Sunday, March 9, 2025

বিসিএস প্রিলি ও রিটেন দ্বিতীয় অংশঃ জীব বিজ্ঞান ১ম পার্ট

READ ALSO

দ্বিতীয় অংশঃ জীব বিজ্ঞান ১ম পার্ট

পদার্থের জীব বিজ্ঞান বিষয়ক ধর্ম

Biology শব্দটি দুটি ল্যাটিন শব্দ ‘bios’ অর্থ জীবন এবং ‘logos’ অর্থ জ্ঞান এর সমন্বয়ে গঠিত। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলকে ‘জীববিজ্ঞানের জনক’ বলা হয়। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকেই জীববিজ্ঞান (Biology) বলা হয়।

জীববিজ্ঞানের শাখাসমূহ

জীবের ধরন অনুসারে জীববিজ্ঞানকে প্রধান দুটি শাখায় ভাগ করা হয়, যথা উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। জীবের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে আবার ভৌত জীববিজ্ঞান ও ফলিত জীববিজ্ঞান এ দুটি শাখায় ভাগ করা হয়।

ভৌত জীববিজ্ঞান

ভৌত জীববিজ্ঞান শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এতে সাধারণত নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
১। অঙ্গসংস্থান (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক গঠন বর্ণনা। ২। শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস ও রীতিনীতিসমূহ এ শাখার আলোচিত বিষয়।
৩। শরীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি এ শাখায় আলোচিত হয। এছাড়াও যাবতীয় শরীরবৃত্তীয় কাজের বিবরণ এ শাখায় পাওয়া যায়।
৪। হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৫। ভ্রূণবিদ্যা (Embryology): জীবের ভ্রূণের পরিস্ফুটন সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৬। কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের একক কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৭। বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স (Genetics): জিন ও বংশগতিধারা সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।
৮। বিবর্তনবিদ্যা (Evolution): পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীরেও বিবার্তন এবং ক্রমবিকাশের অধ্যাসমূহের আলোচনা এ শাখার বিষয়।
৯। বস্তুবিদ্যা (Ecology): প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ক বিজ্ঞান। ১০। এন্ডাক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের (hormone) এর কার্যকারিতা বিষয়ক জ্ঞান আলোচনা এ শাখার বিষয়।
১১। জীবভূগোল (Biogeography): জীবের ভৌগোলিক বিস্তারের সাথে ভূমন্ডলের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কিত বিদ্যা।

ফলিত জীববিজ্ঞান

জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়সমূহ এ পাখার অন্তর্ভুক্ত। কয়েকটি উল্লেখযোগা শাখা নিচে উল্লেখ করা হলো:
১। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা (Palaeontology): জীববিজ্ঞানের এ শাখায় প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিষরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
২। জীরপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics): জীব পরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞান।
৩। পরজীবীবিদ্যা (Parasitology) পরজীবিতা, পরজীবী জীবের জীবন-প্রণালি এবং রোগ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
8। মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries) মাছ, মাছ উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৫। কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৬। অণুবিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্যান্য। অণুজীব সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৭। কৃষিবিজ্ঞান (Agriculture): কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান।
৮। চিকিৎসাবিজ্ঞান (Medical Science): মানব জীবন, রোগ, চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
৯। জিন প্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিন প্রযুক্তি ও এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১০। প্রাণরসায়ন (Biochemistry): জীবের প্রাণ রাসায়নিক কার্যাবলি, রোগ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১১। মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil Science): মাটি, মাটির গঠন ও পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১২। পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Science): পরিবেশ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৩। সমুদ্র বিজ্ঞান (Oceanography): সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৪। বন বিজ্ঞান (Forestry): বন, বন সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৫। ফার্মেসি (Pharmacy): ঔষধ শিল্প ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৬। জীব প্রযুক্তি (Biotechnology): মানব ও পরিবেশের কল্যাণে জীব ব্যবহারের প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
১৭। বন্য প্রানিবিদ্যা (Wildlife): বন্যপ্রাণী বিষয়ক বিজ্ঞান।
১৮। বায়োইনফরমেটিকস (Bioinformatics): কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীববিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্য। যেমন: ক্যান্সার ইত্যাদি বিশ্লেষণ বিষয়র বিজ্ঞান।

টিস্যু

কলা (Tissue) হল, উৎপত্তিগতভাবে এক, একই প্রকার অথবা একাধিক ধরণের কিছু কোষ সমষ্টি যারা একই স্থানে অবস্থান করে, একটি সাধারণ কাজে নিয়োজিত থাকে। মূলত ঐ কোষ সমষ্টি এবং তাদের নিঃসৃত আন্তঃকোষীয় পদার্থ বা মাতৃকাই কলা। কলার গঠন, সংখ্যা বৈশিষ্ট্য এবং মাতৃকার পরিমাণ, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কলা প্রধানত চার প্রকার:
১। আবরণী কলা (Epithelial tissue)
২। যোজক কলা (connective tissue)
৩। পেশী কলা (Muscular tissue)
৪। স্নায়ু কলা (Nervous tissue)

জটিল কলা

যে স্থায়ী কলা একাধিক প্রকার কোষ দিয়ে গঠিত এবং সম্মিলিতভাবে একই ধরনের কাজ সম্পন্ন করে তাকে জটিল কলা বলে। কাজ, অবস্থান ও গঠন প্রকৃতি অনুযায়ী জটিল কলা দুই প্রকার।
যথা: ক। জাইলেম কলা
 খ। ফ্লোয়েম কলা
  ক. জাইলেম কলা
জাইলেম শব্দের উদ্ভব হয়েছে গ্রিক শব্দ Xylos থেকে যার ইংরেজি প্রতিশব্দ wood, বাংলায় যাকে বলা হয় কাঠ। বিজ্ঞানী নাগালি ১৮৫৮ সালে এ শব্দের প্রচলন করেন। কাঠ তথা জাইলেমই হল উদ্ভিদের দৃঢ়তা প্রদানকারী অন্যতম প্রধান অংশ। বিভিন্ন কাজকর্মে যে কাঠ পাওয়া যায় তাকে সেকেন্ডারি জাইলেম বলে।
কলার এই শ্রেণিবিভাগ (আবরণী, যোজক, পেশী, স্নায়ু কলা) প্রাণীর ক্ষেত্রে (বিশেষ করে মানুষ) প্রযোজ্য। উদ্ভিদ এর ক্ষেত্রে কলা ২ প্রকার। যথা: ১। ভাজক কলা ২। স্থায়ী কলা। স্থায়ী কলা আবার তিন প্রকার। যথা: সরল, জটিল, ক্ষরণকারী কলা।
ক। একাধিক প্রকার উপাদান নিয়ে গঠিত বলে জাইলেম একটি জঠিল কলা। নিম্নলিখিত চার প্রকার উপাদান নিয়ে জাইলেম কলা গঠিত।
ক। ট্রাকিড
খ। ভেসেল
গ। জাইলেম ফাইবার
ঘ। জাইলেম প্যারেনকাইমা
   খ. ফ্লোয়েম কলা
এরা জাইলেমের সাথে একত্রে পরিবহন টিস্যুগুচ্ছ গঠন করে। সিভকোষ, সঙ্গীকোষ, ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা ও ফ্লোয়েম তত্ত্ব নিয়ে ফ্লোয়েম টিস্যু গঠিত হয়।
নিউক্লিয়াসের সংগঠনের ভিত্তিতে কোষ দুই ধরনের। যথা: আদি কোষ ও প্রকৃত কোষ।
আদি কোষ (Prokaryotic cell) এ ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস (Nucleus) থাকে না। নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়ায় এ ধরনের কোষ থাকে।

