Monday, March 17, 2025

BCS প্রিলি মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক (Relation Between Values Education and Good Governance)

মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক (Relation Between Values Education and Good Governance)

প্রিয় চাকরির প্রার্থী ভাই ও বোনেরা , Eduexplain আজ আপনাদের জন্য মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক প্রশ্ন উত্তর  নিয়ে আলোচনা করব। এখানে আপনারামূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্কএর গুরুত্বপূর্ণ একটি শিট(sheet)। যা আপনাদের পরীক্ষা প্রস্তুতিকে আরো জোরদার করবে।

 যা  আপনারা পিডিএফ হ্যান্ডনোট আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন । তাহলে চলুন , শুরু করি।

  মূল্যবোধের শিক্ষা

-মূল্যবোধ হচ্ছে “Expected Social Behavior” বা আকাঙ্খিত সামাজিক আচরণ।

-সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্সওয়েল মূল্যবোধের আদর্শ মানদন্ড নির্ধারণ করেছেন। এর উদ্দেশ্য ছিলো আচরণের যথার্থতা বা Ideal Type নিরূপণ করা।

READ ALSO

-সমাজবিজ্ঞানী এলেক্স এর মতে “Values deals not with what is but What to be” অর্থাৎ মূল্যবোধ আচরণের ধরন নয় বরং আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করে।

-ফ্র্যাঙ্কেল এর মতে, ‘মূল্যবোধ হলো আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের বোধ’

-সমাজবিজ্ঞানী R.T. Schaefer তার Sociology গ্রন্থে বলেন, “Idea Shared by members of a Society about what is good and bad, right & wrong, desirable and undesirable”।

-অন্যকথায়, ‘ভাল বা মন্দ, কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ঠিক বা বেঠিক সম্পর্কে সমাজে বিদ্যমান ধারণার নামই মূল্যবোধ’।

মূল্যবোধ ও সুশাসন (Values and good Governance)

সমাজ জীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচার ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড যে সব নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের সমষ্টিকে মূল্যবোধ বলে। মূল্যবোধ হচ্ছে শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতাবোধ, শৃঙ্খলাবোধ, সৌজন্যবোধ প্রভৃতি সুকুমার বৃত্তি বা মানবীয় গুণাবলির সমষ্টি। মূল্যবোধের সাথে সুশাসনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ:

ক। সামাজিক ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলাবোধের উন্মেষ: মূল্যবোধ সামাজিক ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলাবোধের উন্মেষ ঘটায়। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ রক্ষা পায়। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় সামাজিক ন্যায়বিচার ব্যক্তিস্বাধীনতার অন্যতম রক্ষাকবচ। সমাজজীবনে অগ্রগতির প্রধান সোপান হলো শৃঙ্খলাবোধ। শৃঙ্খলাবোধ মানবিক মূল্যবোধগুলোকে সুদৃঢ় করে সমাজ জীবনকে উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলাবোধ সুশাসনেরও বৈশিষ্ট্য এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। যে সমাজ বা রাষ্ট্রে মূল্যবোধের এ দুইটি উপাদান অনুপস্থিত সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।

খ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: আইনের শাসন মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যক্তি তার সামাজিক মর্যাদা খুঁজে পাবে এবং অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন সুশাসনেরও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও আবশ্যকীয় উপাদান। আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না।

গ. সামাজিক ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা: মূল্যবোধ সমাজ জীবনকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে এবং সমাজ জীবনে ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে।

ঘ। নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে: মূল্যবোধ মানুষের নৈতিক গুণাবলী জাগ্রত ও বিকশিত করে।

ঙ। কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে: কর্তব্যবোধ-মূল্যবোধের অন্যতম উপাদান। কর্তব্যবোধ না থাকলে সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হয় না। এজন্যই নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধকে নাগরিকের অন্যতম গুণ বলা হয়।

চ।  সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতা: সরকার ও রাষ্ট্রের জনকল্যাণমুখিতাকে মূল্যবোধের যেমন উপাদন মনে করা হয় তেমনি তা সুশাসনেরও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান বা বৈশিষ্ট্য মনে করা হয়।

ছ। জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে: জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতাকে যেমন সুশাসনের বৈশিষ্ট্য বলে চিহ্নিত করা হয় তেমনি তা মূল্যবোধেরও আবশ্যকীয় উপাদান মনে করা হয়।

সুতরাং সুশাসন পেতে হলে মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এজন্যই বলা হয় যে, ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মূল্যবোধ ও সুশাসনের সম্পর্ক খুবই নিবিড়।

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ (Democratic Values)

