জাতিসংঘের সাধারণ তথ্য/সাধারণ জ্ঞানের অন্যতম আলোচিত বিষয় জাতিসংঘ
আজ আমরা জাতিসংঘ নিয়ে বিস্তারিত জানবো,
Eduexplain শিক্ষা জগতের বিশ্বত প্রতিষ্ঠান আছে আপনার সাথে
১। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা -২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫
২।জাতিসংঘের প্রস্তাবক- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (১৯৪২)
৩। জাতিসংঘের সদর দপ্তর- ম্যানহাটন, নিউইয়র্ক (ইস্ট নদীর তীরে)
৪।জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৫।জাতিসংঘের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠায় জমি দান করেন- জন ডি রকফেলার (যুক্তরাষ্ট্র)
৬। জাতিসংঘ ভবনের স্থপতি- ডব্লিউ হ্যারিসন ৭। জাতিসংঘ দিবস -২৪ অক্টোবর (১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর সানফ্রান্সিসকোতে সনদ কার্যকর হয়)
৮। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য- বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
৯।জাতিসংঘের প্রাক্তন সদস্য- তাইওয়ান
১০।জাতিসংঘে পুনরায় যোগদান- ইন্দোনেশিয়া (২০ জানুয়ারি ১৯৬৫ সালে ত্যাগ করে ২৮ সেপ্টম্বর ১৯৬৬ সালে যোগ দেয়। ত্যাগের কারণ: মালয়েশিয়াকে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য করা
১১। কার্যক্রম স্থগিত- অছি পরিষদের (১৯৯৪ সালে পালাউয়ের স্বাধীনতার পর থেকে)
১২। জাতিসংঘে বাংলাদেশের চাঁদার হার- ০.০১% [১০ হাজার ভাগের ১ ভাগ।।
১৩। এলডিসি ভুক্ত দেশগুলোর চাঁদার হার- ০.০১%
১৪। এলডিসিমুক্ত দেশগুলোর চাঁদার হার- ০.১%
১৫। সাধারণ পরিষদের প্রতিটি সদস্য দেশের সর্বোচ্চ ভোটাধিকার- ১টি
১৬। সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ সভাপতিত্ব করে- ১ বার (১৯৮৬, ৪১ তম অধিবেশন, ড. হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী)
১৭। নিরাপত্তা পরিষদের অবরোধ আছে- ১টি দেশে (উত্তর কোরিয়ায়, ২০০৬ থেকে)
১৮। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের শান্তি প্রস্তাবে চীন ভেটো দেয়- ১ বার
১৯। বাংলাদেশ সদস্যপদের বিরুদ্ধে চীন ভেটো দেয়- ১ বার (১৯৭২ সালের ২৫ আগস্ট)
উপরে দেয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের You Tube Channel Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে
২০। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দেশ- ২টি। ভ্যাটিকান ও ফিলিস্তিন (অসদস্য পর্যবেক্ষক, ২০১২ থেকে)।
২১। জাতিসংঘ কার্যকরী ভাষা- ২টি (ইংরেজি ও ফরাসি)
২২। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যের মেয়াদ ২ বছর
২৩। নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে- ২ বার (১৯৭৯-৮০ ও ২০০০-২০০১)
২৪। নিরাপত্তা পরিষদে বর্তমানে অস্থায়ী এশীয় সদস্য- ২টি। পাকিস্তান (২০২৫-২০২৬) ও দক্ষিন কোরিয়া (২০২৪-২০২৫)
২৫। জাতিসংঘের পতাকার রং- ২ টি (নীল ও সাদা)
২৬। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্যের মেয়াদ ৩ বছর।
২৭। আদালতের সভাপতির মেয়াদ ৩ বছর, ২৮। মুক্তিযুদ্ধের বিরতির জন্য জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যদের প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দেয়- ৩ বার
২৯। জাতিসংঘের উদ্যোক্তা দেশ-৪টি। যথা: ⅰ) যুক্তরাষ্ট্র ii) যুক্তরাজ্য iii) চীন iv) রাশিয়া
৩০।জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ চায় এমন ৪টি দেশকে বলা হয়- G-4 (জাপান, জার্মানি, ভারত, ব্রাজিল)
৩১। জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য- ০৫টি। যথা: ⅰ) যুক্তরাষ্ট্র) যুক্তরাজ্য iii) ফ্রান্স iv) চীন ) রাশিয়া
৩২। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সদস্যদেশ প্রতিনিধি পাঠাতে পারে- ৫ জন
৩৩। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC) এর আঞ্চলিক কার্যালয়- ৫টি
৩৪। দাপ্তরিক/ অফিসিয়াল ভাষা- ৬টি (ইংরেজি, ফরাসি, চাইনিজ, রাশিয়ান, স্প্যানিশ ও আরবি)
৩৫। ১৯৬৫ সালের আগে অস্থায়ী সদস্য ছিল- ৬টি
৩৬। পরমাণু আলোচক দেশ- ৬টি
Eduexplain শিক্ষা জগতের বিশ্বত প্রতিষ্ঠান আছে আপনার সাথে
ক. ইরান বিষয়ক পরমাণু আলোচক দেশ- P-5+1 [P-5: স্থায়ী ৫ দেশ জার্মানি।। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনা পরিষদ ত্যাগ করেছে।
খ. উত্তর কোরিয়া বিষয়ক পরমাণু আলোচক দেশ- উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র
উপরে দেয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের You Tube Channel Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা (Principal Organs)- ৬টি
ক. UNGA: United Nations General Assembly [সাধারণ পরিষদ।
খ. UNSC: United Nations Security Council [নিরাপত্তা পরিষদ)
গ. ECOSOC: Economic and Social Council [অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ। ঘ. UN Secretariat [জাতিসংঘ সচিবালয়)
ঙ. ICJ: International Court of Justice [আন্তর্জাতিক আদালত]
চ. UN Trusteeship Council [অছি পরিষদ] ৩৭। সাধারণ পরিষদের অধীন কমিটি- ৬টি
৩৮। সাধারণ পরিষদের অধীন কমিশন- ৬টি ৩৯। ৭ম দাপ্তরিক ভাষা হবে- বাংলা
৪০। আন্তর্জাতিক আদালত (ICJ) ও ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) এর বিচারপতিদের। মেয়াদ- ৯ বছর।
৪১। নিরাপত্তা পরিষদে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৯টি দেশের সম্মতি প্রয়োজন। (৫টি স্থায়ীসহ)।
৪২। বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস ৯ম (পর্তুগাল)।
৪৩। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য
৪৪। ১৯৬৫ সালের আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য ছিল- ১১টি। ৪৫। নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য- ১৫টি ৪৬। আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক সংখ্যা-১৫ জন।
৪৭। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা- ১৭টি
৪৮। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকের সংখ্যা/১৮ জন
৪৯। ইকোসকে প্রতিবছর যোগ দেয়- ১৮টি দেশ।
৫০। জাতিসংঘ সনদের অধ্যায়- ১৯টি।
৫১। সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সনদে স্বাক্ষর করে- ৫০টি দেশ
৫২।জাতিসংঘের মূল সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ- ৫১টি
৫৩। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য- ৫৪টি
৫৪। জাতিসংঘ সনদের অনুচ্ছেদ- ১১১টি
৫৫। বাংলাদেশ ১৩৬তম সদস্য (১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সদস্যপদ পায়- বাংলাদেশ, গ্রানাডা ও গিনি বিসাউ)
৫৬। জাতিসংঘের সদস্য দেশ- ১৯৩ (সর্বশেষ: দক্ষিণ সুদান, ২০১১।
৫৭। জাতিসংঘ থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাধীন দেশ- ১৯৪টি (সর্বশেষ স্বীকৃতি পায়- ফিলিস্তিন, ২০১২।
৫৮। স্বীকৃতি ও সদস্যপদ কোনটি পায়নি-ভ্যাটিকান ও কসোভো।
জাতিসংঘ জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
লন্ডন ঘোষণা
১২ জুন ১৯৪১, লন্ডনের জেমস প্রাসাদ
১। জার্মানি ব্রিটেনে আক্রমণ করলে লন্ডনে আশ্রিত ইউরোপের ১০টি দেশ সহ মোট: ১৪টি দেশ গ্রিস, বেলজিয়াম, চেকোশ্লোভাকিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, যুগোস্লাভিয়া এবং ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও ইউনিয়ন অব সাউথ আফ্রিকা একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করে, এটি “লন্ডন ঘোষণা” নামে খ্যাত।
আটলান্টিক সনদ
১৪ আগস্ট, ১৯৪১
১। ব্রিটিশ রণতরী ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ এবং মার্কিন রণতরী ‘অগাস্টা’য় স্বাক্ষরিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট স্বাক্ষর করে।
২। মূলনীতি-৮টি
ওয়াশিংটন ডি.সি সম্মেলন
১ জানুয়ারি, ১৯৪২
১।জাতিসংঘের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন মিলিত হয়ে আটলান্টিক সনদের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে।
২। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাটির নামকরণ করেন জাতিসংঘ (United Nations)
৩। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিল, সোভিয়েত প্রতিনিধি লিটভিন। এবং চীনের প্রতিনিধি টি.ভি সুং জাতিসংঘ ঘোষণার (United Nations Declaration) দলিলে স্বাক্ষর করেন।
মস্কো ঘোষণা, ১৯৪৩