প্রকৃত কোষ (Eukaryotic cell)

এসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লী (nuclear membrane) দ্বারা নিউক্লিওবস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। ক্রোমোজোমে DNA প্রোটিন, হিস্টোন ও অন্যান্য উপাদান থাকে। অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের হয়। শৈবাল থেকে শুরু করে সুপুষ্পক উদ্ভিদ এবং অ্যামিবা থেকে উন্নত প্রাণীর দেহেও এ ধরনের কোষ থাকে। কাজের ভিত্তিতে প্রকৃত কোষ দুই প্রকার, যথা: দেহ কোষ ও জনন কোষ।
একটি কোষের বর্ণনা: প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত হয়। একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষ প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: কোষপ্রাচীর এবং প্রোটোপ্লাজম।

কোষপ্রাচীর

উদ্ভিদ কোষের ক্ষেত্রে কোষপর্দার বাইরে জড় পদার্থ দিয়ে তৈরি একটি পুরু প্রাচীর থাকে, একে কোষ প্রাচীর বদে সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। প্রাণিকোষে এ ধরনের প্রাচীর থাকে না। প্রাণিকোষে আবরণটি প্লাজমা পর্দা খারা পঠিত। কোথের স অংশকে রক্ষা করা এবং কোষের সীমারেখা নির্দেশ করা কোষপ্রাচীরের প্রধান কাজ।

প্রোটোপ্লাজম

প্রোটোপ্লাজম কোষের অর্ধতরল, জেলির মতো আঠালো ও দানাদার বর্ণহীন সঙ্গীর অংশ। প্রোটোপ্লাজমের নানন্দি বিক্রিয়ার ফলে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়। এটি বিভিন্ন জৈব ও অজৈব যৌগ সমন্বয়ে পঠিত। প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিয়ে সাধারণত শতকরা ৬৭ থেকে ৯০ ভাগ।

সাইটোপ্লাজম

কোষের প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াসবিহীন জেনির মতো অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে। সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত ে বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশিষ্ট সজীব বস্তুসমূহকে একত্রে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বলা হয়। একটি আর্দশ কোষে সাধারণত নিম্নলি আঙ্গাণুগুলো দেখা যায়-
১। প্লাস্টিড
২। মাইটোকন্দ্রিয়া,
৩। গলগি বডি,
৪। এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা,
৫। রাইবোজোম,
৬। লাইসোজোম ও
৭। সেন্ট্রিওদ

মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria)

সঞ্জীব উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সাইটোপাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দণ্ডের আকারের অঙ্গাণুগুলোকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে। প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়াম দ্বিস্তর পর্দাদ্বারা আবৃত থাকে। এর বহিঃপদীটি মসৃণ, কিন্তু অন্তঃপর্দাটি আঙুলের মতো অনেক ভাঁজ সৃষ্টি করে। জীবের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের শক্তির উৎস হচ্ছে মাইটোকন্ড্রিয়া। এ জন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের ‘পাওয়ার হাউস’ বলে। জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়ায় এ শক্তি উৎপন্ন হয়। সবুজ উদ্ভিদ কোষে এর সংখ্যা বেশি তবে প্রাণীর যকৃত কোষে এর সংখ্যা সহস্রাধিক। মাইটোকন্ড্রিয়ার ৭৩% প্রোটিন, ২০-২৫% লিপিড, সামান্য পরিমাণে RNA, DNA, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

নিউক্লিয়াস (Nucleus)

১৮৩১ সালে রবার্ট ব্রাউন নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন। জীবের কোষের প্রধান দুটি অংশ যথা: সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। প্রোটোপ্লাজমে পর্দা দিয়ে বেষ্টিত সর্বাপেক্ষা ঘন বস্তুকে নিউক্লয়াস বলে। প্রতিটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত হয়- ক।নিউক্লিয় বা নিউক্লিয়ার পর্দা
খ। নিউক্লিওলাস
গ। নিউক্লিও জালিকা
ঘ। নিউক্লিওপ্লাজম। নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক ও প্রাণশক্তি বলা হয়।

রাইবোসোম (Ribosome)

অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার গায়ে, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এর গায়ে, মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরে অথবা সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত অবস্থয় ছড়ানো অঙ্গাণুগুলোকে রাইবোসোম বলে। ১৯৫৫ সালে প্যালাডে রাইবোসোম আবিষ্কার করেন। রাইবোসোম এর প্রধান কাজ হলো প্রোটিন সংশ্লেষণ। এজন্য রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরী বলা হয়।

প্লাস্টিড

নিউক্লিয়াস মেময়েদ নিউক্রিয়াসের বিবিন্ন অংগ Endoplasmic Ribosomes উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজমে প্লাস্টিড থাকে। প্রাণিকোষ, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় প্লাস্টিড থাকে না। প্লাস্টিড দুই প্রকার। যথা: লিউকোপ্লাস্ট এক ক্রোমাটোপ্লাস্ট। লিউকোপ্লাস্ট বর্ণহীন কারণ এতে রঞ্জক পদার্থ থাকে না। ক্রোমোটোপ্লাস্ট সবুজ বা অন্যান্য বর্ণের হয়। ক্রোমাটোপ্লাস্ট দুই প্রকার। যথা: ক্লোরোপ্লাস্ট (ক্লোরোফিল থাকে ফলে সবুজ বর্ণ বিশিষ্ট হয়) এবং ক্রোমোপ্লাস্ট (জ্যান্থফিলের কারণে হলুদ হয়, ক্যারোটিনের জন্য কমলা এক লাইকোপিনের জন্য লাল হয়।

জেনেটিক্স

বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। প্রাণী জগতে উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে-
উ: জেনেটিক্স  (৩৪ তম বিসিএস)
২। সোনালিকা’ ও ‘আকবর’ বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে কিসের নাম?
উ: উন্নত জাতের গমের নাম (৩২তম বিসিএস)
৩। বাংলাদেশের কৃষিতে ‘দোয়েল’
উ: উন্নত জাতের গমের নাম (৩২তম বিসিএস)
৪। নিচের কোনটি DNA-এর নাইট্রোজেন বেস?
উ: গোয়ানিন   (২৭তম বিসিএস)
৫। ‘ইরাটম’ কি?
উ: উন্নত জাতের ধান  (২৬তম বিসিএস)
৬। ‘Adult Cell’ ক্লোন করে যে ভেড়ার জন্য হয় তার নাম দেওয়া হয়েছে-
উ: ডলি  (১৮, ১৯, ২৫ ও ২৬তম বিসিএস)
৭। জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে-
উ: ক্রোমোসোম  (২৩তম বিসিএস)
৮। ‘Adult cell’ ক্লোন করে কোন দেশে একটি ভেড়ার জন্ম হয়েছে?
উ: যুক্তরাজ্যে (১৮তম বিসিএস)
৯। সর্বপ্রথম যে উফশি ধান এ দেশে চালু হয়ে এখনো বর্তমান রয়েছে তা হলো-
উ: ইরি-৮   (১১তম বিসিএস)
বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। যেমন: ধান গাছের বীজ থেকে ধান, কাতলা মাছের জাইগোট থেকে কাতলা মাছ, মানুষ থেকে মানুষ প্রভৃতি জন্মায়। পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলো বংশানুক্রমে সন্তান-সন্তদির দেহে সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ‘বংশগতি; (Heredity)। উইলিয়াম বেটসন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ‘জেনেটিক্স’ শব্দটির প্রবর্তন করেন। উনবিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রিয়ান ধর্মযাজক গ্রেগর মেন্ডেলের (১৮৬৬) গবেষণার মধ্য দিয়ে। এই বিজ্ঞানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ কারণে গ্রেগর জোহান মেন্ডেলকে (Gregor Johann Mendel) জেনেটিক্স বা বংশগতির জনক বলা হয়।
মেন্ডেল তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকে ধারণা করেছিলেন পিতা-মাতা থেকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় বংশগতির কিছু বিচ্ছিন্ন একক দ্বারা, যাদের পবের্তীতে জিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বংশগতিবস্তু (Hereditary Material)

