

৪.নির্বাচন কমিশন (সপ্তম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১১৮ (১) :

৫. কমিশন মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (অষ্টম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১২৭

৬. সরকারী কর্ম (নবম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১৩৭

                 সাংবিধানিক পদ

১. রাষ্ট্রপতি  (চতুর্থ ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৪৮

২. প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রী (চতুর্থ ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৫৬ (১)

৩. অ্যাটর্নি জেনারেল (পঞ্চম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৬৪

৪. সংসদ-সদস্যগণ (পঞ্চম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৬৫(২)

৫. স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার (পঞ্চম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৭৪

৬. ন্যায়পাল  (পঞ্চম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৭৭

৭. প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতি (ষষ্ঠ ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ৯৪(২)

৮. নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারগণ (সপ্তম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১১৮ (১)

৯. মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (অষ্টম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১২৭(১)

১০. সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান  (নবম ভাগ) অনুচ্ছেদ নং ১৩৮(১)

          তফসিল

প্রথম তফসিল : অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন

দ্বিতীয় তফসিল : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা

চতুর্থ তফসিল : ক্রান্তিকাল ও অস্থায়ী বিধানমালা

পঞ্চম তফসিল : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ

ষষ্ঠ তফসিল : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা

সপ্তম তফসিল : ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ এর মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা

     জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

ক। ইনডেমনিটি বিল প্রণয়ন: সংবিধানের ৪৬ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদ ইনডেমনিটি বিল প্রণয়ন করতে পারে।

খ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: সংবিধানের ৪৮ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি, আইন অনুযায়ী জাতীয়-সংসদগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন।

গ। রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সংবিধানের ৫২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের অভিযোগ আনতে পারে। ৫২ (৪) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, আনীত অভিশংসনের অভিযোগের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য ভোট প্রদান করলে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হবে।

ঘ। মন্ত্রিসভার জবাবদিহিতা: সংবিধানের ৫৫(৩) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকবে।

ঙ। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন: সংবিধানের ৫৬ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিবে। তবে তিনি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হবেন।

চ। যুদ্ধ ঘোষণা: সংবিধানের ৬৩ (২) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের সম্মতি ব্যতীত যুদ্ধ ঘোষণা করা যাবে না কিংবা প্রজাতন্ত্র কোন যুদ্ধে অংশগ্রণ করবে না।

ছ। নারী আসন সংরক্ষণ: সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক পঞ্চাশ মহিলা-সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। সংবিধানের (১৫ তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নীত করা হয়।

জ। সংসদ সদস্যপদ বাতিলকরণ: সংবিধানের ৬৭ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংসদ সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

ঝ। ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের ৭৭ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংসদ আইনের দ্বারা ন্যায়পালের পদ-প্রতিষ্ঠার বিধান করতে পারে।

ঞ। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা: সংবিধানের ৮০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রের জন্য আইন প্রণয়ন করতে পারে।

ট। সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা: ৮৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের কোন আইনের দ্বারা বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোন কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাবে না।

ঠ। বাজেট ঘোষণা: সংবিধানের ৮৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যেক অর্থ-বছর সম্পর্কে উক্ত বছরের জন্য সরকারের অনুমিত আয় ও ব্যয় সম্বলিত একটি বিবৃতির সংসদে  উপস্থাপিত হবে।

ড। অধ্যাদেশ জারি: সংবিধানের ৯৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ অধ্যাদেশ জারির বৈধতা দেয়।

ঢ়। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল: ১১৭ (১) নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক জাতীয় সংসদ এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠ করতে পারবে।

ণ। সংবিধান সংশোধন: ১৪২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট গৃহীত না হলে তা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হবে না।

ত। আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুমোদন: ১৪৫ক নং অনুচ্ছেদ অনুসারে বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করবার ব্যবস্থা করবেন।

           সংবিধানের দিনলিপি

ক। রাষ্ট্রপতি অর্থবিলে সম্মতি দিবেন কত দিনের মধ্যে-৭ দিন

খ। রাষ্ট্রপতি অর্থবিল ব্যতীত অন্যান্য বিলে সম্মতি দিবেন কত দিনের মধ্যে-১৫ দিন

গ। সাধারণ নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার কত দিনের মধ্যে সংসদ আহ্বান করতে হবে?- ৩০ দিন

ঘ। এক অধিবেশন শেষ ও অন্য অধিবেশনের বৈঠক বিরতি কত দিনের বেশি হবে না- ৬০ দিন

ঙ। নির্বাচিত এমপিদের শপথ দিতে হবে সংসদের প্রথম বৈঠক হতে কত দিনের মধ্যে-৯০ দিন

চ। সংসদের অনুমতি ব্যতীত কত দিন অনুপস্থিত থাকলে সংসদে আসন শূন্য হবে-  ৯০ দিন

ছ। জরুরী অবস্থা জারির দিন থেকে কত দিন কার্যকর থাকবে- ১২০ দিন

সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী

ক্ষমতা ও কার্যাবলীর ধরন পায়:

ক। সাধারণ এখতিয়ার: এটি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের ক্ষমতা।(১০১ নং অনুচ্ছেদ)

খ। রিট জারির এখতিয়ার: এটি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের ক্ষমতা।(১০২ নং অনুচ্ছেদ)

গ। আপীল বিভাগের এখতিয়ার: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে আপীল করা যায়।(১০৩ নং অনুচ্ছেদ)

ঘ। পুনর্বিবেচনার এখতিয়ার: আপীল বিভাগ তার নিজস্ব রায় পুনর্বিবেচনা করতে পারে।(১০৫ নং অনুচ্ছেদ)

ঙ। রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা: আপীল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এবং সুপ্রীম কোর্টের যে কোন বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন অধস্তন সকল আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।(১১১ নং অনুচ্ছেদ)

চ। সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা প্রদান: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সুপ্রীম কোর্ট সহায়তা প্রদান করবে।(১১২ নং অনুচ্ছেদ)

ছ। তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা: অধস্তন সকল (আদালত ও ট্রাইব্যুনালের) উপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে।(১০৯ নং অনুচ্ছেদ)

জ। বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা: সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এবং হাইকোর্ট বিভাগ অধস্তন আদালতের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।(১০৭ নং অনুচ্ছেদ)

ঝ। মামলা হস্তান্তরের অধিকার: হাইকোর্ট বিভাগ প্রয়োজনে অধস্তন আদালত হতে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে আসতে পারবে।(১১০ নং অনুচ্ছেদ)

ঞ। কোর্ট অব রেকর্ড: সুপ্রীম কোর্ট ‘কোর্ট অব রেকর্ড’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কোর্ট অব রেকর্ড বলতে সাধারণ নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করা এবং তার প্রমাণস্বরূপ রেকর্ডভুক্ত করা।(১০৮ নং অনুচ্ছেদ)

   প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলী

ক। সার্বিক ক্ষমতার অধিকারী: যাবতীয় নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে।(৫৫(২) নং অনুচ্ছেদ)

খ। মন্ত্রিসভার সর্বেসর্বা: প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করবেন, সেরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।(৫৬(১)নং অনুচ্ছেদ)

গ। নির্বাহী কর্তা: রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ব্যতীত সকল কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মত করবেন।(৪৮(৩))নং অনুচ্ছেদ)

ঘ। আইনসভার প্রধান: প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক লিখিতভাবে প্রদত্ত পরামর্শ মোতাবেক রাষ্ট্রপতি সংসদ আহ্বান, স্থগিত এবং ভঙ্গ করবেন।(৭২(১) নং অনুচ্ছেদ)

ঙ। জরুরী অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর: ১৪১ক এর ১ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জরুরী অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন।

             সংবিধানের সংশোধনী সমূহ

  সংবিধানের দশম ভাগের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন। এই পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে।

          প্রথম (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার)

যুদ্ধাপরাধীসহ অন্যান্য গণবিরোধীদের বিচার নিশ্চিত করতে মনোরঞ্জন ধর সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ১৫ জুলাই ১৯৭৩ সালে পাস হয় এবং ১৭ জুলাই ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

              দ্বিতীয় (জরুরী অবস্থা)

অভ্যন্তরীণ/বহিরাক্রমনের গোলযোগে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হলে সে অবস্থায় ‘জরুরি অবস্থা ‘ঘোষণার বিধান নিশ্চিত করতে মনোরঞ্জন ধর সংসদে ২য় সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ সালে পাস হয় এবং ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ সালে এতে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেয়।

                 তৃতীয় (সীমান্ত চুক্তি)

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়িকে ভারতের নিকট হস্থান্তরের বিধান রেখে সংসদে তৃতীয় সংশোধনী বিল উত্থাপন করে মনোরঞ্জন ধর। বিলটি ২৩ নভেম্বর ১৯৭৪ সালে পাস হয় এবং ২৭ নভেম্বর ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

            চতুর্থ (রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন)

সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু ও বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন করতে মনোরঞ্জন ধর এ বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে পাস হয় এবং ঐ দিনই রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

   পঞ্চম (জিয়াউর রহমান সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বৈধতা দান)

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সরকারের যাবতীয় কর্মকান্ড বৈধতা দান করতে শাহ আজিজুর রহমান সংসদে এ সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি ৬এপ্রিল ১৯৭৯ সালে সংসদে পাস হয় এবং ঐ দিনই রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

    ষষ্ঠ (সাত্তারকে উপরাষ্ট্রপতি থেকে রাষ্ট্রপতি বানানোর জন্য)

উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করতে শাহ আজিজুর রহমান এ সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেন বিচারপতি আব্দুস। সাত্তারের জন্য এই সংশোধনী আনা হয়। বিলটি ৮ জুলাই ১৯৮১ সালে পাস হয় এবং ৯ জুলাই ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

      সপ্তম (সামরিক কর্মকান্ডের বৈধতা)

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ফরমান ঘোষিত সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালীন প্রণীত সকল ফরমান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের আদেশ, নির্দেশ, অধ্যাদেশসহ অন্যান্য আইন অনুমোদন করার জন্য বিচারপতি এ কে এম নুরুল

সেলার এটি উত্থাপন করেন। বিলটি ১০ই নভেম্বর ১৯৮৬ সালে পাস হয় এবং একই দিনে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

অষ্টম (ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দান)

রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতিদান এবং ঢাকার বাইরে ৬টি জেল হাইকোর্টের স্থায়ী বেজ স্থাপন, Ducca এর নাম Dhaka এবং Benga এর নাম Bangla পরিবর্তন করতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এই সংশোধন বিলটি আনে। বিলটি ৭ জুন ১৯৮৮ সালে পাস হয় এবং ৯ জুন ১৯৮৮ সা অনুমোদন দেয়।

     নবম (রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন)

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাথে একই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান কর রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তিকে পর পর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এ সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ১০ জুলাই ১৯৮৯ সালে পাস হয় ও ১১ জুলাই ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

  দশম (সংসদে নারীদের জন্য ৩০ টি আসন)

রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপরি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩ (২) অনুচ্ছেদের বাংলা ভাষ্য সংশোধন সংসদে মহিলাদের ৩০টি আসন আরো ১০ বছরের জন্য সংরক্ষনের বিধম নিশ্চিত করতে হাবিবুল ইসলাম এ বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি ১২ জুন ১৯৯০ সালে পাস হয় এবং ২৩ জুন ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

একাদশ (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে

স্বপদে ফিরে যাবার বিধান)

অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের স্বপদে ফিরে যাবার বিধান রেখে মীর্জা গোলাম হাফিজ এ সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন। বিলটি ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালে পাস হয় ও ১০ আগস্ট ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি এরে অনুমোদন দেয়।

    দ্বাদশ (সংসদীয় পদ্ধতিতে সরকার পুনঃপ্রবর্তন)

সংসদীয় পদ্ধতিতে সরকার পুনঃপ্রবর্তন, উপ রাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্তির জন খালেদা জিয়া এ বিলটি উত্থাপন করেন। এ সংশোধনী অনুসারে অধিবেশন বিরতি ৬০ দিনের বেশি হবে না। বিলটি ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালে পাস হয় এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

      ত্রয়োদশ (তত্ত্বাবধায়ক সরকার)

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান রেখে বিলটি জমিরউদ্দিন উত্থাপন করেন। বিলটি ২৭ মার্চ ১৯৯৬ সালে পাস হয় এবং ২৮ মার্চ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

  চতুর্দশ (নারীদের জন্য ৪৫ টি আসন সংরক্ষণ)

নারীদের জন্য ৪৫ আসন সংরক্ষণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংরক্ষণ, অর্থ বিল, সংসদ সদস্যের শপথ, সাংবিধানিক বিভিন্ন পদের বয়স বৃদ্ধি এসব নিয়ে এ বিলটি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি ১৬ মে ২০০৪ সালে পাস হয় এবং ১৭ মে ২০০৪ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়। PSC মেম্বারদের অবসরের সময়সীমা ৬২ এর পরিবর্তে ৬৫ এবং বিচারকদের ৬৫ এর পরিবর্তে ৬৭ করা হয়।

       পঞ্চদশ (কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়)

প্রস্তাবনার সংশোধন, ৭২ এর মূলনীতি পুনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত, নারীদের জন্য ৫০ আসন সংরক্ষণ, ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি, জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ, এসব বিষয়ে এক সংশোধনী বিল উত্থাপন করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বিলটি ৩০ জুন ২০১১ সালে পাস হয় এবং ৩ জুলাই ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

ষোড়শ (বিচারপতিদের অভিসংসন)

১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দিতে এ বিলটি আনিসুল হক উত্থাপন করেন। বিলটি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে পাস হয় এবং ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে রাষ্ট্রপতি এতে অনুমোদন দেয়।

  সপ্তদশ (সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি)

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ ১৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। বিলটি ১০ এপ্রিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উত্থাপন করেন। বিলটি পাস হয় ৮ জুলাই, ২০১৮ সালে।

Related Posts

তৃতীয় শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

চতুর্থ শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

পঞ্চম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও বৃত্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

ষষ্ঠ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

সপ্তম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

অষ্টম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও জেএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

নবম-দশম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.