১। বিগ-৫ এর প্রধানরা জাতিসংঘ গঠনের লক্ষ্যে রাশিয়ার মস্কোতে সম্মেলনে মিলিত হন। এখানে ৭-দফা ‘মস্কো ডিকলারেশন’ ঘোষণা করে।
তেহেরান সম্মেলন, ১৯৪৩
১। ইরানের রাজধানী তেহরানে রুজভেল্ট, চার্চিল এবং রাশিয়ার জোসেফ স্ট্যালিন সকল দেশকে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন ১৯৪৩; (মরক্কো )
১। USA, UK ও ফ্রান্সের সরকারপ্রধান ও জেনারেলগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল। নাৎসিদের বিনা শর্তে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।
ব্রিটনউডস সম্মেলন
১-২২ জুলাই, ১৯৪৪; নিউহ্যাম্পশায়ার (USA)
১। United Nations Monetary and Financial Conference নামে পরিচিত
২। IMF & IBRD গঠিত হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
৩। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।
৪। মার্কিন ডলারকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ডাম্বারটনওকস সম্মেলন
১৯৪৪; ওয়াশিংটন
১। নিরাপত্তা পরিষদ গঠন এবং ৫টি স্থায়ী সদস্য নির্ধারণ
২। ১৯৪২ সালের United Nations Declaration টি United Nations Organization এ রূপান্তরিত হয়।
৩। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক আদালত, সচিবালয় ও ইকোসক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
কুইবেক সম্মেলন ১৯৪৫
১। FAO গঠিত হয়।
ইয়াল্টা সম্মেলন
১৯৪৫; ক্রিমিয়া, রাশিয়া
১। রুজভেল্ট, চার্চিল ও স্ট্যালিন এই সম্মেলনে মিলিত হন।
২। ৫টি স্থায়ী দেশকে ‘Veto’ ক্ষমতা প্রদান
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন
১৯৪৫; যুক্তরাষ্ট্র
১। ১৯টি অধ্যায় ও ১১১টি অনুচ্ছেদের জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর (২৬ জুন)।
২। যাতে স্বাক্ষর করেন সম্মেলনে উপস্থিত ৫০টি রাষ্ট্র, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর ৫১তম দেশ হিসেবে পোল্যান্ড জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে।
৩। ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ কার্যকর। এ কারণেই ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস বলা হয়।
কৌশল – লন্ডনের আটা ও মস্কোতে বসে ডিম খেতে হলে ইয়েস বলে সাইন করে দিন।
উপরে দেয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ প্রশ্ন উত্তর ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে ইনবক্স করুন WhatsApp নাম্বারে ০১৭৭৩৫৮৬১৭৬ । ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের You Tube Channel Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে
সাধারণ পরিষদ (UNGA)
১। ১৯৪৬ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডনের সেন্ট্রাল হলে কার্যক্রম শুরু হয়।
২। জাতিসংঘের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করা এর মূল কাজ।
৩। অপর নাম আলোচনা পরিষদ/ Discussion Body
৪। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যই এই পরিষদের সদস্য (১৯৩) Note: একটি দেশ সবোর্চ্চ ৫ সদস্য পাঠাতে পারে।
৫। সাধারণ সভা পরিচালনার জন্য ১ জন সভাপতি এবং ২১ জন সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
৬। প্রথম বাঙালি সভাপতি বাংলাদেশের হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী (১৯৮৬)
৭। সভাপতির মেয়াদ ১বছর [প্রথম নারী সভাপতি: বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিত, ভারত।
৮। প্রতি সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার এর অধিবেশন শুরু হয়।
৯। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাশ হয়
১০। কার্যাবলি
১. সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচন
২. মহাসচিব নিয়োগ
৩. সদস্য দেশকে বহিষ্কার
৪. জাতিসংঘের বাজেট পাস
৫. সদস্য দেশের চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ
৬. অঙ্গ সংস্থার সদস্য নির্বাচন
৭. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন ৮. নিরাপত্তা পরিষদের সাথে সম্মতিতে বিচারক নিয়োগ।
১১। সহায়ক কমিটি ৬টি কমিটি।
নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)
১। ১৯৪৬ সালের ১৭ জানুয়ারি লন্ডনে কার্যক্রম শুরু হয়।
২। শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করা এর মূল উদ্দেশ্য।
৩। অপর নাম স্বস্তি পরিষদ/ Global Safety Net
৪। সদস্য ১৫টি [স্থায়ী ৫+ অস্থায়ী ১০]
৫। সভাপতির মেয়াদ ১ মাস।
৬। অধিবেশনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই।
৭। প্রস্তাব পাস তিন-পঞ্চমাংশ ভোটে [৯টি হ্যাঁ ভোটে]
৮। কার্যাবলি-
১. অছি পরিষদ পরিচালনা
২. মহাসচিব নিয়োগ অনুমোদন
৩. অবরোধ আরোপ
৪. সনদ সংশোধন
৫. সাধারণ পরিষদ তথা জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রদান
৬. শান্তিরক্ষী কার্যক্রম পরিচালনা
৭. সাধারণ পরিষদের সম্মতিতে বিচারক নিয়োগ
Eduexplain এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
(ECOSOC)
১।প্রতিষ্ঠা – ২৬ জুন, ১৯৪৫
২। পূর্ণরূপ – Economic and Social Council
৩। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য – ১৮টি
৪। বর্তমানে সদস্য – ৫৪টি
৫। সদস্যের মেয়াদ : ৩ বছর
৬। আঞ্চলিক কমিশন : ০৫টি
৭। বাংলাদেশ সদস্য : ২০২৫-২৭ (১০ম বার)
৮। মূল কাজ- মানুষের জীবন যাত্রার উন্নয়ন ৯। পরিচিতি- UN Family নামে
১০। কার্যাবলি-
১. উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা
২. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
৩. মানবাধিকার অর্জন মনে রাখুন
৪. মাদক দ্রব্য ও চোরাচালান রোধ।
১০। Sustainable Development ধারণার প্রবর্তক- ECOSOC
১১। Agenda-2030 গ্রহণ করে- ইকোসক (যার শিরোনাম Youth Taking Action)
১২। বাংলাদেশ ইকোসকের প্রথম সদস্যপদ পায়- ১৯৭৬-১৯৭৮
১৩। UNOPS: United Nations Office for Project Services, নিজস্ব অর্থায়নে সেবা সংস্থা। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটির সদর দপ্তর- কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক।
১৪। জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৭তম স্থায়ী প্রতিনিধি- সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী
আন্তর্জাতিক বিচারালয় (ICJ)
১। প্রতিষ্ঠা-২৬ জুন, ১৯৪৫
২। পূর্ণরূপ- International Court of Justice
৩।অন্য নাম-বিশ্ব কোর্ট (জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা)।
৪। বর্তমান সভাপতি : নাওয়াফ সালাম (লেবানন)
৫। সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত।
৬। সভাপতির মেয়াদ : ৩ বছর
৭। বিচারক : ১৫ জন
৮। বিচারকের মেয়াদ: ৯ বছর।
৯। গঠন ও ক্ষমতা: জাতিসংঘ সনদের ৯৩ অনুচ্ছেদ বলে গঠন এবং ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতিসংঘের সকল সদস্য আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য।
জাতিসংঘ সচিবালয় (UN Secretariat)
Eduexplain এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
১। পরিচয় – মহাসচিবের কার্যালয়
২। সদর দপ্তর -নিউইয়র্কের দ্যাগ হেমারশোল্ড ভবন
৩। প্রধান নির্বাহী- মহাসচিব
৪। উপ-মহাসচিব – ১১ জন
৫। সহকারী মহাসচিব- ৬ জন।
৬। মূল কাজ- প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৭।জাতিসংঘ গঠনের পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন- ব্রিটিশ কূটনীতিক প্লাডডইন জেব (Gladwyn Jebb)।
৮। বর্তমান মহাসচিব- আন্তোনিও গুতেরেস।
অছি পরিষদ (UN Trusteeship Council)
১। পরিচয়-বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের দায়িত্ব নেয়া প্রতিষ্ঠান
২। পরিচালিত হয়- নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে
৩। মূল কাজ ছিল- পরাধীন রাষ্ট্রগুলোকে স্বাধীন করা
৪। কার্যক্রম স্থগিত-১৯৯৪ সালে পালাউয়ের স্বাধীনতার পর থেকে
৫। বর্তমানে একমাত্র অছিভুক্ত অঞ্চল: যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে Pacific Islands
Eduexplain এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী (UN Peacekeeping)
১। গঠন- ১৯৪৮ সালে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্যোগে।
২। গঠনের প্রেক্ষাপট- আরব-ইসরাইলের প্রথম যুদ্ধ
৩। প্রথম নিরস্ত্র মিশনের নাম-United Nations Truce Supervision Organization (UNTSO).