মাতাপিতার বৈশিষ্ট্যাবলী তাদের সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত হয় বংশগতিবস্তু (Hereditary material)-র মাধ্যমে। এগুলো হলো ক্রোমোজোম, জিন, ডিএনএ (DNA) ও আরএনএ (RNA)।

ক্রোমোজোম (Chromosome)

বংশগতির প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্রোমোজোম। এটি নিউক্লিয়াসের বিস্তৃত এবং সূত্রাকার ক্রোমাটিন দ্বারা গঠিত। বিজ্ঞানী Strasburger (১৮৭৫) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য ক্রোমোজোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুন্ন রাখে। এ কারণে ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌতভিত্তি (Physical basis of heredity) বলে আখ্যায়িত করা হয়।

ডিএনএ (DNA)

ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান হলো ডিএনএ (Deoxyribo Nucleic Acid)। এটি সাধারণত দ্বিসূত্রবিশিষ্ট পলিনিউক্লিওটাইডের সর্পিলাকার গঠন। একটি সূত্র অন্যটির পরিপূরক। এতে পাঁচ কার্বনযুক্ত শর্করা, নাইট্রোজেনঘটিত বেস (এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থাইমিন) ও অজৈব ফসফেট থাকে। এই তিনটি উপাদানকে একত্রে নিউক্লিওটাইড বলে। মার্কিন বিজ্ঞানী Watson ও ইংরেজ বিজ্ঞানী Crick ১৯৫৩ সালে DNA অনুর Double helix বা দ্বিসূত্র কাঠামোর বর্ণনা দনে এবং এ কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

আরএনএ (RNA)

RNA হলো Ribonucleic Acid। অধিকাংশ RNA তে একটি পলিনিউক্লিওটাইডের সূত্র থাকে। এতে পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট রাইবোজ শর্করা, অজৈব ফসফেট এবং নাইট্রোজেন বেস (এডিনিন, গুযানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল) থাকে। RNA ভাইরাসের ক্রোমোজমে স্থায়ী উপাদান হিসেবে RNA পাওয়া যায়। যেসব ভাইরাস DNA দ্বারা গঠিত নয় তাদের RNA ভাইরাস বলে। কারণ বংশগতির বস্তু হিসেবে RNA কাজ করে। যেমন: TMV (Tobacco Mosaic Virus)

জিন (Gene)

জীবের সব দৃশ্য ও অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট। নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন। এর অবস্থান জীবের ক্রোমোজোম ক্রোমোজোমের যে স্থানে জিন অবস্থান করে তাকে ‘লোকাস’ (Locus) বলে।

ডিএনএ টেস্ট

প্রচলিত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও প্রত্যক্ষদর্শীর পাশাপাশি সুবিচার পাবার জন্য একটি উপায়ের নাম ডিএনএ টেস্ট। এর মাধ্যমে ক্রিয়া সম্পাদনকারী বাতিন অস্তিত্ব অনুসন্ধান করা যায়। ডিএনএ টেস্টের বিজ্ঞানভিত্তিক এক পদ্ধতিকে বলা হয় ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট। এছাড়াও রয়েছে ডিএনএ টেস্টিং ডিএনএ টাইপিং পদ্ধতি।

মানুষের লিঙ্গ নির্ধারন

মানুষ ও অন্যান্য জনাপায়ী প্রাণীতে প্রায় একই পদ্ধতিতে লিঙ্গ নির্ধারন হয়। মানবদহে ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৬ বা ২৩ জোড়া, এর মধ্যে ৪৪ টিকে বা ২২ জোড়াকে অটোজোম (Autosome) এবং ১ জোড়া বা ২টিকে সেক্স-ক্রোমোজোম (Sex chromosome) বলা হয়। অটোজমগুলো শরীরবৃত্তীয় ভ্রূণ ও দেহ গঠন ইত্যাদি কার্যাদি অংশগ্রহণ করে, লিঙ্গ নির্ধারনে এদের কোন ভুমিকা নাই। সেক্স ক্রোমোজোম দটি এক্স (X) এবং ওয়াই (১১) নামে পরিচিত।

জিনগত বৈচিত্র্য

জিন জৈব বৈচিত্র্যের মূল উৎস। যা জৈবিক এককে পিতৃ-মাতৃ গুণাগুণ একটা জীব থেকে অন্য একটা জীবে বয়ে নিয়ে যায় তাই জিন। বংশগতির বাহক জিনের সংমিশ্রণের ফলে একেক প্রজাতির জীবের মধ্যে যে জৈবিক বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাক জিনগত বৈচিত্র্য বলে।

প্রজাতি বৈচিত্র্য

এই ধরণের বিভিন্নতা একটা প্রজাতির অথবা বিভিন্ন প্রজাতির অন্তর্গত সদস্য সমূহের মধ্যে দেখা যায়। বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড উইলসনের (১৯৯২) ময়ে বিশ্বে ১০ মিলিয়নের থেকে ৫০ মিলিয়ন জীবিত প্রজাতি আছে। তবে কেবল ১.৫ মিলিয়ন জীবিত প্রজাতির এবং ৩,০০,০০০ জীবাশশ্ম প্রজারি আবিষ্কার করে নামকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বহু প্রজাতির প্রকৃতির সাথে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারায় বিলুপ্তি ঘটেছে। প্রজাতি বৈচিত্রর নির্ণয় করার জন্য দুটো সূচক (Index) ব্যবহার করা হয় শেন’ন উইনার সূচক (Shannon Wiener Idex) এবং সিম্পসন সূচক (Simpson Index)
ক। কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধতা এমন এক অবস্থা যখন কেউ কোনো রঙ সঠিকভাবে চিনতে পারে না। রঙ চিনতে আমাদের চোখের স্নায়ু কোষে রঙ সনাক্তকারী পিগমেন্ট থাকে। কালার ব্লাইন্ড অবস্থায় রোগীদের চোখে স্নায়ু কোষের রঙ সনাক্তকারী পিগমেন্ট এর অভাব থাকে। যটি কারও একটি পিগমেন্ট না থাকে সে লাল ও সবুজ পার্থক্য করতে পারে না। এটা সর্বজনীন কালার ব্লাইন্ড সমস্যা।
খ। থ্যালাসেমিয়া রক্তের লোহিত কণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম। এই রোগে লোহিত রক্ত কণিকাগুলো নষ্ট হয়। ফলে রোগী রক্ত শূন্যতায় ভোগে। এই রোগ বংশ পরম্পরায় হয়ে থাকে।
গ। ১৮৫৯ সালে ডারউইনের ‘The Origin of Species by Means of Natural Selection বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির ১২০০টি কপির সবগুলোই প্রথম দিনেই বিক্রি হয়ে যায়।