ধারণা (Concept): যে চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প মানুষের আচার-ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে তাকেই আমরা সাধারণত মূল্যবোধ বলে থাকি। মূল্যবোধের বিভিন্ন দিক রয়েছে, যথা- সামাজিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রভৃতি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প মানুষের সামগ্রিক আচার-ব্যবহার ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে তাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বলা হয়। কয়েকটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হলো:

ক। সহনশীলতা

খ। আত্মসংযম

গ। সহমর্মিতা

ঘ। শৃঙ্খলাবোধ

ঙ। আইনের শাসন

চ। নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ

ছ। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ

জ। জনগণের রায় বা নির্বাচনি ফলাফলকে মেনে নেওয়া

ঝ। দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা

মূল্যবোধ, আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য Values, Law, Liberty and Equality

মূল্যবোধ [Values]

বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে মূল্যবোধের বিশেষ করে সামাজিক মূল্যবোধের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

স্টুয়ার্ট সি. ডড (Stuart c. Dodd) বলেন, “সামাজিক মূল্যবোধ হলো সে সব রীতিনীতির সমষ্টি, যা ব্যক্তি সমাজের নিকট হতে আশা করে এবং যা সমাজ ব্যক্তির নিকট হতে লাভ করে।”

এইচ. ডি. স্টেইন (H.D. Stain)-এর মতে, “জনসাধারণ যার সম্বন্ধে আগ্রহী, যা তারা কামনা করে, যাকে তারা অত্যাবশ্যক বলে মনে করে, যার প্রতি তাদের অগাধ শ্রদ্ধা বর্তমান এবং যা সম্পাদনের মাধ্যমে তারা আনন্দ উপভোগ করে তাকেই মূল্যবোধ বলে।”

এম. আর. উইলিয়াম (M.R. William)-এর মতে, “মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এর আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের কাজের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”

এম. ডব্লিউ, পামফ্রে-এর মতে, “মূল্যবোধ হচ্ছে ব্যক্তি বা সামাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ।”

ক্লাইড কুখোন (Clyde Kluokhon)-এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব প্রকাশ্য ও অনুমেয় আচার-আচরণের ধারা যা ব্যক্তি ও সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে স্বীকৃত।”

নিকোলাস রেসার (Nicholas Rescher)-এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ সেসব গুণাবলি, যা ব্যক্তি নিজের সহকর্মীদের মধ্যে দেখে খুশি হয় এবং নিজের সমাজ, জাতি, সংস্কৃতি ও পরিবেশকে মূল্যবান মনে করে খুশি হয়।”

সমাজবিজ্ঞানী জেন লেনন-এর মতে, “সামাজিক মূল্যবোধ বলতে কোনো স্থান বা এলাকার ধর্মীয়, ঐতিহ্যপূর্ণ, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা জাতীয় গুণাবলিকে বোঝায়, যা ঐ স্থানের অধিকাংশ বা স্বল্পসংখ্যক লোক পালন করেন।”

সমাজবিজ্ঞানী এফ. ই. মেরিল বলেন, “সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে বিশ্বাসের এক প্রকৃতি বা ধরন, যা গোষ্ঠীগত কল্যাণে সংরক্ষণ করাকে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”

সুতরাং সামাজিক মূল্যবোধ হচ্ছে সেসব আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ডের সমষ্টি, যা সমাজ জীবনকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে এবং সমাজ জীবনে ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে। সামাজিক মূল্যবোধ পরিবর্তনশীল।

নৈতিকতা (Morality)

নৈতিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Morality’। যা এসেছে ল্যাটিন ‘Moralitag’ থেকে, যার অর্থ সঠিক আচরণ বা চরিত্র। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল সর্বপ্রথম নৈতিকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। সক্রেটিস বলেছেন, সৎ গুণই জ্ঞান (Virtue is knowledge)। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা অন্যায় করতে পারেন না এবং ন্যায় বোধের উৎস হচ্ছে ‘জ্ঞান’ (Knowledge) এবং অন্যায় বোধের উৎস হচ্ছে ‘অজ্ঞতা’ (Ignorance)। পরবর্তীতে রোমান দার্শনিকরা প্রথাগত আচরণের অর্থে ‘mas’ কথাটি ব্যবহার করেন। ল্যাটিন এই ‘mas’ শব্দ থেকেই Morals ও Morality (নৈতিকতা) শব্দের উদ্ভব ঘটেছে।

জোনাথন হেইট মনে করেন, “ধর্ম, ঐতিহ্য এবং মানব আচরণ-তিনটি থেকেই নৈতিকতার উদ্ভব হয়েছে।’

নীতিবিদ মুর বলেছেন, ‘শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।’

Cambridge International Dictionary of English-তে বলা হয়েছে যে, নৈতিকতা হলো, “ভাল-মন্দ আচরণ, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি গুণ, যা প্রত্যেক ব্যক্তিই আইন কিংবা অন্য কোনো বিষয়ের থেকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। •

নৈতিকতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে Collins English Dictionary-তে বলা হয়েছে যে, “Morality is concerned with on negating to human behavior, esp. the distinction between good and bad, right and wrong behavior.”

নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে। নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ মানসিক বিষয়। এটি হলো মানবমনের উচ্চ গুণাবলী। নৈতিকতা বা নীতিবোধ একান্তভাবেই মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত। নৈতিকতা বা নীতিবোধের বিকাশ ঘটে মানুষের ন্যায়-অন্যায়, ভালো মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতি থেকে।

শুধুমাত্র আইন বা রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানই নাগরিক জীবন নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট নয়। আর, এম, ম্যাকাইভার এ জন্যই বালেছেন যে ‘Law does not and can not cover all grounds of morality’s

নৈতিকতা বা ন্যায়নীতিবোধের ধারণা বা এর প্রতি যে দেশের জনগণের শ্রদ্ধাবোধ বেশি, যারা জীবনে চলার পথে নীতিধোন যারা পরিচালিত হন, তারা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে লিপ্ত হন না। আইন অপেক্ষা বিবেক দ্বারা তারা পরিচালিত হন। মাতিবান মানুষ ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদির মানদণ্ডে নিজেরাই চলার চেষ্টা করে। নৈতিকতার পিছনে সার্বভৌম রাষ্ট্র কর্তৃতের সমর্থন বা কর্তৃত্ব থাকে না। কেননা নৈতিকতা বিবেক ও মূল্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। রাষ্ট্র নৈতিকবিধি প্রয়োগ করে না। নৈতিকতা বিরোধী ব্যক্তিকে রাষ্ট্র কোনো প্রকার দৈহিক শাস্তি প্রদান করে না। বিবেকের দংশনই নৈতিকতার বড় রক্ষাকবচ।

নৈতিকতা মূলত ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ব্যাপার। নৈতিকতা মানুষের মানসিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের কল্যাণ সাধনই নৈতিকতার লক্ষ্য। যে রাষ্ট্রের মানুষের নৈতিক মান সুউচ্চ, সে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ। কেননা সে দেশের নাগরিকগণ নিজেরাই অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকেন, ঘুষ ও দুর্নীতিকে ঘৃণা করেন।

স্বাধীনতা (Liberty)

স্বাধীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Liberty’। যা এসেছে ল্যাটিন ‘Liber’ থেকে, যার অর্থ মুক্ত বা স্বাধীন। সুতরাং শাব্দিক অর্থে মানুষের ইচ্ছানুযায়ী কিছু করা বা বলার ক্ষমতাকে স্বাধীনতা বলা হয়। সাধারণ ভাষায় ‘স্বাধীনতা’ বলতে মানুষের ইচ্ছামত কোনো কিছু বা না করার অধিকারকে বোঝায়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে অধীনতামুক্ত অবস্থায়ই স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা একটি শর্ত, যেখানে একটি জাতি, দেশ বা রাষ্ট্র বা জাযগা যেখানে জনগণ থাকবে, নিজস্ব শাসনব্যবস্থা, এবং সাধারণত কোন অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব থাকবে। স্বাধীনতার বিপরীত হচ্ছে পরাধীনতা। স্বাধীনতা মানে যা খুশি তা করা নয়।

জন স্টুয়ার্ট মিল তাঁর Essay on Liberty গ্রন্থে বলেছেন, “মানুষের মৌলিক শক্তির বলিষ্ঠ, অব্যাহত ও বিভিন্নমুখী প্রকাশই স্বাধীনতা। নিজের ওপর, নিজের দেহ ও মনের ওপর ব্যক্তিই সার্বভৌম।”

Shelley বলেছেন, “অতি শাসনের বিপরীত ব্যবস্থাই হলো স্বাধীনতা।” অতএব, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপযোগী অনুকূল সামাজিক ব্যবস্থা বা পরিবেশই স্বাধীনতা।

আইন ও নৈতিকতা (Law and Morality) অতীতে নীতিবিজ্ঞান ছিল পৌরনীতিরই অংশবিশেষ। নৈতিকতার কষ্টিপাথরে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও আচার আচরণকে তখন বিচার। করা হতো। প্লেটো এবং এরিস্টটল তাদের আদর্শ রাষ্ট্রের পরিকল্পনায় নৈতিক আদর্শের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। ইতালির। প্রখ্যাত রাষ্ট্র দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি সর্বপ্রথম আইন ও নৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেন।

৩. মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা (General Perception of Values Education and Good Governance)

মূল্যবোধ শিক্ষা:

মূল্যবোধ শিক্ষা একটি বিশেষ ধরনের শিক্ষা যে শিক্ষা আমাদের শিষ্টাচার, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতাবোধ, শৃঙ্খলাবোধ ও সৌজন্যবোধ প্রভৃতি মানবীয় গুণাবলী বৃদ্ধি করে জনকল্যাণের কাজে লাগাতে সহায়তা করে।

মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব:

ক। মূল্যবোধ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ এবং রাষ্ট্র এর সুফল লাভ করে।

খ। মূল্যবোধের অভাব হলে রাষ্ট্রকে চরম মূল্য দিতে হয়

গ। মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে ঐতিহ্যগতভাবে স্বীকৃত, মমত্বপূর্ণ, মানবীয়, আদর্শিক ইত্যাদি আচরণ অনুশীলন হয়।

ঘ। মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের মধ্যে নৈতিক এবং ঔচিত্যবোধের বিকাশ ঘটায়।

ঙ। মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিৎ অনুচিত এর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়।

চ। মূল্যবোধ শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।

ছ। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় অন্যতম রক্ষাকবচ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে মূল্যবোধ। জ। মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের সচেতনতা এবং কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে।

ঝ। মূল্যবোধের উপস্থিতিতে জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

সুশাসন:

-সুশাসন ধারণার উদ্ভাবক: বিশ্বব্যাংক। -সুশাসনের ধারণা উদ্ভাবিত হয়: ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে।

-সুশাসনের অর্থ: নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।

-সুশাসনের ধারণা হল: বহুমাত্রিক।

-সুশাসন কখনো ঘটে না: আকস্মিকভাবে। -সুশাসন প্রতিষ্ঠার সমস্যা: ২২টি।

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় জীবনে যে ক্ষত বা অবক্ষয়ের সূচনা হয়েছে তা থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করতে পারে মূল্যবোধ শিক্ষা।

সুশাসনের উপাদান এবং বৈশিষ্ট্য: জি বিলনে, OCED & UNDP সহ বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সুশাসনের বেশ কিছু আদর্শ এবং কার্যকরী বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো নিম্নরূপ:

গণতন্ত্র: গণতন্ত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসনের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া: অংশগ্রহণ এর অর্থ হলো রাজনৈতিক এবং শাসন কাজে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ, নীতি প্রণয়নে নাগরিকের সম্পৃক্ততা, তথ্য, মত ও পরামর্শমূলক কাজে জনগণের অংশীদারিত্ব, রাষ্ট্রীয় নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার যৌথ উদ্যোগ, যৌথ পরিকল্পনা এবং জনগণের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত জনগণের অংশগ্রহণ সুশাসনকে গতিশীলতা দান করে।

নৈতিক মূল্যবোধ: আইন অপেক্ষা নৈতিকতার সীমানা অনেক বেশি প্রসারিত। নৈতিক মূল্যবোধ দ্বারা শাসন কাজ পরিচালনা করা হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

স্বচ্ছতা: স্বচ্ছতার অর্থ পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল। দ্বৈত অর্থবোধতার অনুপস্থিতিই হলো স্বচ্ছতা।

বৈধতা: সরকারের বৈধতা, সরকারের গৃহীত নীতি বা সিদ্ধান্তের বৈধতা, প্রণীত আইনের বৈধতা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আবশ্যকীয় উপাদান।

দায়িত্বশীলতা: সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা।

আইনের শাসন: সুশাসন তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন আইনের শাসন বিদ্যমান থাকে। আইনের শাসনের মূলকথাই হলো-

(ক) আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান,

(খ) সকলেরই আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ,

(গ) শুনানী ব্যতীত কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা। আইন হতে হবে সুনির্দিষ্ট, স্পষ্ট ও সহজবোধ্য। এছাড়াও আইনের শাসনের জন্য প্রয়োজন সরকারের ন্যায়পরায়ণ আচরণ, রাষ্ট্রের নিপীড়ন মুক্ত স্বাধীন পরিবেশ এবং নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ।

MCS Math Shortcut এর Masterpiece  সংগ্রহে রাখুন 

দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহিতা: দায়বদ্ধতার রয়েছে দুটি দিক।

(ক) রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও

(খ) প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা।

দক্ষতা: দক্ষতার অর্থ হলো প্রাপ্ত সম্পদের ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা অর্জন করা।

জনপ্রশাসনের সেবাধর্মী মনোভাব: জনকল্যাণের জন্যই প্রশাসন গড়ে উঠেছে। তাঁরা জনগণের সেবক, প্রভু নন। জনসেবার জন্যই প্রশাসনের জন্ম হয়েছে, প্রশাসন চলে জনগণের অর্থে এ উপলব্ধিই সুশাসনের পথকে প্রশস্ত করে।

স্বাধীন বিচার বিভাগ: সরকারের তৃতীয় স্তম্ভ হলো বিচার বিভাগ। সুতরাং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলা চলে।

এছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে সে গুলো হল- সততা, লিঙ্গ বৈষম্যের অনুপস্থিতি, বিকেন্দ্রীকরণ শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, সুশীল সমাজ, জন গ্রহণযোগ্যতা, পেশাদারিত, মর্যাদা ও বিশ্বাস অর্জন, প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্ত এবং বহুত্বতিত্তিক সমাজ।

তথ্য কণিকা

-বর্তমান সময়ের প্রায় সব রাষ্ট্রই: কল্যাণকর রাষ্ট্র।

-আমলাদের নিজেদের মৌলিক শর্ত: তিনটি।

-দেশে অরাজকতা দেখা যায় সরকারের অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে।

-আইনের শাসনের জন্য প্রয়োজন। ন্যায়পরায়ণ আচরণ, নিপীড়নযুক্ত স্বাধীন পরিবেশ ও নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ।

-যথার্থ নীতি প্রণয়নে সরকারের দক্ষতা, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা শক্ত হাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, সমান দেবা বিতরণ মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।

-আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তৎপর হওয়া, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করা হল। দক্ষ সরকারের বৈশিষ্টা।

-সুশাসনের বড় অন্তরায়; দুর্নীতি।

-রাষ্ট্রের প্রাণশক্তিতে নিঃশেষ করছে দুর্নীতির রাহুগ্রাস।

-সম্পদের অপচয় হয়, বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে: দুর্নীতির কারণে।

-রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে: দুর্নীতি।

-উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের অধিকাংশ দলে নেই: গণতান্ত্রিক চর্চা।

-উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য: ব্যক্তিপূজা।

-সুশাসনের অভাবে অনেকক্ষেত্রে নেতারা হন স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের।

-রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ দেখা দেয়: এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায়।

-সংসদীয় গণতন্ত্রে অপরিসীম গুরুত্ব: আইনসভার।

-প্রশাসনে জনগণের অংশগ্রহণ বা মতামত প্রদানের সুযোগের অভাব, জনগণের সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের সম্পর্কের অভাব, গণমুখী প্রশাসন গড়ে তোলার অভাব, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও কার্যকর না করার কারণে সংকীর্ণ হয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার শেষ সুযোগও হাতছাড়া হয়: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাবে।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট হয় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাবে।

-বিচার বিভাগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বৃদ্ধি পায়। স্বাধীন বিচার বিভাগ না থাকলে।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক: স্বাধীন বিচার বিভাগ।

-দক্ষ, যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তিদের সেবা থেকে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় স্বজনপ্রীতির কারণে।

-গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ভূলুষ্ঠিত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলা হয়: সামরিক শাসনে।

-নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, সুযোগ-সুবিধা বণ্টন, স্থান, পদবি, খেতাব প্রদানে দেখা যায় স্বজনপ্রীতি।

-দেশের প্রশাসনিক কাজ কর্ম পরিচালিত হয় আইনসভা প্রণীত আইনের আলোকে।

-জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি: আইনসভার সদস্যগণ।

-জাতীয় সংসদ অকার্যকর হওয়ার কারণ: সংসদ সদস্যদের সংসদ বর্জন।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা: দারিদ্র্য

-দারিদ্র্য ও অশিক্ষিত জনগণের মধ্যে দেখা যায়: সচেতনতার অভাব।

-দরিদ্র ও অসচেতন জন গণ সুশাসন প্রতিষ্ঠার উপায় সম্পর্কে অজ্ঞ ও উদাসীন।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত: শক্তিশালী, দক্ষ ও কার্যকর স্থানীয় সরকার।

-রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয় ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে: কার্যকর স্থানীয় সরকার দ্বারা।

-সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোতে স্থানীয় সরকার কাঠামো খুবই দুর্বল ও অকার্যকর।

-গণতন্ত্রের সফলতার মূল শক্তি জনগণের সচেতনতা।

-নাগরিক অধিকারের সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবচ জনগণের সজাগ দৃষ্টি।

-সুশাসনের চাবিকাঠি: সচেতনতা

MCS Math Shortcut এর Masterpiece  সংগ্রহে রাখুন 

-সরকার প্রশাসন যত্ন স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে জনগণ সচেতনতা না হলে।

-এক বিভাগ কর্তৃক অন্য বিভাগের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে রক্ষা করা যায়। ক্ষমতার ভারসাম্য। মানবাধিকার রক্ষা করা, মৌলিক অধিকার উপভোগের অনুকূল পরিবেশ রক্ষা, জবাবদিহিতা কার্যকর, করা প্রশাসনের স্বল্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম ছাড়া।

-সুশাসনের জন্য প্রয়োজন: স্বাধীন ও শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম।

-ক্ষয়তার ভারসাম্য নীতি প্রকৃত কার্যকর আমেরিকায়/যুক্তরাষ্ট্রে।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

-গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছাড়া।

-মানুষ সরকার ও রাষ্ট্র প্রণীত আইন মেনে চলে। শুধু শাস্তির ভয়ে।

-জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানবাধিকার ভূলুষ্ঠিত হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনার অভাবে।

-মানুষ রাষ্ট্র ও সরকারকে মেনে চলে। বিষেকষোধ, প্রজ্ঞা, উচিত- অনুচিত, ভাল-মন্দ বিচার করে।

-সরকার ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুকুমার বৃত্তি পরিশীলিত করে। নৈতিক মূল্যবোধ।

-আইনের শাসনের প্রাণ ভোমরা নির্ভর করে তিনটি প্রবৃত্তির উপর।

-আইনের শাসনের প্রাণভোমরা প্রবৃত্তিগুলো হল। শাসকের ন্যায়পরায়ণ আচরণ, নিপীড়নযুক্ত স্বাধীন পরিবেশ ও আইনের শাসনের উপর্যুক্ত পরিবেশ।

-আইন কার্যকর করবে: আদালত।

-আইনসভায় বসে যুক্তি-তর্ক পেশ ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে। রাষ্ট্রের সকল সমস্যার।

-মানবাধিকার সঙ্ঘন যেন না হয় কারো উপর যেন জুলুম নির্যাতন না করা হয় সরকার যেন অন্যায়-নির্যাতন না করতে পারে এসব দেখা : মানবাধিকার কমিশনের কাজ।

-লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অগ্রাধিকার বিবেচনায় পারঙ্গম ও দূরদর্শী হতে হবে: সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।

-নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো অর্থহীন হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা না থাকলে।

-কোন ব্যক্তি সত্য ও সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে না: চিন্তা, মত ও বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে।

-প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আচরণ হবে: দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না: সরকার পক্ষ ও কার্যকর প্রশাসন গড়তে ব্যর্থ হলে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ব্যাহত করে উচ্চাভিলাষী ও ভুল সিদ্ধান্ত।

-সরকারের কাজ এবং গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও স্বচ্ছ হলে বৃদ্ধি পাবে জন অংশগ্রহণ।

-আইন হবে: সময়োপযোগী।

-সকল নাগরিকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য: রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য।

-রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য বিসর্জন দিতে হয়। ক্ষুদ্রস্বার্থ।

-নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা।

-রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষা ও উন্নততর সমাজজীবন প্রতিষ্ঠার জন্য তৈরি হয়: আইন।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে।

-রাষ্ট্রীয় কাজ সুসম্পন্ন হয়। কর দিয়ে।

-নাগরিক ও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটে না। শিক্ষা ব্যতীত।

-নাগরিককে দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেতন করে: শিক্ষা।

-রাষ্ট্র: জনগণের জন্য।

-রাষ্ট্রের সকল সম্পদই যার সম্পদ জনগণের।

-রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়:

-আইন-শৃঙ্খলা দুর্বল/ভেঙ্গে পড়লে।

-রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন: সংবিধান।

-সততা ও সতর্কতার সাথে ভোট প্রদান ও প্রার্থী বাছাই, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণ সম্ভব হয় না : সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে।

-স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রয়োজন দুর্নীতি দমনের জন্য।

-আইনের শাসন না থাকলে বাধাগ্রস্ত হয়: সুশাসন।

-সুশাসনের একটি সমস্যা: জবাবদিহিতার অভাব।

-নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতার অভাবে হয়। সরকারের অকার্যকারিতা।

-সুশাসনের অন্যতম অন্তরায় রাজনৈতিক ব্যবস্থার অভাব।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা: স্বজনপ্রীতি।

-নিয়োগ, বদলি, পদায়ন বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে স্বজনদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হল: স্বজনপ্রীতি।

-রাষ্ট্রের মৌলিক উপাদান: ৪টি।

-সুরকারের কাজ: দেশ পরিচালনা বা শাসন করা।

-সুশাসন প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণাগত পরিবর্তন বোঝাতে।

-শাসনের প্রধান উপাদান: ৩টি।

-প্রক্রিয়া, বিষয়বস্তু, সম্পদ ও সেবা বিতরণ হচ্ছে: শাসনের প্রধান তিন উপাদান।

-সুশাসন নিশ্চিত করার বড় উপায়: গণতন্ত্র।

-সুশাসনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি: আইনের শাসন।

-রাষ্ট্রীয় জীবনে নিরপেক্ষড়াবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মানবাধিকার সংরক্ষণ হল আইনের শাসন।

-জনগণের অধিকার রক্ষার রক্ষাকবচ আইনের শাসন।

-অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হল, গণতন্ত্রের প্রাণ।

-একটি দেশের চালিকাশক্তি হল: শাসন ব্যবস্থা।

-সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন করা জাতিসংঘের মত।

-দেশের উন্নয়নে প্রতিটি স্তরের জন্য সুশাসন আবশ্যক: IMF এর অভিনয়

-সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল: মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন সাধন।