৪। প্রথম মিশন প্রেরণ- জেরুজালেমে
৫। বর্তমান জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন প্রধানের নাম- জাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স।
৬। সনদের অনুচ্ছেদ প্রেরণের শর্ত-৩টি।
যথা- ক. যে দেশে বাহিনী প্রেরণ করা হবে সে দেশের সম্মতি থাকতে হবে।
খ. নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হতে হবে।
গ. জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষী বাহিনীতে স্বেচ্ছামূলকভাবে সেনাবাহিনী প্রেরণ করতে হবে।
৭। এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী মিশন গঠিত হয়েছে- ৭১টি
৮। শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা রয়েছে- ১২৫টি দেশের
৯। মোট নিহত: ৪৩০০ জনের অধিক
১০। বাংলাদেশের- ১৬৮ জন।
১১। নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ: ১৯৮৮ সাল ১২। শান্তিরক্ষী দিবস: ২৯ মে চলমান
১৩। শান্তিরক্ষী মিশন: ১১টি UN
১৪। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত অংশ নিয়েছে-৪৩টি দেশের ৬৩টি মিশনে [ফেব্রুয়ারি, ২০২৪]
১৫। বাংলাদেশ বর্তমানে কর্মরত আছে-০৮টি মিশন।
১৬। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সদস্য হয়- ১৯৭৯ সালে এবং অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৮ সাল থেকে ।
১৭। ২০২৩ সালে দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক লাভ করেন- ৫ জন বাংলাদেশি ।
১৮। এই পর্যন্ত শান্তিরক্ষী মিশনে অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে- বাংলাদেশ (৩য়) (জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা)
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)
১। ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই রোমে যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত রোম বিধি বা Rome Statute’ স্বরিত এয়। এই দিন International Criminal Court (ICC) নামে একটি আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২। প্রতিষ্ঠা-১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই
৩। যাত্রা শুরু- ২০০২ সালের ১ জুলাই বর্তমান সদস্য- ১২৪টি (সর্বশেষ- আর্মেনিয়া)। ৪। বাংলাদেশ রোম বিধি স্বাক্ষর করে- মার্চ, ২০১০। ঐ দিনই বাংলাদেশ ICC এর ১১১তম সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ মার্চ ২০১০ তারিখে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য Intertional Criminal Tribunal প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে সেই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। গত ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
৫। ফিলিস্তিন সদস্যপদ পায়- ২০১৫ সালে
৬। আন্তর্জাতিক আদালত বিচার করে- নিম্নোক্ত ৪টি অপরাধের।
ক. গণহত্যার অপরাধ
খ. মানবতাবিরোধী অপরাধ
গ. যুদ্ধাপরাধ
ঘ. আগ্রাসনের অপরাধ
৭। বিচারক: ১৮ জন
৮। সদর দপ্তর: দি হেগ, নেদারল্যান্ডস [পিস প্যালেস।
৯। সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুসহ বহু মানুষকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন ভ্লাদিমের পুতিনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
UN Women
১। পরিচয়-নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা সংস্থা।
২। অফিসিয়াল নাম-United Nations Entity for Gender Equality and the Empowerment of Women
৩। প্রতিষ্ঠা-২০১০
৪। কার্যক্রম শুরু-১ জানুয়ারি, ২০১১
৫। গঠন করেছে-সাধারণ পরিষদ, ECOSOC & Commission on the Status of Women (CSW)
৬। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক
৭। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন- চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচলেট
৮। নির্বাহী বোর্ডের সদস্য- ৪১ (এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চলে ১০)
৯। নির্বাহী পরিচালক- Ms. Sima Sami Bahous (Jordan)
UNIFEM
১। পরিচয়-নারী উন্নয়ন তহবিল
২। UNIFEM- UN Development Fund for Women সদর দপ্তর: নিউইয়র্ক
৩। প্রতিষ্ঠা- ১৯৭৬
CEDAW
১। পরিচয়- নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ/ নারী অধিকারের দলিল
২। CEDAW: Convention on Elimination of all forms of Discrimination Against Women
৩। স্বাক্ষর- ১৯৭৯, নিউইয়র্ক
৪। কার্যকর- ১৯৮১
৫। প্রথম স্বাক্ষরকারী- সুইডেন
৬। স্বাক্ষরকারী-১৮৯টি দেশ (১৮টি গোষ্ঠী)। ৭। অনুমোদন করেনি- ইরান, সুদান, সোমালিয়া, নাউরু, পালাউ, টোঙ্গা
৮। বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে- ১৯৮৪ সালে [অনুমোদন দেয়নি।
৯। ধারা: ৩০টি
প্রথম ভাগ- নারী পুরুষের সমতা [১ থেকে ১৬ ধারা।
-দ্বিতীয় ভাগ- কর্তব্য [১৭ থেকে ২২ ধারা) -তৃতীয় ভাগ- প্রশাসন [২৩ থেকে ৩০ ধারা] ১০। বাংলাদেশের আপত্তি- ধারা ২ এবং ১৬.১ (গ)
১১। রেজ্যুলেশন- UN Security Council Resolution 1325 on Women, Peace and Security
১২। সিডও কমিটির প্রথম বাংলাদেশি সদস্য- সালমা খান।
WFP
১। পূর্ণরূপ- World Food Program
২। পরিচিতি- ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা
৩। প্রতিষ্ঠা- ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৬১
৪। সদর দপ্তর-রোম, ইতালি
৫। প্রথম উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করে-সুদানে (১৯৬৩ সালে)
৬। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ-২০২০ সালে
৭।অবদান-সংঘাত ও যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলোতে ক্ষুধা নিরসন।
জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক সংস্থা
UNDP
১। শুভেচ্ছাদূত- জয়া আহসান
২। পরিচয়- জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সংস্থা UNDP United Nations Development Program
৩। প্রতিষ্ঠা- ২২ নভেম্বর ১৯৬৫ সালে
৪। যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে ইউএনডিপি করা হয়- programme of Assistance And (EPTA) Special Fund Technical Expanded
৫। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক
৬। প্রকাশ করে- Human Development Report
৭। Parent Organization
ECOSOC
৮। নির্বাহী বোর্ডের বর্তমান সদস্য- ৩৬
৯। সূচকের নাম-Human Development Index (HDI)
১০। ডোরকিপার-MDGs & SDGs এর
UNEP
১। পরিচয়- জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি
২। UNEP- United Nations Environment Program
৩। প্রতিষ্ঠা-৫ জুন, ১৯৭২ স্টকহোম সামিটের মাধ্যমে।
৪। সদর দপ্তর- নাইরোবি, কেনিয়া।
৫। সদস্য-১৯৩।
UNIDO
১। পরিচয়- জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ২। UNIDO-UN Industrial Development Program
৩। সদর দপ্তর- ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।
৪। প্রতিষ্ঠা-১৭ নভেম্বর, ১৯৬৬
৫। Parent Organization: ECOSOC
UNFPA
১। পরিচয়-জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ২। UNFPA-United Nations Population Fund.
৩। পূর্ব নাম-United Nations Fund for Population Activities.
৪। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
৫। প্রতিষ্ঠা- ১৯৬৯ সালে।
৬। নির্বাহী সদস্য- ৩৬টি।
UNICEF
১। পরিচয়-জাতিসংঘের শিশু তহবিল
২। UNICEF- United Nations Childrens’ Fund
৩। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
৪। পূর্ব নাম- United Nations Children’s Emergency Fund
৫। প্রতিষ্ঠা- ১১ ডিসেম্বর, ১৯৪৬ সালে (সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে।
৬। বর্তমানে উপস্থিতি রয়েছে-১৯২টি দেশে
৭। নির্বাহী সদস্য- ৩৬টি।
৮। Parent Organization: ECOSOC
৯। নোবেল শান্তি লাভ- ১৯৬৫ সালে
১০। শ্লোগান- For every child
WMO
১। পরিচয়- বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা
২। WMO- World Meteorological Organization
৩। সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৪। প্রতিষ্ঠা-২৩ মার্চ, ১৯৫০
UNHCR
১। পরিচয়-জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা
২। UNHCR-United Nations High Commissioner for Refugees
৩। সদর দপ্তর-জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৪। প্রতিষ্ঠা- ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে
৫। বর্তমান প্রধান-ফিলিপ্পো গ্রান্ডি (ইতালি)।
৬। কার্যক্ষেত্র- ১৩৬টি দেশ
৭। Parent Organization-UNGA and ECOSOC
৮। নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ-১৯৫৪ ও ১৯৮১
IOM
১। পরিচয়- জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা
২। IOM: International Organisation for Migration
৩। সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৪। প্রতিষ্ঠা- ৬ ডিসেম্বর, ১৯৫১
ICAO
১। পরিচয়-বিশ্ব বেসামরিক বিমান সংস্থা
২। ICAO- International Civil Aviation Organization
৩। সদর দপ্তর-মন্ট্রিল, কানাডা
৪। প্রতিষ্ঠা- ১৯৪৭
৫। সদস্য-১৯৩টি
৬। সর্বশেষ সদস্য- ডোমিনিকা
ITU
১। পরিচয়-আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা
২। ITU- InternationalTelecommunication
Union
৩। প্রতিষ্ঠা- ১৮৬৫ সালের ১৭ মে
৪। সদস্য-১৯৩টি
৫। সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
৬। সর্বশেষ সদস্য- দক্ষিণ সুদান।
JAEA
১। পরিচয় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা ২। IAEA- International Atomic Energy Agency
৩। সদর দপ্তর- ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
৪। নোবেল শান্তি- ২০০৫
৫। মহাপরিচালক- আর্জেন্টিনার রাফায়েল ম্যারিনো গ্রোসি (৬ষ্ঠ)
৬। সদস্য-১৭৮টি (সর্বশেষ গায়ানা)
৭। প্রতিষ্ঠা-২৯ জুলাই, ১৯৫৭
IMO
১। পরিচয়- আন্তর্জাতিক সমুদ্র গবেষণা সংস্থা
২। IMO- International Maritime Organization
৩। সদর দপ্তর-লন্ডন।
৪। প্রতিষ্ঠা-১৯৪৮
ICSC
১। পরিচয়-জাতিসংঘের সিভিল সার্ভিস কমিশন
২। ICSC- The International Civil Service Commission
৩। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক
৪। প্রতিষ্ঠা- ১৯৭৪
FAO
১। পরিচয়-জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। ২। FAO- Food & Agricultural Organization
৩। প্রতিষ্ঠা- ১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে।
৪। সদর দপ্তর-রোম, ইতালি
৫। সদস্য-১৯৫টি (১৯৪টি দেশ+ ইউ)
৬। জাতিসংঘের সদস্য কিন্তু FAO সদস্য নয়- লিচটেনস্টেইন
৭। FAO এর সদস্য নয়-ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্ক্রিন।
ILO
১। পরিচয়- আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা
২। প্রতিষ্ঠা- ১১ এপ্রিল, ১৯১৯ সালে দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে কিন্তু জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয়- ১৯৪৬ সালে
৩। ILO- International Labour Organization
৪। সদর দপ্তর-জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
৫। সদস্য- ১৮৭
৬। ধরন- জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা।
৬। বাংলাদেশ ২২ মার্চ, ২০২২ তারিখে ‘কনভেনশন- ১৩৮০ অনুমোদন করে। এর ফলে ১৪ বছরের নিচের শিশুশ্রম নিষিদ্ধে। বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেন।
UNCTAD
১। পরিচয়-উন্নয়নশীল বিশ্বে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সংস্থা
২। UNCTAD- UN Conference on Trade and Development
৩। প্রতিষ্ঠা-৩০ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ সালে
৪। সদর দপ্তর-জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৫। বাংলাদেশ সদস্য পায়- ১৯৭২ সালে
৬। প্রতিষ্ঠা করে- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ
৭। সদস্য-১৯৫টি
৮। অন্যতম প্রধান অর্জন-জিএসপি চালু
UPU
১। পরিচয়- আন্তর্জাতিক ডাক সংস্থা
২। UPU- Universal Postal Union
৩। সদর দপ্তর-বার্ন, সুইজারল্যান্ড
৪। প্রতিষ্ঠা-০৯ অক্টোবর, ১৮৭৪ সাল।
UNWTO
১। United Nations World Tourism Organization.