এনিম্যাল ডাইভারসিটি

বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। বাংলাদেশ একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম- উ: রাজ কাঁকড়া (১৭তম বিসিএস)
২। বাংলাদেশের White gold কোনটি?
উ: চিংড়ি (৩২তম বিসিএস)
৩। পানির জীব হয়ে বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়–
উ: শুশুক   (১৬,২১ও ৩৪তম বিসিএস )
৪। কোনটি জন্যপায়ী প্রাণী নয়?
উ: কুমির (১৭তম বিসিএস)
৫। মুক্তা হলো ঝিনুকের কি?
উ: প্রদাহের ফল  (১৭তম বিসিএস)

প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস

অ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণিজগতের প্রাণীদেরকে দশটি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
১। প্রোটোজোয়া (Protozoa): এককোষী জীব। যেমন: অ্যামিবা, ম্যালেরিয়া জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
২। পরিফেরা (Porifera): সরলতম বহুকোষী প্রাণী। ল্যাটিন শব্দ Porus অর্থ ছিদ্র এবং Ferre অর্থ বহন করা। এ দুটির সমন্বয়ে পরিফেরা (Porifera) শব্দটির তৈরি হয়েছে। ১৮৩৬ সালে বিজ্ঞানী গ্রান্ট (Grant) প্রথম পরিফেরা পর্বটির নামকরণ করেন। যেমন: স্পঞ্জ, স্কাইফা। এরা সাধারণত সামুদ্রিক এবং অপ্রিতসম প্রাণী।
৩। সিলেন্টারেটা (Coelenterate): Ctenophora এবং Cnidaria এর প্রাণীসমূহের সমন্বয়ে এ পর্বটি। যেমন হাইড্রা, জেলী ফিস ইত্যাদি।
8। প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes): ফিতাকৃমি, যকৃতকৃমি প্রভৃতি। ফিতাকৃমি অন্তঃপরজীবী।
৫। নেমাটোড (Nematoda) যেমন গোলকৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি ইত্যাদি।
৬। অ্যানিলিডা (Annelida) যেমন: কেঁচো, জোঁক ইত্যাদি।
৭। আর্থোপোডা (Arthropoda):প্রাণিজগতের বৃহৎ পর্ব।
৮. মলাস্কা (Mollusca): শক্ত খোলসে আবৃত থাকে। যেমন; শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি।
৯। একাইনোডার্মাটা (Echinodermata): তারা মাছ, সমুদ্র শমা, একাইনাস ইত্যাদি।
১০। কর্ডাটা (Chordata): মানুষ, নীলতিমি, গরু, ছাগল, ব্যাঙ প্রভৃতি।

নিম্নোক্ত কিছু  গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ক। স্বাদুপানির পাঁচ ও সামুদ্রিক ৩৫ প্রজাতির কাঁকড়া বাংলাদেশে সনাক্ত হয়েছে।
খ। বাংলাদেশে স্বাদুপানি (prawn) ও লোনাপানির চিংড়ি (shrimp) প্রজাতির সংখ্যা যথাক্রমে ৩১ ও ৩৪। স্বাদুপানির গলদা চিংড়ির (Macro brachium rosenbergii) বাণিজ্যিক গুরুত্ব সমধিক।
গ। বাংলাদেশের প্রায় ১,৬০০ প্রজাতির মেরুদন্ডীর মধ্যে রয়েছে ৬৫৩ প্রজাতির মাছ (অভ্যন্তরীণ ২৫৯ ও সামুদ্রিক ৪০২), ৩২ প্রজাতির উভচর, ১২৬ প্রজাতির সরীসৃপ (অভ্যন্তরীণ ১০৯, সামুদ্রিক ১৭), ৬২৮ প্রজাতির পাখি (স্থায়ী ৩৮৮, পরিযায়ী ২৪০) ও ১১৩ প্রজাতির স্তন্যপায়ী (অভ্যন্তরীণ ১১০, সামুদ্রিক ৩)।
ঘ। বাংলাদেশের স্বাদুপানিতে আছে ৫৪ প্রজাতির ক্যাটফিশ (টেংরা, আইড়, সিংগি, মাগুর ইত্যাদি)। জলাভূমিতে এক সময়ে পর্যাপ্ত শোল, টাকি, গজার ইত্যাদি মাছ দেখা যেত, এখন এসব দুর্লভ হয়ে উঠছে। এ
ঙ। পৃথিবীতে সর্বমোট উভচর প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৫,০০০। কুনোব্যাঙ ও সোনাব্যাঙেরই রয়েছে ২৮ গোত্র, ৩৩৮ গণ ও ৪,৩৬০ প্রজাতি এবং এগুলির, বিশেষত Ranidae গোত্রের সদস্যরা সর্বত্রই আছে।
চ। বাংলাদেশে Amphibia শ্রেণীর প্রজাতিরা শুধুই Anura বর্গের (কুনোব্যাঙ, সোনাব্যাঙ) সদস্য।
ছ। বাংলাদেশে সরীসৃপের মোট প্রজাতি ১২৬ (১০৯ অভ্যন্তরীণ, ১৭ সামুদ্রিক)। অভ্যন্তরীণ ১০৯ প্রজাতির মধ্যে ২ কুমির, ২২ কাছিম ও কাউঠা, ১৮ টিকটিকি ও ৬৭ সাপ। সামুদ্রিক সরীসৃপের মধ্যে ১২ প্রজাতির সাপ ও ৫ প্রজাতির কাছিম ও কাউঠা সাপ
ঞ। সারাবিশ্বে ১৮ গোত্রের প্রায় ২,৭০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে এবং এর সিংহভাগই উষ্ণমন্ডলে। বাংলাদেশে ৭ গোত্রের (৬ অভ্যন্তরীণ, ১ সামুদ্রিক) ৭৯ প্রজাতি (অভ্যন্তরীণ ৬৭ ও সামুদ্রিক ১২) আছে। অভ্যন্তরীণ ১৫ প্রজাতি বিষাক্ত (Elapidae গোত্রের ১০ ও Viperidae গোত্রের ৫)। সামুদ্রিক সবগুলি সাপই বিষাক্ত।
ট। বাংলাদেশের অতি বিপন্ন সাপ হলো অজগর (Python reticulata) ও চন্দ্রবোড়া (Vipera russellii) ১১ প্রজাতি বিপন্ন, ১৫ প্রজাতি বিপন্নপ্রায়।
ঠ। বাংলাদেশে পাখি আছে ৬৫০ টি (১৬ বর্গ, ৬৪ গোত্র; ২৭৬ গায়ক, ৩৭৪ অগায়ক)। এ
ড। বর্তমানে পৃথিবীতে আছে ৪,৫০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, তন্মধ্যে এক-দশমাংশ ভারত উপমহাদেশে। বাংলাদেশে আছে ১২টি বর্গ ও ৩৬ গোত্রের ১১৯ প্রজাতির অভ্যন্তরীণ স্তন্যপায়ী।