-সুশাসনের অন্তঃসার হল: গণতন্ত্র।

-সুশাসন সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করে এটা যার মত: UNDP।

-সুশাসনের মূল রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি।

-অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিকে সুশাসনের মূল রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।

-স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অর্থ সর্বোচ্চ জনকল্যাণে খায় হবে এটি হল: সুশাসনের আর্থিক নীতি।

-সুশাসন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন করে সম্পদের ভারসাম্যপূর্ণ বণ্টনের দ্বারা।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের করণীয়: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।

-জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে সুশাসন দ্বারা সমস্যা সমাধান সম্ভব।

-যে সমস্ত দেশে সুশাসন আছে কেবল সে সমস্ত দেশেই ঋণ মওকুফ করা হবে জাতিসংঘের উপদেষ্টা ইব্রাহিম গানবারি

-কৌটিলোর মতে সুশাসনের উপাদান: ৪টি।

-বিশ্ব ব্যাংক চিহ্নিত সুশাসনের সুচক ৬টি।

-১২১৯ পর্ণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ মানে: জনগণের হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেয়া।

-গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য হল জনগণের চোখ দিয়ে রাষ্ট্রকে দেখা।

-গণতন্ত্র অধিক কার্যকর হয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করলে।

-জবাবদিহিতা গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়: ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে।

-স্বচ্ছ শব্দের আভিধানিক অর্থ: নির্ভুলতা।

-স্বচ্ছতা থাকা আবশ্যক: ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ পর্যায়ে।

-আইনের শাসনের অর্থ আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান।

-তথ্য পাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকার।

-বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীনদের সুসম্পর্কের ফলে বিকশিত হয় গণতান্ত্রিক ধারা।

-রাষ্ট্রের সম্পদ সচেতন জনগণ।

-জবাবদিহিমূলক জন প্রশাসন জনগণের জন্য: পক্ষস্বরূপ।

-গণতন্ত্রের প্রাণ: নির্বাচন।

-স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে ওঠে: তিন ধরনের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

MCS Math Shortcut এর Masterpiece  সংগ্রহে রাখুন 

-সুশাসনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে কর্তব্য, অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে।

-নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়: শিক্ষার হার মানের মাধ্যমে।

-সমাজ ও রাষ্ট্রে নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও ছিনতাই কমে যাবে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হলে।

-মানবেতর জীবন যাপন ও সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে। দারিদ্র্য।

-গণতন্ত্র একাধারে রাজনৈতিক আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান।

-সুশিক্ষা, সচেতনতা ও উন্নয়ন বৈষম্যের কারণে বিস্তার ঘটে উগ্রবাদের।

-দারিদ্র্য পীড়িত মানুষ হয়: শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল।

-অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার: শিল্প, কারখানার উন্নয়ন।

-অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর।

-সরকারের স্বার্থকে এক সুতায় বাধার নাম: সুশাসন।

-সরকারের অতি পবিত্র দায়িত্ব সংবিধান সমুন্নত রাখা।

-সুশাসনের অবস্থান জানা যায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মাধ্যমে।

-সমাজের দর্পণ: সংবাদ মাধ্যম।

-প্রশাসনের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকে জনগণের। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অধিক কার্যকর করা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকার।

-সমাজের দর্পণ: সংবাদ মাধ্যম।

-প্রশাসনের উপর পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকে জনগণের।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অধিক কার্যকর করা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকার।

-রাষ্ট্রের সরকার তার নীতি বাস্তবায়ন করে: আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে।

-কার্যকর জনপ্রশাসন গড়ে তোলার জন্য ছয়টি নীতির কথা বলেছে: BIOA।

-সরকার ও নাগরিকের যোগাযোগ সহজ করে: ই-গভর্নেন্স।

-সকলের সকল নিরাপত্তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত থমাস জেফারসন।

-কলকব্জা, যন্ত্রপাতি, দালানকোঠা হল: ভৌত পুঁজি।

-সমাজবোধ থেকে এসেছে অধিকার ও কর্তব্য।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নাগরিককে হতে হবে: সৎ।

-নাগরিকের বড় গুণ: সচেতনতা।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে: নাগরিকের কর্তব্যবোধ।

-গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র: সাম্য।

-সংবিধান বলে: মৌলিক অধিকারের কথা।

-নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা যায়: দু’প্রকার নেতা।

-নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খার প্রতীক: সংবিধান।

-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হল: সামাজিক অধিকার।

-ব্যক্তিস্বার্থ অর্জন বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারই: দুর্নীতি।

-জাতীয় সমস্যাসমূহের উত্থাপন ও সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: আইনসভা।