২। প্রতিষ্ঠা-২ জানুয়ারি, ১৯৭৫
৩। সদর দপ্তর-মাদ্রিদ, স্পেন।
৪। সদস্য-১৬০টি
৫। বাংলাদেশ সদস্য হয়- ১৯৭৫ সালে।
WIPO
১। পরিচয়-জাতিসংঘের মেধা সংরক্ষণ সংস্থা ২। প্রতিষ্ঠা-১৪ জুলাই, ১৯৬৭
৩। WIPO-World Intellectual Property Organization
৪। সদর দপ্তর-জেনেভা, সুইজারল্যান্ড। ৫। সদস্য: ১৯৩টি
৫। সর্বশেষ: নাউরু।
UNESCO
১।পরিচয়-জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা
২। UNESCO- UN Educational, Scientific and Cultural Organization
৩। প্রতিষ্ঠা-১৬ নভেম্বর, ১৯৪৫,
৪। সদর দপ্তর-প্যারিস, ফ্রান্স
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
লন্ডন ঘোষণা
১২ জুন ১৯৪১, লন্ডনের জেমস প্রাসাদ
১। জার্মানি ব্রিটেনে আক্রমণ করলে লন্ডনে আশ্রিত ইউরোপের ১০টি দেশ সহ মোট: ১৪টি দেশ গ্রিস, বেলজিয়াম, চেকোশ্লোভাকিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, যুগোস্লাভিয়া এবং ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও ইউনিয়ন অব সাউথ আফ্রিকা একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করে, এটি “লন্ডন ঘোষণা” নামে খ্যাত।
আটলান্টিক সনদ
১৪ আগস্ট, ১৯৪১
১। ব্রিটিশ রণতরী ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ এবং মার্কিন রণতরী ‘অগাস্টা’য় স্বাক্ষরিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট স্বাক্ষর করে।
২। মূলনীতি-৮টি
ওয়াশিংটন ডি.সি সম্মেলন
১ জানুয়ারি, ১৯৪২
১।জাতিসংঘের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন মিলিত হয়ে আটলান্টিক সনদের কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে।
২। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাটির নামকরণ করেন জাতিসংঘ (United Nations)
৩। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী চার্চিল, সোভিয়েত প্রতিনিধি লিটভিন। এবং চীনের প্রতিনিধি টি.ভি সুং জাতিসংঘ ঘোষণার (United Nations Declaration) দলিলে স্বাক্ষর করেন।
মস্কো ঘোষণা, ১৯৪৩
১। বিগ-৫ এর প্রধানরা জাতিসংঘ গঠনের লক্ষ্যে রাশিয়ার মস্কোতে সম্মেলনে মিলিত হন। এখানে ৭-দফা ‘মস্কো ডিকলারেশন’ ঘোষণা করে।
তেহেরান সম্মেলন, ১৯৪৩
১। ইরানের রাজধানী তেহরানে রুজভেল্ট, চার্চিল এবং রাশিয়ার জোসেফ স্ট্যালিন সকল দেশকে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন ১৯৪৩; (মরক্কো )
১। USA, UK ও ফ্রান্সের সরকারপ্রধান ও জেনারেলগণ উপস্থিত ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল। নাৎসিদের বিনা শর্তে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।
ব্রিটনউডস সম্মেলন
১-২২ জুলাই, ১৯৪৪; নিউহ্যাম্পশায়ার (USA)
১। United Nations Monetary and Financial Conference নামে পরিচিত
২। IMF & IBRD গঠিত হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৪৫
৩। ৪৪টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেয়।
৪। মার্কিন ডলারকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ডাম্বারটনওকস সম্মেলন
১৯৪৪; ওয়াশিংটন
১। নিরাপত্তা পরিষদ গঠন এবং ৫টি স্থায়ী সদস্য নির্ধারণ
২। ১৯৪২ সালের United Nations Declaration টি United Nations Organization এ রূপান্তরিত হয়।
৩। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক আদালত, সচিবালয় ও ইকোসক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
কুইবেক সম্মেলন ১৯৪৫
১। FAO গঠিত হয়।
ইয়াল্টা সম্মেলন
১৯৪৫; ক্রিমিয়া, রাশিয়া
১। রুজভেল্ট, চার্চিল ও স্ট্যালিন এই সম্মেলনে মিলিত হন।
২। ৫টি স্থায়ী দেশকে ‘Veto’ ক্ষমতা প্রদান
সানফ্রান্সিসকো সম্মেলন
১৯৪৫; যুক্তরাষ্ট্র
১। ১৯টি অধ্যায় ও ১১১টি অনুচ্ছেদের জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর (২৬ জুন)।
২। যাতে স্বাক্ষর করেন সম্মেলনে উপস্থিত ৫০টি রাষ্ট্র, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর ৫১তম দেশ হিসেবে পোল্যান্ড জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে।
৩। ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ কার্যকর। এ কারণেই ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস বলা হয়।
কৌশল – লন্ডনের আটা ও মস্কোতে বসে ডিম খেতে হলে ইয়েস বলে সাইন করে দিন।
সাধারণ পরিষদ (UNGA)
১। ১৯৪৬ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডনের সেন্ট্রাল হলে কার্যক্রম শুরু হয়।
২। জাতিসংঘের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করা এর মূল কাজ।
৩। অপর নাম আলোচনা পরিষদ/ Discussion Body
৪। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যই এই পরিষদের সদস্য (১৯৩) Note: একটি দেশ সবোর্চ্চ ৫ সদস্য পাঠাতে পারে।
৫। সাধারণ সভা পরিচালনার জন্য ১ জন সভাপতি এবং ২১ জন সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
৬। প্রথম বাঙালি সভাপতি বাংলাদেশের হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী (১৯৮৬)
৭। সভাপতির মেয়াদ ১বছর [প্রথম নারী সভাপতি: বিজয়ালক্ষ্মী পণ্ডিত, ভারত।
৮। প্রতি সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় মঙ্গলবার এর অধিবেশন শুরু হয়।
৯। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাশ হয়
১০। কার্যাবলি
১. সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচন
২. মহাসচিব নিয়োগ
৩. সদস্য দেশকে বহিষ্কার
৪. জাতিসংঘের বাজেট পাস
৫. সদস্য দেশের চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ
৬. অঙ্গ সংস্থার সদস্য নির্বাচন
৭. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন ৮. নিরাপত্তা পরিষদের সাথে সম্মতিতে বিচারক নিয়োগ।
১১। সহায়ক কমিটি ৬টি কমিটি।
নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)
১। ১৯৪৬ সালের ১৭ জানুয়ারি লন্ডনে কার্যক্রম শুরু হয়।
২। শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করা এর মূল উদ্দেশ্য।
৩। অপর নাম স্বস্তি পরিষদ/ Global Safety Net
৪। সদস্য ১৫টি [স্থায়ী ৫+ অস্থায়ী ১০]
৫। সভাপতির মেয়াদ ১ মাস।
৬। অধিবেশনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই।
৭। প্রস্তাব পাস তিন-পঞ্চমাংশ ভোটে [৯টি হ্যাঁ ভোটে]
৮। কার্যাবলি-
১. অছি পরিষদ পরিচালনা
২. মহাসচিব নিয়োগ অনুমোদন
৩. অবরোধ আরোপ
৪. সনদ সংশোধন
৫. সাধারণ পরিষদ তথা জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রদান
৬. শান্তিরক্ষী কার্যক্রম পরিচালনা
৭. সাধারণ পরিষদের সম্মতিতে বিচারক নিয়োগ
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
(ECOSOC)
১।প্রতিষ্ঠা – ২৬ জুন, ১৯৪৫
২। পূর্ণরূপ – Economic and Social Council
৩। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য – ১৮টি
৪। বর্তমানে সদস্য – ৫৪টি
৫। সদস্যের মেয়াদ : ৩ বছর
৬। আঞ্চলিক কমিশন : ০৫টি
৭। বাংলাদেশ সদস্য : ২০২৫-২৭ (১০ম বার)
৮। মূল কাজ- মানুষের জীবন যাত্রার উন্নয়ন ৯। পরিচিতি- UN Family নামে