প্লান্ট ডাইভারসিটি

বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। মাশরুম এক ধরণের কি?
উ: ফাঙ্গাস  (৩২তম বিসিএস)
সামগ্রিকভাবে জীবের জিনগত, প্রজাতিগত ও পরিবেশগত বৈচিত্রাকে বলা হয় উদ্ভিদ বৈচিত্রা। উদ্ভিদ উর্বর পলিমাটির জমি এবং উষ্ণ ও আধু জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। এদেশে উদ্ভিদের প্রজাতি সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি, তন্মধ্যে ৩০০ বিদেশি ও ৮ একান্ত দেশিয়। (endemic)। বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত ৯৫ প্রজাতির দারুবৃক্ষের ৯২টি আবৃতবীজ, ৩টি নগ্নবীজ। স্বাদু ও লোনা পানিতে আছে মোট ২২৪৪ প্রজাতির। শৈবাল ও তাদের জাত। ছত্রাক সম্পর্কে এখনও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগৃহীত হয়নি। ব্রায়োফাইট প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ২৫০।
ক। ক্যারোলাস লিনিয়াস ১৭৫৩ সালে Species Plantarum গ্রন্থটি প্রণয়ন করেন।
ক্যারোলাস লিনিয়াসকে আধুনিক শ্রেনিবিদ্যার জনক তথ্য হয়। তাঁর বই-এ ৭৩০০ প্রকারের উদ্ভিদের বর্ণনা ছিল।
খ। থিওফ্রাস্টাস তাঁর Historia plantarum গ্রন্থে ৪৮০টি উদ্ভিদের বর্ণনা দেন। এ উদ্ভিদজগতের শ্রেণিবিন্যাস তিন পদ্ধতিতে করা হয়। কৃত্রিম, প্রাকৃতিক, জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস।
গ। থিওফ্রাস্টাস ও লিনিয়াসের শ্রেণিবিন্যাস হলো কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস। এ মাইকেল অ্যাডনসন ও বেস্থাম হকারের শ্রেণিবিন্যাস হলো প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস। Genera Plantarum বই-এ প্রকাশ করেন। এঙ্গলার-প্রান্টলের শ্রেণিবিন্যাস হলো জাতিজনি শ্রেণিবিন্যাস।
ঘ। থিওফাস্টাসকে উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি উদ্ভিদকাণ্ডের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদজগতকে ভাগ করেন ৪ ভাগে
ক. বৃক্ষ (Tree)
খ. গুল্ম (Shrubs)
গ. উপগুল্ম (Undersrubs)
ঘ. বীরুৎ (Herbs)
ক. বৃক্ষ (Tree) কাণ্ডবিশিষ্ট উঁচু কাষ্ঠল উদ্ভিদকে বৃক্ষ (Tree) বলে। এদের কাও মোটা, দীর্ঘ ও শক্ত। এই জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা এবং পাতা বের হয়। উদাহরণ: কাঁঠাল, নারিকেল, আম, জাম প্রভৃতি বৃক্ষ।
খ. গুল্ম (Shrubs) যে সকল উদ্ভিদ কাষ্ঠল, সাধারণত কাণ্ডহীন এবং গোড়া হতে অধিক শাখা-প্রশাখা বের হয়ে ঝোঁপে পরিণত হয় তাদেরকে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বলে। এই জাতীয় উদ্ভিদের শেকড় মাটির গভীরে যায় না। উদাহরণ: জবা, রঙ্গন, গন্ধরাজ, গোলাপ লেবু ইত্যাদি।
গ. উপগুল্ম (Undershrubs) গুল্ম অপেক্ষা ছোট আকারের কাষ্ঠল উদ্ভিদকে উপগুল্ম উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ: কক্কাসুন্দা, আঁশশেওড়া ইত্যাদি।
ঘ. বীরুৎ (Herbs) নরম কাণ্ডবিশিষ্ট বীরুৎ বা হার্ব উদ্ভিদ বলে। এই জাতীয় উদ্ভিদের শেকড় মাটির গভীরে যায় না। উদাহরণ: ধান, গম, সরিষা, কুচুরীপানা, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি।
বীরুৎ উদ্ভিদকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
ক. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ
খ. দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ
গ. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ
ক. একবর্ষজীবী উদ্ভিদ: ধান, ভুট্টা, গম ইত্যাদি।
খ. দ্বিবর্ষজীবী উদ্ভিদ: মুলা, বাঁধাকপি ইত্যাদি।
গ. বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ: দুর্বা ঘাস, আদা, হলুদ ইত্যাদি।
আধুনিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদসমূহকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়:
১. অপুস্পক উদ্ভিদ:  এদের ফুল হয় না। রেণু বা স্পোর দ্বারা এদের বংশবৃদ্ধি ঘটে। যেমন সমাজ বা থ্যালোফাইটা (স্পাইরোগাইরা, ক্লোরেলা র্গ বা ব্রায়োফাইটা (মস ব্য রিক্সিয়া) এবং ফার্ম বর্ণ বা টেরিফাইটা (ঢেঁকিশাক বা ফার্ন বা টেরিস) ইত্যাদি।
২. সপুষ্পক উদ্ভিদ: এদের ফুল হয়। যেমন নয়জীবী (সাইকাস, পাইনাস) এবং আবৃতজীবী (একবীজপত্রী তাল, সুপারি, ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি এবং দ্বিবীজপত্রী আম, ছোলা, মটর, শিম ইত্যাদি)।
বাংলাদেশের প্রধান বনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য
১। গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরসবুজ ও আধা-চিরসবুজ;
২। গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্জ-পত্রমোচী (দেশের অভ্যন্তরীণ বন);
৩। জোয়ারধৌত বন;
৪।  স্বাদুপানি বিধৌত বন।
প্রজাতির সংখ্যা
থ্যালোফাইটা : ১১০,০০০ টি
ব্রায়োফাইট : ২৩,০০০ টি
টেরিডোফাইটা : ১০,০০০ টি
মনে রাখুন
১। Taxonomy অর্থ শ্রেণিবিন্যাসতত্ত্ব
২। Taxonomy শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী Augustin Pyramus de Candolle.
৩। শ্রেণিবিন্যাসের সর্বোচ্চ একক হলো কিংডম (Kingdom) শাখাপ্রশাখা করে ঝোপের সৃষ্টি করে গুল্ম
৪। মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে মসবর্গের উদ্ভিদের
৫। পুষ্টির জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল ছত্রাক ৬। নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী হলো পুষ্পক বা সবীজী উদ্ভিদ
৭। যৌন মিলন ছাড়া হ্যাপলয়েড যৌন কোষ হতে একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদে পরিণত হওয়াকে বলে পার্থেনোজেনেসিস
৮। Polysiphonia এক ধরনের সামুদ্রিক লোহিত শৈবাল অসংখ্য
৯। সবুজ বা নীল স্পোর উৎপন্ন করে বলে পেনিসিলিয়াম কে বলা হয় সবুজ বা নীল ছত্রাক
১০। ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুম নামে পরিচিত এগারিকাস
১১। রৌদ্রে জন্মাতে পারে বলে ‘সান ফার্ণ’ বলা হয় Pteris কে
১২। সাইকাস হলো একটি জীবন্ত জীবাশ্ম

 অর্গান এবং অর্গান সিস্টেম

বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
উ: অক্সিজেন পরিবহন করা (২৮ ও ৩৪তম বিসিএস)
২। ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোথা থেকে?
উ: অগ্ন্যাশয় হতে  (৩৪তম বিসিএস)
৩। বিলিরুবিন তৈরি হয়-
উ: প্লীহায় (২৭তম বিসিএস)
৪. অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত চিনির বিপাক নিয়ন্ত্রনকারী হরমোন কোনটি?
উ: ইনসুলিন (২৩তম বিসিএস)
জীববিজ্ঞানে অঙ্গ (Organ) হলো একগুচ্ছ কলা যা নির্দিষ্ট একটি বা অনেকগুলি কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণত কলাসমূহ প্রধান ও স্পোরাডিক কলায় বিভক্ত। প্রধান কলা হলো ঐ সকল কলা যারা কোন অঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট। যেমন, হৃৎপিন্ডের প্রধান কলা হলো হৃৎপেশী। অন্যদিকে স্পোরাডিক কলাসমূহ হলো স্নায়ু, রক্ত, যোজক কলা ইত্যাদি।