-আইনের শাসনে বিশ্বাসী কথা: গণতন্ত্র।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

-মানুষ গণতন্ত্রের দিকে ছুটছে। উপনিবেদিক শাসন, সামরিক শাসন ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে।

-স্বৈরশাসন বলতে কিছু নেই। সুশাসনে।

-আজকাল নগ্নভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে ব্যবসায়ীরা।

-দাতাদের সাহায্যে-সহযোগিয়া হয়। শর্তাধীন।

-দাতাগোষ্ঠীর উপর নির্ভরতা হ্রাস পেলে রক্ষিত হবে: জাতীয় স্বার্থ।

-পার্লামেন্টারি শাসন বাবস্থায় সবকিছুর ধারক-বাহক প্রধানমন্ত্রী।

-গণমাধ্যম হতে পারে দু’ধরদের।

-গণমাধ্যমের একটি সংবাদমাধ্যম অপরটি জনতার মাধ্যম।

-সুশাসন প্রত্যয়টি দ্বিমুখী।

-দুর্নীতির সাথে সুশাসনের সম্পর্ক: বিপরীতমুখী।

-সুশাসনে এনজিও কাজ করে কিভাবে? সরকারের সহযোগী।

-আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হল: সুশাসনের লক্ষ্য।

-একটি চলমান ক্রিয়াশীল অবস্থা: সুশাসন।

-অচল শব্দ হল: কর্তব্যপরায়ণ।

-আইন সংশোধনের দায়িত্ব সরকারের।

-মানবাধিকারের মুখপাত্র জাতিসংঘ।

-জাতীয় চরিত্রের প্রতিফলক: ব্যক্তি চরিত্র।

-সুশাসন নেই যেখানে দেশপ্রেম নেই।

-গণতন্ত্র সফল করার পূর্বশর্ত: সুশাসন।

-সঠিক দিয়ে নির্দেশনার অভাবে দায়িত্বশীলতা: অস্পষ্ট শব্দ।

-সরকারের উদাসীনতার কারণে অচল শব্দ কর্তব্যপরায়ণতা।

-রাজনীতির চালিকা শক্তি ব্যবসা হলে গণতন্ত্র রহিত হয়।

-সুশাসন ধারণাটি সর্বজনীন নয়।

-সুশাসন ধারণাটি সর্বজনীন না হওয়ার কারণ: এটি স্থান, কাল, পরিবেশ, জনসংখ্যা ভেদে আলাদা বলে।

-ক্ষমতার অপব্যবহারের যৌক্তিক কারণ ক্ষমতার কেন্দ্রিকতা।

-জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে: সরকার।

-সুশাসন প্রতিষ্ঠায় খুবই যৌক্তিক বিষয় শিক্ষা ও সচেতনতা।

-দায়িত্বশীল না হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ হল বেশির ভাগ লোকই সুবিধাবাদী ও আইনের শাসনের অভাব।

-সুশাসনের মূল লক্ষ্য: জবাবদিহিতা।

-মিডিয়ার স্বাধীনতা প্রয়োজন: প্রকৃত তথ্য জানার জন্য।

-সুশাসনের মানদণ্ড হল: জনগণের সম্মিত ও সন্তুষ্টি।

-সুশাসনের সমস্যা: কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা চর্চা।

-আফ্রিকা মহাদেশে বিশ্বব্যাংকের ব্যাপক ব্যর্থতার ফলে উদ্ভব ঘটে: সুশাসনের ধারণার।

-‘নাগরিকতা’ দ্বারা একটি বিশেষ গুণকে নির্দেশ করা হত: গ্রিসে।

-প্রশাসনে দুর্নীতি হ্রাস সম্ভব: ন্যায়পাল ব্যবস্থার দ্বারা।

-জনগণও স্বৈরাচারী সরকার কামনা করতে পারে: নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে শান্তি বিঘ্নিত হলে।

-সুশাসনকে জনগণ ও সরকারের Win win game বলার কারণ এতে উভয়ের অংশগ্রহণ ঘটে এবং উভয়ের লাভ হয়।

SSC/HSC / ষষ্ঠ থেকে নবম/দশম  শ্রেণির  শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Website Eduexplain / Facebook এ Like/Follow দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারো এই লিংক থেকে

Related Posts

তৃতীয় শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

চতুর্থ শ্রেণি

সকল সাবজেক্টের অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও পরীক্ষা প্রস্তুতি

পঞ্চম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও বৃত্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি

ষষ্ঠ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

সপ্তম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও বহুনির্বাচনি

অষ্টম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান ও জেএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

নবম-দশম শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

অধ্যায়ভিত্তিক সমাধান, মডেল টেস্ট ও এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

BCS প্রিলি মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক (Relation Between Values Education and Good Governance)

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.