১০। কার্যাবলি-
১. উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠা
২. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ
৩. মানবাধিকার অর্জন মনে রাখুন
৪. মাদক দ্রব্য ও চোরাচালান রোধ।
১০। Sustainable Development ধারণার প্রবর্তক- ECOSOC
১১। Agenda-2030 গ্রহণ করে- ইকোসক (যার শিরোনাম Youth Taking Action)
১২। বাংলাদেশ ইকোসকের প্রথম সদস্যপদ পায়- ১৯৭৬-১৯৭৮
১৩। UNOPS: United Nations Office for Project Services, নিজস্ব অর্থায়নে সেবা সংস্থা। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটির সদর দপ্তর- কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক।
১৪। জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৭তম স্থায়ী প্রতিনিধি- সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী
আন্তর্জাতিক বিচারালয় (ICJ)
১। প্রতিষ্ঠা-২৬ জুন, ১৯৪৫
২। পূর্ণরূপ- International Court of Justice
৩।অন্য নাম-বিশ্ব কোর্ট (জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা)।
৪। বর্তমান সভাপতি : নাওয়াফ সালাম (লেবানন)
৫। সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত।
৬। সভাপতির মেয়াদ : ৩ বছর
৭। বিচারক : ১৫ জন
৮। বিচারকের মেয়াদ: ৯ বছর।
৯। গঠন ও ক্ষমতা: জাতিসংঘ সনদের ৯৩ অনুচ্ছেদ বলে গঠন এবং ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতিসংঘের সকল সদস্য আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য।
জাতিসংঘ সচিবালয় (UN Secretariat)
১। পরিচয় – মহাসচিবের কার্যালয়
২। সদর দপ্তর -নিউইয়র্কের দ্যাগ হেমারশোল্ড ভবন
৩। প্রধান নির্বাহী- মহাসচিব
৪। উপ-মহাসচিব – ১১ জন
৫। সহকারী মহাসচিব- ৬ জন।
৬। মূল কাজ- প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৭।জাতিসংঘ গঠনের পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিলেন- ব্রিটিশ কূটনীতিক প্লাডডইন জেব (Gladwyn Jebb)।
৮। বর্তমান মহাসচিব- আন্তোনিও গুতেরেস।
অছি পরিষদ (UN Trusteeship Council)
১। পরিচয়-বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের দায়িত্ব নেয়া প্রতিষ্ঠান
২। পরিচালিত হয়- নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে
৩। মূল কাজ ছিল- পরাধীন রাষ্ট্রগুলোকে স্বাধীন করা
৪। কার্যক্রম স্থগিত-১৯৯৪ সালে পালাউয়ের স্বাধীনতার পর থেকে
৫। বর্তমানে একমাত্র অছিভুক্ত অঞ্চল: যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে Pacific Islands
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী (UN Peacekeeping)
১। গঠন- ১৯৪৮ সালে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্যোগে।
২। গঠনের প্রেক্ষাপট- আরব-ইসরাইলের প্রথম যুদ্ধ
৩। প্রথম নিরস্ত্র মিশনের নাম-United Nations Truce Supervision Organization (UNTSO).
৪। প্রথম মিশন প্রেরণ- জেরুজালেমে
৫। বর্তমান জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন প্রধানের নাম- জাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স।
৬। সনদের অনুচ্ছেদ প্রেরণের শর্ত-৩টি।
যথা- ক. যে দেশে বাহিনী প্রেরণ করা হবে সে দেশের সম্মতি থাকতে হবে।
খ. নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হতে হবে।
গ. জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষী বাহিনীতে স্বেচ্ছামূলকভাবে সেনাবাহিনী প্রেরণ করতে হবে।
৭। এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী মিশন গঠিত হয়েছে- ৭১টি
৮। শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা রয়েছে- ১২৫টি দেশের
৯। মোট নিহত: ৪৩০০ জনের অধিক
১০। বাংলাদেশের- ১৬৮ জন।
১১। নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ: ১৯৮৮ সাল ১২। শান্তিরক্ষী দিবস: ২৯ মে চলমান
১৩। শান্তিরক্ষী মিশন: ১১টি UN
১৪। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত অংশ নিয়েছে-৪৩টি দেশের ৬৩টি মিশনে [ফেব্রুয়ারি, ২০২৪]
১৫। বাংলাদেশ বর্তমানে কর্মরত আছে-০৮টি মিশন।
১৬। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সদস্য হয়- ১৯৭৯ সালে এবং অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৮ সাল থেকে ।
১৭। ২০২৩ সালে দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক লাভ করেন- ৫ জন বাংলাদেশি ।
১৮। এই পর্যন্ত শান্তিরক্ষী মিশনে অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে- বাংলাদেশ (৩য়) (জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা)
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)
১। ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই রোমে যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত রোম বিধি বা Rome Statute’ স্বরিত এয়। এই দিন International Criminal Court (ICC) নামে একটি আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২। প্রতিষ্ঠা-১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই
৩। যাত্রা শুরু- ২০০২ সালের ১ জুলাই বর্তমান সদস্য- ১২৪টি (সর্বশেষ- আর্মেনিয়া)। ৪। বাংলাদেশ রোম বিধি স্বাক্ষর করে- মার্চ, ২০১০। ঐ দিনই বাংলাদেশ ICC এর ১১১তম সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ মার্চ ২০১০ তারিখে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য Intertional Criminal Tribunal প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে সেই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। গত ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
৫। ফিলিস্তিন সদস্যপদ পায়- ২০১৫ সালে
৬। আন্তর্জাতিক আদালত বিচার করে- নিম্নোক্ত ৪টি অপরাধের।
ক. গণহত্যার অপরাধ
খ. মানবতাবিরোধী অপরাধ
গ. যুদ্ধাপরাধ
ঘ. আগ্রাসনের অপরাধ
৭। বিচারক: ১৮ জন
৮। সদর দপ্তর: দি হেগ, নেদারল্যান্ডস [পিস প্যালেস।
৯। সাম্প্রতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুসহ বহু মানুষকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন ভ্লাদিমের পুতিনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে
জাতিসংঘের সহস্রাব্দ ঘোষণাপত্র
১। মিলেয়িাম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ২০০০ সালে।
২। জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে।
৩। MDG এর লক্ষ্যমাত্রা- ৮টি।
৪। MDG এর সময়কাল: ২০০১-২০১৫।
৫।MDG অর্জনের সময়সীমা- ২০১৫ সাল।
৬। বাংলাদেশ এমডিজি ২০১০ পুরস্কার লাভ করে ৪ নং লক্ষ্য (শিশুমৃত্যু হার হ্রাস) অর্জনের জন্য।
৭। MDG এর পরবর্তী পদক্ষেপ- SDG (Sustainable Development Goals)
৮। SDG গৃহীত হয়- ২০১৫ সালে।
৯।SDG কার্যকর হয়- ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি।
১০। SDG এর মেয়াকাল: ২০১৬-২০৩০ সাল পর্যন্ত। মোট ১৫ বছর।
১১। SDG অর্জনের সময়সীমা- ২০৩০ সাল। ১২।SDG এর লক্ষ্যমাত্রা- ১৭টি।
১৩। MDG এর পূর্ণরূপ- Millennium Development Goals.