উদ্ভিদ অঙ্গ

কাজের (Functions) এর ভিত্তিতে উদ্ভিদসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: Shoot System এবং Root System. উদ্ভিদ অঙ্গ সমূহকে আবার বর্ধমান (vegetative) ও পুনরুৎপাদনশীল (reproductive) এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। বর্ধমান উদ্ভিদ অঙ্গসমূহ হলো মূল, কান্ড এবং পাতা। অপরদিকে পুনরুৎপাদনশীল অঙ্গ সমূহ হলো পুষ্প, বীজ এবং ফল।
বর্ধমান (vegetative) অঙ্গসমূহ উদ্ভিদের জীবন ধারণের জন্য আবশ্যকীয় (তারা জৈব অপরিহার্য কাজ যেমন সালোকসংশ্লেষণ করে), আর পুনরুৎপাদনশীল (reproductive) অঙ্গ সমূহ প্রজননের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
সাধারণ প্রাণী অঙ্গসমূহের হলো হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, চোখ, পাকস্থলী, প্লীহা, অস্থি, অগ্ন্যাশয়, বৃক্ক, যকৃৎ, অস্ত্র সমূহ, ত্বক (মানুষের সর্ববৃহৎ অঙ্গ), গর্ভাশয় এবং মূত্র থলি। শরীরের ভেতরের অঙ্গ গুলোকে প্রায়শ অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নামে বর্ণনা করা হয়। অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে যৌথভাবে বলা হয় ভিসেরা এবং এর সল্প ব্যবহৃত বহুবচন হলো ভিসকাস।
ক। সংবহন তন্ত্র: হৃৎপিন্ড ও রক্তনালীর সাহায্যে রক্ত সারা দেহে সঞ্চালিত হয়। এ
খ। লসিকাতন্ত্র: কলা ও রক্ত প্রবাহের মধ্যে লসিকা (লিম্ফ) আদান-প্রদানের কজে নিয়োজিত, যা লসিকা এবং লসিকাগ্রন্থি ও লসিকানালী দ্বারা সম্পন্ন হয়; এর সাথে অনাক্রম্যতন্ত্র (প্রতিরক্ষাতন্ত্র)ও জড়িত যা শ্বেতকনিকা, টনসিল, এ্যাডেনয়েড, থাইমাস ও প্লীহা (স্পিন) এর সাহায্যে রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
গ। পরিপাকতন্ত্র: লালাগ্রন্থি, ইসোফেগাস, পাকস্থলী, যকৃৎ, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয়, অস্ত্র (ইন্টেস্টাইন) সমূহ, মলাশয় ও পায়ু দ্বারা খাদ্য পরিপাক ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এ
ঘ। অন্তঃক্ষরা তন্ত্র: অন্তঃক্ষরা (এন্ডক্রাইন) গ্রন্থিসমূহ যেমন- হাইপোথেলামাস, পিটুইটারী, পিনিয়াল বডি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড এবং অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিসমূহ, হতে উৎপন্ন হরমোন দ্বারা দেহের বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন হয়। এ আচ্ছাদন তন্ত্র: ত্বক, চুল, নখ।
ঙ। পেশীতন্ত্র: পেশীর সাহায্যে নড়াচড়া করা হয়।
চ। স্নায়ুতন্ত্র: মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড, প্রান্তদেশীয় স্নায়ু ও স্নায়ু সমূহের দ্বারা তথ্য সংগ্রহ, প্রেরণ ও প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
ছ। প্রজননতন্ত্র: যৌনাঙ্গ সমূহ। এ শ্বসনতন্ত্র: শ্বাস-প্রশ্বাসের অস্ত্র সমূহ- ফ্যারিংক্স, ল্যারিংক্স, ট্রাকিয়া, ব্রংকাই, ফুসফুস এবং মধ্যচ্ছদা।
জ। কঙ্কালতন্ত্র: হাড়, তরুনাস্থি, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের মাধ্যমে দৈহিক গঠন ও প্রতিরক্ষার কাজে নিয়জিত।
ঝ। রেচনতন্ত্র: তরল ভারসাম্য, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ও মূত্র নিষ্কাশনের কাজ বৃক্ক (কিডনি), গবিনী (ইউরেটার), মুত্রথলি এবং মূত্রনালী (ইউরেথ্রা) করে থাকে।

সালোকসংশ্লেষণ

   বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। সালোকসংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয়-
উ: লাল আলোতে   (২৬তম বিসিএস)
সালোকসংশ্লেষণ (photosynthesis) এমন একটি জৈবনিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ সূর্যের আলোর শক্তি ব্যবহার করে বাতাসের কার্যন ডাই অশ্বক্সাইড, ভূমি থেকে আহৃত পানি এবং অন্যান্য জৈব রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শর্করা তৈরি করে। এ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন নির্গত হয়। প্রধানতঃ গাছের পাতা এবং অন্যান্য সবুজ অংশে সালোকসংশ্লেষণ সংঘটিত হয়। উদ্ভিদ ছাড়া কিছু জীবাণু এবং কিছু প্রোটিস্টের মধ্যেও এই প্রক্রিয়া পরিদৃষ্ট হয়।
ক। ক্লোরোফিল ছাড়া সালোকসংশ্লেষণ সম্পন্ন হয় না।
খ। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস আলো। লাল আলোতে সালোকসংশ্লেষণ বেশি হয়।
গ। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নির্গত অক্সিজেনের (O₂) এর উৎস পানি (H₂O)।
ঘ। সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ সংগঠিত হলেও উদ্ভদ মূলে হয় না।
ঙ। সালোকসংশ্লেষণের জন্য সুবিধাজনক তাপমাত্রা ২২০-৩৫° সেলসিয়াস। পাতার প্যালিসেড প্যারেনকাইমা কোষে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে।
চ। সালোকসংশ্লেষণের পর্যায় দুটি:
ক. আলোক পর্যায় ও
খ. অন্ধকার পর্যায়।
ছ। সালোকসংশ্লেষণের অন্ধকার পর্যায়ে বায়ুমণ্ডলের CO, ব্যবহার করে শর্করা তৈরির চক্রকে ক্যালভিন ও ব্যাশাম চক্র বলে।
জ। উদ্ভিদ দেহে সালোকসংশ্লেষণ এ উৎপন্ন গ্লুকোজ সঞ্চিত থাকে শ্বেতসার রূপে।
ঝ। সালোকসংশ্লেষণ শব্দটি প্রচলন করেন বার্নেস।
ঞ। সালোকসংশ্লেষণে প্রয়োজনীয় পানি উদ্ভিদ শোষণ করে মূলরোম দ্বারা।
ট। পত্রাশয়ী উদ্ভিদে জল শোষণ করে ভেলামেন বা বায়বীয় মূল দিয়ে।
ঠ। সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম প্রাণী হলো ইউপ্লিনা, ক্রাইস্যামিবা।
ড। সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম ব্যাকটেরিয়া হলো রোডোস্পাইরিলাম (Rhodospirillum), রোডোসিউডোমোনাস।
ঢ। সালোকসংশ্লেষীয় বর্ণালী হলো লাল ও নীল।
ণ।  সালোক সংশ্লেষের আলোক বিক্রিয়ার স্থান ক্লোরোপ্লাস্ট।
ত। সালোক সংশ্লেষের উৎপন্ন গ্লুকোজ অণুর অক্সিজেনের উৎস হলো CO₂।
থ। উদ্ভিদের পাতার যে কোষে সালোকসংশ্লেষ হয় না জাইলেম বাহিকা ও সিভনল।
দ। এক অণু গ্লুকোজ দহনে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ 686 কিলোক্যালোরি।
ধ। জীব জগৎ এর প্রাথমিক খাদ্যের উৎস সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া।