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC)
১। OIC এর পূর্ণরূপ- Organization of Islamic Co-operation (ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা)।
২। OIC এর প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ণরূপ- Organization of the Islamic Conference (ইসলামী সম্মেলন সংস্থা)।
৩। ইসলামী সম্মেলন সংস্থা নাম পরিবর্তন করে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা রাখা হয়- ২০১১ সালে।
৪। OIC গঠিত হয়- ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ সালে (মরক্কোর রাজধানী রাবাতে)।
৫। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে OIC গঠিত হয়- ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র মসজিদ আল আকসাতে ইসরাইল কর্তৃক অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
৬। OIC এর মূল অঙ্গসংগঠন- ৪টি।
১. রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের সম্মেলন, ২. পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন,
৩. সাধারণ সচিবালয় ও
৪. আন্তর্জাতিক ইসলামী আদালত।
৭। OIC এর অফিসিয়াল ভাষা- আরবি, ইংরেজি ও ফরাসি (ফারসি নয়)।
৮। OIC এর সদর দপ্তর- জেদ্দা, সৌদি আরব।
৯। OIC এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- তিন বছর পর পর।
১০। OIC এর প্রথম মহাসচিব- টেংকু আবদুর রহমান (মালয়েশিয়া)
১১। সদস্য দেশগুলোর ভোটে প্রথম নির্বাচিত মহাসচিব- তুরস্কের একমেলেদ্দিন ইহসানোগলু।
১২। বর্তমান ও একাদশ মহাসচিব- ইউসুফ আল ওথাইমিন।
১৩। OIC এর মহাসচিবের মেয়াদকাল- পাঁচ বছর।
১৪। OIC এর বর্তমান সদস্য- ৫৭টি (প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ২৫টি)
১৫। OIC এর সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র- আইভরি কোস্ট (২০০১)
১৬। সদস্যপদ স্থগিত রয়েছে- সিরিয়ার (১৫ আগস্ট ২০১২ হতে)
১৭। সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা- জাতিসংঘভুক্ত যে কোন মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ।
১৮। মুসলমান প্রধান না হয়েও OIC এর সদস্য দেশ- উগান্ডা, ক্যামেরুন, বেনিন, মোজাম্বিক, গায়ানা ও সুরিনাম।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM)
১। NAM এর পূর্ণরূপ- Non-Aligned Movement.
২। যে সম্মেলনের মাধ্যমে NAM গঠনের সিদ্ধান্ত হয়- ১৯৫৫ সালের ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে
৩। প্রথম আফ্রো-এশিয়া সম্মেলন অর্থাৎ বান্দুং সম্মেলনের মাধ্যমে।
৪। আনুষ্ঠানিকভাবে NAM গঠিত হয়- ১৯৬১ সালে, বেলগ্রেড সম্মেলনে (যুগোস্লাভিয়া)
৫। NAM গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন- যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, মিসরের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুল নাসের, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. সুকর্ণ ও ঘানার প্রেসিডেন্ট নক্রুমা।
৬। NAM গঠনের উদ্দেশ্য- স্নায়ু যুদ্ধকালীন দুই পরাশক্তির শিবিরের কোনটিতে অন্তর্ভূক্ত না হয়ে উভয়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ৭। বর্তমান সদস্য- ১২০টি।
৮। সর্বশেষ সদস্য- আজারবাইজান ও ফিজি। ৯। NAM এর বার্তা সংস্থার নাম- NAM News Network (NNN)
১০। NNN প্রতিষ্ঠা লাভ করে- ২০০৬ সালে। (সদর দপ্তর কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া)
১১। NAM এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- বেলগ্রেড, যুগোশ্লাভিয়া (১৯৬১)
১২। NAM এর সদর দপ্তর- NAM এর কোনো সদর দপ্তর নেই।
কমনওয়েলথ (Commonwealth)
১। সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত স্বাধীন এবং আশ্রিত দেশসমূহ নিয়ে গঠিত সংগঠন- কমনওয়েলথ।
২। কমনওয়েলথ গঠনের ধারণাটি নেয়া হয়- ১৯২৬ (ইম্পিরিয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব নেশনস ধারণার পত্তন হয়)
৩। প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত আইন ‘স্ট্যাচু অব ওয়েস্ট মিনস্টার’- এ উপনিবেশগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং আনুষ্ঠানিক কমনওয়েলথ স্বতন্ত্র মর্যাদা লাভ করে। আধুনিক কমনওয়েলথ প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল; লন্ডন ঘোষণা অনুযায়ী আধুনিক কমনওয়েলথ আত্মপ্রকাশ করে। তখন সংস্থাটি থেকে ব্রিটিশ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘কমনওয়েলথ অব নেশনস’ করা হয়।
৪। প্রতিষ্ঠাকালীন নাম ছিল- ব্রিটিশ কমনওয়েলথ অব নেশনস।
৫। বর্তমান প্রধান- রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৬। কমনওয়েলথের সচিবালয়- মার্লবোরো হাউস, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
৭। কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের ডিপ্লোমেটিক কর্মকর্তাদের বলা হয়- হাইকমিশনার।
৮। বর্তমান সদস্য- ৫৩টি।
৯। সর্বশেষ সদস্য- রুয়ান্ডা (২০০৯)
১০। সদস্যপদ ত্যাগকারী দেশ- আয়ারল্যান্ড (১৯৪৯) জিম্বাবুয়ে (২০০৩) ও গাম্বিয়া (২০১৩)।
১১। ব্রিটিশ উপনিবেশ হয়েও কমনওয়েলথের সদস্য হয়নি এমন দেশ- বাহরাইন, ইরাক, মিসর, জর্ডান, কুয়েত, মিয়ানমার, কাতার, সুদান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
১২। ব্রিটিশ শাসনাধীনে না থেকেও কমনওয়েলথের সদস্য- মোজাম্বিক ও রুয়ান্ডা।
১৩। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য হয়- ১৮ এপ্রিল ১৯৭২।
১৪। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের- ৩২তম সদস্য।
১৫। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম যে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাল করে- কমনওয়েলথ। ১৬। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্য হওয়ায় কমনওয়েলথ ত্যাগ করেছিল- পাকিস্তান (১৯৭২ সালে, পুনরায় যোগদান করে ১৯৮৯ সালে)
১৭। কমনওয়েলথ দিবস পালিত হয়- মার্চের দ্বিতীয় সোমবার।
১৮। আয়তনে কমনওয়েলথ এর বৃহত্তম দেশ- কানাডা। আয়তনে কমনওয়েলথ এর ক্ষুদ্রতম দেশ- নাউরু।
১৯। CPA এর পূর্ণরূপ- Commonwealth Parliamentary Association.
আরব লিগ
১। আরব লিগ গঠিত হয়- ২২ মার্চ ১৯৪৫ সালে।
২। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাষ্ট্র- ৭টি। ইরাক, সিরিয়া, মিসর, লেবানন, জর্ডান, ইয়েমেন ও সৌদি আরব।
৩। বর্তমানে আরব লিগের সদস্য দেশ- ২২টি। ৪। আরব লীগের সদর দপ্তর- কায়রো, মিশর। ৫। সর্বশেষ সদস্য দেশ- কমোরোস, (১৯৯৩)। ৬। পর্যবেক্ষক দেশ-৪টি। ব্রাজিল, ইরিত্রিয়া, ভারত ও ভেনিজুয়েলা।
৭। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির পর আরব লিগ হতে বহিষ্কৃত হয়েছিল- মিশরকে, ১৯৭৯ সালে।
৮। মিশর পুনরায় আরব লিগে যোগদান করে- ১৯৮৯ সালে।
৯। মিশরকে বহিষ্কারের পর আরব লিগের সদর দপ্তর স্থানান্তর করা হয়েছিল- তিউনিস, তিউনিশিয়া।
১০। আরব ভূখণ্ডের অন্তর্গত হয়েও যে দেশ আরব লিগের সদস্য নয়- ইরান। কারণ ইরানের ভাষা আরবি নয়, ফারসি।
আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU)
১। AU – এর পূর্ণরূপ- African Union.
২। AU – এর পূর্ব নাম- আফ্রিকান ঐক্য সংস্থা (Organization of African Unity)
৩। আফ্রিকান ঐক্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে- ১৯৬৩ সালে।
৪। African Union নামকরণ করা হয়- ২০০২ সালে।
৫। আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তর- আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
৬। আফ্রিকান ইউনিয়ন ত্যাগকারী দেশ- মরক্কো। (১৯৮৪ সালে পশ্চিম সাহারা আফ্রিকান ঐক্য সংস্থাতে যোগদান করলে এর প্রতিবাদে মরক্কো উক্ত সংস্থা ত্যাগ করে।) ৭। আফ্রিকান ইউনিয়নের দেশের সংখ্যা- ৫৫টি। (২০১৭ সালে মরক্কো পুনরায় আফ্রিকান ইউনিয়নে যোগদান করলে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫টিতে)।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU)
১। EU-এর পূর্বনাম- European Economic Community (EEC)
২। EEC- প্রতিষ্ঠা লাভ করে- ১ জানুয়ারি ১৯৫৮।
৩। কোন চুক্তির মাধ্যমে EEC প্রতিষ্ঠা লাভ করে- ১৯৫৭ সালের বোম চুক্তি।
৪।EU নামকরণ করা হয়- ১ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে। অর্থাৎ, EU প্রতিষ্ঠিত হয় ১ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে) কোন চুক্তির মাধ্যমে EU প্রতিষ্ঠা লাভ করে- ১৯৯২ সালের ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি।
৫। EU – এর অফিসিয়াল ভাষা- ২৩টি।
৬। EU – পতাকায় তারকার সংখ্যা- ২২টি।
৭। EU – এর সদস্য দেশ- ২৮টি।
৮। EU – সর্বশেষ সদস্য দেশ- ক্রোয়েশিয়া (২০১৩)
৯। সর্বশেষ ইউরো মুদ্রা চালুকারী দেশ- লিথুনিয়া (২০১৫)
১০। EU – এর সদর দপ্তর- ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
১১। EU – এর পার্লামেন্ট অবস্থিত- ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে।
১২। EU – এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থিত- জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটে।
১৩। ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশসমূহের একক মুদ্রার নাম- ইউরো।
১৪। কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরো মুদ্রা চালু হয়- ১৯৯২ সালের ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি।
১৫। ইউরো মুদ্রার জনক- রবার্ট মুন্ডেল।
১৬। ইউরো মুদ্রা চালু হয়- ১ জানুয়ারি ১৯৯৯। ১৭। ইউরো মুদ্রা চালু হয়- ১৯টি দেশে।
১৮। ইউরো মুদ্রা সর্বশেষ চালু হয়- লিথুয়ানিয়ায় (১ জানুয়ারি ২০১৫)
১৯। কোন চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশে ভিসাবিহীন যাতায়াত চালু হয়- শেনজন চুক্তি।
২০। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে- ২০১২ সালে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (Transparency International)
১। TI হলো- দুর্নীতিবিরোধী একটি বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
২। TI প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৩ সালে।
৩। TI এর প্রতিষ্ঠাতা- পিটার ইজেন।
৪। সদর দপ্তর- বার্লিন, জার্মানি।
৫। CPI এর পূর্ণরূপ Corruption Perception Index.
৬। TIB এর পূর্ণরূপ- Transparency International Bangladesh.
৭। বাংলাদেশে TIB কার্যক্রম শুরু করে- ১৯৯৬ সালে।
অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (Amnesty International):
১। প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬১ সালে।
২। সদর দপ্তর- লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
৩। প্রতিষ্ঠাতা- ব্রিটিশ আইনজ্ঞ পিটার বেনেনসন।
৪। শান্তিতে নোবেল পায়- ১৯৭৭ সালে।
৫। প্রথম নারী, প্রথম এশীয়, প্রথম বাংলাদেশি ও প্রথম মুসলিম মহাসচিব- আইরিন খান।
৬। যে দেশভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা-
যুক্তরাজ্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch)
১। প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৭৮ সালে।
২। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
৩। যে দেশভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা- যুক্তরাষ্ট্র
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহ
বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী ও আইএমএফ
বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী (World Bank Group)
১।বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালে।
২। কোন চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালের ‘ব্রিটন উডস্’ চুক্তির মাধ্যমে।
৩। আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে- ১৯৪৬ সালে।
৪। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের স্বপ্নদ্রষ্টা- জন মেনার্ড কেইনস (ব্রিটেন) ও হ্যারি ডক্সটার হোয়াইট (যুক্তরাষ্ট্র)
৫। বিশ্বব্যাংক প্রথম ঋণ দেয়- ফ্রান্সকে (১৯৪৭ সালে)
৬। বিশ্বব্যাংকের কার্যনির্বাহী পরিচালকমণ্ডলী- ২৪ সদস্যবিশিষ্ট। বিশ্বব্যাংকের মূল অঙ্গসংগঠন কয়াট- ৫টি।
আইবিআরডি (IBRD)
১। IBRD এর পূর্ণরূপ- Intenational Bank for Reconstruction and Development. لا ২। IBRD প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালে (কার্যক্রম শুরু ১৯৪৬ সালে)
৩। জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার মর্যাদা লাভ করে- ১৯৪৭ সালে।
৪। IBRD এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংক (WB)-এর মূল সংস্থা হলো- IBRD
আইএফসি (IFC)
১। IFC এর পূর্ণরূপ- Intenational Finance Corporation.
২। IFC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৬ সালে।
৩। IFC এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আইডিএ (IDA)
১। IDA এর পূর্ণরূপ- Intenational Development Association. এটি Soft Loan Window নামে পরিচিত।
২। IDA প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০ সালে। IDA এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আইসিএসআইডি (ICSID)
১। ICSID এর পূর্ণরূপ- Intenational Center for Settlement of Investment Disputes. ২। ICSID প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬৬ সালে।
৩। ICSID এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
মিগা (MIGA)
১। MIGA এর পূর্ণরূপ- Multilateral Investment Guarantee Agency.
২। MIGA প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৮৮ সালে।
৩। MIGA এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
১। IMF এর পূর্ণরূপ- International Monetary Fund.
২। IMF প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৫ সালে।
৩। কোন চুক্তির মাধ্যমে IMF প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালের ‘ব্রিটন উডস্’ চুক্তির মাধ্যমে।
৪। কার্যক্রম শুরু করে- ১৯৪৭ সালে। (একটু খেয়াল করুন, বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালে, কার্যক্রম শুরু ১৯৪৬ সালে। কিন্তু IMF প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে, কার্যক্রম শুরু করে ১৯৪৭ সালে। অর্থাৎ, ২ বছর পর কার্যক্রম শুরু করে।)
৫। সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। পরিচালনা পরিষদের সদস্য- ২৪ জন। [বি.দ্র: IMF কোনো বিশ্বব্যাংকের কোনো অঙ্গসংগঠন নয়; IMF একটি স্বতন্ত্র সংস্থা]
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মহাজোট
১। ব্রিকস (BRICS) BRICS হলো- Brazil (ব্রাজিল), Russia (রাশিয়া), India (ভারত), China (চীন) ও South Africa (দক্ষিণ আফ্রিকা)- এই পাঁচটি দেশের ইংরেজি অদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক জোট।
২। BRICS প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০০৮ সালে। পূর্ব নাম- ব্রিক (BRIC)।
৩। BRIC থেকে BRICS নামকরণ করা হয়- ২০১১ সালে। ২০১১ সাউথ আফ্রিকা এই সংস্থায় যোগদান করলে এর নামকরণ করা হয় BRICS।
৪। BRICS এর সর্বশেষ সদস্য দেশ- সাউথ আফ্রিকা।
৫। BRICS এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ২০০৯ সালে রাশিয়ার ইয়েকাটারিনবার্গ।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট
আসিয়ান (ASEAN) ASEAN এর পূর্ণরূপ হলো- Association of Southeast Asian Nations.
১। ASEAN প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬৭ সালে।
২। ASEAN এর সদর দপ্তর- জাকার্তা, মালয়েশিয়া।
৪। বর্তমান সদস্য দেশ- ১০টি। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া। সর্বশেষ সদস্য দেশ- কম্বোডিয়া (১৯৯৯)।
সার্ক (SAARC)
১। SAARC এর পূর্ণরূপ হলো- South Asian Association for Regional Co-operation. ২। SAARC গঠিত হয়- ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫।
৩। SAARC গঠিত হয়- দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ নিয়ে।
৪। SAARC এর সচিবালয়- কাঠমান্ডু, নেপাল।
৫। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র- ১৩টি।
৬। SAARC এর রূপকার- বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
৭। SAARC এর প্রথম মহাসচিব- আবুল আহসান (বাংলাদেশ)।
৮।SAARC এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল- ৭টি।
৯। SAARC এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা- ৮ টি (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান)
১০। SAARC এর সর্বশেষ সদস্য দেশ- আফগানিস্তান (২০০৭ সালে যোগদান করে। মনে রাখুন, আফগানিস্তান সার্কে যোগদান করে সাতে মানে ২০০৭ সালে।)
১১। SAARC এর পর্যবেক্ষক মর্যাদা দেয়া হয়েছে- চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, মরিশাস, মিয়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
১২। সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত- নয়াদিল্লী, ভারত।
১৩। সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন- ড. মনমোহন সিং (ভারত) সার্ক পোল গঠনের প্রস্তাব করে- নেপাল (২০০৭ সালে) ১৪। সার্ক এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ৭-৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে, ঢাকায়।
১৫। SAPTA এর পূর্ণরূপ- SAARC Preferential Trading Agreement.
১৬। SAPTA স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৩ সালে। ১৭। SAPTA কার্যকর হয়- ১৯৯৫ সালে।
১৮। SAFTA এর পূর্ণরূপ- South Asian Free Trade Area.
১৯। SAFTA স্বাক্ষরিত হয়- ২০০৪ সালে। ২০। SAFTA কার্যকর হয়- ২০০৬ সালে।
বিমসটেক (BIMSTEC)
১। BIMSTEC এর পূর্ব নাম ছিল- Bangladesh, India, Mayanma, Srilanka, Thailand Economic Co- operation
২। BIMSTEC এর বর্তমান নাম হলো- Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Co-opereation.
৩। BIMSTEC একটি অর্থনৈতিক সংগঠন।
৪। BIMSTEC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৭ সালে।
৫। বর্তমান সদস্য দেশ-৭টি।
৬। সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান।
৭। সর্বশেষ সদস্য- নেপাল ও ভুটান (২০০৩)
৮। BIMSTEC-এর সহযোগিতার ক্ষেত্র- ১৪টি (কিন্তু সার্কের ১৩টি)।
১০। সদর দপ্তর ঢাকা, বাংলাদেশ
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহ
বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী ও আইএমএফ
বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী (World Bank Group)
১।বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালে।
২। কোন চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালের ‘ব্রিটন উডস্’ চুক্তির মাধ্যমে।
৩। আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে- ১৯৪৬ সালে।
৪। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের স্বপ্নদ্রষ্টা- জন মেনার্ড কেইনস (ব্রিটেন) ও হ্যারি ডক্সটার হোয়াইট (যুক্তরাষ্ট্র)
৫। বিশ্বব্যাংক প্রথম ঋণ দেয়- ফ্রান্সকে (১৯৪৭ সালে)
৬। বিশ্বব্যাংকের কার্যনির্বাহী পরিচালকমণ্ডলী- ২৪ সদস্যবিশিষ্ট। বিশ্বব্যাংকের মূল অঙ্গসংগঠন কয়াট- ৫টি।
আইবিআরডি (IBRD)
১। IBRD এর পূর্ণরূপ- Intenational Bank for Reconstruction and Development. لا ২। IBRD প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৪ সালে (কার্যক্রম শুরু ১৯৪৬ সালে)
৩। জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার মর্যাদা লাভ করে- ১৯৪৭ সালে।
৪। IBRD এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাংক (WB)-এর মূল সংস্থা হলো- IBRD
আইএফসি (IFC)
১। IFC এর পূর্ণরূপ- Intenational Finance Corporation.