ভাইরাস

বিগত বিসিএস প্রশ্ন
১। প্রাণীর মলমূত্র থেকে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে ফারমেন্টশন প্রক্রিয়ার উৎপন্ন হয়- উ: মিথেন  (১৯ তম বিসিএস)
ভাইরাস (Virus) হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এরা অতি-আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়। কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে এদের ব্যাক্টেরিওফাজ (Bacteriophage) বলা হয়। ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়।
ভাইরাসের দেহে কোন নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম নেই; কেবল প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিড দিয়ে দেহ গঠিত। কেবলমাত্র উপযুক্ত পোষকদেহের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এদের অভ্যন্তরীণ তথ্য বহনকারী সূত্রক দুই প্রকারের হতে পারে: DNA এবং RNA। ভাইরাসের বাইরের প্রোটিন আবরণকে ক্যাপসিড বলা হয়। ক্যাপসিডের গঠন প্রধানত দুই প্রকার, সর্পিলাকার এবং সমতলাকার।

মানবদেহে ভাইরাস ঘটিত রোগ

রোগের নাম      জীবাণুর নাম   সংক্রমণের মাধ্যম
১। এইডস (AIDS) – HIV virus  (যৌন, রক্ত)
২। ইনফ্লুয়েঞ্জা (Flu)-Influenza virus (বায়ু)
৩। ইবোলা (Ebola) -Ebola virus
৪। (বানর,বাদুড়) পোলিও-   Polio myelitis   (দূষিত খাদ্য, পানি)
৫। মাম্পস- Mumps virus
৬। হাম-  Measles virus   (বায়ু)
৭। হংকং ভাইরাস(SARS)- SARS virus (বায়ু)
৮। গুটি বসন্ত (Smallpox) – Variola (বায়ু)
৯। বসন্ত (Chickenpox)- Varicella (বায়ু)
১০। নিপাহ-  Nipah virus (Henipavirus)
১১। মাম্পস – Mumps virus (বায়ু)
১২। হার্পিস – Harpes simplex ছোয়াচে
১৩। জন্ডিস (Jaundice)-  Hepatitis virus ১৪। জলাতঙ্ক (Street virus)- Rabies virus (হিংস্র প্রাণী)
১৫। জিকা-  Zika virus (Flavivirus) (মশা)
১৬। ডেঙ্গু-  Aedes aegypti ( মশা)
১৭। ট্রিম্যান-Human papillomavirus

পশু-পাখির রোগ

রোগের নাম        জীবাণুর নাম
১। বার্ড-(Bird Flu)  ——       H3N1 HN
২। জানাইন ডিস্টেম্পার (Canine distemper)—– H1N1
৩। ফুট আতে মাউথ ডিমিক্স (Foot-and-mouth disease) —
৪। সোয়াইন ফ্লু (Swine Flu) —–
৫।মুরগীর রাণীক্ষেত  —

উদ্ভিদের রোগ

টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাস (Tobacco mosaic virus: TMV) তামাকের মোজাইক রোগের জন্য দায়ী। এছাড়াও ধানের টুংগ্রো রোগের জন্য দায়ী Rice Tungro virus!
ক। হার্পিস রোগের চিকিৎসায় অ্যাসিক্লোভার (Acyclover) নামক ঔষধ ব্যবহৃত হয়।
খ। ১৯৭৬ সালে বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড অ্যান্থনি জেনার গুটি বসন্তের টিকা (Vaccine) আবিষ্কার করেন।

ব্যাকটেরিয়া

বিজ্ঞানী লিউয়েন হুক ১৬৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেন। ব্যাকটেরিয়া হলো এক প্রকারের এককোষী অণুজীব। এরা হল। প্রোক্যারিয়ট (প্রাক-কেন্দ্রিক) অর্থাৎ এদের কোষে সংগঠিত নিউক্লিয়াস নেই, আছে ঝিল্লিহীন নিউক্লিয়য়েড, যার মধ্যে রৈখিক ক্রোমোজোম নেই আছে বৃত্তাকার ডিএনএ, ঝিল্লি (মেমব্রেন) ওয়ালা কোন অঙ্গাণু নেই এবং নেই কোন সাইটোকঙ্কাল।

গ্রাম পজিটিভ ব্যাক্টেরিয়া

বেশী আদিম। ঝিল্লির আবরণ একটি। পুরু পেপ্টাইডোগ্লাইকেন আস্তরণ তার বাইরে যার সঙ্গে টিকোয়িক এসিড যুক্ত।

গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া

ঝিল্লির আবরণ দুটি। পাতলা পেপ্টাইডোগ্লাইকেন আস্তরণ দুটি ঝিল্লির মাঝখানে।
     ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা

 ক. চিকিৎসা ক্ষেত্রে

১। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া হতে সাবটিলিন (Bacillus subtilis হতে), পলিমিক্সিন (Bacillus polymyxd হতে) প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত করা হয়।
২। প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া হতে কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত করা হয়। ডিপিটি (ডিফথেরিয়া, হুপিংকাশি ও ধনুষ্টংকার) রোগের প্রতিষেধকও ব্যাকটেরিয়া হতে প্রস্তুত করা হয়। Corynebacterium diptheriae (D), Bordetalla pertussis (P) এবং Clostridium tetani (T) হতে DPT (D= Diphtheria, Pe Pertussis, T- Tetanus) নাম করা হয়েছে। গন ডাইজেস্ট-৫৪

খ. কৃষি ক্ষেত্রে

১। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে: মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ব্যাকটেরিয়ার অবদান অনেক। মাটির জৈব পদার্থ সঞ্চয়ে ব্যাকটেরিয়ার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। ব্যাকটেরিয়া মাটির উপাদান হিসেবেও কাজ করে। নানাবিধ আবর্জনা হতে পচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া জৈব সার ও জৈব গ্যাস প্রস্তুত করে থাকে।
২। নাইট্রোজেন সংবন্ধনে:Azotobacter, Pseudomonas. Clostridium প্রভৃতি ব্যাকটেরিয়া সরাসরি বায়ু হতে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে নাইট্রোজেন আদি পদার্থ হিসেবে মাটিতে স্থাপন করে। ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। জবরুডনরস ব্যাকটেরিয়া শিম জাতীয় উদ্ভিদের মূলের নডিউলে নাইট্রোজেন সাবস্থন করে থাকে।
৩। পজঙ্গনাশক হিসেবে: কতিপয় ব্যাকটেরিয়া (যেমন- Bacillus thuriengiensis) বিভিন্ন প্রকার পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
৪। ফলন বৃদ্ধিতে: কিছু বিশেষ ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে ধানের উৎপাদন পতকরা ৩১৮ ভাগ এবং গমের উৎপাদন শতকরা ২০,৮ অগ বাড়ানো সম্বৎ হয়েছে।

গ. শিল্প ক্ষেত্রে

১। চা, কফি, তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণে: চা, কফি, তামাক প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যাকটেরিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২। দুগ্ধজাত শিল্পে: দুগ্ধ হতে মাখন, দই, পনির প্রকৃতি তৈরি করতে হলে ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতার প্রয়োজন।
৩। পাট শিল্পে: ব্যাকটেরিয়ার পচনক্রিয়ার ফলেই পাটের আঁশগুলো পৃথক হয়ে থাকে এবং আমরা পাটের আঁশি পেয়ে থাকি। কাজেই আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা তুলনাহীন। এ ব্যাপারে Clostridium এর ভূমিকা যথেষ্ট।
৪। চামড়া শিল্পে: চামড়া হতে লোম ছাড়ানোর ব্যাপারে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অপরিসীম।
৫। জৈব গ্যাস তৈরিতে: জৈব গ্যাস তৈরিতে এবং হেভি মেটাল (ভারী ধাতু) পৃথককরণেও ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬। টেস্টিং সল্ট প্রস্তুতিতে: টেস্টিং সল্ট প্রস্তুতে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়। খাদ্যদ্রব্যকে সুস্বাদু ও মুখরোচক করতে এ সল্ট ব্যবহৃত হয়।
৭। রাসায়নিক পদার্থ প্রস্তুতকরণে: ভিনেগার (Acetobacter xylinum দিয়ে), ল্যাকটিক অ্যাসিড (Bacillus lacticacidi দিয়ে), অ্যাসিটোস (Clostridium acetobutylicum দিয়ে) প্রভৃতি রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকরণের জন্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।

ঘ. মানব জীবনে

১। সেলুলোজ হজমে গবাদিপশু ঘাস, বড় প্রভৃতি খেয়ে থাকে। এদের প্রধান উপাদান সেলুলোজ। গবাদিপশুর অস্ত্রে (intestine) অবস্থিত এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ হজম করতে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে থাকে।
২। ভিটামিন তৈরিতে: মানুষের অস্ত্রের Escherichia coli (E. Coli) ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন- বি, ভিটাইমিন-কে, ভিটামিন-বি২, ফোলিক আসিং বায়োটিন প্রভৃতি পদার্থ প্রস্তুত ও সরবরাহ করে থাকে।
৩। জিন প্রকৌশলে: জিন প্রকৌশলেও ব্যাকটেরিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

পরিবেশ উন্নয়নে

১। আবর্জনা পচনে: উদ্ভিদ ও প্রাণীর যাবতীয় মৃতদেহ, বর্জ্য পদার্থ ও অন্যান্য জঞ্জাল পচন প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২। পয়ঃনিষ্কাশনে: জৈব বর্জ্য পদার্থকে দ্রুত রূপান্তরিত করে ব্যাকটেরিয়া পয়ঃপ্রণালীকে সুষ্ঠু ও চালু রাখে।
৩। তেল অপসারণে: সমুদ্রের পানিতে ভাসমান তেল অপসারণে তেল- খাদক ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।

ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা

১। মানুষের রোগ সৃষ্টি: মানুষের অধিকাংশ মারাত্মক রোগই ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে। মানুষের যক্ষ্মা (Mycobacterium tuberculosis দিয়ো, নিউমোনিয়া (Diplococcus/Niesseria pneumoni দিয়ে), টাইফয়েড (Salmonella typhi দিয়ে), কলেরা Vibrio cholerae দিয়ে), ডিফথেরিয় (Corynbaccterium diptheriae দিয়ে), আমাশয় (Bacillus dysentery দিয়ে) ধনুস্টংকার বা টিটেনাস (Clostridium tetani দিয়ে), হুপিংকাশি (Bordetalla pertussis দিয়ে) ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। এ ছাড়াও সিফিলিস, গনোরিয়া, এনথ্রাক্স, মেনিনজাইটিস লেপরসি (কুষ্ঠরোগ), আনডিউলেটেড ফিভার ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে।
২। অন্যান্য প্রাণীর রোগ সৃষ্টি: গরু-মহিষের যক্ষ্মা (Microbacterium bovis), আনভিউলেটেড ফিভার ভেড়ার এনথ্রাক্স (Bacillus anthracis) ইঁদুরের প্লেগ, হাঁস-মুরগির কলেরা, গলাফোলা রোগ (Pasturella multocida) ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে।
৩। উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টি: বিভিন্ন ফসলি উদ্ভিদের অনেক রোগ ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে। এতে ফসলের ফলন অনেক কমে যায়। গমের টুন্ডুরোগ (Agrobacterium tritici দিয়ে), ধানের পাতা ধসা (leaf blight) রোগ (Xanthomonas oryzae দিয়ে), আখের আঠাঝরা রোগ (Xanthomonas vasculorum দিয়ে) ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়া লেবুর ক্যাংকার (Xanthomonas citri), আলুর স্ক্যাব (Streptomyces scabies), ভুট্টার বোঁটা পরা রোগ ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৪। খাদ্যদ্রব্যের পচন ও বিষাক্তক্ষরণ: ব্যাকটেরিয়া নানা রকম টাটকা ও সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্যের পচন ঘটিয়ে আমাদের প্রচুয় আর্থিক ক্ষতিসাধন করে। Clostridium botulinunt নামক ব্যাকটেরিয়া বানো botulin নামক বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে থাকে। এতে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। একে বটুলিজম বলে।
৫। পানি দুষণ: কলিফরাম ব্যাকটেরিয়া (সাধারণত মল দিয়ে ভূষিত) পানিকে পানের অযোগ্য করে থাকে।
৬। মাটির উর্বরতা শক্তি বিনষ্টকরণ: নাইট্রেট জাতীয় উপাদান মাটিকে উর্বর করে থাকে। কিন্তু কতিপয় ব্যাকটেরিয়া (যেমন Bacillus denitrificans) প্রাণীই নাইট্রাইটকে ভেঙে মুক্ত নাইট্রোজেনে পরিণয় করে এবং মাটির উর্ধয়তা শক্তি হ্রাস করে, ফণে ফসলের উৎপাদন কমে যায়।
৭। নিজব্যবহার্য দ্রব্যের ক্ষতিসাধন: ব্যাকটেরিয়া কাপড়-চোপড়, কাঠের আসবাবপত্রসহ অনেক দ্রব্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে।
৮। যুদ্ধ: যুদ্ধে ক্ষতিকারক জীবাণুর ব্যবহার মানব জাতির জন্য দারুণ হুমকি।
   ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের নাম
ক। টাইফয়েড
খ। গনেরিয়া
গ। নিউমোনিয়া
ঘ। যন্ত্রা
ঙ। মেনিনজাইটিস
চ। আমাশয়,
ছ। অ্যানথ্রাক্স
জ। ডিপথেরিয়া
ঝ। ধনুষ্টংকার
ঞ। কলেরা
ট। হুপিং কাশি
ঠ। কুষ্ঠ

Related Posts

তৃতীয় শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

চতুর্থ শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

পঞ্চম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও বৃত্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

ষষ্ঠ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

সপ্তম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

অষ্টম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও জেএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

নবম-দশম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

বিসিএস প্রিলি ও রিটেন দ্বিতীয় অংশঃ জীব বিজ্ঞান ১ম পার্ট

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.