২। IFC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৬ সালে।
৩। IFC এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আইডিএ (IDA)
১। IDA এর পূর্ণরূপ- Intenational Development Association. এটি Soft Loan Window নামে পরিচিত।
২। IDA প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০ সালে। IDA এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আইসিএসআইডি (ICSID)
১। ICSID এর পূর্ণরূপ- Intenational Center for Settlement of Investment Disputes. ২। ICSID প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬৬ সালে।
৩। ICSID এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
মিগা (MIGA)
১। MIGA এর পূর্ণরূপ- Multilateral Investment Guarantee Agency.
২। MIGA প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৮৮ সালে।
৩। MIGA এর সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)
১। IMF এর পূর্ণরূপ- International Monetary Fund.
২। IMF প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৪৫ সালে।
৩। কোন চুক্তির মাধ্যমে IMF প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালের ‘ব্রিটন উডস্’ চুক্তির মাধ্যমে।
৪। কার্যক্রম শুরু করে- ১৯৪৭ সালে। (একটু খেয়াল করুন, বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৪ সালে, কার্যক্রম শুরু ১৯৪৬ সালে। কিন্তু IMF প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে, কার্যক্রম শুরু করে ১৯৪৭ সালে। অর্থাৎ, ২ বছর পর কার্যক্রম শুরু করে।)
৫। সদর দপ্তর- ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র। পরিচালনা পরিষদের সদস্য- ২৪ জন। [বি.দ্র: IMF কোনো বিশ্বব্যাংকের কোনো অঙ্গসংগঠন নয়; IMF একটি স্বতন্ত্র সংস্থা]
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মহাজোট
১। ব্রিকস (BRICS) BRICS হলো- Brazil (ব্রাজিল), Russia (রাশিয়া), India (ভারত), China (চীন) ও South Africa (দক্ষিণ আফ্রিকা)- এই পাঁচটি দেশের ইংরেজি অদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক জোট।
২। BRICS প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০০৮ সালে। পূর্ব নাম- ব্রিক (BRIC)।
৩। BRIC থেকে BRICS নামকরণ করা হয়- ২০১১ সালে। ২০১১ সাউথ আফ্রিকা এই সংস্থায় যোগদান করলে এর নামকরণ করা হয় BRICS।
৪। BRICS এর সর্বশেষ সদস্য দেশ- সাউথ আফ্রিকা।
৫। BRICS এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ২০০৯ সালে রাশিয়ার ইয়েকাটারিনবার্গ।
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট
আসিয়ান (ASEAN) ASEAN এর পূর্ণরূপ হলো- Association of Southeast Asian Nations.
১। ASEAN প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬৭ সালে।
২। ASEAN এর সদর দপ্তর- জাকার্তা, মালয়েশিয়া।
৪। বর্তমান সদস্য দেশ- ১০টি। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া। সর্বশেষ সদস্য দেশ- কম্বোডিয়া (১৯৯৯)।
সার্ক (SAARC)
১। SAARC এর পূর্ণরূপ হলো- South Asian Association for Regional Co-operation. ২। SAARC গঠিত হয়- ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫।
৩। SAARC গঠিত হয়- দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ নিয়ে।
৪। SAARC এর সচিবালয়- কাঠমান্ডু, নেপাল।
৫। সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র- ১৩টি।
৬। SAARC এর রূপকার- বাংলাদেশের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
৭। SAARC এর প্রথম মহাসচিব- আবুল আহসান (বাংলাদেশ)।
৮।SAARC এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ছিল- ৭টি।
৯। SAARC এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা- ৮ টি (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান)
১০। SAARC এর সর্বশেষ সদস্য দেশ- আফগানিস্তান (২০০৭ সালে যোগদান করে। মনে রাখুন, আফগানিস্তান সার্কে যোগদান করে সাতে মানে ২০০৭ সালে।)
১১। SAARC এর পর্যবেক্ষক মর্যাদা দেয়া হয়েছে- চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, মরিশাস, মিয়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে।
১২। সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত- নয়াদিল্লী, ভারত।
১৩। সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন- ড. মনমোহন সিং (ভারত) সার্ক পোল গঠনের প্রস্তাব করে- নেপাল (২০০৭ সালে) ১৪। সার্ক এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ৭-৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে, ঢাকায়।
১৫। SAPTA এর পূর্ণরূপ- SAARC Preferential Trading Agreement.
১৬। SAPTA স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৩ সালে। ১৭। SAPTA কার্যকর হয়- ১৯৯৫ সালে।
১৮। SAFTA এর পূর্ণরূপ- South Asian Free Trade Area.
১৯। SAFTA স্বাক্ষরিত হয়- ২০০৪ সালে। ২০। SAFTA কার্যকর হয়- ২০০৬ সালে।
বিমসটেক (BIMSTEC)
১। BIMSTEC এর পূর্ব নাম ছিল- Bangladesh, India, Mayanma, Srilanka, Thailand Economic Co- operation
২। BIMSTEC এর বর্তমান নাম হলো- Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Co-opereation.
৩। BIMSTEC একটি অর্থনৈতিক সংগঠন।
৪। BIMSTEC প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৭ সালে।
৫। বর্তমান সদস্য দেশ-৭টি।
৬। সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান।
৭। সর্বশেষ সদস্য- নেপাল ও ভুটান (২০০৩)
৮। BIMSTEC-এর সহযোগিতার ক্ষেত্র- ১৪টি (কিন্তু সার্কের ১৩টি)।
১০। সদর দপ্তর ঢাকা, বাংলাদেশ
UNESCO
১।পরিচয়-জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা
২। UNESCO- UN Educational, Scientific and Cultural Organization
৩। প্রতিষ্ঠা-১৬ নভেম্বর, ১৯৪৫,
৪। সদর দপ্তর-প্যারিস, ফ্রান্স
৫। সদস্য- ১৯৪টি (সর্বশেষ- যুক্তরাষ্ট্র) [ত্যাগকারী দেশ- ইসরাইল)
৬। সর্বশেষ ফিরে আসে- যুক্তরাষ্ট্র [১৯৮৪ সালে ত্যাগ করে ২০০৩ সালে এবং ২০১৮ সালে ত্যাগ করে ২০২৩ সালে ফিরে আসে।
৭। বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে-২৭ অক্টোবর, ১৯৭২
৮। কলিঙ্গ পুরস্কার-ইউনেস্কো বিজ্ঞানে অবদানের জন্য প্রদান করে।
৯। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে পায়- আব্দুল্লাহ্ আল মৃতি শরফুদ্দিন
১০। Women in Science Award পান-ড. ফেরদৌসি কাদরী [শিশুদের সংক্রামক রোগ রক্ষার পদ্ধতি উদ্ভাবন।
১১। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে- ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯
WHO
১। World Health Organation (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)
২। প্রতিষ্ঠা-০৭ এপ্রিল, ১৯৪৮
৩। সদর দপ্তর-জেনেভা সুইজারল্যান্ড
৪। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় কার্যালয়- নয়াদিল্লি, ভারত।
৫। সদস্য-১৯৪টি (সর্বশেষ- দক্ষিণ সুদান)
৬। বর্তমান ও ৯ম মহাপরিচালক- ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস (ইথিওপিয়া)।
৭। WHO এর পরামর্শক: ডা. সেঁজুতি সাহা (বাংলাদেশি)।
৮। WHO’র Polio Transition Independent Monitorin (TIMB) এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।
৯। বাংলাদেশকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে- ২০১৪ সালে।
১০। বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে: ১৭ মে, ১৯৭২
WTO
১। পূর্ণরুপ: World Trade Organization (একে দ্যা ওয়াচডগ অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বলা হয়)
২। প্রতিষ্ঠা- ১ জানুয়ারি, ১৯৯৫
৩। প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট-১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান জেনেভায় GATT দলিলে স্বাক্ষর করে।
৪। ১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সাল থেকে GATT কাজ শুরু করে। এর মধ্যে দীর্ঘ ৮ বছর (১৯৮৬-১৯৯৪) ধরে চলা ৮ দফা আলোচনার মধ্যে উরুগুয়ে রাউন্ড ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে উরুগুয়ে রাউন্ডের আলোচনা শেষে GATT বিলুপ্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) গঠন করা হয়, যা ১ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে।
৫। সদর দপ্তর- জেনেভা, সুইজাল্যান্ড
৬। বর্তমান সদস্য- ১৬৬টি দেশ (সর্বশেষ- পূর্ব তিমুর)
৭। বর্তমান ৭ম মহাসচিব- এনগোজি ওকোনজো- ইওয়েলা (নাইজেরিয়া) [প্রথম নারী ও প্রথম আফ্রিকান)
৮। সর্বশেষ মিনিস্ট্রিয়াল বৈঠক (১৩তম)- ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত।
৯। পরবর্তী ১৪তম বৈঠক হবে- ক্যামেরুনে। ১০। বর্তমানে WTO দেশসমূহের চলছে- নবম দোহা রাউন্ডের আলোচনা, যা শুরু হয় ২০০১ সালে